![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মূলতঃ কবিতা লিখি । মাঝে মাঝে গদ্য।ফরমায়েশি লেখা পারিনা বলে প্রতিদিন পাঠকের কাছে আসা সম্ভব হয় না। মনে হয় উচিৎও না।
গোলাপ কথন
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
ইদ্রিস নবীর উম্মতেরা খোদাকে নাকি গোলাপ দিতো;
অদৃশ্য থেকে আলো এসে কাঙ্খিতটা ছুঁয়ে নিতো।
গোলাপ! তোমার এমন কদর জানে কি কেউ এমন করে?
তাইতো তার নামটা আমি পাল্টে দিলাম গোলাপ বলে।
গোলাপ আমার অদৃশ্য হলো,মন ছুঁয়েছে খোদার বুঝি?
সে গোলাপের জন্য আমি দিবস-রজনী জেগে খুঁজি।
গোলাপ তুমি কোথায় আছো? আমার মাঝে,না অন্য কোথাও?
আমার মত এমন সুবাস! কেউ পেয়েছে তোমার কী কেউ?
তোমার জন্য মেঘকে আমি তুলো করেছি ঘুম বালিশের,
তোমার জন্য হাওয়ার মাঝে খাট বিছিয়েছি স্বপ্ন সাধের;
তোমার জন্য লেপ বানালাম বসন্তেরই পুবাল হাওয়ায়।
তুমি এখন মন ছুঁয়েছো, কার কাছেগো ?কোন গোপনে ?
তোমার জন্য থরো থরো, তোমার জন্য দ্বিধা কাতর;
তোমার জন্য মন উদাসী তোমার জন্য প্রগলভতা;
তোমার জন্য টলোমলো তোমায় নিয়ে স্বপ্ন বোনা
গোলাপ তুমি আমার আছো,গভীর গোপন বুকের ভেতর।
বাসনাগুলো
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
আমাদের সুপ্ত বাসনাগুলো রাহুলকে প্রকাশ্যে চুমুর মাঝে ছড়িয়ে পড়ে
আমাদের সুপ্ত বাসনাগুলো স্বস্তিকার নগ্ন অভিনয়ের খবর খুঁজতে খুঁজতে বেড়িয়ে পড়ে
আমাদের সুপ্ত বাসনাগুলো তসলিমা নাসরিনের রমনের গল্প বলায় নিশপিশ করে
হায় বাসনা ! তুমি কী জোড়া কমলা লেবু? কামনার ছোট বোন?
তোমাকে গোপন করে দিন দিন আমরা ভব্য হয়ে উঠি!
বাসনা! তোমাকে চুমুয় চুমুয় ভড়িয়ে দেবো যদি তুমি কথা দাও-
তোমার আমার মাঝে সূক্ষ্ম পার্থক্যটুকু তুমি একটু একটু তুলে দাও,
আমার আমি হয়ে প্রকাশিত হবো তোমাদের আমির কাছে;
আমার আমিটুকু তোমার তুমিটুকু থেকে ফারাক হয়ে যাক কতটুকু ।
ভুল জোনাকি
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
এখন আমি অন্ধকারে ভীষণ রকম আৎকেউঠি;
অন্ধকারে ভুল জোনাকির অংককষি।
অন্ধকারে হাতরে বেরাইস্মৃতির তুমি;
কে যে তুমি? কোন সে তুমি?ভুল জোনাকি!
এখন শুধু স্মৃতির খড়গ দাবরেবেড়ায়;
কিশোর-তরুণ-যৌবনেরই গল্পগাথায়;
কি আনন্দ! কি যে শোক ! কি যে ক্ষরণ!
এক এক স্মৃতি রোম্থনে স্মৃতির পীড়ণ।
ভুল জোনাকির পিছু নেয়ার জীবনশীলা-
লিখতে গেলে কাব্য গাথায় শোকের মাতম।
ভুল জোনাকি! ভুল জোনাকি! কেন এখন পিছু নেয়া?
