নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসতে খুব ভালোবাসি, মানুষকে। বাঁচতে দেখে উল্লাস করি, বেচে থাকার আনন্দ পাই, বেঁচে থাকি।

মাহাবুবুর রহমান হৃদয়

ভালোবাসতে খুব ভালোবাসি, মানুষকে। বাঁচতে দেখে উল্লাস করি, বেঁচে থাকার আনন্দ পাই, বেচে থাকি।

মাহাবুবুর রহমান হৃদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিমানী আমার ❤️

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৪


প্রত্যকেরই শিশুকালটা হয় একই রকমের। যেমন, প্রথমে খাওয়া শেষ করা তার পর ঘুম। কিন্তু আমার বেলায় সম্পূর্ন ভিন্ন!! খেতে চাইতাম না বলে আগে ঘুম পাড়িয়ে তার পর ঘুমন্ত অবস্থায় খাওয়ানো হতো! সকাল, দুপুর ও রাত বলে কোনো কথা ছিল না! আর এই কঠিন কাজটি খুব ধৈর্য্য এবং আদরের সাথে বছরের পর বছর করে গেছেন আমার আম্মু। সেই থেকে আজ অব্দি বাসায় থাকা অবস্থায় আমি কখনই নিজের হাতে খাইনা ! বদমাশ , বাদর কিংবা বিচ্চু এর কোনটায় আম্মুর মুখ থেকে কখনো বলতে শুনিনি তবে আমি যে প্রচন্ড দুরন্ত এটা খুব ভাল করেই তিনি জানেন। স্কুলে যেমনখুশি তেমন সাঁজ প্রোগ্রামে আম্মু আমায় সুন্দর করে একজন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধার আঙ্গিকে সাজিয়ে তুলল, বাসা থেকে বের হবার সময় দাদি একটা পান দিল যেন ফ্লেভারটা ভাল আসে কিন্তু, যা হবার তাই! পান চিবিয়ে স্কুলে ঢুকতেই মাথা ঘুরে ঢপ !! তাই নিয়ে আম্মু সেদিন কত্ত কি যে করেছিল। আমার নামে কেউ নালিশ করলে তাকেই উল্টা বকা দেয়াটায় আম্মুর নিয়ম! “ কত্তবড় সাহস ! আমার ছেলের নামে বাজে কথা !!” ছোট্টবেলায় গলায় মাংস বেঁধে সম্ভাব্য মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছিলাম বলেই বোধহয় আম্মু এমনটা করে “ স্কুলে ক্লাস রয়েছে বলে আমায় না নিয়ে কোথাও গেলে আম্মু যখন ফিরে আসে আমি মুখ দেখেই বুঝতে পারি কি পরিমান চিন্তা করেছে আমায় নিয়ে। ছোট্ট থেকেই আমাকে স্বাধীন করে দিয়েছে কিন্তু বেঁধে রেখেছে অন্যরকম ভালোবাসায়। ক্লাস ফাঁকি অথবা টিফিন পর দলবল নিয়ে স্কুল থেকে পালাতে আমি দক্ষ ছিলাম, ফলে মাঝে মাঝেই আম্মুকে সাথে নিয়ে হেড স্যারের সামনে উপস্থিত হতে হত! আম্মুর একটায় উক্তি , “ ও বাচ্চা মানুষ একটু আধটু করে থাকে!! “ (আমি তখন নবম শ্রেণীর বাচ্চা )। সারাদিন বাইরে সময় দিয়ে রাতে রিলাক্স মুডে হাটতে হাটতে বাসার একটু দূর থেকে ধুপ ধাপ পা ফেলে বাসায় ফেরা আমার অভ্যাস, যেন সারাপথ এভাবেই এসেছি ! তারপর সামনেই বসে থাকা খাবার নিয়ে অপেক্ষমাণ ব্যক্তিটি বলবে হাতমুখ ধুয়ে সামনে আয়! তিনি খুব ভালো করেই জানেন আমি ঠিক কোথা থেকে দৌড় শুরু করেছি কিন্তু বুঝতে দেন না, এটা আমি বুঝি । খুব আগ্রহের সাথে আম্মুর হাতে লক্ষ্মী ছেলের মত খেয়ে নেয় যদিও আমি বাগান বাড়ি থেকে পিকনিক করে আসলাম! হুট হাট করে টাকার প্রোয়োজন হলেই সর্ব প্রথম আম্মুর শরণাপন্ন, ব্যস সমাধান!! অনেক অভিমানী আমার আম্মু তার পরেও আমার সাথে কখনো অভিমান করেনা। কিছুক্ষন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে তারপর কান্না , আমি ২ মিনিয়ে থামিয়ে ফেলতে ওস্তাদ .. দূরে থাকলে নিজ হাতেই খেতে হয়, আম্মুর কথা সারাদিনে কতবার মনে হয় তা আমি বলতে পারব না তবে মেসে যেদিন ডাউল আর আলু ভর্তা দেখি সেদিন আম্মুর হাতে আমার জন্য তৈরী স্পেশাল খাবারের কথা মনে পরে। তার কথা বলতে গেলে কয়েকটা প্রবন্ধ রচনা হয়ে যাবে তবুও শেষ হবেনা। এমন ছন্নছাড়া ছেলে কে এত আদর করে বড় করেছে যে বিশেষ ব্যক্তিটি, তিনি আমার আম্মু ❤️

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.