নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
সময়সেতুর স্মৃতি
২০২৪ সালের এক গ্রীষ্মের বিকেল। ইমরোজ মোটরসাইকেল নিয়ে পাহাড়পুরের পথে রওনা দিল। গন্তব্য ছিল সোমপুর মহাবিহার। এই পথ ধরে যেতে যেতে সে যেন এক অদ্ভুত অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। মনে হলো, বাতাসে যেন ইতিহাসের ধ্বনি মিশে আছে। হঠাৎ করেই তার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে এলো, সময় যেন ধীরে ধীরে পিছিয়ে যাচ্ছে…
অতীতের পথে…
৮৩০ খ্রিষ্টাব্দ। ব্রহ্মদেশের এক ছোট্ট গ্রাম। গ্রামের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র পঙ্কোজ। ছোটবেলা থেকেই বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ পড়তে ভালোবাসত সে। তার জ্ঞানস্পৃহা ছিল অদম্য। একদিন গুরু বললেন, "তোমার সত্যিকারের শিক্ষা অর্জনের জন্য সোমপুর মহাবিহারেই যেতে হবে, পঙ্কোজ।"
সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল সে। দুই বছর ধরে পায়ে হেঁটে, অজানা পথ পেরিয়ে, অবশেষে সোমপুর মহাবিহারে পৌঁছালো পঙ্কোজ। বিশাল সেই বিহার দেখে তার চোখ বিস্ময়ে ভরে গেল। বিহারের শিক্ষকেরা তাকে স্বাগত জানালেন
জ্ঞান সাধনার পথ
সোমপুর মহাবিহারে পঙ্কোজ দিন-রাত জ্ঞানচর্চা করত। ধর্মীয় আচার, সূত্রপাঠ, ধ্যান এবং দর্শন—সবকিছুতেই সে পারদর্শী হয়ে উঠছিল। কয়েক বছর পর, তার অসাধারণ স্মরণশক্তি ও মেধার জন্য সে নিজেই শিক্ষকের মর্যাদা পেল। তখন সে গভীর গবেষণায় মনোনিবেশ করল।
তার গবেষণাগুলো সে একটি পান্ডুলিপিতে লিখে রাখত। একদিন এক বিরল তত্ত্ব আবিষ্কার করল সে—কিভাবে মানুষের চেতনা এবং ধ্যান শক্তি সময়ের গতি অনুভব করতে পারে! সেই পান্ডুলিপি বিহারের পাঠাগারে সংরক্ষিত হলো।
ধ্বংসের কালরাত্রি
কিন্তু শান্তির সেই স্থান একদিন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো। এক ভয়ানক আক্রমণ। শত্রুদের হাতে জ্বলতে লাগল সোমপুর মহাবিহার। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করল শতাব্দীর জ্ঞানভাণ্ডারকে। পঙ্কোজ প্রাণে বেঁচে গেলেও তার সমস্ত গবেষণা ধ্বংস হয়ে গেল। বিহার পরিণত হলো শ্মশানে…
১৮৭৯: নতুন আলোর সন্ধান
অনেক শতাব্দী পর, ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম ধ্বংসপ্রাপ্ত সোমপুর মহাবিহারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেলেন। পুরাতাত্ত্বিকরা দেখতে পেলেন, এটা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহারগুলোর একটি!
২০২৪: পুনর্জন্মের আভাস
ইমরোজের চোখের সামনে মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু ঝাপসা হয়ে গেল। সে দেখল, এক তরুণ শিক্ষার্থী সোমপুর মহাবিহারে প্রবেশ করছে। যেন সময়ের সেতুতে সে দাঁড়িয়ে আছে।
সে বুঝতে পারল, পঙ্কোজের আত্মা এখনো এখানে বিদ্যমান। এই প্রাচীন মাটিতে ইতিহাসের স্পন্দন রয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ ইমরোজের অনুভূতি বদলে গেল। সময়ের প্রবাহে ফিরে এল সে। তার চারপাশের দৃশ্য আবার স্বাভাবিক হয়ে গেল।
সে দাঁড়িয়ে ছিল পাহাড়পুরের ধ্বংসাবশেষের সামনে।
মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল—সে এই গল্প সবার সামনে তুলে ধরবে, যাতে ইতিহাস কখনও হারিয়ে না যায়।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ধানের চারা গুলো সুন্দর দেখাচ্ছে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি কি ঐদিকেই থাকেন ?
লেখা অনেক পরিণত হয়েছে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি মূলত নানার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলাতেই থাকি। নওগাঁ আমার আব্বুর পোস্টিং।
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০৫
জনারণ্যে একজন বলেছেন: চমৎকার @ নাহল!
আপনার সাথে আমিও ঘুরে আসলাম। পোস্টের সাথে আরো কয়েকটা ছবি দিলে বেশ উপভোগ্য হতো।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১৮
শায়মা বলেছেন: বাহ!
খুব সুন্দর হয়েছে লেখা!