নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এডিট করুন

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস

দুরের পাখি

ফারুক ওয়াসিফ সিন্ড্রোম : লক্ষণসমূহ ১ > সকালে ঘুম থেকে উঠে পেট ক্লিয়ার না হওয়া : ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত । ২ > রাস্তায় হাঁটতে গেলে ভুল করে ড্রেনের পানিতে পা দিয়ে দেওয়া : সিআইএ মোসাদের ষড়যন্ত্র । ৩ > বউএর জাঙ্গিয়া ময়লা : স্থানীয় জাঙ্গিয়া শিল্পের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী কর্পোরেট বেনিয়াদের আক্রমণ । ৪ > দেশপ্রেম এবং গর্বের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নষ্টামি সহ্য না করা : ডিসকোর্স ইন্টারকোর্স না বুঝা ফ্যাসিবাদ নাযি জাতীয়তাবাদ ।

দুরের পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শূণ্য থেকে কিছু আসেনা , আল্লা খোদা লাগপেই ?

১৪ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

শূণ্য থেকে কিছু আসতে পারে না । অতএব এই মহাবিশ্বের সৃষ্টির জন্য একজন স্রষ্টার দরকার আছে ।



ভালো কথা এই যুক্তি মানলাম ।



কিন্তু



সেই স্রষ্টা কি দিয়ে এই মহাবিশ্ব বানাইছেন ?



শূণ্য থেকে ? তাহলে শূণ্য থেকে কিছু আসতে পারেনা কিভাবে হইলো ?



আগে থেকেই সব উপকরণ ছিলো, সেইগুলাকে পরিবর্তন করে মহাবিশ্ব বানানো হইছে ?



তাহলে উপকরণগুলো কোথা থেকে আসলো ? শূণ্য থেকে ?



কারো কোন আইডিয়া ?

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

লুতফুল বারি পান্না বলেছেন: আচ্ছা একটু অন্যরকম ভাবি। ধরা যাক আসলে কোথাও কিছু নেই সব শূন্য। তার মানে আমরা নেই।

কিন্তু আমরা আছি- তার অর্থ অস্তিত্ব আছে।

এখন এগুলো কোত্থেকে আসলো? প্রশ্নটা এখানে এসে আটকে যাচ্ছে। আমারটাও আপনারটাও।
..........................................

এখন আপনি কি ভাবছেন আমি জানি না। হতে পারে- ভাবছেন সব কিছু ছিল। সেগুলোই ওলট পালট হয়ে মহাবিশ্ব এবং আমরা তৈরী হয়ে গেছি। স্বয়ংক্রিয়ভাবে। অথবা কিছুই ছিলনা। সেখান থেকে সব কিছু তৈরী হয়েছে। অবশ্যই স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
..........................................

প্রশ্ন হল যদি থাকে, সেগুলো আসলো কোত্থেকে?
যদি না থাকে, তাহলে শূন্য থেকে সৃষ্টি হল কিভাবে?
.........................................

কোন আইডিয়া?

১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:০৭

দুরের পাখি বলেছেন: আমার আইডিয়া হচ্ছে জানিনা ।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:০৬

বেলাডোনা বলেছেন: শুণ্য থেকে সৃষ্টি জগত আসেনি, সৃষ্টিজগত এসেছে স্রষ্টার হুকুম কুন (হয়ে যাও) [স্রষ্টার শক্তি] থেকে।

১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:০৮

দুরের পাখি বলেছেন: স্রষ্টা তাহলে এই মহাবিশ্ব পেটে নিয়ে বসে ছিলেন ?

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১১

লুতফুল বারি পান্না বলেছেন: গুড তাহলে আর কোনদিকে আপনার না যাওয়াই তো ভাল। তাই না?

সংশয়বাদী হোন আপত্তি নেই। নাস্তিক হতে চাইলে অবশ্যই ঘোর আপত্তি। কারণ সেটা আপনার অবস্থানের সংগে যাবে না তাই না?

