![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এই পৃথিবীর কেউ হতে চাইনা
এলোমেলো ভাবে চলছে জীবন,হয়ত জলদি কোন পথে বাঁক নেবো।
আমার স্বপ্নগুলোকে নিয়ে বেচে আছি।
বাস্তবতা কে কাছ থেকে দেখতে চাই।
ফটোগ্রাফীর সখ আছে,যদিও ক্যামেরা কেনার টাকা নাই ।
চরম আড্ডাবাজ।
অচেনা পথে অনেক দুর হাটতে চাই
মাঝে মাঝে ডুব মারি,তয় পুকুরে না,নিজের ভূবনে।তাই ঘর থেকে বাইরে থাকি খেয়াল খুশি মত।কিছু উওম মাধ্যম পড়লেই আবার ফিরে আসি।
বাবা মা আছেন।একমাএ সন্তান বলে তেমন কোন ফায়দা করতে পারি নাই আজও।
বন্ধুমহলে আমার সুনাম আছে,ফ্রি সমস্যা সমাধানের জন্য।
ক্রিকেট পাগল।ফুটবল খেলতে আমারে নেয় না,কারন আমার পায়ের লগে বারি খাইয়া দু পাঁচ জন আহত হয় প্রায়ই।
দু:খ পাইলে মাঝে মাঝে যা মাথায় আসে তাই করি।
মানুষ কেমনে হইতে হয় তাই শিখতেছি।
মোবাইলকে ঘৃনা করি।আই পড ভালো লাগে।
বাংলা গান ছাড়া অন্য গান শুনলে গায়ে জ্বালা ধরে।
বয়সটা আর কম হইল না, গুনে গুনে ২৯। আর কত এভাবে কি একা একা থাকা যায়। কেমন একা একা লাগে। বিয়ার ব্যাপারে না ভাবলে আবার সমস্যা কোন দিন দেখা যাইব কোন পট্টির রেগুলার কাস্টমার হইয়া গেছি। অনেক সমস্যারে ভাই/বোনেরা। তাই দুলাভাই বুদ্ধি দিল শালা বাবু এবার কাজটা সেরেই ফেল, আর দেরী কেন!!! দুলাভাইয়ের কথায় বিশেষ সাহস পাইয়া গেলাম মেয়ে দেখতে। মেয়ে ত না যেন একটা সাক্ষাত পরী আইয়া সামনে দাড়াইয়া রইছে। আমার চক্ষু ত কপালে উঠছেই দুলাভাই দেহি মাছি হান্দানের ব্যবস্থা করছে, মুখটা এক্কেরে হা কইরা খুইলা রাকছে। যাই হোক নিজেরা সংযত হইয়া মাইয়ারে বইতা কইলাম। সে কি মাইয়ার হাসি এক্কেরে ক্লোজ আপ। পড়ালেখা যা করছে মাশাল্লা আমার পোলা মাইয়ারা শিক্ষিত বানাইতে পারবো। মাইয়ার চোখের বিশেষ চাহনি দেইখা বুঝলাম আমারে তেনার মনে ধরছে। আমি ত খুশি তে, মনে কইতাছিল কান্দি। বন্ধুরা বহুত খোটা মারছিল আমারে কোন মাইয়া কোন দিন পছন্দ করবনা। আরো কইছিল কালা পোলার কাছে কে মাইয়া বিয়া দিব? আজ মনে হইতাছে সবগুলার গোয়ায় দুইঠা লাথি মাইরা আসি।
যাই হোক দেখাদেখি ত অনেক হইল, এবার পোলার ব্যাপারে জিগান শুরু করল মাইয়া পক্ষ। করারি কথা জিগাইবনা তাগো মাইয়া বিয়া দিব বইলা কথা। তোমার নাম কি বাবা? জী রহিম মোল্লা উরফে করিম। মাইয়ার মায়ে জিগায় এটা আবার কেমন নাম হইল? আমি কইলাম নানী রাখছে রহিম মোল্লা আর দাদী রাকছে করিম মোল্লা, নানী মইরা গেছে তাই এহন দাদীরে খুশি করার লাইগা করিম নামটা ইউুস করি। ভাল ভাল, মাইয়ার মা বাহবা দিল। তা বাবা লেখাপড়া কতদুর করছ? জী মে...... দুলাভাই হাত টিপি দিয়া কইল জী পোলা মার্স্টাড পাশ। আমি কইলাম দুলা...... ভাই কি....