ভুল জোনাকি! ভুল জোনাকি! মধ্যযামের সু্খ কেরো না।
জীবন নাকী অন্য রকম দৌড় পর্বে
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
হাহ হা হা জীবন নাকী অন্য রকম দৌড় পর্বে
হাহ… হা… হা…মানুষ এখন ভীষণ ব্যস্ত মুখ লুকাতে
ভীষণ রকম অভ্যস্ত অভিনয়ে
হাহ হা হা জীবন নাকী অন্য রকম দৌড় পর্বে
ভীষণ রকম ত্রস্ততা তার দিন যাপনে।
আসল চেহারা ভীষণ রকম কুৎসীত তার
আসল রূপ ভীষণ রকম না দেখানোর
হঠাৎ যদি অনভ্যস্ত বেরিয়ে পরে
তাইতো এখন ভীষণ ব্যস্ত সং সাজতে ।
তাইতো এখন ভীষণ রকম অভিনেতা
মায়ের সাথে অভিনয় বাবার এখন
বাবার সাথে অভিনয় ছেলের ভীষণ;
ছেলের সাথে অভিনয় মেয়ের ভীষণ
প্রেম পর্বের আসল গল্প খুব অচেনা
কিন্তু ভীষণ সাজ পোশষাকে ঝলোমলো।
হাহ হা হা আমরা এখন ভীষণ রকম ব্যস্ত শুধু মুখ ঢাকতে
মুখ ঢেকে যায় আসল রূপের ভেংচি দেখে
মুখ ঢেকে যায় আসল রূপের আসল রূপে
অভিনয়ের ভীষণ ফাপর- হাপিয়ে ওঠা
অভিনয়ে ভীষণ বিজ্ঞাপিত না মানুষের
মনুষগুলো ভীষণ এখন দূর-অচেনা
মনুষগুলো ভী-ষণ এখন নামানুষই।
দু'জনের পথ দু'দিকে গিয়েছে
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
স্বর্ণা একবার দিয়েছিল সব
আমি বার বার চেয়েছিলাম;
সময় দিয়েছে ফাঁকি
জীবন দিয়েছে তাড়া-
তোমার সাথে হলো না আমার
যাপিত জীবনে ফেরা।
দু'জনের পথ দু'দিকে গিয়েছে,
মাঝখানে সিঁথি রেখা;
কোনদিকে ভুল, ছিল বেশী-কম
সে আজ মিছিমিছি দেখা।
তুমি আর আমি ছিলাম দু'জনের
এটাই সত্য মূল।
আজি বসন্ত দিনে
স্বর্ণার যত মানে-
আমি আর তুমি স্মৃতি কাতরতা,
তুমি-আমি দু'জনে।
ঝিঁঝিঁপোকারা আমাকে চেনে
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
রাতের ঝিঁঝিঁপোকারা আমাকে চেনে
চেনে কাঠপোকা - অনড় আলামিরার অজস্র কালো কালো অক্ষর
চেনে শজনে গাছের ছায়া -দেবদারু গাছ-ইউকিলিপ্টাস শিশির
নিরালা রাস্তার হাওয়া সুনসান বিকেল কিংবা একান্ত উইন্ডোশপিং
কত না সময় গেছে আমাদের 'ভালোবাসি' কথাটি বলার প্রস্তুতি নিতে।
সময় গিয়েছে চলে ,তার সাথে গিয়েছে চলে দেবদারু গাছ
বৈস্য ভাবনায় গেছে রসাতলে আমাদের ভালবাসা বাসি।
আমি বেঁচে আছি -
কিছু অলোক পাখির মুখ দেখে দেখে, মুখ দেখে দেখে
ঝিঁঝিঁরা সঙ্গে থাকে আর কেউ থাকে আর।
০৭.০৩.২০১৪
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
খু-উ-ব বেশী মনে পড়ছে তোমাকে।
স্পর্শের জন্য এগিয়ে দেওয়া হাত-
কত হাজারবার উচ্চারিত হয়েছে মাইকেল এঞ্জেলোর কথা ।
দশটি আঙ্গুল,তার কম্পন- আমার বুকের মাঝে কি দারুণ ঢেউ তুলেছিল,
ছূয়ে যাওয়া একগুচ্ছ তারুণ্যের হাওয়া ফুলার রোড ধরে হাঁটতে হাঁটতে
নীলখেত-নিউমার্কেট-কত না উইন্ডো শপিং।
প্রতিটি উচ্চারিত শব্দগুলো হয়ে যাচ্ছিল কবিতা।
তুমি ছিলে লাবণ্যের প্রভা-কবিতার কল্পরূপ।
আরও কত কিছু।
কত মুহূর্ত-কত ক্ষণ- আজ শুধু রোমন্থন...
চৌপদীগুচ্ছ // মা ঈ ন উ দ্দি ন জা হে দ
১.
মৌ-লোভী চায় ফুলের সুবাস
মৌলবী খুঁজে শুধু ভুল;
মোল্লা হলে ভালোই হোতো
ভুল-চুক হতো খুন।
২.
মৌলভীর মন ভালো নেই
রফিক আজাদ ভনে যায়;
সাহেবদের দিন ভালো যায়
মজে সরকারি-দরকারীহালুয়ায়।
৩.
দুঃখগুলোনিঃসঙ্গ-নিরালা
গুমরে মরেভেতরে-ভেতরে;
ঔচিত্যের ছকে কেটে যায়সময়
যাপনে ক্ষরণ হয়, মরণেকামাল।
৪.
নিজেকে ভালোবেসেবেশ ছিলে ভালো
অহংকার তীব্র ছিলো,বুকে ছিলো আলো;
বৃক্ষকে ভালোবেসে রবিকরে ভুল
সমুদ্রের গোর্কী এখনহৃদয়ে ব্যাকুল।
৫.
