![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
কিছুদিন ধরে ফেসবুকে একটি মেয়ের ছবি আমার নিউজ ফিডে বারবার আসছিল। প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না, কিন্তু পরে দেখি—সে নিখোঁজ।
তার বাবা তাকে খুঁজে পেতে ব্যাকুল। যে কোনো বাবার জন্যই এটা স্বাভাবিক। নিখোঁজ সন্তানের জন্য একজন পিতা ছটফট করবেন, এটাই তো স্বাভাবিক মানবিক অনুভূতি।
একটু আগে কোন এক সংবাদ মাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে:
“মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পুলিশের সহায়তায় র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা নওগাঁ থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে সুবার সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, নিজ ইচ্ছায় সে এসেছে। যার সঙ্গে সে ঢাকা থেকে এসেছে সে একজন টিকটকার। তার নাম মমিন। সুবা নিজেও একজন টিকটকার। টিকটকের সূত্র ধরেই তারা একে অপরকে চেনে।
ঢাকা থেকে কাউকে না জানিয়ে নওগাঁয় কীভাবে এসেছে জানতে চাইলে সে বলে, ‘বাসে।’ কেন এসেছে জানতে চাইলে সে বলে, ‘বাসায় ভালো লাগছিল না তাই চইলা আসছি।'
মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা বলেন, এটি প্রেম-সম্পর্কিত ঘটনা। নওগাঁর এক ছেলের সঙ্গে ওই কিশোরী পালিয়েছে। নওগাঁয় ওই ছেলের বাড়িতেই ওই তাকে খুঁজে পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় মেয়েটির অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ হওয়া সেই শিশু সুবার সন্ধান মিলেছে
জানা যায়, ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য দুই মাস আগে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিল সুবা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বয়সে ছোট ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাসা থেকে বের হন সুবা। এরপর রাস্তা পার হতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুর থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা ইমরান রাজীব।
মোহাম্মদপুর এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে টোকিও স্কয়ারের সামনে সুবাকে শেষ দেখা যায়। সেখানে সুবার ফুফাতো ভাই ছাড়া আরেকজনও ছিল। তার সঙ্গে সুবাকে হাঁটতে দেখা গেছে।”
মেইন লেখালেখি:
বর্তমান যুগের পোলাপান খুবই দাযিত্বহীন। প্রশ্ন হলো, বর্তমান সময়ের তরুণ-তরুণীরা এত দায়িত্বহীন হলো কিভাবে? মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি মাকে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে চলে গেছে! এই সম্পর্ক কতদূর গড়িয়েছে, সেটাও ভাবার বিষয়। পরিবার, দায়িত্ববোধ, মূল্যবোধ—এসব যেন আজকের অনেক তরুণ-তরুণীর কাছে অর্থহীন হয়ে গেছে।
আমি এখনো আমার বাবা-মায়ের যত্ন নিই। হয়তো শতভাগ না পারি, কিন্তু অন্তত এক গ্লাস পানি খাওয়াতে তো পারি! অথচ এই মেয়েটি মায়ের অসুস্থতার সময় নিখোঁজ হলো। এর চেয়ে দুঃখজনক বিষয় আর কী হতে পারে?
