![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।
জলজ্যান্ত একজন মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে নিয়ে যাবে এবং পরক্ষণেই অস্বীকার করে বলবে যে তারা কিছু জানে না৷ এটা পৃথিবীর কোন বর্বর দেশেও কল্পনা করা কঠিন৷
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি ধরে না নিয়েও থাকে তারপরও তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর৷ এটা যে একজন বা দুইজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঘটছে তা নয়৷ এধরণের ঘটনা বর্তমানে যেন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে৷
কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনসমক্ষে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করছে এবং দুইএকদিন লাশ পাওয়া যাচ্ছে অথবা বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ আবার কোন কোন ক্ষেত্রে গুলিতে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ আবার কোন ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে গণপিটুনিতে নিহত বলে চালিয়ে দিলেও দেহে ডজনেরও বেশি গুলির হদিস পাওয়া গেলেও গণপিটুনির কোন চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷
রাজনৈতিক কারণে হত্যাকাণ্ড বলে চালাতে গেলেও নিরপরাধ মানুষই বেশি স্বীকার হচ্ছে৷ এদিকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে কোন ধরনের অপরাধ কার্যক্রমের দায়িত্ব নেওয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনের আনন্দে তাদের হত্যাকাণ্ডসহ যেকোন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড মনের আনন্দে করে যাচ্ছে৷
দেশের পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে আগে থেকে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে যেন মহানন্দে সেই কাজটি করার অনুমোদন পেয়ে গেছে৷ এখন পুলিশ যেকোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে ধরেই ব্যক্তিভেদে নির্দিষ্ট অংকের অর্থ দাবী করছে এবং না হলে পেট্রোলবোমা হামলাকারী, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত অথবা তাদের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে মামলা করার হুমকী দিচ্ছে৷ এমনকি দরকষাকষিতে সমঝোতা না হলে ক্রসফায়ারের মত ঘটনা ঘটছে৷
দেশটা যেন একটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে৷ দেশের কেউ এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না৷ কারণ যে করবে সে নিজেই একই ফাঁদে পড়ে যাবে৷ এই পরিস্থিতি থেকে দেশে আবার কবে মুক্তি পাবে তার কোন নিশ্চয়তাই যেন নাই৷
১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৯
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: যদি পশুও ধরে সেটা তো তারা স্বীকার করবে৷ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হওয়ার কথা ছিল মানুষের বিশ্বস্ত বন্ধু৷ এখন মানুষ তাদের কথা মোটেই বিশ্বাস করে না৷ আর বন্ধু হওয়া তো দূরের কথা নিরপরাধ মানুষ ভয়ে তাদের থেকে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে চলে৷
২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: উদ্বেগজনক । এর উত্তরে বলা যায় সরকারে তাবেদারী করা ।জনমারুষের কথা ভাবার সময় তাদের কোথায় ?
১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৬
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: জনমানুষের ভাষা তাদের বুঝার দরকারও নাই৷ কারণ সরকার জানে জনমানুষের ভোটের তাদের প্রয়োজন নাই৷ তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকলেই চলবে৷ তাই এভাবেই চলতে থাকবে ধরে নেওয়া যায়৷
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: সরকার যা বলবে এরা তাই করবে, এর অন্যথা হবার উপায় নেই। এদের কাছে চাকরী টাকা আর আদেশই ফাইনাল। নীতি আদর্শ মানবিক গুনাবলী ওসব খায় না মাথায় দেয়?
১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৯
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: নীতি আদর্শের অভাবেই রক্ষক হয়েছে ভক্ষক, সেবক হয়েছে অনিষ্টকারী, রাজনীতিবিদরা হয়েছে মিথ্যাবাদী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী হয়েছে আতঙ্কের নাম৷
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"জলজ্যান্ত একজন মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে নিয়ে যাবে এবং পরক্ষণেই অস্বীকার করে বলবে যে তারা কিছু জানে না৷ "
-সমস্যা হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি "মানুষ" ধরেছে, না অন্য কিছু ধরেছে?