![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।
যুক্তরাস্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের শুল্কমুক্ত বন্ধ দীর্ঘদিন হল৷ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানীতে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষদেশ হলেও অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে তা বিক্রি করতে হয় শুল্ক সুবিধা না থাকায়৷ অথচ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ আশপাশের সবদেশ শুল্কমুক্তভাবে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে থাকে৷
যুক্তরাষ্ট্র কেন জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে না তা নিয়ে আমাদের নেতানেত্রীরা যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশের সরকারবিরোধীদের সমালোচনা করতে ব্যস্ত৷ অথচ ভুলেও নিজেরা আত্মসমালোচনা করতে প্রস্তত নয়৷
যুক্তরাষ্ট্র শুধু বাংলাদেশ নয়, ক্ষমতার দাপটে বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্রের সরকার, গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়৷ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ এই বিষয়গুলো বাস্তবতা বিবেচনায় স্বাভাবিক নিয়ম হিসেবে মেনে নিয়েছে৷ কখনও কখনও শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের এই মনোভাবের সমালোচনা করতে দেখা গেলেও সেটা যথেষ্ট শালীনতার মধ্যেই করে থাকে৷
বাংলাদেশ কোন শক্তিশালী রাষ্ট্র তো নয়ই এমনকি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালীও নয়৷ আমাদের সাধারনতঃ অন্যদেশের উপর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভর থাকতে হয়৷ অথচ আমাদের নেতানেত্রীরা লাগাম ছাড়া কথা বলে বড় বড় দেশের সমালোচনা করে৷ তারা একটিবারও ভাবে না তাদের করুণার উপর আমাদের অর্থনীতির বড় অংশ নির্ভরশীল৷
আমাদের অর্থনীতি মূলতঃ তৈরি পোশাকশিল্প ও প্রবাসী রেমিট্যান্সের উপর নির্ভরশীল৷অথচ জনশক্তি রপ্তানির দরজা তো অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে৷ আর এরপর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও মন্ত্রীদের কে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে, তাদেরকে 'কাজের মেয়ে মর্জীনা', 'দুই আনার মন্ত্রী' ইত্যাদি বলে শুল্কমুক্তভাবে তাদের দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানীর আশা দেখা অনেকটা দিবাস্বপ্নের মত৷ আমাদের নেতানেত্রীরা অন্যের সমালোচনা না করে নিজেদের আত্মসমালোচনা করলে তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে৷
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: গার্মেন্টস মালিকরা তো ব্যবসায়ী৷ আর ব্যবসায়ীরা তো সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবেই৷ কিন্তু আমাদের মাথাভারী রাজনীতিবিদরা অদূরদর্শী ও খামখেয়ালিপনা মন্তব্য করে বিপদ ডেকে এনে সেই সুযোগ করে দেয়৷
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বাস্তব-অবাস্তব না বুঝে অযথাই চেচামেচি করলে যা হয়।। একটি সত্যি কথা বলি,যেসব নেতৃত্বের সাধারন যোগ্যতারই অভাব সেখানে কুটনৈতিক ভাষা কি ভাবে আশা করি??
যুক্তরাষ্ট্র শুধু বাংলাদেশ নয়, ক্ষমতার দাপটে বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্রের সরকার, গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়৷একক পরাশক্তি হলে সচরাচর যা হয়ে থাকে।। কম হলেই বরং অবক হতাম।।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে বর্তমানে যে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রায় সব দেশের ব্যাপারে নাক গলায় একমাত্র চীন আর রাশিয়া বাদে সব দেশ সেটা সাধারণ বিষয় হিসেবে মেনে নিয়েছে৷ কিন্তু আমাদের নেতাদের কথা বার্তা শুনলে মনে হয় এরা দুনিয়ার সবচেয়ে মূর্খ এবং কিভাবে কুটনৈতিক ভাষায় কথা বলতে হয় তা জানে না৷ তাদের লাগামহীন কথা বার্তা দিয়ে শুধু দেশের বিপদ ডেকে আনতে পারে৷
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের এসব মন্ত্রীদের কারণেই এই ক্ষতি। তবে বাস্তবে ক্ষতি যতটা তার চাইতে অনেক বেশী চেচামেচি করে আমাদের এইসব অসৎ লোভী নিষ্ঠুর অমানুষ গার্মেন্ট মালিকরা। আর এসব বলে বলে সরকারের কাছ থেকে সবচাইতে বেশি ভয়ংকর সব সুবিধা নিচ্ছে্ে এই সব মুষ্ঠিমেয় দুর্ণীতিবাজ গার্মেন্টস ব্যাবসায়ীরা।