নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!
খাঁচা বন্দী পাখিরা ভাবে, মুক্ত পাখিরা বেয়ারা, বেপরোয়া কিংবা উচ্ছৃঙ্খল, মানসিকভাবে অসুস্থ। অনেক অঘটন ঘটবে, যদি তারা এভাবে মেঘেদের মত উড়ে বেড়ায়। ওদের বন্দী করার জন্য দরকার মজবুত আর শক্ত লোহার খাঁচা। খাঁচার পাখিরা তাদের মহান প্রভু মানুষকে নিয়ে দীর্ঘ গোলটেবিল বৈঠক করে। তাদের বিরুদ্ধে অভেদ্য ষড়যন্ত্রের জাল বোনে। সিদ্ধান্ত নেয়, শাস্তি দেবে তাদের। ওদের পাতি-মাঝারী-বড় নেতাদের রিমান্ডে এনে, দলবলসহ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে খাঁচায় বন্দী করার যুদ্ধ ঘোষণা করে। আধুনিক অস্ত্র দিয়ে গুলির পর গুলি করে মুক্ত পাখিদের। যুদ্ধে অনেক মুক্ত পাখি শহীদ হয়।
স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া সেইসব মুক্ত পাখিরা তবু্ও পিঠ দেখায় না। ওরা সুরেলা কন্ঠে গেয়ে ওঠে, আমাদের মারতে পার, কিন্তু প্রাণ থাকতে আমরা খাঁচায় ঢুকব না। আমরা বাঁচলে মুক্তভাবে বাঁচব। বদ্ধ খাঁচা কোন পাখির থাকার স্থান না।
যতই আক্রমণ করা হয়, মুক্ত পাখিরা কোনক্রমেই খাঁচায় যেতে চায় না।
এরপর খাঁচার পাখিদের মধ্যে কিছু বয়স্ক বুদ্ধিজীবী পাখিরা তাদের বোঝাতে আসে। খাঁচার ভেতর কি নেই? আছে ক্ষুধার খাদ্য, শীত নিবারণের বস্ত্র, নিরাপত্তা, অসুস্থতায় চিকিৎসা, উন্নয়ন, শিক্ষা, উৎকর্ষ; অর্থাৎ সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা। আর কি চাই তোমাদের? যা চাইবে দেব, শুধু খাঁচায় এসো।
না-না-না সেখানেতো আমাদের পাখা ব্যবহার করা যায় না। খাঁচায় ঢুকলে আমাদের অস্তিত্বের কোন অর্থ থাকে না। তাহলে এই পাখা কি তোমাদের মহান প্রভুদের বিবেকের মতো অকেজোই থেকে যাবে? আমরা ওখানে যাব না। ওখানে গেলে আমাদের পঙ্গু হয়ে মরতে হবে। আমরা অমন অর্থহীন জীবন বা অর্থহীন মৃত্যু চাইনা। আমাদের জীবন মহান!
কিন্তু মানুষ মহিয়ান। মানুষ কি কি পারে, তোমরা কি দেখনি? নাকি তোমরা অন্ধ? খাঁচায় গেলে তোমরা তোমাদের মহান প্রভু মানুষের ভালবাসা পাবে। প্রভুর সন্তানেরা তোমাদের দেখে পাখি সম্পর্কে জানতে পারবে। তোমাদের নিয়ে কবিতা, গান, এমনকি উপন্যাস লিখে নোবেলজয়ী হতে পারবে। তাদের মহত্ব সংক্রান্ত কোন আখ্যান কি তোমরা পড়নি? আমরা পাখিরা মানুষের সাথে যুদ্ধ করতে পারি না! ভাবার বিষয়টি তোমরা ভেবে দেখ। তারাতো সৃষ্টির সেরা!
সেসব খাঁচার পাখিদেরকে তখন আক্রমণ করা হয়৷ যারা তাদেরই স্বজাতি। পাখিদের খাঁচায় ঢোকানো মহান পরাক্রমশালী প্রভু মানুষকে আক্রমণ করা হয়। মুক্ত পাখিরা খাঁচার পাখিদের আঘাতের পর আঘাত করতে থাকে। ধীরে ধীরে অনেক খাঁচার পাখি মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়ে৷ অনেক মহান মানুষ পাখিদের ঠোকরে নিহত হয়। মুক্ত পাখিরা স্লোগান দেয় "খাঁচা মানে মৃত্যুশয্যা, মানুষ মানে খাঁচা"। এইসব দেখে সমস্ত খাঁচার পাখিরাও স্লোগান দিতে থাকে মুক্তির আশায়। শেষমেশ খাচার পাখিদের মহান প্রভু মানুষেরা বাধ্য হয় সমস্ত খাঁচার পাখিদের ছেড়ে দিতে। তাদের মুক্তিতে আকাশটা পাখিদের কাকলীতে ভরে ওঠে।
আকাশ হয় পাখিদের ঠিকানা। আর তারা মানুষদের লক্ষ করে বলে, হে মানুষ, এবার তোরা মানুষ হ! আর মানুষ উত্তর দেয়, আমাদের খাচায় বন্দী করা হোক। শেষমেশ মানুষের বিবেক খাঁচামুক্ত হয়! সব মানুষ ভায়োলিন বাজাতে বাজাতে তাদের শোক প্রকাশ করে। মানুষ বুঝি সত্যিই সৃষ্টির সেরা হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করলো!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৩০
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার অনাগত দিন-রাত্রির জন্য।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ থাকলেই পাখিরা বেচে থাকতে পারবে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: হতে পারে আবার নাও হতে পারে। অনেক শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৩২
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।