![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সব ধরনের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদ্যা শিক্ষার পরিবর্তে রাজনীতিটাই যেন মুখ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে৷ দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তার ব্যতিক্রম হতে পারে নাই৷ সেখানেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকতে হলে কি কি রাজনৈতিক কাজে অংশ নিতে হবে সেটা শিক্ষা দেওয়ার জন্য গেস্টরুম করা হয় গভীর রাতে৷ শীতের মধ্যে দাড়িয়ে ডিউটি করতে হয়৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভর্তি হয় বিদ্যা শিক্ষার জন্য৷ আর দেওয়া হয় রাজনীতি শিক্ষা৷ হলে থাকতে হলে কি কি রাজনৈতিক কর্মকান্ড করতে হবে দেওয়া সেই শিক্ষা৷ এখানে রাজনীতিটাই মুখ্য শিক্ষা নয়৷ হলে থাকতে হলে একটি রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ম কানুন বাতলে দেয়৷ অথচ হওয়ার কথা ছিল হল প্রশাসন মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে হলে সিট দিবে৷ শিক্ষার চেয়ে রাজনীতির গুরুত্ব বেশি যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিদ্যাপীঠে হয়ে থাকে তাহলে অন্যান্য বিদ্যাপীঠের কি অবস্থা সেটা জানতে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না৷
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষিতরা দেশকে কি দিবে? দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আসলে কি শিখছে? হলে সিট বন্টনের দায়িত্ব একটি রাজনৈতিক সংগঠনের হাতে কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ক্যাডার বা মাস্তান বাহিনী দরকার হয় তাহলে সেখানে ছাত্রদের ভর্তি না করে রাস্তার ভাড়াটে মাস্তানদের ভর্তি করলেই তো হয়৷উন্নয়ন উন্নয়ন বলে গলা না ফাটিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে উন্নয়ন এমনিতেই আসবে৷ দয়া করে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের ভাড়াটে মাস্তান বানাবেন না৷
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৭
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: বিদ্যাপীঠে শিক্ষাটাই মুখ্য৷ বাকিগুলো সব হওয়া উচিত অনিয়মিত এবং স্বেচ্ছায় আগ্রহী এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিস৷ উন্নত দেশগুলোতে এভাবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলা হয়৷ কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ গুলোতে রাজনৈতিবিদদের ইন্ধনে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য লেখাপড়া বাদ দিয়ে জোর করে রাজনীতিতে এনে বাধ্যতামূলক দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের শিক্ষা দেওয়া হয়৷ নেতৃত্বগুণ একটি প্রকৃতি প্রদত্ত বৈশিষ্ট্য৷ সবাইকে নেতা বানানোর অপপ্রয়াস বন্ধ হোক৷
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ গুলোতে রাজনৈতিবিদদের ইন্ধনে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য লেখাপড়া বাদ দিয়ে জোর করে রাজনীতিতে এনে বাধ্যতামূলক দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের শিক্ষা দেওয়া হয়৷ নেতৃত্বগুণ একটি প্রকৃতি প্রদত্ত বৈশিষ্ট্য৷ সবাইকে নেতা বানানোর অপপ্রয়াস বন্ধ হোক৷
পুরাই সহমত। এই কথাগুলিই বলতে চেয়েছিলাম। নেতা সৃষ্টির সু(!)চেষ্টায় জাতি আজ এত বেশি নেতৃত্ব পেয়েছে যে এখন ব্যবসায়ীরাও রাজনৈতিক নেতা, মাস্তানরাও নেতা, আমলারাও নেতা, শিক্ষকও নেতা, ডাক্তারও নেতা। কেউ-ই বাদ নেই। সব জায়গায় নেতার ছড়াছড়ি।
নেতাগিরি বন্ধ করে কাজে মনোযোগি হওয়া খুবই দরকার।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪১
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: কি আর বলব! ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ছাত্রনেতা থেকে প্রভোস্ট সবাই ছেলেটির দোষ খুঁজে পেল৷ অথচ একটি নিরুপায় পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে ছেলেটিকে শীতের মধ্যে সারা রাত তথাকথিত গেস্টরুম, ডিউটিতে দাড় করিয়ে রাখা হল সেটাতে কোন ত্রুটি খুঁজে পেল না৷
আর নেতাগিরি বন্ধ হওয়ার কথা বলছেন! এটা বন্ধ করবে কে? সবাই নিজ স্বার্থে তরুনদের ব্যবহারের লোভ সামলাতে পারে না৷
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: নেতাগিরি বন্ধে কোনও একজন সঠিক নেতারই পদক্ষেপ থাকতে হবে। এছাড়া কোন বিকল্প চোখে পড়ছে না।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৪
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: কেউ সেই দুঃসাহস দেখাবে বলে মনে হয় না৷ হু. মু. এরশাদ চাচা এটা করতে গিয়ে দলের করুণ পরিণতি নিয়ে এসেছেন৷ আর কোন রাজনৈতিক দল স্বেচ্ছায়, অনিচ্ছায় এই ভুল করতে চাইবে বলে মনে হয় না৷ সব দলকেই ঐক্যমত্যে পৌছাতে হবে৷ তাহলেই সম্ভব!