ক....ন? দুলাভাই আবার চাপ দিয়া আস্তে আস্তে কয় চুপ, এগুলা বিয়ার টাইমে কইতে হয়। আমি মনে মনে কই তাইলে কি আমার বইনরেও এমনে বিয়া করছে নাকি হালায়? তা বাবা কি কাজ কাম কর? জী কবি....তা, আবার দুলাভাই চাপ দিয়া ধরল, জী পোলা কাস্টম অফিসে কাজ করে। দুলাভাইয়ের দিকে তাকাইয়া চোখে চোখে জিগাইলাম এইগুলা কি কন? দুলাভাই উওর দিল চাইপা যা, পরে দেখা যাইব। যাই হোক মাইয়া পক্ষের সবার পোলারে মাইনে আমারে পছন্দ হইল।
বিয়ার তারিখ পাকাপাকি হইতাছে, আমার যে কি খুশি তাগতাছিল, মনে হইতাছিল পুকুরে একটা লাফ দিয়া কতক্ষন সাতার কাইটা আসি। যাই হোক কতক্ষন পর দেহি দুলাভাইয়ের চিল্লাচিল্লির আওয়াজ। আরে করে কি!! কি হইছে দুলাভাই? শালাবাবু এরা তোমারে যৌতুকে কিছূ দিব না। আমি কইলাম আমনে কি কি দাবী করছেন? দুলাভাই কয় বেশি কিছু আর কি করলাম শুধু একটা মোটরসাইকেল, বাজারে যে দোকানটা আছে মাইয়ার বাপের হেইডা তোর নামে লেইখা দিতে আর টিভি ফ্রিজ, খাট পালংক, আর নগদ ১লক্ষ ট্যাকা। ক আমি কি বেশি কিছু চাইছি। আমি মনে মনে কই হালা বাকী রাকছোস কি, মনে হইতাছে আমি বিয়া করতে আসি নাই বাজারে জিনিস পএ কিনতে আইচি। পরে আমি এক্কেরে গলা ফাটাইয়া কইলাম 'আমার কিছু লাগব না, মাইয়ারে আমি এমনিতেই নিয়া যামু' মাইয়ার মা খুব খুশি হইয়া গেল, আমার কপালে এক্কেরে ছ্যাপ সহ একটা চুমু খাইল, ওই দিকে আমার দুলাভাই মুখটা প্যাচার মত কইরা রাখছে, আর মনে মনে আমারে গালি দিতাছে।
কতক্ষণ বাদে আমারে আর মাইয়ারে একলা ছাইরা দিল, মাইনে একটু ফ্রি হইবার লাইগা। যেটার আশায় আমি এতক্ষন আছিলাম। মাইয়া মোটামুটি ভালই মর্ডান, এক্কেরে সাজাই কথা কয়, আমারে নিজের ঘরে লইয়া গেল(কেউ অন্য কিছু মনে কইরেন না, এমনেতেই লইয়া গেছিল, তার ঘরটা দেখাবার লাইগা)। ভালই এক্কেরে সুন্দর পরিপাটি করা সবকিছু। মাইয়া আমারে জিগাইল চাকরি করা ছাড়া আমি আর কি করি? মনে মনে কই চাকরিটাই ত নাই, যাই হোক কইলাম আসলে আমি মাঝে মাঝে লেখালিখি করি। মাইয়া কইল কোথায়? কোন পেপারে? আমি কইলাম না কোন পেপারে না অন্য একটা জায়গায়। মাইয়া আবার জিগায় আপনে কি লিখতে পছন্দ করেন? আমি কইলাম বেসিকলী আমি কবিতা লিখি তাছাড়া মাঝে মাঝে গল্প লিখি। কি টাইপের গল্প? কি মোর জ্বালা একটু ভালবাসার কথা কও কি শুরু করলা(মনে