![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।
কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে গেলেন,
এই বই খানির নাম চতুরঙ্গ।
'জ্যাঠামসায়', 'শচিন', 'দামিনী' ও
শ্রী বিলাস ইহার চারি অংশ।
.............................. গল্পের এই চারি অংশ কিন্তু পড়াশুনা জানা শিক্ষিত মানুষ। ইহাদের চরিত্র মঞ্চে তুলে ধরার জন্য নিশ্চয়ই আমাদের চারটি শিক্ষিত আত্মা বিশিষ্ট প্রাণী অর্থাৎ মানুষ দরকার। ছেলে এবং মেয়ে মানুষ দুইটাই দরকার।
তাহলে হুমায়ূন আজাদ কেন বললেন যে,
হুমায়ূন আজাদ বলেছিলেন;
"এমন একটা সাংস্কৃতিক রোগ ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে যে অভিনেত্রী হতে না পারলে সব বৃথা। আমাদের অসুস্থ বুর্জোয়া শ্রেণীটি অর্থের মূল্যের থেকে বাহ্যিক ঝলসানোকেই বেশি দাম দেয়; মেধাবী ছাত্রীটির থেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে অভিনেত্রী ছাত্রীটিকে। আমি এর বিরুদ্ধে। অভিনেত্রী হওয়ার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দরকার পড়ে না, যে অভিনেত্রী হতে চায় তার সরাসরি অভিনেত্রী হওয়ার চেষ্টা করাই উচিত, এতে গরীব দেশের অর্থের অপচয়ও কমে। বিশ্ববিদ্যালয় অভিনেত্রী তৈরির স্থান নয, জ্ঞানী তৈরির স্থান। অভিনেত্রী হচ্ছে পুরুষতন্ত্রের ভোগ্যপন্য, আমি চাই না আমার ছাত্রী ভোগ্যপন্য হোক।”
অভিনয় কি জ্ঞানের প্রকাশ নয়? অনেক শিক্ষক ও তো তাঁর ছাত্রীকে ভোগের পণ্য বানাচ্ছেন আজকাল। তাহলে??
তাহলে ঘটনা হল, "দৃষ্টি ভঙ্গি"। উঁচু মানের লোক হলেই যে উঁচু দৃষ্টিভঙ্গি হবে তা না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা নয়, এই জন্য চাই পারিবারিক অনুশাসন। চাই উন্নত মন মানুসিকতা। চাই, একটা মুক্ত হৃদয়। আর কিছু না ।
©somewhere in net ltd.