আমাদের নবী (সা.) বলেছেন—
“মেয়েদের নিয়ে বাজে কথা বলো না, কারণ আমি নিজেও এক কন্যার পিতা।”
তাই আমি কোনো মেয়েকে নিয়ে কটূক্তি করতে চাই না। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের নৈতিক অবক্ষয় সত্যিই দুঃখজনক।
সমাজের পরিবর্তন ও মূল্যবোধের অবক্ষয়
১৮ বছর বয়সের আগে মেয়েদের বিয়ের বিপক্ষে অনেক যুক্তি শোনা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত কম বয়সে তারা যদি নিজেরাই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, তবে সেটা কতটা গ্রহণযোগ্য? বিয়ের মাধ্যমে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি মেনে সম্পর্ক গড়ার চেয়ে অবৈধ পথে সম্পর্ক গড়াই যেন এখন বেশি স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।
অবৈধ সম্পর্ক, পরকীয়া—এসবের কারণে সমাজ দূষিত হচ্ছে। ভালোবাসা মানে শুধু একরাতের সম্পর্ক নয়, বরং সেটা দায়িত্ব, আত্মত্যাগ, ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বিষয়। কিন্তু আজকের সমাজে ভালোবাসাকে যেন শুধু ভোগের বস্তু হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি
১৫ ফেব্রুয়ারি আসতে যাচ্ছে, আর তাই কনডমের বিজ্ঞাপন বাড়ছে। ২০১৮ সাল থেকে লক্ষ্য করছি, এই মাস এলেই এসব বিজ্ঞাপনের আধিক্য বেড়ে যায়। অর্থাৎ মানুষের মনস্তত্ত্ব এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে, যেখানে ভালোবাসা মানেই দেহজ সম্পর্ক। আমাদের নৈতিকতা কি এভাবেই ক্রমশ নিচে নেমে যাবে?
সুবার ঘটনা: আমাদের সমাজের বাস্তবতা
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা পুলিশের সহায়তায় নওগাঁ থেকে নিখোঁজ সুবাকে উদ্ধার করেছে। পরে তাকে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে নেওয়া হয়।
সুবা নিজেই বলেছে, সে নিজ ইচ্ছায় ঢাকায় বাসায় ভালো না লাগায় নওগাঁ চলে গেছে। তার সঙ্গী একজন টিকটকার, যার নাম মমিন। তার সঙ্গেই সে পালিয়ে গেছে।
মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা জানিয়েছেন, এটি প্রেম-সংক্রান্ত ঘটনা। সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় বোঝা যায়, আজকের তরুণ-তরুণীদের মূল্যবোধ কতটা নিচে নেমে গেছে। একজন মেয়ে তার মাকে হাসপাতালে রেখে শুধুমাত্র "ভালো লাগছিল না" বলে চলে যেতে পারে! এটাই কি আমাদের নতুন প্রজন্মের অবস্থা?
উপসংহার
আমাদের সমাজে নৈতিক শিক্ষার অভাব স্পষ্ট। শুধু আইন দিয়ে এসব বন্ধ করা যাবে না, দরকার পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা। দায়িত্বশীল বাবা-মা, সুস্থ পারিবারিক বন্ধন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা ছাড়া আমরা কখনোই এই অবক্ষয় থেকে বের হতে পারবো না। ভালোবাসা মানে দায়িত্বশীলতা, ত্যাগ ও সম্মান—এটা বোঝানোই এখন সবচেয়ে জরুরি।
আমি এখানে আমার দুঃচিন্তা প্রকাশ করলাম।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৫
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫১
শায়মা বলেছেন: বেচারা মেয়েটা!
১১ হোক আর ১৬ হোক সে এক অবুঝ বালিকা।
তার দায় শুধু তার একার না। সমাজ ও পরিবারেরও।
আমার কাছে মনে হচ্ছে মা অসুস্থ্য থাকায় কোনো গাইডেন্স ছিলো না এবং আরও একটি ব্যপার মায়ের অসুস্থ্যতায় মেয়েটা হাপিয়ে উঠেছিলো। কথাটা নির্মম সত্য! তাই এই রকম ভুল বিনোদনে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৬
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার কথাও ঠিক। মেয়েটি অবুঝ।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেশের ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থা এর জন্য দায়ী।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৬
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: এই ঘটনা তো এইবারই প্রথম ঘটছে না । এমন ঘটনা বহুযুগ থেকেই ঘটছে।
আমাদের এলাকাতে একবার জামাই তার শ্বশুড়ির সাথে পালিয়ে গিয়েছিল।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৬
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ছাগল।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি মনে করছিলাম, আপনি আমার কথার বিরুদ্ধচারণ করবেন। ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৫
শাহ আজিজ বলেছেন: উপযুক্ত বয়ান ।