মনে আমি কইতাছি) জী এই মনে করেন ভালবাসার গল্প আর কি। ও আচ্ছা তাইলে ত আপনে খুব রোমান্টিক। লজ্জায় আমি একেবারে কুচুমুচু হয়ে গেলাম। জীবনে প্রথম কোন মাইয়া আমারে এইরকম একটা কমেন্ট করল। মাইয়া আবার জিগায় আচ্ছা বললেন না তো আপনে কোন পেপারে লেখালিখি করেন? কি জ্বালা। হঠাৎ চোখ পড়ল ঘরের কোনে কম্পিউটারের দিকে, বল্লাম আপনারা কি নেট ব্যবহার করেন? মাইয়া কইল জী আমাদের নেট কানেকশন আছে। যাই হোক এইবার এক্কেরে ভাব মাইরা কইলাম দেহেন আমি কোন জায়গায় লেহালেহি করি, এইডা যেন তেন কিছু না, এখানে বহুত নামী দামী মানুষ লেহালেহি করে, আর এই সব লেহালেহি লইয়া একটা বই ও কইলাম বাইর হইছে। এই কথা কইতে কইতে ব্রাউজারটা খুইলা ঢুইকা পড়লাম সামহোয়্যার বোলগে। কইলাম দেহেন আমি কোন জায়গায় লেখালেখি করি, তারপর মাইয়ার দিকে চাইতে দেহি 'বাংলার নারী' র মত চোখ মুখ কইরা কইতাছে লম্পট, চোরের দল, ভন্ড প্রতারক, রাজাকার, তুই এই জায়গায় লেহালেহি করস! এই সব জায়গায় সব শুধু কাদা ছোড়াছুড়ি, গলাবাজি, গালিবাজি, তুই এমন জায়গায় লেহালেহি করস, যা তোর লগে বিয়াই করুম না, তোরে ১ তালাক ২ তালাক ৩ তালাক দিলাম, যা আমাগো ঘরের থেইকা বাহির হও, ভাবমূর্তি বেশি ভাল না দেইখা মাইয়ারে কইলাম শান্ত হইতে ,মাইয়া কয় তোরে একটা কোপ দিয়া কল্লা ফালাইয়া দিমু, যা এহান থেইক্যা। অবস্থার অবনতি দেইখা দুলাভাইরে লইয়া পলাইলাম, পুরা রাস্তায় খালি হিসাব মিলাইবার চেষ্টা করলাম, আমি কি এমন দেখাইলাম, কি এমন প্রসংশা করলাম! মাইয়া ইমন চইটা গেল, আরো নানা বিধ প্রশ্ন।
মিজাজটা আরো খারাপ হইয়া গেছে দুলাভাইয়ের এমন অট্টহাসি দেইখা, হালার পুতেরে কাহিনীটা কওন উচিত হয়নাই। এহন আমার পুরা শরীরটা জ্বলতাছে। যা শালা আমার বিয়াটাই হইল না। সামহো্য়্যার তোরে দেইখা লমু এই বইলা রহিম মোল্লা উরফে করিমের ধ্বংসীয় চিৎকার।
২| ০১ লা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
অ্যালন বলেছেন: এ্যা..?..
তাইলে বিয়া করার সময় ইতার কতা বোলা যাবেনা....
৩| ০১ লা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
চোর বলেছেন: আপনার বিয়া পরে। আপনার মামার বিয়ার কি খবর?
৪| ০১ লা জুন, ২০০৭ রাত ৮:০৮
ধূসর ছায়া বলেছেন: তিনলক্ষ টাকা দিলে একটা বিয়ের ব্যবস্থা করতে পারতাম !!!
৫| ০১ লা জুন, ২০০৭ রাত ৮:০৯
গোপাল ভাঁড় বলেছেন: ভাল্লাগ্লো.. আমগো ব্লগে একটা এ-টিম আছে, ওরা হেল্প করতে পারে..
যাউগ্গা আপাতত হাতের রেখার কি অবস্থা?
