![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সদস্যপদ প্রাপ্তিঃ
বাকশাল ব্যবস্থায় দলের সদস্য প্রাপ্তির ব্যাপারটিও দলের চেয়ারম্যানের ইচ্ছাধীন। কারণ কার্যনির্বাহী কমিটির হাতেই সদস্যপদ প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। (ষষ্ঠ ধারা ৫ (গ) উপধারা)। এই ব্যবস্থায় সরকারী ও আধাসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীবৃন্দ এবং পুলিশ মিলিটারি সদস্যরাও দলের সদস্য হতে পারবেন। কিন্তু কে সদস্য হতে পারবেন আরে কে পারবেন না তা সম্পূর্ণ রূপে চেয়ারম্যানের ইচ্ছাধীন (দশম ধারার ১০ উপধারা)। এইসব ক্ষেত্রে কোথায় প্রাথমিক ইউনিট করার অধিকার দেওয়া হবে এবং প্রাথমিক ইউনিটের সদস্য সংখ্যা কত হতে পারবে, তা ঠিক করবে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত কার্যনির্বাহী কমিটি।
অঙ্গ-সংগঠনঃ
বাকশাল ব্যবস্থার অধীনে কোন অদলীয় শ্রেণী ও পেশাভিত্তিক সংগঠন এবং গণসংঠন করার কোন অধিকার নেই। ট্রেড ইউনিয়ন মাত্রই তাকে বাকশালের অঙ্গদল শ্রমিক লীগের অন্তরর্ভুক্ত হতে হবে। এই ব্যবস্থায় জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় কৃষক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ, জাতীয় যুবলীগ এবং জাতীয় ছাত্রলীগ বাদে কোন শ্রমিক, কৃষক, মহিলা, যুব ও ছাত্র সংগঠন থাকতে পারবে না। আর উপরোক্ত সংগঠনগুলি হচ্ছে বাকশালেরই অঙ্গ সংগঠন (অষ্টাদশ ধারা)।
নির্বাচনঃ
বাকশাল ব্যবস্থায় দেশে বাকশাল চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত এক উপকমিটি দ্বারা মনোনীত না হলে কেউ মনোনীত হতে পাররে না (দশম ধারার ৭ উপধারা)। কিন্তু, এই দলের চেয়ারম্যান কিভাবে নির্বাচিত হবেন তার কোন উল্লেখ গোটা গঠনতন্ত্রে নেই।
গঠনতন্ত্রঃ
বাকশাল ব্যবস্থায় দলের চেয়ারম্যানই সর্বক্ষমতার অধিকারী। [২] দলের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি হচ্ছে-
কার্যনির্বাহী কমিটি
কেন্দ্রীয় কমিটি
কাউন্সিল
চেয়ারম্যানের পরেই সবচেয়ে ক্ষমতা সম্পন্ন হচ্ছে, একজন সাধারণ সম্পাদক সহ ১৫ জন সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি। চেয়ারম্যান সাধারণ সম্পাদক সহ ১৫ জনকেই মনোনীত করবেন। ( বাকশাল গঠনতন্ত্রের দশম ধারার ২ উপধারা)।কেন্দ্রীয় কমিটির এক তৃতীয়াংশ চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত হবেন ( দ্বাদশ ধারার ৪ (ঙ) উপধারা)। কোন সংগঠন, সংস্থা বা কমিটির কোন সদস্য পদ শুন্য হলে, তদস্থলে চেয়ারম্যান নতুন সদস্য নিয়োগ করবেন (চতুর্বিংশ ধারা ২ উপধারা)। দলীয় কাউন্সিলে চেয়ারম্যান ৫০ জন পর্যন্ত মনোনয়ন করতে পারবেন (দ্বাদশ ধারার ১ (চ) উপধারা)। কাউন্সিলে প্রতিনিধি প্রেরণের ব্যাপারে বিভিন্ন জেলা ও অঙ্গ সংগঠনের কোটা চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত কার্যনির্বাহী কমিটি ঠিক করবে (দ্বাদশ ধারার ১ (গ) উপধারা)। তাছাড়া বিভিন্ন সরকারী বা আধাসরকারি দফতর বা প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেশন, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা এবং সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীসমূহের প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যাপারে দলের চেয়ারম্যানের ইচ্ছাই প্রধান (দশম ধারার ১০ উপধারা ও ষোড়শ ধারার ২ (খ) উপধারা)। চেয়ারম্যান ইচ্ছা করলে গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা পরিবর্তন, সংশোধন ও পরিবর্ধন করতে পারবেন এবং একমাত্র চেয়ারম্যানই গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা দান করতে পারবেন (দ্বাবিংশতি ধারার ১ ও ২ উপধারা)।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
amar voice বলেছেন: ভাই সবকিছুরই দরকার আছে। সামনে নির্বাচন, সব দলের ইতিহাস আমাদের ভাল ভাবে জানা থাকা দরকার
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই সবকিছুরই দরকার আছে। সামনে নির্বাচন, সব দলের ইতিহাস আমাদের ভাল ভাবে জানা থাকা দরকার
শুধূ দরকার না - কঠিন ভাবে দরকার!!
আমাদের গোল্ডফিশ মেমোরি আবার সহজে সব ভুলে যায়!!!!!!!
