![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।
অনেক আগে ফজা'র একটা কৌতুক শুনেছিলাম৷ তাতে ফজা বলেছিল আমার লেখাপড়া করা লাগবে না৷ শিক্ষক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "তাহলে পাশ করবি ক্যামনে?" ফজা'র ঝটপট উত্তর, "যদি বাবা কম্পিউটার একবার দয়া করে যায় তাহলে বোর্ড স্ট্যান্ড কেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ড করে ফেলব৷ দেখেন নাই কম্পিউটারের ভুলে কতজন ফেল করে আবার কতজন ভাল রেজাল্ট করে? তাহলে আমি পড়াশুনা করে কি করব?"
এটা ছিল গত শতাব্দীর '৯০ এর দশকের কৌতুক৷ তখন পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়ায় সবেমাত্র কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয়েছে৷ ঐসময়ে ঐধরনের ভুলভ্রান্তিকেও মারাত্মক ভুল এবং অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হত৷ সময় অনেক গড়িয়েছে৷ দেশটাই ডিজিটালাইজড হয়েছে বলে গর্ব করি৷
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার এক নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মো. সাজ্জাদ ইসলাম প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষা না দিয়েও জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। আর একই বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থী মিম মানতাসা পরীক্ষা দিয়েও অনুপস্থিতিজনিত ফেল করেছে। এর আগেও একই উপজেলায় ২০১২ সালে পরীক্ষা না দিয়ে একজন উত্তীর্ণ হয়েছিল৷
ভাবছি আজ এত বছর পর এসেও এরকম মারাত্মক ভুল হয় কিভাবে? শিক্ষা ব্যবস্থায় যে অধঃপতন শুরু হয়েছে এর প্রভাব সবখানেই পড়বে এটাই স্বাভাবিক৷ প্রশ্ন ফাঁস, পরীক্ষায় অবতীর্ণ হলেই শতভাগ পাস, ফলাফল প্রকাশে উদাসীনতা সবকিছুই যেন জেকে বসেছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়৷ জাতি এর কুফল ঠিকই একসময় অনুধাবন করতে পারবে৷
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৩
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: সেটাই তো চলছে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায়৷ মেধার গুরুত্ব অত গুরুত্বপূর্ণ নয়৷
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: কি লেখল কি রেজাল্ট তার দরকার নাই সবাইরে গোল্ডেন টোল্ডেন দেয়া যায় কিনা, নাগিদ(?) সেটাই ভাবছে।