৬| ০১ লা জুন, ২০০৭ রাত ৮:১৮
কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: জটিল লিখছেন ... পছন্দ হইছে ...
৭| ০১ লা জুন, ২০০৭ রাত ৮:২৯
তারেক রহিম বলেছেন: জটিল!
৮| ০১ লা জুন, ২০০৭ রাত ৮:৪৫
মুশফিক বলেছেন: কি কন চোর ভাই। আমার বিয়া তে আপনি ভ্যাটো দিলেন!! মামার বিয়া হইতে হইতে আটকাইয়া রইছে, আশা করি তাড়াতাড়ি বিয়াটা হবে। তবে মামার মতি গতি ঠিক নাই, এই কয় পছন্দ হইছে এই কয় হয় নাই।
৯| ০১ লা জুন, ২০০৭ রাত ৮:৫৯
নিঃসঙ্গ বলেছেন: লিখাটা পড়ে ভালো লাগল।
১০| ০১ লা জুন, ২০০৭ রাত ৯:০২
মুশফিক বলেছেন: সবাইকে থ্যাঙ্কু না বলে পারছিনা
১১| ০১ লা জুন, ২০০৭ রাত ৯:২৪
সোনার বাংলা বলেছেন: খুবই সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ।
১২| ০২ রা জুন, ২০০৭ ভোর ৪:৩১
মুশফিক বলেছেন: ভাই অনেক ত করলেন এবার কি ঘুষ গ্রহন ও শুরু করলেন@ ধুসর ছায়া ভাই
১৩| ০২ রা জুন, ২০০৭ ভোর ৪:৩৭
ধূসর ছায়া বলেছেন: ঘুষ কে বললো ? ঘটকের একটা ফিস আছে না ? উকিলরে দিবেন, ডাক্তাররে দিবেন আর ঘটককে দিবেন না ? এ কেমন কথা ?
১৪| ০২ রা জুন, ২০০৭ ভোর ৪:৪৯
মুশফিক বলেছেন: সবাইরে খালি দিলে আমারে কে দিব? তাছাড়া এ জায়গায় লেখালিখি করি হুনলে আমার বিয়া ত জীবনেও হবিনানে। আর বোলগের বাকীগো কি অবস্থা তা বুঝতে পারেন।
হে হে আপনার ভার্চুয়াল প্যাচাল তো দেহি ভালই আগাইছে। গুড কিপ ইট আপ।
১৫| ০২ রা জুন, ২০০৭ ভোর ৪:৫৩
জল রঙ বলেছেন: ধন্যবাদ মুশফিক ভাই । আপনাকেও ধরবো ভার্চুয়াল এ । "শুধুই কি দিয়ে যাবো, কিছুই পাবো না" । আপনার জন্য আছে একটেল ফূর্তি ।(ধূসর ছায়ার নিক)
১৬| ০২ রা জুন, ২০০৭ ভোর ৫:৫৮
মুশফিক বলেছেন: কেন যে ভাই প্যাচাইতেছেন!!! ছাইরা দেন বস কাইন্দা বাঁচি
১৭| ০২ রা জুন, ২০০৭ দুপুর ২:৪১
অমিত আহমেদ বলেছেন: জটিল লিখেছেন ব্রাদার!
১৮| ০২ রা জুন, ২০০৭ দুপুর ২:৪৪
যুঞ্চিক্ত বলেছেন: সামহোয়ারের নামে কেইস কৈরা দ্যান। উকিল আক্কু চাচু ত আছেই।
১৯| ০৩ রা জুন, ২০০৭ ভোর ৪:৩৮
মুশফিক বলেছেন: কেইস কইরা আর কি হইব। আমার বিয়াটাই তো হইল না
২০| ০৩ রা জুন, ২০০৭ ভোর ৪:৫১
মানবী বলেছেন: মজার লেখা, ধন্যবাদ মুশফিক।
২১| ০৩ রা জুন, ২০০৭ ভোর ৫:০৫
মুশফিক বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ@ মানবী
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৬
অনুভূতি শূন্য কেউ একজন বলেছেন: মজা পাইলাম ।
জব্বর হইসে ।