:(

১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১৫

দুরের পাখি বলেছেন: আমি অবশ্য নাস্তিকই দাবী করি । আমি জানিনা , কিন্তু যারা জানে বলে দাবী করে তাদের দাবী যাচাইতো করে দেখতে পারি । এখন পর্যন্ত যতগুলা দাবী(আল্লা খোদা ব্রক্ষ্মা ইয়াওয়েহ কাবজাব) আসছে সবগুলাই চরমভাবে ভুয়া মনে হইছে ।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১৩

মামুণ বলেছেন: উত্তর পাইবার আশায় গ্যালারীতে বসলাম।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১৯

লুতফুল বারি পান্না বলেছেন: আপনার দাবীর পক্ষে যুক্তি না দিলে আপনারটাও তো ভুয়া প্রমাণ হচ্ছে। সাধারণ লজিক তাই তো বলে।

আপনি কি বলেন?

১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৩২

দুরের পাখি বলেছেন: হুমম, ব্যাপারটা হয়তো সেমান্টিকসের । এখানে মিথ্যা দ্বৈতের একটা ব্যাপার আছে । হয় সমস্ত কিছুর একজন সৃষ্টিকর্তা আছে অথবা নাই , এই দুইটাই কি অপশন ? এগুলোর বাইরেওতো কোন অপশন থাকতে পারে । আমার ধাপগুলা এইরকম

১. সমস্ত কিছুর কোন সৃষ্টিকর্তা আছে কি নাই আমি জানিনা ।

২. যারা আছে বলে দাবী করেছে তাদের যুক্তি এবং দাবী পর্যালোচনা করে দেখলাম সব বুলশিট ।

৩. অতএব তাদের কোন দাবীতে বিশ্বাস নাই ।

৪. তাহলে এই মহাবিশ্ব কোথা থেকে এলো এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা ।

৫. কেউ একজন বানানো ছাড়াও অন্য কোন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াও থাকতে পারে ।

৬. কেউ একজন বানাইছে এই তত্ত যতজন নিয়া আসছে সবগুলাই বুলশিট, অতএব হয়তো এই স্টাইলের চিন্তাই ভুল ।

৭. তাই এখনো জানিনা কিন্তু, সম্ভবত কোন এখন পর্যন্ত অজানা প্রাকৃতিক নিয়মেই এইসব আসছে , এই ধারণায় দোদূল্যমান বিশ্বাস ।

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:২২

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: চিন্তা করতে থাকেন। উত্তর পেলে বয়ান দিতে আসবেন।

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মহাবিশ্বের পদার্থগুলো চীরকালই ছিল।
মহাবিষ্ফোরনের পুর্বে টাইম ও স্থির ছিল তাই কতকাল জাবত সেগুলো ছিল জানা যাচ্ছেনা।
এসবের ভেতরে শৃষ্টিকর্তা আছে না নাই, এইটা আমার কাছে গুরুত্বপুর্ন মনে হয় না।
কোন আলামত তো পাওয়া যায় নাই।
সুধু অনুমানের উপর ভিত্তি কইরা আল্লারে মাইনা নিলেও ক্ষতি নাই। আমার জানার অস্পস্টতার কারনে আল্লাহ আমারে দোজখে নিক্ষেপ কইরা কঠিন শাস্তি দিবে এটাও বিশ্বাস হয়না।

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:২৭

বেলাডোনা বলেছেন: লেখক বলেছেন: স্রষ্টা তাহলে এই মহাবিশ্ব পেটে নিয়ে বসে ছিলেন ?

স্রষ্টার শক্তি পরিমাপ করা সৃষ্টির পক্ষ্যে সম্ভব ? কম্পিউটারের পক্ষ্যে কি সম্পভ তার স্রষ্টা চালর্স ব্যাবেজের শক্তি বা তার রুপ কল্পনা করা?

১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৩৩

দুরের পাখি বলেছেন: অসম্ভব কিনা আপনে জানেন কিভাবে ? কম্পিউটারের সাথে কথা কইছেন ?

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৪৯

বেলাডোনা বলেছেন: কারণ সৃষ্টি যেখানে অসীম স্পেস ও অসীম টাইমের ধারণাকেই কল্পনায় আনতে পারেনা সেখানে স্রষ্টার ধারণা সে কিভাবে আনবে?