আজ রাত স্মরণীয় হয়ে থাক শুধু তোমার জন্য
আজ রাত স্মরণীয় হয়ে আছে শুধু তোমার জন্য
যে তোমার নামটায় পাল্টে দিলো গোলাব গোলাব বলে
যে তোমার বঙ্গঘরণা পাল্টে দিলো হাফিজের গজল বোলে।
দোহা
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
আধখানি চাঁদ আকাশে আজ আধখানি চাঁদ ঘরে
আমি কোন চাঁদোয়ায় স্নান করিবো বল বধূয়ারে ।
রাতঃ ১১.৪৫ মিনিট
ছড়রা
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
রতণে রতণ চিনে,
শুয়োর চিনে কচু
শয়তান শয়তান চিনে,
চেলা চিনে মোচু।
ভন্ড ভন্ড চিনে-
গোঁফে দেয় তা'
আলকায়দার ফায়দা নিতে
তৎপর এখন আলফায়দার ছা'।
তা ধীন, ধীন তা
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
এসো ভাই এসো খাই
ভাগযোগ করে খাই
দেশ যাক যেখানে যাগ গা।
লুটেপুটে নেওয়া যাক
চেটেপুটে খাওয়া যাক
আমরাতো পাবো সব তাইনা ?
আমরাই না খেলে
খাওয়া দাওয়া হবে কী?
জমবে কী পাটির অফিসও?
চেটপুটে খেয়ে তাই
সার্থক হবে ভাই,
তোমাদের–আমাদের জন্ম;
এইতো আমাদের কর্ম।
এসো খাই
এসো পাই
তা ধীন,
ধীন তা।
পাছায় জন্মে গোস্ত
খাবো রোস্ট
পাবো পোস্ট
তা ধীন,
ধীন তা।
এসব না পেলে;
কী লাভ মিছিলে?
পরবে না হাততালি সভাতে।
জ্বলবে আগুন ভাই
বস্তি ও রাস্তায়,
পাবলিকের হোকগে যা তা।
তা ধীন,
ধীন তা
তা ধীন,
ধীন তা
আমরাতো খাই সরকারী
যা তা
চাই দরকারী
যা তা
তা ধীন,
ধীন তা…
তা …তা… তা…
এখন যারা মিছিলে যাবে
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
এখন যারা মিছিলে যাবে
মহাকালের নায়ক তারা;
এখন যারা মিছিলে যাবে
মুক্তি-সূর্য আনবে তারা ।
এখন যারা স্লোগান দেবে
কালের কন্ঠ হবে তারা;
এখন যারা স্লোগান দেবে
মহাকাল গাইবে সে গান।
মহাকালের সূর্য মিছিল
আজকে হবে লক্ষপ্রানে
চাঁদবেনেরা আসো সবায়
গান গায় আজ মুক্তির গান।
ভাংগবে ব্যারিকেট আসবে মিছিল
ভাংগ আজ তোরা ভাংগরে ভাংগ।
লক্ষ স্লোগানে জানিয়ে দিতে
গণতন্ত্রের বিজয় গান।
আজকে যারা মিছিলে যাবে
মহকালের নায়ক তারা
আজকে যারা ভাংগবে ব্যারিকেট
মহাকাল নেবে তাদেরই দাম ;
ভাংগ ব্যারিকেট ভাংগরে ভাংগ।
বামরা গায় পূজির গান!
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
কী চরম লুটেরার হাতে পড়েছে দেশ?
বামরা গায় পূজির গান!
প্রগতিশীলতা ব্রা প্রদর্শনীতে-
মননশীলতা রাজা কার তত্ত্বে।
চুলয় গেছে শ্রমজীবীর গান।
ধনতন্ত্রের তাক ধুম তাক,
আমরা এখন প্রাগ-মধ্যযুগে;
রাজা যায় রাজা আসে
গোলামরা গোলাম থাকে।
হলফ নামায় এতো সম্পদ!
হাইড হয়েছে কত গুণ আর!
সুশীলরা শীল থেকে গেল
তাদের বলা যায়- নরসুন্দর ।
পুজির আর কত পূজা হলে
সুশীলরা পূজা থামাবেন;
জনগণমন ওষ্ঠাগত
আর কতকাল চলবে এমন?
২৩।১২।২০১৩
এখন সময়
মাঈন উদ্দিন জাহেদ
সময় এখন চিহ্নিত হওয়ার
কে বিপ্লবী কে খলনায়ক?
বামরা আজ ঘাম ফেলছে
উজির নাজির-বুর্জুয়ার
পা চেটে আজ চুক্তি করছে
টিফা আর গ্যাস দেয়ার।;
কে বাম কে রাম
কে বিপ্লবী কে খলনায়ক?
সময় এখন চিহ্নিত হওয়ার
কে স্বদেশী কে গোরখোদক?
©somewhere in net ltd.