নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খাদ্য প্রকৌশলী

ইমরান৯২

আমি একজন খাদ্য প্রকৌশলী । নিরাপদ খাদ্য হোক সকলের জন্য।

ইমরান৯২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত জীবন কাহিনী [ দ্বিতীয় পর্ব ]

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭

এস এস সি পাশ করে সব বন্ধু-বান্ধব আলাদা হয়ে গেলাম এক এক জন এক এক জায়গায় , এক এক কলেজে ভর্তি হই । আমি ঢাকায় এসে ভর্তি হব ঠিক করলাম কিন্তু কোন কলেজে ভর্তি হব তা নিজেরও অজানা ছিল । বিভিন্ন কলেজে ঘুড়েফিরে ভর্তি হই হই করে শেষে ঠিক করলাম পলিটেকনিক এ ভর্তি হব যেই ভাব সেই কাজ ভর্তি হয়ে গেলাম তখন ছিল ২০০৮ সাল। ভালই চলছিল খুব অল্প কিছুদিনেই সেখানে অনেক বন্ধুবান্ধব হয়ে যায় কিন্তু সে তালিকায়ও কোন মেয়ে বন্ধু ছিল না তারপরও খুব ভালই যাচ্ছিল দিনগুলো । দেখতে দেখতে ১ম সেমিষ্টার পরীক্ষা এসে গেছে , সেখানে এক নতুন অভিজ্ঞতা অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন! সারা জীবন শুধু সংক্ষিপ্ত আর রচনামুলক প্রশ্ন দেখছি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দেখি নাই। তারপর সেখানে আমার কিছু ভাল বন্ধু হল এবং আমাদের গ্রুপে চারটা মেয়ে যোগ হল সবমিলিয়ে আমরা নয়জনের একটা গ্রুপ। তারপরের দিনগুলো অনেক ভাল কাটতে লাগল আমারা সবাই যেন এক। একসাথে আসা-যাওয়া , আড্ডা , গল্প ঘুরাঘুড়ি অনেক মজায় কাটতে লাগল আমাদের দিন । এতবড় গ্রুপ আর ছিল না আমাদের ডিপার্টমেন্টে এতে অনেকে অনেক কথা বলত কিন্তু তাতে কি আমাদের এতে কিছুই যায় আসে না । ক্যাম্পাসে সবার কাছে আমরা ছিলাম পরিচিত মুখ। যেখানেই যাই যা করি সব একসাথে আর সময় পেলেই ঘুরতে যাওয়াতো ছিলই । এরমধ্যেই আমার সে নাইকার সাথে দেখা হয়ে যায় মানে দেখা আগে থেকেই ছিল কথা বলা শুরু হয় । তখন জানতাম না প্রেম কি ভালবাসা কি। বন্ধুরা সবাই বলত আমিও বলতাম ভালই লাগত । আর কথা বলাটা আসলে আমার দিক থেকে কিছুই ছিল না ও ফোন দিত আমি কথা বলতাম। বলতে বলতে একসময় ভাল লাগতে শুরু করল। প্রথম প্রথম মাঝে মাঝে কথা হত পরে প্রতিদিন কথা বলতে শুরু করি কিন্তু তখনও আমার মধ্যে ভালবাসা জিনিসটা কাজ করে নাই । কোন দিন ফোন না দিলে খারাপ লাগত ফোনের অপেক্ষায় থাকতাম কখন ফোন দিবে। এরমধ্যে অনেকবার আমাকে অনেক কিছু বুজাতে চেয়েছে কিন্তু আমি এর দ্বারে কাছে নাই । ঘটনাটা ঘটে একদিন শনিবার রাতে আমি আর আমার অনেক কাছের বন্ধু এবং খালাত ভাই এক আন্টির বাসায় রাতে থাকার জন্য যাই কারণটা ছিল তারা গ্রামের বাড়িতে গেছে ৩/৪ দিন থাকবে আমাদের রাতে তাদের বাসায় থাকতে হবে । তখন রেডিও আমার এ ‘হরর নাইট’ নামে একটা প্রোগ্রাম হত সেটা শুনছি ঠিক সেই মুহুর্তে ফোন আমিও খুশি ফোন পেয়ে কারণ বাসায় থাকলে রাতে ফোন কথা বলতে পারতাম না। কথা বলতে বলতে একসময় কিছু একটা নিয়ে সামান্য ঝগড়া করে ফোন রেখে দেই , ফোন রেখে ওয়াশরুম এ গেলাম এসে দেখি সে কথা বলছে আমারতো মাথা গরম কি বলছে না বলছে আল্লাহ্‌ জানে , জিজ্ঞেস করতেই বলে সমস্যা নাই আমি তোর জামেলা ঠিক করে দিছি কিন্তু কে জানে সেটাই ছিল জামেলার শুরু । মানে ও বলে দিছে আমিও তাকে পছন্দ করি ব্যাস এই কথা শুনেতো সে মহাখুশি । এরপর থেকে শুরু হয়ে গেল আমাদের কুতুকুতু প্রেম। প্রতিদিন কথা হত আমাদের অনেক মান অভিমান ঝগড়া সব মিলিয়ে ভালই । দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেল কিন্তু দুজনের কোন দেখা নাই । এর মধ্যে ও আমাকে এতটা ভালবেসে ফেলেছে আমি নিজেও বুজি নাই । সকাল হত তার ফোন , রাতে ঘুমাতে যেতাম তার সাথে কথা বলে আর সারাদিনতো ছিলই । এর মধ্যে আমার অনেক গুলা নাম হয়ে গেছে তার কাছে। সে নামেই ডাকত আমাকে তবে বেশি ডাকত ইমু বলে শুনতে ভালই লাগত। কিন্তু এখন আর কেউ ডাকে না । তখন মনে একটা গানই বাজতো ---- ‘কেন তুমি আমাকে যে এত ভালবাস এত ভালবাস ?’ ।
আসলে সেই মেয়েটা আমাকে এতটা ভালবাসত এতটা বিশ্বাস করত আমি তা কাখনও বুজি নাই ।
পাগলের মত ভালবাসত আমাকে এখনও ভালবাসে । ভালবাসার কথা গুলো আসলে বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না । হয়ত সবার মত হাতে হাত রেখে হাটা হয় নাই , চোখে চোখ রেখে গল্প করা হয় নাই ,একসাথে ঘুড়তে পারি নাই , একসাথে থাকা হয় নাই কিন্তু দুজনের মনটা ছিল এক শুতায় বাধা । ছোট ছোট শাসন , ছোট ছোট আবদার এগুলা আমার খুব ভাল লাগত । ইচ্ছে করে ওকে রাগাতাম , রেগে গেলে আমার ভালই লাগত যদিও পরে রাগটা আমারই ভাঙ্গাতে হত । জীবনের অনেকটা সময় কেটেছে তার সাথে কথা বলে , সুখ দুঃখ শেয়ার করে । এর মধ্য যে আমাদের ঝগড়া হয় নাই তা না অনেক ঝগড়া হত মান-অভিমান হত কিন্তু তার ভালবাসার কাছে এসব ছিল খুবই তুচ্ছ। জানি না কেউ কাউকে এতটা ভালবাসতে পারে কিনা । আমি মানুষ হিসেবে একটু অন্য রকমের ছিলাম নিজের কষ্টগুলো কারো সাথে শেয়ার করতে পারতাম না । কষ্ট পেতে পেতে নিজে নিঃশেষ হয়ে গেলেও কিছু বলতে পারতাম না। এজন্য ও অনেক রাগ করত আর বলত আমি কেন তাকে কিছু বলি না। আমার রাগটাও ছিল অনেক। কিছু কারনে আমি আর এর পরের কাহিনীগুলো শেয়ার করতে চাইছি না যদি অনেকেই জানেন । দেখতে দেখতে জীবন থেকে চারটা