নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখুন চাচা, আমার বাবা অনেক পয়সাওয়ালা মানুষ ছিলেন না। অনেক আবদারই অনেক সময় পুরণ করতে পারেন নি। তথাকথিত নামি-দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও লেখা-পড়া করাতে পারেননি হয়তো। সামর্থ্যে যতোটুকু ছিলো চেষ্টা করেছেন। আমি হয়তো অ্যামেরিকান কোনো ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হয়নি, অন্তত বাবা-মা’র চক্ষু-শীতলকারী সন্তান হতে পেরেছি, আলহামদু লিল্লাহ। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন আজীবন ওনাদের চক্ষু শীতলকারী হয়ে থাকতে পারি।
চাচা অপলক তাকিয়ে আছেন। বললাম, চাচা, আপনার দোয়াও নিশ্চয়ই কবুল হয়েছে। আপনি মনে করুন তো, আপনার সেই তরুণ বয়সের কথা। যখন আপনার সন্তানগুলো জন্মগ্রহণ করেছিলো। আপনি তাদের লেখা-পড়া, ভবিষ্যত নিয়ে কতো চিন্তিতো ছিলেন! কতো উদ্বিগ্ন! দোয়া কি করতেন না তখন? অবশ্যই করতেন। মনে করুন তো কী দোয়া করতেন?
চাচা বললেন, হ্যা বাবা! দোয়া করতাম তারা যেন বড় হয়, শিক্ষিত হয়। সমাজে আমার মুখ উজ্জ্বল করে। সম্মানজনক জীবন যাপন করতে পারে...।
বললাম, চাচা দেখেন, আপনার দোয়া কিন্তু কবুল হয়েছে! আপনি যা চেয়েছিলেন তা কিন্তু হয়েছে। তারা বড় শিক্ষিত হয়েছে, সমাজে আপনার মুখও উজ্জ্বল করেছে। ভালো করে মনে করে দেখেন চাচা, আপনার সন্তানদেরকে দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে কিন্তু আপনি গুরুত্ব দেননি। তাদেরকে মহান স্রষ্টা আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়াকে গুরুত্ব দেননি। কখনো হাত তুলে এই বলে কান্নাকাটি করেননি যে, হে আল্লাহ! তুমি আমার সন্তানদেরকে ভালো দ্বীনদার বানাও, ভালো মুসলিম বানাও, ঈমানদার বানাও। কখনো বলেননি, রব্বানা, হাব লানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইউন, ওয়াজ ‘আলনা লিল মুত্তাকীনা ইমামা।
চাচা দেখুন, আমরা যারা পিতা-মাতা, আমরা কিন্তু দাতা নই, আয়োজক মাত্র। আমরা আমাদের সন্তানদেরকে খাদ্য-খাবার, পোষাক আশাক যা কিছুই দেই না কেন, আমরা কিন্তু নিছক ব্যবস্থাপক। মুল দাতা হলেন মহান দয়ালু ও রিজিকদাতা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা। আমরা যদি মুল মালিকের প্রতি তাদেরকে কৃতজ্ঞ হতে না শিখাই, তাহলে কিভাবে আশা করতে পারি যে, তারা আমাদের প্রতি শেষ পর্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকবে?
চাচা এই যে বৃদ্ধ বাবা-মা’র যত্ন না নেওয়া এটা কি মানবতার জন্য একটি বিপর্যয় নয়?
