![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো; ইংরেজি: Indian Space Research Organisation বা ISRO) ভারতের প্রধান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এই সংস্থাটি বিশ্বের অগ্রণী মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলির অন্যতম। অতীতের কয়েকটি সুসংহত প্রচেষ্টার ফলস্রুতিস্বরূপ ১৯৬৯ সালে ইসরো বর্তমান আকারে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সর্বশেষ সফল উৎক্ষেপণ পর্বটি সম্পূর্ণ হয় দিন কয়েক আগে অন্ধ্রের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের উৎক্ষেপণস্হল থেকে। সফলভাবে উড়ে যায় ইসরোর বিজ্ঞানীদের তৈরি উপগ্রহবাহী ভারতীয় রকেট পি এস এল ভি-সি ২৩৷ সঙ্গে নিয়ে ৫ টি উপগ্রহ । এটি ছিল পি এস এল ভি নামক সম্পূর্ণ দেশীও প্রযুক্তি সম্পূর্ণ রকেটের সফল উৎক্ষেপণ । এর আগে পি এস এল ভি –সি ২৫ ভারতের মঙ্গলযান কে তার নিজস্ব কক্ষপথে স্থাপন করে । যে ৫টি উপগ্রহ স্হাপনের জন্য নিয়ে উড়ল ভারতে ইসরোর বিজ্ঞানীদের তৈরি রকেট পি এস এল ভি-সি ২৩ সেগুলি হল ফ্রান্স, জার্মানি, সিঙ্গাপুরের একটি করে উপগ্রহ, কানাডার উপগ্রহ দুটি৷
ফ্রান্সের উপগ্রহটির নাম স্পট ৭৷ ওজন ৭১৪ কেজি৷ বিশ্ব ভূপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণের জন্য এই উপগ্রহ৷
এর আগে ইসরোর রকেটেই পাঠানো হয়েছিল ফ্রান্সের উপগ্রহ স্পট ৬, স্পট ৬ একটি গোলার্ধ পর্যবেক্ষণ করছে৷ আজ পাঠানো স্পট ৭ পর্যবেক্ষণ করবে অপর গোলার্ধ৷ ইউরোপের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস সংস্হা গড়েছে ফ্রান্সের এই স্পট ৭ উপগ্রহ৷
জার্মানির আইস্যাট উপগ্রহটির ওজন মাত্র ১৪ কেজি৷ এই ন্যানো-উপগ্রহটি পৃথিবীর দিকে নজর রেখে সমুদ্র জাহাজ ও সমস্ত জলযানের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণের বার্তা দেবে৷ জাহাজে জাহাজে পাঠাবে সঙ্কেত৷
কানাডার দুটি উপগ্রহ এন এল এস ৭.১ এবং এন এল এস ৭.২ তৈরি করে দিয়েছেন টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ চর্চা বিভাগের বিজ্ঞানীরা৷ দুটিরই ওজন ১৫ কেজি করে৷ এই দুটি উপগ্রহ মহাকাশে মহাকাশযানগুলির গতিপথ সূক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে৷
সিঙ্গাপুরের উপগ্রহ ভেল‘-১ তৈরি করেছেন সিঙ্গাপুরের নানয়াং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা৷ মাত্র ৭ কেজি ওজনের এই উপগ্রহ যে কোনও নকশা বুঝতে সক্ষম, ছবি বুঝে নিতে পারার সেন্সর রয়েছে এতে৷ এই উপগ্রহটি মহাকাশের উপগ্রহগুলির দূরত্ব নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ, সেই সঙ্গে উচ্চতা নির্ণয়ে সক্ষম৷একেবারে রুটিনমাফিক মহাকাশে একের পর এক বিদেশি উপগ্রহগুলি স্হাপন করে দেবে ভারতের রকেট পি এস এল ভি-সি ২৩৷
এবারই প্রথম বিদেশি উপগ্রহ ইসরো মহাকাশে স্হাপন করছে, তা নয়৷ এর আগে ১৯ দেশের ৩৫টি উপগ্রহ ইসরো সম্পূর্ণভাবে ভারতে তৈরি রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে স্হাপন করে দিয়েছে৷ দেশের জন্য আয় করেছে প্রভূত বিদেশি মুদ্রা৷ এ ধরনের বাণিজ্যিক মহাকাশ অভিযানের জন্য ইসরো কয়েক বছর আগেই খুলেছে তার বাণিজ্যিক শাখা অন্তরীক্ষ (ANTRIX)৷ এ পর্যম্ত ইসরো যে ১৯টি দেশের ৩৫টি উপগ্রহ ঊধর্বাকাশে স্হাপন করেছে সেই দেশগুলি হল: আলজিরিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইজরায়েল, ইতালি, জাপান, কোরিয়া, লুক্সেমবুর্গ, সুইৎজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, তুরস্ক ও ব্রিটেন৷
সরকারী সূত্রে আন্তর্জাতিক মহাকাশ বাজারের আয়তন ৩০,৪০০কোটি ডলারের। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (পি এস এল ভি) তৈরিতে এখন ইসরো নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। বিশ্বের অনেক দেশই এখন ভারতের ঐ যান ভাড়া করে মহাকাশ গবেষণা চালাতে উৎসাহী। কারণ অভিযানের খরচ পড়বে অনেক গুণ কম। ভারতের পক্ষে ১৩টি উপগ্রহ একসঙ্গে পাঠানো সম্ভব। অনেকটা মালগাড়ির মতো। ইঞ্জিন ভারতের। আর জুড়ে দিন ভারী যে কোন ওয়াগন। পরোয়া নেই। নির্দিষ্ট সময়ে তা পৌঁছে যাবে আপনার চাহিদার গন্তব্যে। এই জায়গায় পৌঁছে গেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা।
(PSLV-C8)
ভারতে মহাকাশ উৎক্ষেপণ প্রযুক্তি সবচেয়ে সস্তা। যে বিপুল অর্থ ব্যয় করে মার্কিন গবেষণা কেন্দ্র নাসা মঙ্গলগ্রহে যান পাঠায়, ভারতের তা করতে ছ’ভাগের এক ভাগও খরচ হয়নি। নাসার লেগেছিল ৪৫.৫ কোটি ডলার। আর ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো মঙ্গলযান পাঠিয়েছে মাত্র ৭.৩ কোটি ডলারে। এই তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি মোদী টেনে আনেন হলিউডির ছবির প্রসঙ্গও। গত বছর ১০ কোটি ডলার খরচ করে তৈরি হয়েছিল জর্জ ক্লুনি ও সান্দ্রা বুলক অভিনীত ব্রিটিশ-মার্কিন থ্রি-ডি থ্রিলার ‘গ্র্যাভিটি’। মোদী বলেন, “শুনেছি, আমাদের মঙ্গল অভিযানের চেয়েও নাকি হলিউডি ছবি ‘গ্র্যাভিটি’ তৈরিতে বেশি খরচ হয়েছিল। এটা একটা বিশাল সাফল্য।” সন্দেহ নেই, এই তুলনা বিশ্বের প্রতি একটা বার্তা। উন্নত দেশগুলি যাতে আরও বেশি ভাবে ভারতকেই গন্তব্য করে তোলে উপগ্রহ পাঠানোর ক্ষেত্রে।এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল এবার ২৩০ টন ওজনের এই রকেট তৈরির খরচ হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
আরও জানতে ভিসিট করুন ইসরো এবং অন্তরীক্ষ এর ওয়েবসাইটএ
ইসরো
অন্তরীক্ষ
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪
আব্দুল মোবিন বলেছেন: INDIA GO AHEAD