নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

হাবীব রহমান

হাবীব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিল আর নেই

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জলিল আর নেই। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন আবদুল জলিল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা জলিলকে।

কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসকরা আব্দুল জলিলকে ৩০ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন বলে সিঙ্গাপুর থেকে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম। এর আগে তিনবার বাইপাস সার্জারি হয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল জলিলের। পারিবারিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকেই তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় বলেন, ‘জাতি একজন নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিবীদ হারাল। মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকার জন্য জাতি তাকে চিরদিন স্মরণ করবে।’

নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিবিদ আবদুল জলিল ১৯৩৯ সালের ২১ জানুয়ারি উত্তরের জনপদ নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলে পড়ার সময় ১৯৫৪ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর নওগাঁ কে. ডি. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে পড়াশুনা শেষে ভর্তি হন রাজশাহী কলেজে। সেখানে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশুনা সম্পন্ন করেন। ১৯৬০ সালে আব্দুল জলিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৩ সালে, তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেন এবং ১৯৬৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি আইন বিষয়ে পড়াশুনার জন্য লন্ডনের লিঙ্কন ইন এ ভর্তি হন। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা হলে বঙ্গবন্ধু ব্যরিস্টারি পড়া শেষ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দিতে দেশে ফেরার নির্দেশ দেন। '৬৯ সালে দেশে ফিরে প্রথমে ব্যবসা এবং পুরোপুরি রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন।

আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর তাকে বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ১৭তম জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে বহাল ছিলেন। তিনি দলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদকদের একজন। বিগত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাকে গ্রেফতার এবং জেলে বন্দী রেখে নির্যাতন করা হয়। জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে তাকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং নওগাঁ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি আবদুল জলিল ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।











মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৯

রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=th7J4SuBT9E

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৯

রিনকু১৯৭৭ বলেছেন: মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.