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপাতত কোন সম্ভাবনা দেখছি না। তবে সময় বদলে যায়। একইরকম থাকে না ভাই। সো আশাহীন নই।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৭
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: জি, এটা অবশ্যই! আপাতত কোন সম্ভাবনা না থাকলেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই৷ পরিবর্তন একসময় হবেই৷ সেটা শীঘ্রই হোক আর অনেক অনেক পরেই হোক৷
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৪
মুসাফির নামা বলেছেন: ছাত্র রাজনীতির লাগাম টেনে দরকার, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা পরাবে কে?
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:১৮
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: হয়ত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কেউ না কেউ করবে। তবে অদূর ভবিষ্যতে তেমন কোন সম্ভাবনা দেখছি না।
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনার ক্ষমতা আছে ছাত্র রাজনীতির লাগাম টানার।
শেখ হাসিনা যদি খালেদা জিয়াকে বিদায় করে দিয়ে, ছাত্র রাজনীতির লাগাম টানতো তরুণরা পড়ালেখায় মন দিতো; খালেদা জিয়া থাকলে ছাত্রদল ও শিবির থেকে যাচ্ছে, তখন ছাত্রলীগ দরকার।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১৪
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: খালেদা জিয়াকে সরাতে গেলে প্রতিপক্ষকে সরানোর কারনে দেশবাসীর কাছে বর্তমানের চেয়েও জনপ্রিয়তা হারিয়ে একেবারে ভিলেনে পরিণত হবে। তাছাড়া বহির্বিশ্বের চাপ তো থাকবেই। এদিকে বিএনপি আন্দোলন দমাতে পুলিশ বিজিবির পাশাপাশি ছাত্রলীগকে ব্যবহার করেছে। এতগুলো সমীকরণ মিলিয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় অসম্ভব।
৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৪৫
রাবার বলেছেন: সহমত ভাই।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৭
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে রাবার ভাই। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা নিজের গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য খালেদা জিয়াকে বিএনপি'র সভাপতি করে রাখবেন অনেকদিন।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১০
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: শেখ হাসিনার বর্তমান লক্ষ্য কম ঝামেলা তৈরি করে যতদূর সম্ভব ক্ষমতাকে টেনে নেওয়া৷ আর তাই হুট করেই খালেদা জিয়াকে সরাতে গেলে বড় ঝামেলা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই ধীরে ধীরে নীতিতে এগোচ্ছে৷ বর্তমান রাজনীতিতে ক্ষমতাটাই মুখ্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধ তো নয়ই৷ যদি আরও কোন খারাপ নীতি অবলম্বন করেও যদি নির্বিঘ্নে ক্ষমতায় থাকা যায় যে কোন দলই সেটা করতে প্রস্তুত থাকবে৷ এখানে ছাত্ররা গোল্লায় গেল কিনা সেটা মুখ্য নয়৷
৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর কথাই বলেছেন।
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৮
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাইজান
১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
রাবার বলেছেন: একমত
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫০
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন:
১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯
বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: এই সব মাস্তান বাহিনী না থাকলে,ক্ষমতা ধরে রাখবে কেমনে?
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৭
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: জি, এটাই আসল কথা। নিজেদের ক্ষমতার আশায় দেশের ভবিষ্যত নষ্ট করা হচ্ছে। দেশের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করে এরাই আবার দেশপ্রেম ফেরি করে বেড়ায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
মতিয়া, মেনন, তোফায়েল, কায়রুল কবির খোকন, আমান উল্লহ আমান, ইলিয়াস আলীদের বংশ বৃদ্ধি চাচ্ছেন না?