![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।
শোক দিবসকে সরকারদলীয় বেশিরভাগ নেতাকর্মী জাতীয় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি দিবসে পরিণত করেছে৷ এই দিনের উছিলায় অনেকেই চাঁদাবাজি(ধান্দাবাজি) করে টুপাইস কামানোর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যেকোন ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে প্রস্তুত থাকে৷ এটাই তাদের শোক পালন৷
শোক পালন করতে গিয়ে মাগুরায় শোক মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলি করে প্রতিপক্ষকে হত্যা করে শোক পালন করে৷ এটা যেন এলাকার আধিপত্য বিস্তারের লড়াই৷ এটাই হয়ত তাদের শোক পালন৷
শোক পালনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতে চাঁদপুরের কচুয়ায় চাঁদা না পেয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের আক্রমন করে আহত করাই হয়ত তাদের শোক পালন৷
শোক দিবসে স্বয়ং বঙ্গবন্ধুকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে সেই ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়িতে ফুল দিতে গিয়ে সংঘর্ষে মহিলাদের বস্ত্রহরণ প্রদর্শনী করে শহীদকে সম্মান জানানোটাই হয়ত শোক পালনের আধুনিক স্টাইল৷
কেউ কেউ শোক পালনের প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে টুঙ্গীপাড়ার দিকে যাওয়ার পথে পথে জনতার সাথে হাস্যোজ্জল সেলফি বা মিডিয়ার সামনে ফটো তুলে শোকের বার্তা পৌছে দেয়৷ হয়ত এটাই তাদের শোক পালন৷
পৃথিবীতে যেদিনে কারও বিয়ের দিন ধার্য হচ্ছে পাশের বাড়িতে কারও আবার জন্মও হতে পারে সেই দিনে৷ এমনকি তার পাশের বাড়িতে একই দিনে কারও মৃত্যুও হতে পারে৷ এজন্য কেউ যদি পাশের বাড়ির কারও মৃত্যুর কারণে বিয়ের অনুষ্ঠানে হইহুল্লোড়টা কমিয়ে দেয় সেটা তার ব্যক্তিগত ও মানবিক ব্যাপার৷ কিন্তু জোর করে উৎসব করতে নিষেধ করলে মানবিক বিষয়ের পরিবর্তে বিতৃষ্ণা ও ঘৃণার উদ্রেক ঘটতে পারে৷এমনকি যার সন্তান মারা যায় সেই মাও হয়ত বছরখানেক পরে একই দিনে জন্মের শিশুটির জন্মদিনে যেতে বাঁধা থাকে না৷ মা বাবা আত্মীয়স্বজন হলেও কথা থাকে যাদের সাথে রক্তেরই কোন সম্পর্ক নেই তাদের তো কয়েক বছর এই মৃত্যুর চেয়ে নিজের বিবাহ বার্ষিকী বা জন্মবার্ষিকী অনেক বেশি গুরুত্ব পাবে এটাই স্বাভাবিক৷ তাছাড়া কারও মৃত্যুতে কে কতটুকু কষ্ট পাবে তা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার শোক কিন্তু জোর করে আদায় করা যায় না৷ আমাদের দেশে এটা জোর করে আদায় করার চেষ্টা করা হয়৷ হয়ত এটাই তাদের শোক পালনের ধরন৷ অথচ নিজেরা শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদাবাজির সুযোগ পাওয়ায় হয়ত তাদের চিত্তও পুলকিত হয়৷
কেউ হয়ত জাতীয় শোক দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালন করে আনন্দিত হয়৷এটা অবশ্যই ঘৃণ্য একটি ব্যাাপার৷ শোকের দিনে তার মনে শোকের উদয় না হলে এটা তার মনের ব্যাপার৷ এরকম কাজ করার পরও জনমত জরীপ করলে দেখা যাবে ভুয়া জন্মদিন পালন করেও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি৷ কেউ হয়ত রাজনৈতিক কারণে স্বীকার না করলেও মনে মনে ঠিক বিশ্বাস করে৷ এমনকি আমাদের প্রধানমন্ত্রীও জানে সঠিকভাবে জনমত যাচাইয়ের সুযোগ দিলে ফলাফল কি হবে৷ এজন্য আওয়ামী লীগ নিজেই আত্মসমালোচনা করতে পারে এমনটি কেন হল৷
জোর করে সম্মান আদায় করা যায় না৷ বরং এতে ঘৃণার উদ্রেক হয়৷বিশেষ করে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শ্লোগান দেয় তারা নিজেরা শোক পালন করে অন্যের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলে অন্যরাও নিজেদের বিবেকের তাড়নায় সহানুভূতিশীল বা শোকাহত হবে৷ অন্যথায় মানুষের মনে শুধু বিতৃষ্ণাই তৈরি হবে৷
©somewhere in net ltd.