![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমেই নৃশংস ভাবে খুন হওয়া অভিজিৎ এর হত্যার নিন্দা জ্ঞাপন করছি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্নিকটে এমন একটি হত্যাকান্ড কোনভাবেই কাম্য নয়।
আমরা পুর্বে ও এমন কিছু হত্যাকান্ড দেখেছি, গত বছর ব্লগার রাজীব কে ঠিক এভাবেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, স্যার হুমায়ুন আজাদ কে ঠিক একই মাসে জঘন্যভাবে কুপিয়ে যখম করা হয়েছিল।
যতদূর জানা যায় অভিজিৎ রায় একজন মুক্তমনা, এথিস্ট লেখক ছিলেন, বিজ্ঞান ভিত্তিক অনেক লেখা লিখে গেছেন।
এখন আসি মুক্তমনা বলতে কি বোঝায়? একজন মানুষ মুক্তমনা হতে হলেই কি ধর্মীয় সমালোচনা করতে হবে? ব
ধর্মটা হল মানুষের একটা বিশ্বাসের জায়গা। বিজ্ঞানের মাপকাঠি দিয়ে ধর্ম কে সঠিক প্রমান করা যেমন ভুল , তেমনি বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে ধর্মীয় ত্রুটি বিচ্যুতি খুজে বের করা ও ভুল।
ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব আজ থেকে পনেরশত বছর আগে , এখন আপনি যদি রাসুল (সাঃ) মিরাজের পটভুমি কে বিজ্ঞানের নিক্তিতে মাপতে যান তাহলে সেটা আপনার কাছে নিতান্তই অসাড় একটা কাহিনি বলে মনে হবে। সুতরাং মুক্তমনার আড়ালে আপনি ধর্মের উপর আঘাত হানবেন সেটা কোনভাবেই কাম্য নয়। বাংলাদেশের মানুষ খুব ধর্মীয় আবেগপ্রবন ধর্মীয় রীতিনীতি পালন না করলে ও ধর্মের প্রতি সামান্য কটুক্তি এরা সহ্য করতে পারে না।
আসলে এসব ধর্মীয় কুৎসা রটনা করা কে আপনি কখনোই মুক্তমনা বলতে পারেন না, আপনার আদর্শ গত চিন্তা ভাবনা আপনি লালন করেন সমস্যা নাই , কিন্তু অন্যের পবিত্র অনুভতিতে আঘাত হানা শুধু সমাজে বিভেদ তৈরী করে , ধর্মান্ধতা বাড়ায় , সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে …… সর্বোপরি ধর্মীয় গোড়ামী কে উসকে দেয়। মনে রাখতে হবে মুক্তমনের অধিকারী হওয়া যেমন নাস্তিকতা নয়, তেমনি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা ও ধর্মান্ধতা নয়।
©somewhere in net ltd.