চাচা বললেন, এটা শুধু বিপর্যয় নয়, মহা বিপর্যয়। এটা মানুষত্যের মর্যাদা থেকে মানুষের পশুর পর্যায়ে নেমে যাওয়ার নামান্তর।
এই অসভ্যতা কোত্থেকে আমাদের মুসলিম সমাজে এসেছে জানেন চাচা? এসেছে বস্তুবাদীতা থেকে, পশ্চিমা অসভ্যতা থেকে। মুসলিম দেশে কখনো কোনো মানুষ পালার খোয়াড় ছিলো না। আজ আমরা তাদেরকে আমাদের চরম পরম আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছি। আমাদের দেশেও এখন এই খোয়াড় ব্যবস্থা এসেছে। গুড়োদের খোয়াড়, বুড়োদের খোয়াড়। বাংলায় বললে কেমন যেন অসভ্যতা নগ্ন হয়ে ধরা পড়ে যায়। তাই আদুরে নামে এরা ইংলিশে বলে ‘ডে কেয়ার’ বা ‘ওল্ড হোম’।. শিশুকালে আপনি সন্তানকে ডে কেয়ারে রাখবেন, বুড়ো হলে তারা আপনাদেরকে ওল্ড হোমে রেখে আসবে।
দ্বীনদার না হওয়া সত্ত্বেও অনেকে হয়তো মানবিক বোধ থেকে বাবা মা’র খোজ-খবর রাখতে পারেন, দেখা-শোনা করতে পারেন। কিন্তু একজন দ্বীনদার সন্তানের কাছ থেকে বাবা সত্যি কেমন আদর-যত্ন ও সম্মান শ্রদ্ধা পেতে পারেন তা কেবল সেই বাবা-মা’রাই জানেন, যাদের দ্বীনদার সন্তান আছে।
ঢাকায় আমি আমার স্টপেজের কাছে এসে চাচার কাছ থেকে বিদায় নিলাম। বললাম, চাচা আপনি মুরব্বী মানুষ, অনেক কথা বলেছি, ভুলত্রুটি মাফ করে দিয়েন। চাচার চোখ আবার ছলছল করে উঠলো। ক্ষণিকের পরিচয়ে মনে হয় অনেক আপন হয়ে পড়েছিলাম। বাস থেকে নেমেও দেখলাম, চাচা তাকিয়ে আছেন জানালা দিয়ে। আবারো হাত নাড়লাম। দোয়া করলাম, হে আল্লাহ! তুমি ভালো রেখো চাচাকে।
সুত্রঃ Click This Link
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
ইনফা_অল বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
আহমেদ রশীদ বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
ইনফা_অল বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
জনাব মাহাবুব বলেছেন: আপনার সন্তানদেরকে দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে কিন্তু আপনি গুরুত্ব দেননি। তাদেরকে মহান স্রষ্টা আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়াকে গুরুত্ব দেননি। কখনো হাত তুলে এই বলে কান্নাকাটি করেননি যে, হে আল্লাহ! তুমি আমার সন্তানদেরকে ভালো দ্বীনদার বানাও, ভালো মুসলিম বানাও, ঈমানদার বানাও। কখনো বলেননি, রব্বানা, হাব লানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইউন, ওয়াজ ‘আলনা লিল মুত্তাকীনা ইমামা
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
ইনফা_অল বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
সোহানী বলেছেন: সহমত শুধুমাত্র একটা ব্যাপার ছাড়া.... "শিশুকালে আপনি সন্তানকে ডে কেয়ারে রাখবেন, বুড়ো হলে তারা আপনাদেরকে ওল্ড হোমে রেখে আসবে"...
ওল্ড হোমে যারা বাবা মাকে রেখে আসে আমি তাদের ঘৃনা করি ওরা সন্তান নামের কলঙ্ক। কিন্তু ডে কেয়ার হলো বাস্তবতা। আমি সন্তানকে ডে কেয়ারে না রাখলে কাজের মেয়ের কাছে রাখতাম বা চাকরী ছেড়ে দিতাম... সেটা কি সমাধান হতে পারে???????
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১
ইনফা_অল বলেছেন: আমি সন্তানকে ডে কেয়ারে না রাখলে কাজের মেয়ের কাছে রাখতাম বা চাকরী ছেড়ে দিতাম... সেটা কি সমাধান হতে পারে.
সমধান আপনার কথায় আছে...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
বেকার সব ০০৭ বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
ইনফা_অল বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
মদন বলেছেন: সন্তানকে ডে-কেয়ারে রাখলে, সেই সন্তান বুড়া বাপ-মারে ওল্ড হোমে রাখলে দোষের কিছু নাই।
দুইজনের অজুহাত একই, ব্যস্ততা।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
ইনফা_অল বলেছেন: সহজ সমীকরণ
৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
মুদ্দাকির বলেছেন: "রব্বানা, হাব লানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইউন, ওয়াজ ‘আলনা লিল মুত্তাকীনা ইমামা।"
এই টুকু একটু বোল্ড করে দেন।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
ইনফা_অল বলেছেন: বোল্ড করে দিলাম. ধন্যবাদ।
৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
দি সুফি বলেছেন: অসাধারন। ++++++++++
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
ইনফা_অল বলেছেন: ধন্যবাদ. প্রশংসা পাবেন মূল লেখক, আমিতো মাত্র কপি পেস্ট করেছি
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১১
মদন বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++