![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাঙের মাথা অথবা টাকার ছাতা
আমরা যারা রাজধানী তে থাকি তারা সবাই কমবেশি জানি। গ্রাম অঞ্চলেও দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে এসব প্রতিষ্টান। এদের কার্যক্রম কর্মপদ্ধতি আর রমরমা ব্যবসার কথা আমাদের একেবারেই অজানা নয়। যে দেশে খুব সহজেই প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় সে দেশে এসব নিয়ে কথা বলে কি হবে আমি জানিনা। নিজেকে সম্পূর্ণ সচেতন দাবি করিনা যদিও তবু কিছু একটা চোখে পড়লে সেটা নিয়ে সামান্য কিছু কথা বলতে ইচ্ছে করে, দু লাইন লিখতে ইচ্ছে করে।
আমাদের এই ঢাকায় সবথেকে রমরমা ব্যবসা ইয়াবা গাঁজা আর তার সাথে বৈধ ফার্মেসী তে অবৈধ ভাবে ঘুমের ঔষধ। আর এসবের পরেই স্কুল ব্যবসা। ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা প্রতিষ্টান। যাদের প্রতিষ্টাতাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই বললেই চলে। যদিও তারা নিজেরা কিছুই করেনা বলে সরকারের হাতে ধরা খায়না। বি সি এস কমপ্লিট কিংবা অনার্স কমপ্লিট একটা মানুষ হলেই হলো। প্রথমেই একটা স্কুল। আর সেই গ্রাজুয়েশন ধারির নামে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র।
বলা হয়ে থাকে ব্যবসা করতে গ্রাজুয়েশন নয় বরং গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট পোলাপান যেনো তোমার গোলাম হয় সে চেষ্টা করা উচিৎ। গল্পের ছলেই বলা যাক বকবক অনেক করেছি।
রহিম সাহেব সাভারের একজন ধনী ব্যাক্তি। জামগড়া বাজারে রয়েছে তার কাঠের ব্যবসা। ঠিক কাঠের ব্যবসা নয় শুধু ফার্ণিচারের দোকান রয়েছে। তিনি সাভার থেকে জামগড়া মোটরসাইকেল যোগে যাতায়াত করেন। তিনি প্রায়শয় পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করলেও এখন আর করেন না। তাদের এলাকায় তার বাড়ি থেকে ২০ মিনিটের দুরুত্বে তার চাচাতো ভাই একটি কিন্ডারগার্টেন খুলেছেন। রহিম সাহেব পড়াশোনা না জানা মানুষ তাই বলে তার চাচাতো ভাই স্কুল খুলেছেন তিনি খুলবেন না তা কি করে হয়? মান ইজ্জতের ব্যপার বইলা কথা। রহিম সাহেব এর এমন সময় সাহায্যে এগিয়ে আসেন পাশের বাড়ির কলিম মিয়া। কলিম মিয়া পেশায় দারোয়ান। বাংলাদেশের সরকারি একটা ব্যাংকের দারোয়ান। কিন্তু এলাকার লোক তাকে সমিহ করে ব্যাংকে চাকরি করে।
কলিম মিয়া রহিম মিয়াকে বলেন দেখ দোস্ত তুই স্কুল করবার চাইতাছত ভালো কথা কিন্তু রেজিষ্টেশন ত তোর নামে হইবোনা
তুই পড়ালেখা জানস না। গ্রাজুয়েশন নাই।
