নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

হাবীব রহমান

হাবীব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাইলে কী শেখ হাসিনা কোনো স্বাধীনতা বিরোধীকে নিয়ে মিশর সফর করেছেন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২২

৭৩ সালে ফেনী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাংবাদিক এ বি এম মূসা। আওয়ামী লীগের টিকিটে। শুধু কি তাই; বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হয়েছিলেন তিনি, বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় থাকাকালীনই। বঙ্গবন্ধুর সরাসরি হস্তক্ষেপে। আর এখন তিনি স্বাধীনতাবিরোধী। হয়রে দেশ। হায়রে রাজনীতি।



বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতাকারীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি পদ দিয়েছিলেন। এটা কী বিশ্বাসযোগ্য? মোটেও না। জাতির জনক বুঝেশুনেই সাংবাদিক এ বি এম মূসাকে কাছে টেনেছিলেন। প্রবীণ ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক এ বি এম মূসা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম ধারক ও বাহক-বিষয়টি জাতীয়ভাবে স্বীকৃত। এনিয়ে কেউ কখনো কোনো প্রশ্ন তোলেননি।



কিছুদিন আগেও এ বি এম মূসা একটি সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন। সম্ভবত মিশরের শার্ম আল শেখে। অথচ কয়েক মাসের ব্যবধানে তিনিই কি-না হয়ে গেলেন স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী। তাইলে কী শেখ হাসিনা কোনো স্বাধীনতা বিরোধীকে নিয়ে মিশর সফর করেছেন।



‘৯৯ সালে এ বি এম মূসা একুশে পদক পান। তখন ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। জানতে ইচ্ছে করছে, কথিত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী একজনকে আওয়ামী লীগ সরকার কেন একুশে পদক দিয়েছিল?



কিন্তু সেই স্পর্ধা দেখালেন একজন মাহবুব-উল-আলম হানিফ। যিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীও বটে। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সহ-সভাপতি যে এখন বিশেষ ক্ষমতাধর এটিও এখন কারো অজানা নয়।



এবিএম মুসার অপরাধ (!)- এক আলোচনা সভায় তিনি বলেছিলেন, ছাত্রলীগ শেষ হয়ে গেছে। আমরাও তো এক সময় ছাত্রলীগ করতাম। এ থেকে উত্তরণ খুবই জরুরি। প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা প্রতিবাদ করুন। আপনারা বলুন-ছাত্রলীগের নামটাকে তোমরা কলঙ্কিত করিওনা। প্রয়োজনে তোমরা একে ‘হাসিনালীগ’-‘বামলীগ’ নাম দাও।



এ বি এম মূসা বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা ছাত্রদের সূচনা। আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ কর্তৃক সৃষ্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন তৃতীয় শ্রেণীর নেতা ছিলেন। নিজ গুণে তিনি এগিয়ে এলেন এবং ছাত্রদের চেষ্টাতেই তিনি প্রথম শ্রেণীর নেতা হলেন। বঙ্গবন্ধু যতটা না উর্বর মস্তিষ্কের নেতা ছিলেন, তার চেয়েও বড় ছিল তাঁর উপর জনতার বিশাল আস্থা।



ছাত্রলীগের এখনকার কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ইতিবাচক অর্থেই তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গটি টানেন। কিন্তু তা যে এভাবে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে সেটি তিনি ভাবতেও পারেন নি।



মূসা ভাই ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার স্পিরিট কি ছিল সেটি বোঝার চেষ্টা করা দরকার ছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের। কারণ মূসা ভাই তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার চেষ্টা করবেন আর ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতারা তা চুপচাপ মেনে নেবেন সেটি আমার বিশ্বাস হয় না।





মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৯

শার্লক বলেছেন: তারমানে বালে সব রাজাকার আর স্বাধীনতা বিরোধী দিয়ে ভরা। হা হা হা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.