![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।
রংপুরে আমার ২৪ ঘণ্টার মাঝে ১২ ঘণ্টা ঘুম, আর ৪/৫ ঘণ্টা বন্ধুদের সাথে আড্ডা বাদে বাকি সময়টা কাটে আম্মার সাথে গল্প আর রান্না করে।
হয়তো আম্মা কোন সবজি রান্না করছে, আমি একটু মরিচ পেয়াজ কেটে দিলাম। অথবা শাক বেছে দিলাম, রান্নার পানি এনে দিলাম, এমন। মেজর কিছু না। রান্না করার সময় আমি যেমন নানা বিষয়ে গল্প করি, আম্মাও করেন। আমার বেশীর ভাগ গল্প ঢাকা কেন্দ্রিক। আর আম্মার বেশীর ভাগ গল্প জমিজমা কেন্দ্রিক, আর আম বাগান কেন্দ্রিক।
আম্মার গল্প গুলা সেই মজার। হয়তো কোন কাঁঠাল গাছে বিশাল একটা কাঁঠাল হয়েছে, আম্মা আমাকে বলবে, জানিস বাবু, এই এত্ত বড় একটা কাঁঠাল হয়েছে। আম্মা যখন বলবে এত্ত বড় তখন তাঁর হাত থাকবে মাটি থেকে তিন-চার ফিট উপরে। আমি খালি হাসি আর বলি, গাছ ঠিক আছে তো? যত বড় দেখাইলেন, গাছ ভেঙ্গে যাবার কথা তো। আম্মা কখনোই আমার কৌতুক অথবা মস্করা ধরতে পারে না। আম্মা মাথা ঝুকিয়ে বলে, গাছ ঠিক আছে। সমস্যা নাই। আম্মার উত্তর শুনে আমি আর আমার ছোট বোন হেঁসে উঠি।
আম্মা একবার বলল, বাবু বাবু, এই এত্ত বড় একটা কুমড়া হইছে, দেখে যা। আম্মা এত্ত বড় মানে কয়েকটা ফুটবল একসাথে করলে যে সাইজ হয়, সেই সমান। আমি গেলাম, দেখি মোটামুটি একটা সাইজ হয়েছে। আমি বললাম, আম্মা জাঙ্গি তো ভেঙ্গে যাবে, একটা সাপোর্ট দেয়া দরকার। নাইলে কবে যে ছিঁড়ে পড়ে। আম্মা সিরিয়াস, হুম ঠিক কইছিস। বলেই একটা বাস লাগিয়ে দিলো।
এ বার রংপুরের একটা ঘটনা বলি। আমি আর আম্মা আমাদের নারিকেল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে দেখছি, কয়টা ডাব হয়েছে। আমি তখন আম্মাকে বললাম, জানেন আম্মা, কক্স বাজারে বিশাল বিশাল সাইজের নারিকেল পাওয়া যায়, একা একটা ডাব খাওয়া যায়না এমন অবস্থা। আম্মা আমার কথাটা মনে রেখে দিলো, কিন্তু আমি যে বললাম, সেটা ভুলে গেলো। আসার দিনে আম্মা বলল, বাবু ডাব পাড়, খাই। তুই ও খেয়ে যা। আমি গাছে উঠে একটা ডাব পাড়লাম। প্রায় চার গ্লাস পানি হল। আমি আন্দাজ ই করতে পারিনাই, এতো পানি হবে। আম্মা তখন বলল, বাবু জানিস, কাঞ্চন (আমার খালাত ভাই, সিলেটে গ্যাস ফিল্ডে আছে) একবার বলছিল, সিলেটে নাকি এই এত্ত বড় ডাব পাওয়া যায়। একা নাকি একটা ডাবের পানি খাওয়া যায়না, এমন অবস্থা। আমি ডাবের পানি খাই আর মুস্কি মুস্কি হাসি।
আম্মার কথা কিন্তু সব সময় এমন বাড়াবাড়ি টাইপ না। একবার আম্মা বলল, বাবু একটা আমের গাছে এতো আম ধরেছে, গাছটা মনে হয় ভেঙ্গেই যাবে রে। আমরা সবাই সেই হেসেছিলাম আম্মার কথা শুনে। কিছুদিন পরে গাছটার বিশাল একটা ডাল আমের ভার সইতে না পেরে ভেঙ্গে গিয়েছিলো।
আমি এই জন্য সবসময় আম্মার কথা সুনি আর হাসি। থাক, আম্মা যদি তাঁর নিজের মতো করে গল্প বলে যদি সুখ পায়, তাহলে ক্ষতির কি?
গল্পটা তো বড় কথা না, সুখ টাই বড় কথা।
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৩১
অন্তহীন পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১:১৭
বাংলার জামিনদার বলেছেন: দারুন গল্প।