নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইনফা_অল

ইনফা_অল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক তওবা ও শরীয়তী তওবাঃ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না- এমন মিথ্যাচার করেই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। এখন উপজেলা নির্বাচনে এসেছেন। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সবকিছুতেই আসবেন, সবকিছুই মানবেন। তাকে বলব, এবার বাংলাদেশের মানুষের কাছে নাকে খত দিয়ে তওবা করুন …।



সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম, নির্যাতনের পাপ মোচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তওবা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমদ।



এবার আসি ইসলামী শরীয়তে তওবার শর্ত কি:



ইসলামী শরীয়ত মতে, বান্দা তওবা করলে আল্লাহ তা গ্রহন করেন। অবশ্য সেটা হতে হবে আন্তরিক। আলেমগণ এবিষয়ে একমত যে যদি কোনো ব্যাক্তি তার কৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত না হয় বা তা পরিত্যাগের ইচ্ছা না করে, তহলে তার মৌখিক তওবা উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়। মৌখিক তওবা প্রকৃত তওবা নয়। আন্তরিক তওবার কিছু শর্ত রয়েছে। হযরত আলী (রা.) কে তওবা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন তওবা হল ছয়টি বিষয়ের সমষ্টি:



1.নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়া

2.অনাদায়ী ফরয/ওয়াজিব ইবাদতসমূহ আদায় করা

3.অন্যের সম্পত্তি/অধিকার নষ্ট করে থাকলে তা ফেরত দেয়া

4.শারীরিক বা মৌখিকভাবে কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে হ্মমা চওয়া

5.ভবিষ্যতে পাপকাজ পরিত্যাগের দৃঢ় সংকলপ করা

6.আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সমার্পন করা



আল্লাহ বলেছেনঃ

হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ হ্মমা করেন; তিনি হ্মমাশীল, পরম দয়ালু —সূরা যুমার (৩৯), আয়াত ৫৩।



ইসলামী শরীয়তে তওবা একটি পারস্পরিক বিষয়: একজন ব্যক্তিকে উচিত তার ভুল বুঝেত পারা ও তা পরিত্যাগ করা যার উপর আল্লাহ হ্মমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইসলাম প্রত্যাশা করে মানুষ যেন তার ভুলসমুহ বুঝতে পারে এবং আল্লাহর নিকট হ্মমা চায়। ইসলামে হ্মমা আপনাআপনা হয়না বরং তা অর্জনের বিষয়। নিজের পাপের প্রতি উদাসীন থাকাকে হ্মতিকর মনে করা হয়। মহানবী (স.) বলেন: "একজন ঈমানদার ব্যক্তির নিকট তার পাপ হল একটি পাহাড়ের মত যার নীচে সে বসে রয়েছে এবং সে আশংকা করে যে সেটি তার উপর পতিত হতে পারে। অন্যদিকে একজন দুষ্টু ব্যক্তি তার পাপকে উড়ন্ত মাছির মত মনে করে এবং সেটা অবজ্ঞা করে" - সহীহ বুখারী ৮:৭৫:৩২০। হাদীসে মহানবী (স.) মনুষকে আল্লাহর নিকট হ্মমা চওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।



ইসলামী শরীয়তে তওবা দ্বারা সেসকল গোনাহ মাফ হয় যা ব্যক্তির হক সম্পর্কিত নয়। ব্যক্তির হক সম্পর্কিত গোনাহ যেমন কারো উপর যুলুম, অর্থ আত্মসাত, মিথ্যা অপবাদ দেয়া ইত্যাদি হ্মেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট হ্মমা চওয়া জরুরী। মৃত্যু-কষ্ট শুরু হওয়া এবং আযাবের ফেরেশতা দর্শনের পর তওবা কবুল হয়না

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.