![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে কোনো জনগোষ্ঠী টিকে থাকতে হলে তাকে নানান ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, যৌনসম্পর্ক স্থাপন, রাজনৈতিক কাজ, ধর্মীয় আচরণ, সাংস্কৃতিক শিক্ষাগত কার্যকলাপ ইত্যাদি করতে হয়। যত সময় যাচ্ছে ততই তাদের এই সব কর্মকাণ্ডে বিচিত্রতা বাড়ছে, নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। এই সব কর্মকাণ্ডের মধ্যে নিঃসন্দেহে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং যৌনসম্পর্ক স্থাপন প্রধান। একটু চিন্তা করলে দেখতে পারব অন্য কর্মকাণ্ড না করলেও কোনো জনগোষ্ঠী টিকে থাকতে পারে; কিন্তু এই কর্মকান্ড ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা কিছু মানুষ বেঁচে থাকতে পারলেও কোনো বৃহৎ সমাজ কোনো কালে কখনও টিকে থাকতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। “একজন শিশুও জানে কোনো জাতি এক বছর এমনি এক সপ্তাহ শ্রম না দিলে ধ্বংস হয়ে যাবে।” (মার্কস) অতীতে সরলতম সমাজের মানব জনগোষ্ঠীকে তার জৈবিক অস্তিত্ব বজায় রাখার স্বার্থে প্রকৃতি-নির্ভর উৎপাদন কাজে লিপ্ত হতে হয়েছে এবং বংশবৃদ্ধির স্বার্থে যৌনসম্পর্কে যেতে হয়েছে। উৎপাদনকর্মে শ্রম নিয়োগ করতে হাতিয়ার নির্মাণ করতে হয়েছে; তাদের চারপাশের প্রকৃতি জৈবিক বৈশিষ্ট্য, এবং হাতিয়ারের ক্ষমতা তাদেরকে বাধ্য করেছে একটি নির্দিষ্ট ধরনের উৎপাদন-সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং এইসব কিছু নির্ধারণ করেছে তাদের মধ্যকার যৌনসম্পর্কের ধরন। প্রত্যক্ষ জীবনের এই দ্বিবিধ উৎপাদন ও পুনরুৎপাদন-শেষ বিচারে, সামাজিক আইন-কানুন-ভাবদর্শ ইত্যাদি নির্মাণ করে। সামাজিক সত্তা নির্ধারন করে সামাজিক চেতনাকে, বিপরীতভাবে নয়। মানব অস্তিত্বের অর্থময় হওয়ার সহজাত তাগিদের কারণে এইসব সামাজিক অনুষঙ্গসমূহ সৃষ্টি হওয়ার পর নিজস্ব গতি প্রাপ্ত হয়, নিজেদের মধ্যে এবং উৎপাদন পদ্ধতির সাথে নানান ধরনের ঐক্য-দ্বন্দ্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু উৎপাদন শক্তির (প্রকৃতি+হাতিয়ার-মানুষের শ্রম) বিকাশ অন্য সকল বিষয়ের গতির কর্তৃত্ব করে। উৎপাদন শক্তির বিকাশের অন্তরায় তা উৎপাদন সম্পর্ক হোক বা ভাবাদর্শ হোক, এর কোনো কিছুই মানব সমাজ বেশী দিন সহ্য করতে পারে না। তার অস্তিত রক্ষার স্বার্থে তাকে এক সময় না এক সময় উৎপাদন শক্তির অনুকূল আইন-রাজনীতি-ভাবাদর্শ গড়ে তুলতে হবে, নতুবা ধ্বংস হয়ে যেতে হবে। “ সমাজের বৈষয়িক উৎপাদনশক্তি বিকাশের নির্দিষ্ট পর্যায়ে এলে তার সঙ্গে সংঘাত লাগে প্রচলিত উৎপাদন-সম্পর্কের অর্থাৎ আইনানুগ ভাষা ব্যবহার করলে বলতে হয়, সংঘাত লাগে এত দিন যে মালিকানা-সম্পর্কের মধ্য থেকে উৎপাদনশক্তি সক্রিয় ছিল তারই সঙ্গে। সে সম্পর্ক উৎপাদন শক্তির বিকাশের রূপ থেকে পরিবর্তিত হয়ে পরিণত হয় উৎপাদন শক্তির শৃঙ্খলে। তখন সামাজিক বিপ্লবের যুগ শুরু হয়” (মার্কস)। এই শৃঙ্খল ভাঙার ক্ষেত্রে বিভিন্ন উৎপাদক শ্রেণী তার শ্রেণীস্বার্থ অনুযায়ী ভূমিকা রাখে; কেউ বিপ্লবী ভূমিকা নেয়, কার ভুমিকা দোদুল্যমান, কেউ বা প্রতিক্রিয়াশীল। “অর্থনৈতিক জগতের এই পরিবর্তন তাড়াতাড়ি বা বিলম্বে সমাজের উপরিকাঠামোতে বিপুল পরিবর্তন আনে। এই ধরনের বিবর্তন পর্যবেক্ষণ কালে উৎপাদন পদ্ধতির পরিবর্তন (যা প্রকৃতি বিজ্ঞানের মতো সুচারুভাবে নির্দেশ করা যায়) থেকে ভাবগত কাঠামোর পরিবর্তন আলাদা করা প্রয়োজন-এই জগতের মধ্য দিয়ে মানুষ বস্তুজগতের সংঘাত সম্পর্কে সচেতন হয় এবং তাকে পরিবর্তন করতে এগিয়ে আসে।”
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
amar voice বলেছেন: হয়তো
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
বিদ্রোহীসৌরভ বলেছেন: কার্ল মার্ক্সের প্রতিটি মতবাদই মূল্যবান ও অনুকরণীয় । শুধুমাত্র স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে মতবাদ ছাড়া ।