বছর কখন চলে গেছে বুজতেই পারি নাই । এর মধ্যে আমার ডিপ্লোমা শেষ করে একটা জব এ ডুকে গেছি । সব মিলিয়ে ভালই চলছিল আমাদের জীবন । এর মাঝে অনেক কথা বাধ দিতে হয়েছে যা আসলে বলা সম্বব না । আমার এই রিলেশন এর কথা আমার মা-বাবা আরো অনেকেই জানত । মা প্রথম প্রথম কথা বলতে না করতেন আর সে ও বলত আমাদের এটা কোন দিন সম্ভব না তোমার মা মেনে নিবে না। একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি সে মেয়েটি আমার এক আত্মীয় এবং পাশের বাড়ীর । সেহেতু খুব ভাল করেই চিনা জানা ছিল ।
এরমধ্যে মা আমকে অনেক করে বুজাতেন পরে অন্যরাও একই কথা বুজাতে লাগলেন। কিন্তু বুজালে কি হবে ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে। এরমধ্যে আমার মা হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে যায় অনেক চিকিৎসা পর সুস্থ হন।সুস্থ হওয়ার পর একদিন অশ্রুসিক্ত নয়নে জিজ্ঞেস করে আমি এখনো তার সাথে কথা বলি কিনা আমিতো অবাক কি বলছে মা ! আমিও সব সত্য কথা বলে দেই । তখন আমাকে মা অনেক বুজালেন যে আমি যাতে ওর সাথে কথা না বলি একপ্রকারের শপথ ও বলা যায় । এরপর আমি বিষয়টা নিয়ে অনেক চিন্তা করি ৪/৫ দিন পর ওকে বিষয়টা বলি শুনে অনেক কষ্ট পায় আর আমাকে বলে আমি আগেই জানতাম এটা হবে না এই সেই আমাকে অনেক কিছু বুজায় । কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে।আমার পৃথিবী এক নিমিষেই উলট পালট হয়ে গেল। কিছু ভাল লাগত না ঠিকমত ঘুমাতে পারতাম না,খেতে পারতাম না।একা থাকলেই কান্না আসত। খুব কষ্টে মায়ের কথা রাখতে গিয়ে ওর সাথে যোগাযোগ কমিয়ের দিতে থাকি । ও আসল ব্যাপারটা বুজতে পারে কিন্তু কিছু বলে না। একটা সময় সে আমাকে বুজাতো আর আজ আমি তাকে বুজাই ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ! কিচ্ছু ভাল্লাগে না! সত্যিই ভালো লাগে নারে ! সবকিছুই ঠিকঠাক, তবুও শূণ্যতার কি এক চাপা বিষাদ কাজ করে বেড়ায় আমার পৃথিবী, আমার অস্তিত্ব জুড়ে। এমন তো কখনো হওয়ার কথা ছিলো না । আস্তে আস্তে একটা সময় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল কিন্তু মন ? তাকে কি করে বেধে রাখবো ? সে তো সারাক্ষন তার কথাই ভাবে। এরপর সে ও মেনে নিল তেমন আর ফোন দিত না ।
আসলেই অনেক ভালবেসে ফেলেছিলাম কতটা ভালবাসতাম তা হয়ত বলে বুঝানো যাবে না। আর তার ভালবাসাটা সত্যি আমার থেকে অনেক বেশি ছিল । আজও বলি এবং বিশ্বাস করি তোমার মত করে কেউ আর কোন দিন ভালবাসবে না , কেউ বুজবে না । এই চার বছরে যে ভালবাসা পেয়েছি সারাজীবনেও আর পাবো কিনা জানি না ।

