নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সব শুনে ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার

আরজু আহমাদ

মাধ্যমিকের গণ্ডি কোনও রকমে পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছি। ছুটো গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ লিখতে ভালোবাসি। 'ইচ্ছেপুরণ ফাউন্‌ডেশন' এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছি বর্তমানে।উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছি। ছুটো গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ লিখতে ভালোবাসি। 'ইচ্ছেপুরণ ফাউন্‌ডেশন' এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছি বর্তমানে।

আরজু আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমতাসীনদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও করণীয়।

০৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

ইতিহাস ঐতিহ্যের সূতিকাগার ময়মনসিংহ বাংলাদেশের সবচেয়ে স্থিতিশীল জনপদগুলোর একটি। এ অঞ্চলের মানুষ বরাবর শান্তিপ্রিয়। এ অঞ্চলে হানাহানি খুনোখুনি দেশের অন্য যে কোনও জনপদের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু সম্প্রতি কিছু রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে চলছে অস্থিতিশীলতা। বলার অপেক্ষা রাখে না এটা ঘটে চলছে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেই। পত্রিকার পাতা খুললেই ময়মনসিংহের যে খবর চোখে পড়ে তা হচ্ছে আওয়ামিলিগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত কিংবা গুলিবিদ্ধ এতজন। শুধু ময়মনসিংহে নয় পুরো দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীনদের আধিপত্য বিস্তারের লড়াই নতুন নয়। বড় সব রাজনৈতিক দলের চরিত্র একইরকম। সম্প্রতি তা যেনও লাঘামহীন হয়ে গেছে। আধিপত্য প্রতিষ্ঠার এ লড়াই নেতা থেকে কর্মী- সব পর্যায়েই। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছে। বাড়ছে হানাহানি। এক পক্ষ চড়াও হচ্ছে আরেক পক্ষের ওপর। দলের ঐক্যে ফাটল ধরছে। সব মিলিয়ে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। এরকম চলতে থাকলে ক্ষমতাসীন দল হয়েও আওয়ামী লীগ যে নিয়ন্ত্রণহীন একটি সংগঠনে পরিণত হবে তা বলাটা মোটেও অত্যুক্তি হবে না। দলের নেতা-কর্মীদের আচরণে স্পষ্ট হচ্ছে স্বেচ্ছাচার। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য যা সুখকর নয়। মানুষের কাছে এতে দলের ইমেজ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি রাজনীতি সম্পর্কে এক ধরনের খারাপ ধারণা জন্ম নিচ্ছে জনমনে। দলের সহযোগী সংগঠনগুলোও যেনও অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেনও মূল দলের কোনো নিয়ন্ত্রণই এই সংগঠনগুলোর ওপর নেই। সহযোগী সংগঠনের পাশাপাশি মূল দলেও রয়েছে নানা উপদল। এসব উপদলের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে হানাহানি বাড়ছে। খুনোখুনির ঘটনাও ঘটছে। এ অবস্থায় দলীয় শৃঙ্খলা ফেরানো না গেলে এই হানাহানি বন্ধ করা যাবে না।
রাজনীতিতে পেশিশক্তির ব্যবহার যেদিন থেকে বেড়েছে, সেদিন থেকেই রাজনীতির গুণগত মানের পতন শুরু হয়েছে। আজকের দিনে পেশি ও পুঁজি রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হয়েছে। এ প্রবণতা দেশের জন্য ক্ষতিকর। মানুষ রাজনীতির ওপর থেকে আস্থা হারালে যে শূন্যতার সৃষ্টি হবে, তা দেশের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না। তাছাড়া অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে রাষ্ট্রযন্ত্র বিকল হয়ে পড়বে। মূলত দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পূর্ব শর্ত স্থিতিশীল রাজনীতি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি এহেন অবস্থায় থাকলে সরকার কখনোই ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে পারবে না। দেশের কল্যাণের জন্য ক্ষমতাসীন দলকে তাই মানসম্মত রাজনীতির পথে ফিরতে হবে। দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। দলের হাই কমান্ডকে এ দিকে নজর ফেরাতে হবে। সম্প্রতি ময়মনসিংহে যা ঘটছে তা নিয়ে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। যা সরকারের উপর জনসমর্থন ও সধারণ মানুষের প্রতি আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। আওয়ামীলীগের এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল তাদের নিজেদের কথা ভেবেই দমন করতে হবে কঠোর হাতে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় এ নীতির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। বিচারের আওতায় আনতে হবে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের। আর যা হবে সুশাসন নিশ্চিত করার প্রথম ও সব থেকে শক্তিশালী ধাপ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.