তাই বারবার চোখের সামনে সত্যকে তুলে ধরতে হবে।
তায় দালালের আবার অভাব নেই দেশে..
সেই ১৭৫৭ থেকে শুরু
পুরো দেশবাসীর আবেগে বিরুদ্ধে এক দালালের জন্য স্বাধিনতা হারিয়ে..
আজও তাদের আত্মজের মৎকারে ভারী আকাশ.. বাতাস.....
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
amar voice বলেছেন: ভাই পারলে আপনি আমাকে ফেসবুকে অ্যাড কইরেন, এক সাথে আলোচনা করা যাবে
https://www.facebook.com/imran.rahman.980
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
জগ বলেছেন: মেজর ডালিমরা শেখ মুজিবরে কেন সপরিবারে মাইরা সাফ করছিল, সেইটা বাকশালের ইতিহাস আর বর্তমানের বাল সরকারের চেহারা দেখলে খুব ভালভাবে বুঝা যায়।
শেখমুজিবরে না মারতে পারলে দেশের অবস্থা কি হইত কখনো চিন্তা করছেন?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
amar voice বলেছেন: ভাই ইতিহাসের শব ব্যাপারই ধীরে ধীরে তুলে ধরব। যদি বেচে থাকি।
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাকশাল কোন দল কে নিষিদ্ধ করেনি।
সব দল মিলেই বাকশাল করেছে।
সবগুলো দল মিলে সর্বসম্মত ভাবে দলের নাম বাকশাল দিয়েছে।
বাকশাল একটা অন্তরবর্তিকালিন অস্থায়ী ব্যাবস্থা ছিল।
বাকশাল হওয়ার পর জাসদ ও বাম দলগুলো খুশি হয়েছিল, কারন সম্মিলিত বিপ্লবী সরকার তো তাদের প্রথম দাবিই ছিল।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই দেশের সব গুলো দল সর্বসম্মত ভাবে বাকশালে যোগ দেয়।
আওয়ামীলিগের কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত সবগুলো দলই কোন বড় বিতর্ক না করে সর্বসম্মত ভাবে বাকশালে মিশে যায়।
মাওলানা ভাষানীর ন্যাপ,
আ স ম রব, শাজাহান সিরাজের জাসদ,
কমুনিষ্ট পার্টি সহ, দেশের সব গুলো রাজনৈতিক দল সর্বসম্মত ভাবে বাকশালে যোগ দেয়।
তখন BNPর জন্মই হয়নি। জামাত পাকিস্তানে পলাতক ছিল।
একটি দলও এর বিরোধিতা করে নি।
এর বিরুদ্ধে একটা মিছিল বা একটি হরতালও হয়নি।
খুনি জিয়া এসেই গনতন্ত্র দেয়ে দেন নি।
দুই বছরেই সসস্ত্র বাহিনির ১৪০০ অফিসার সহ ২০০০ সৈনিক খতম করার পর কিছু দলছুট চোরচোট্টা-রাজাকার নিয়ে নিজেই একটি দল গঠন করেন তার পর নিজের গদি স্থায়ী করে নেন। তারপর সিমিত ভাবে ঘরয়া রাজনিতির পারমিশন দেয়া হয়।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
amar voice বলেছেন: বাকশাল হওয়ার পর জাসদ ও বাম দলগুলো খুশি হয়েছিল,
আপনি কি শিওর
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাকশাল হওয়ার পর জাসদ ও বাম দলগুলো খুশি হয়েছিল,
কারন মুজিবের প্রস্তাবে বিনা শর্তে বিনা তর্কে দেশের দুর্যোগপুর্ন অবস্থা থেকে রক্ষার জন্য বাকশালে যোগ দিয়েছিল।
বাকশাল হওয়ার পর জাসদ ও বাম দলগুলো খুশি হওয়ার কথা। কারন চার খলিফা ৭২ এ বংগবন্ধুর দেশে ফেরার পর পরই এধরনের সম্মিলিত বিপ্লবী সরকারের দাবি তুলে ধরে।
৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
ইসপাত কঠিন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী @ আপনার ১৪০০ অফিসারকে খতম করার তথ্য পরিহার করুন। এটি অতি অতি অতি অতি অতি অতি অতি অতি অতি অতি অতি অতি অতিরন্জ্ঞিত তথ্য।
৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪
টু-ইমদাদ বলেছেন: ইতিহাসের হচ্ছে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহণ করেনি . . .
৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
১৪০০ অফিসারকে খতম করার বিস্তারিত তথ্য ৯০ এর প্রথম দিকে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ছাপা হয়েছিল। এটা ৭৫ থেকে ৮২ পর্যন্ত সর্বমোট ফাসি ও নিহতের সংখা।
@ ইসপাত কঠিন ভাই।
৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
১৪০০ অফিসারকে খতম করার বিস্তারিত তথ্য ৯০ এর প্রথম দিকে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ছাপা হয়েছিল। এটা ৭৫ থেকে ৮২ পর্যন্ত সর্বমোট ফাসি ও নিহতের সংখা।
@ ইসপাত কঠিন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুথিগত দিয়া আর কি করবেন?
২০১৩তে ব্যবহারিক দেখার পরে