গ্রাজুয়েশন শব্দটার অর্থ জানেনারহিম। জানার প্রয়োজন ও বোধ করেনা। ধ্যানে জ্ঞানে রহিমের একটাই প্রয়োজন স্কুল খোলা। বন্ধু তুমি ব্যংকার। তুমি উপায় বাতলাও। সুযোগ সন্ধানী কলিম মিয়া হাতছাড়া করেনা সুযোগ। তুমি তো জানোই বন্ধু আমার পোলা শিক্ষিত। তারে যদি মাষ্টারের চাক্রি দাও ব্যবস্থা করুম। এরকম কথার মাঝেই হয়ে যায় স্কুল তৈরি করন প্রক্রিয়া। কলিমের ইনন্টার ফেল ছেলে পরিচিত অনার্স কমপ্লিট এক বড় ভায়ের নামে শিক্ষা বোর্ড থেকে নিয়ে আসে অনুমোদন বড় ভাই সে স্কুলের হেডমাষ্টার। আর কলিমের ছেলে অংকের শিক্ষক। যেহেতু এলাকার বিচার সালিশে রহিম প্রাধান্য পায় তাছাড়া রহিমের বড় ভাই গ্রামের মেম্বার রহিম বেশ পরিচিত এলাকায়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে রহিম ছাত্র ছাত্রী ও ব্যবস্থা করে ফেলেছে। স্থানীয় কিছু লোক রহিমের স্কুলে সন্তান না দিলেও ভাটাটিয়া দের প্রভাবিত করে স্কুল ফাপিয়ে দিলো। দেখতে দেখতেই কেটে গেলো অনেক দিন। রহিমের স্কুলে একুশে ফেব্রুয়ারি সাংস্কৃতিক পোগ্রাম হয়, ২৬ শে মার্চ হয় ৭ ঈ মার্চ হয়। ১৫ আগষ্ট হয়তো হত ১৬ ঈ ডিসেম্বর হয়। এলাকাকার স্থানিয় নাচ জানা মেয়েরা হিন্দি গানের তালে নাচে। একুশে ফেব্রুয়ারি তে প্রভাত ফেরি হয়। পায়ে আলতা ঠোটে লিপিষ্টিক দিয়ে বাচ্চারা খালি পায়ে এগিয়ে যায়। সঠিক ইতিহাস জানেনা কেউ।
গতকাল দু বন্ধু হাটতে হাটতে যাচ্ছিলাম। হটাৎ একটা স্কুল দেখলাম
এরা পিকনিকে যাবে। স্কুলের সামনে মাইকে বাজছে সানি সানি সহ হিন্দি এবং তামিল গান। সময় বিকাল ৪. স্কুলের বাচ্চারা যেমন মজা পাচ্ছে তেমনি মজা পাচ্ছে স্যার আর মেডামরাও। ভিডিও আপলোড করতে পারছিনা উপায় জানিনা তাই। ৪০ সেকেন্ডের ভিডিও তে ধারন করেছিলাম স্কুলের নাম আর মাইকের গান। হাতে ভালো ফোন না থাকায় খুব একটা ক্লিয়ার হয়নি। সেই স্কুলে আবার আমার এক বন্ধু মাষ্টার।
গল্প টা নিছক ই কাল্পনিক। হিন্দি গানের ব্যাপারটাই সত্যি। আমরা কি পারিনা এসব বন্ধ করতে? না পারলেও অন্তত সেই পরিবার গুলোকে নিরুৎসাহিত তো করতে পারি। বাচ্চাদের এসব স্কুলে না দিতে। সবাই যদি নিজ স্থান থেকে একটূ করে এগিয়ে আসি হয়তো কিছুটা রোধ করা যায়।
১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
হৃদয় এর স্পন্দন বলেছেন: কারা করবে বলুন। তাছাড়া আন্দোলন ই বা কেমন হবে তার রুপরেখা কে বলবে। ধরুন তারপরেও রাস্তায় নেমে গেলো কয়েকজন হয়তো শাহবাগেই দেখবেন পুলিশের লাঠি।
২| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪
বিজন রয় বলেছেন: লাঠির ভয় করলে চলবে কেন?
১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৩
হৃদয় এর স্পন্দন বলেছেন: কে তবে নামবে? নামার মত মানুষ কই বলুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২
বিজন রয় বলেছেন: এসব অচিরেই বন্ধ করার জন্য আন্দোলন করা দরকার।