** মা তোমায় অনেক ভালবাসি মা । তোমার কথা রাখার জন্য আমি আমার ভালবাসা কে কবর দিয়ে দিছি । অনেক ভালবাসি তোমায় মা । তোমার জন্য সব কিছু করতে পারি আমি । আমার জীবনের সবথেকে প্রিয় জিনিসটা তোমার জন্য বিসর্জন দিলাম । তোমার সুখই আমার সুখ । **

বড় একা একা লাগত মনে কোন উচ্ছলতা নেই মনে হচ্ছে সব বরফ হয়ে জমে আছে। কে আছে যে আমার এই বিরক্তিকর মুডটাকে একটু চাঙ্গা করে দিতে পারে? আমার জন্য কে আসবে একটু খানি হাসি ফুটাতে? আমি কি এভাবেই পরে থাকব? নাকি আমি এমনই। আমার বৈচিত্রতা কি এখানেই সীমাবদ্ধ? মনে কোন রং নেই কেন ? কোন উচ্ছাস নেই কেন? কেমন জানি বিরক্তিকর একটা মানুষ হয়ে গেছি আমি।
এভাবে একাকীত্বের মধ্য ২ টা বছর পার হয়ে যায় কিন্তু তাকে মন থেকে ভুলতে পারি নাই এখনো তার জন্য মন কাঁদে। অনেক রাত কেঁদেছি অনেক রাত নির্ঘুম কেটেছে । তোর কথা মনে করে মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গেছে অনেক। মনে মনে ভাবি যদি আবার সব ঠিক হয়ে যেত কিন্তু ভাবলে কি হবে এটা তো শুধু স্বপ্ন।
এই দুই বছরে অনেক মেয়ের সাথে পরিচিত হয়েছি কিন্তু কাউকেই ভাল লাগাতে পারিনি। এর মধ্যে আমার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড এর বাবা মারা যায় এটা জানতে পেরে কিছুদিন পর তাকে ফোন দেই। নাম্বারটা অনেক আগে থেকেই আমার কাছে ছিল । সে একদিন দিয়েছিল কিন্তু কখনও ফোন দেয়া হয় নাই কথা বলাও হয় নাই । ফোন দিলাম কথা হল প্রথমে চিনতে পারল না পরিচয় দিলাম পরে চিনল । এভাবে মাঝে মাঝে কথা হত। আস্তে আস্তে সে আমার কাছের হতে লাগলো। আসলে আমি মানুষটাই এমন সবার সাথে খুব সাহজে মিশে যাই আর যাদের সাথেই মিশি তারাও আমাকে অনেক বিশ্বাস করে এবং ভালবাসে। যার সাথেই মিশি সবাই আমাকে অনেক পছন্দ করে। কথা বলতে বলতে আমরা ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম। প্রতিদিন কথা হত আমাদের সকালে দুপুরে রাতে সব সময় অনেক কথা শেয়ার করত আমিও করতাম । শেয়ার করতে করতে নিজের দুর্বল জিনিসগুলো অবলিলায় বলে দেয় আর সেটাই আমার ভুল ছিল । খুব আপন বন্ধু ভেবে জীবনের অনেক কিছু শেয়ার করি দুজন। এভাবে প্রায় পাচ-ছয় মাস পর দেখা করি । ভালই ছিল দিনগুলো । আমি আমার একাকীত্ব ভুলে যেতে থাকি এবং তাকে ভাল লেগে যায়, ভালবেসে ফেলি । এরমধ্যে অনেক মান-অভিমানতো ছিলই। কারনে-অকারনে আমকে ভুল বুজতো জানি না কেন হয়ত আমারই দোষ ছিল । আগেই বলছি আমি অনেক বোকা আমার কষ্টগুলো কাউকে বলতে পারি না , বোঝাতেও পারি না সব একাই বুকে পুষে রাখি। এই ভুল বুজাবুজির মধ্যে তার সাথেও সম্পর্কটা খারাপ হতে থাকে ।
আমার মনের কথাগুলো তাকে বুজাতেই পারি নাই কোনদিন । এতদিন যা শুনে আসছি সব মিথ্যা হতে লাগলো । শুনছি ----‘’এমন কাউকে ভালবাস যার হৃদয় ভেঙ্গেছে সে আর যাই হোক তোমার হৃদয় ভাঙ্গবে না ।কারন সে জানে হৃদয় ভাঙ্গার কষ্ট কি’’।
কিন্তু কি করার বাবস্থবতা যে কোন নিয়ম মানে । বাস্তবতা অনেক কঠিন ।

*** জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কিংবা চলার পথে হয়তোবা মনের অজান্তে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব, তা হতে পারে অপ্রত্যাশীত কোন ব্যক্তির সাথে ও সময়ের প্রয়োজনে । জীবনের বাস্তবতায়, কোন কারণে তাঁর আবার বিচ্ছেদও ঘটতে পারে অথবা ঘটে প্রয়োজনের তাগীদে অনেক দূরে চলে গেলেও, যেনো মুছে না ফেলি স্মৃতির পাতা থেকে কেউ কাউকে। থাক না কিছু স্মৃতি হয়ে !
বেশ ভালই তো ছিলাম ছন্নছাড়া জীবন টা নিয়ে ! আমি কখনই কাউকে বলতে চাইনি ভালবাসি, জানি তুইও....! বেশ ভালই তো লাগতো রহস্যময়ী আকাশটার নীল রং গুলো ! না না.. জানি নীল বেদনার রং, তারপরও ভালো লাগতো অদেখা কোনো এক ছায়ামানবী কে নিয়ে কল্পনা করতে. সত্যিই ভালো লাগতো !! যখনই তোর কারনে হ্যা শুধু তোর কারনে বুকের সব রক্ত দিয়ে আকাশটাকে লাল রং এর চাঁদর বানাব ভেবেছি, তখন কেন যেন সবকিছু অগোছালো লাগতে শুরু করলো , যেখানে ভাললাগা আছে , আছে কিছু বিষন্ন অভিমান শুধু তোর জন্য। কারন তুইই সেই ছায়ামানবী, যাকে আমি খুঁজেছি প্রতিনিয়ত, যাকে চাইলেই ধরা যাবে ছোঁয়া যাবে ! রাগ করলি পাগলী... তোকে এত সহজলভ্য ভেবেছি তাই ?? রাগ করতেই পারিস তুই ! তাতে কিচ্ছু যায় আসেনা আমার... কারন তুই যে কামনার উর্ধ্বে। তাই তোকে পাওয়ার জন্য খুব কঠিন কিছু বাঁধা টপকাতে চাই !! থাক কিছু চিনচিনে ব্যথার হাহাকার..থাক না, তোর কষ্ট হচ্ছে বুঝি?? আমারও হচ্ছে.. হ্যা সত্যি বলছি আমারও হচ্ছে। থাকি না কিছুদিন চাতক পাখির মত বৃষ্টির অপেক্ষায় । যে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো তোর আমার সব কষ্টগুলোকে ধুয়ে মুছে দিয়ে যাবে, যে বৃষ্টির ঝুম ঝুম শব্দের সাথে বইবে হালকা ঝিরিঝিরি বাতাস.... আমি সে বাতাসে তোর শাড়ির আচঁল উড়াবো, দেখবো তোর এলো চুলের নাচন, দেখবো কিছু অদেখা রঙের স্বপ্ন.. আর তোকে, কারন দুষ্টো প্রকৃতি যতই সৌন্দর্য দেখাক আমায়....

*** আসলেই কি আমার এটা ভালবাসা ছিল নাকি সেই উত্তর খুজে বেড়াই । তুমি কি একদিনের জন্যেও ভালোবাসো নাই আমাকে ?
খুব একা হয়ে গেছিরে আমি । আমার জীবনটা অসমাপ্ত হয়ে গেছে । জানি না আর কতকাল এই অসমাপ্ত জীবন নিয়ে বেচে থাকতে হবে। তবে যতদিন বেঁচে থাকি এই তোমাকে ভুলবো না , ভুলতে পারব না ।
আমি আসলে এইদুজনের কাকে ভালবাসি ? আমার কথা, আমার কষ্ট কাউকে বুজাতে পারিনি শুধু আমার বালিশ জানে এই মনে কত কষ্ট ।
তবুও চাই তোমরা সবাই ভাল থাকো কারো প্রতি আমার কোন অভিযোগ নাই ।
আমার জীবনটা অসমাপ্তই থাক ক্ষতি কি তাতে ?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪০

প্রামানিক বলেছেন: কাহিনী সুন্দর তবে বানানের দিকে একটু খেয়াল রাখবেন। সাধারণ বানান ভুল হলে পড়তে খারাপ লাগে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

ইমরান৯২ বলেছেন: মাফ করবেন প্লিজ । আসলে খেয়াল করি নাই ।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: জীবন অসমাপ্তই থাকে ভাইয়া । সমাপ্ত হওয়ার প্রয়োজনেই কী মৃত্য আসে ? আমার মনে হয়না ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

ইমরান৯২ বলেছেন: ঠিক বলছেন জীবন আসলেই অসমাপ্ত

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রথমে যার সাথে কথা হতো, তার সাথে কি উল্টো সম্পর্ক ছিলো (অান্টি জাতিয়)? অাপনার মা কেন মেনে নিতে পারেননি?

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

ইমরান৯২ বলেছেন: সেটা অনেক কারন ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.