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৫১

লুতফুল বারি পান্না বলেছেন: গুড তাহলে দোদুল্যমান "বিশ্বাস" এইটাই প্রকৃত সত্য।
.................................
ধরেন সন্ধ্যাবেলা আপনার ঘরের চালে একটা ঢিল পড়ল।

এখন এই ব্যাপারটা নিয়া তিনটা মতামত দেখা গেল।

এক. আমি দেখছি একজন লোক ঢিল মেরে চলে গেছে। কে জানি না?

দুই. ভূতে ঢিল মারছে।

তিন. ঢিলটা কোন কারণ ছাড়াই এমনি এমনি আসছে।
.......................................

তিনজনের কেউই তাদের বক্তব্য প্রমাণ করতে পারছে না। কিন্তু তিনজনই নিজ নিজ বক্তব্যে অটল।
.......................................

আমরা যারা আম পাবলিক, তারা এই তিন বক্তব্য থেকে কোনটা নেব?
................. দোদুল্যমান থাকব.......

১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৩৯

দুরের পাখি বলেছেন: হা হা । এখানে "বিশ্বাস" শব্দে উদৃতি চিহ্ন দেয়ার কিছু নাই । বাংলায় বিশ্বাস সংক্রান্ত শব্দভান্ডার মনে হয় একটু কম আছে সেজন্য এ শব্দ ব্যবহার করা । যা বুঝাতে চাইছি তার জন্য মনে হয় inkling শব্দটা সবচে যুৎসই হয় ।

যাই হোক আপনার যেই উপমা দিলেন এটা যে সংক্রান্ত আলোচনা হচ্ছে তার সাথে যায় না । কারণ বাড়ির ছাদে কে একটা ঢিল মেরে গেলো এটা নিয়ে আমার এক মিনিটের বেশি সময় নষ্ট করার মানসিকতা নাই । কিন্তু গড়পড়তা মানুষ জীবনের বৃহত্তর প্রশ্নগুলা অনেক সময় এবং চিন্তা ব্যয় করতে প্রস্তুত ।

তারপরও যদি বলি, তিনটা অপশনের কোনটাই যদি মুখের কথার বাইরে আর কোন প্রমাণ অথবা এভিডেন্স হাজির করতে না পারে তাহলে দোদূল্যমান থাকা ছাড়া কি'ই বা করার আছে ?

এখন আপনি বলতে পারেন, সাধারণত এইসব ঘটনা অন্য মানুষই ঘটায়, অতএব যদিও প্রথমজন কে ঢিল মেরেছে তাকে চিনেনি, বা প্রমাণ করতে পারবে না, কিন্তু তার কথার বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি । এইটা আরেকটা কারণ সৃষ্টি স্রষ্টা সংক্রান্ত ঘটনার সাথে এই ঢিল ছোড়ার উপমা যায় না । কারণ মানুষ অন্য মানুষের ছাদে ঢিল ছোড়ার ঘটনা আপনি আমি অনেক দেখেছি এবং আমি নিজে অনেক ছুড়েছি । অতএব একটা ঢিল পড়লে অন্য কোন মানুষই ছুড়েছে এটা আমরা অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি । কিন্তু অন্য কোন ইউনিভার্স আমরা সৃষ্টি হতে দেখিনি । শূণ্য থেকে কিছু সৃষ্টি হতে বা কাউকে করতে আমরা কখনো দেখিনি । এখানে আমাদের অভিজ্ঞতালব্ধ বিচারের কোন সুযোগ নাই ।

১১| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৫৫

বেলাডোনা বলেছেন: কেন দোদুল্যমান থাকবেন, সৃষ্টি জগত কি স্রষ্টার অস্তিত্বের ব্যাপারে নিশ্চিত জ্ঞান দেয় না?

১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:১৯

লুতফুল বারি পান্না বলেছেন: ভাই/বোন বেলাডোনা- আপনি একটু অফ থাকেন।

১৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:২০

কিংবোদোনতির কথা বলেছেন: অাইনষ্টাইনের একটা সমীকরন আছে, E = mc2 , তো এটাকে লিখা যায়, m = E/c2 । এ সমীকরন থেকে আমরা দেখা যায় শক্তি, বস্তুর ভরে রুপান্তর হতে পারে। এখন প্রশ্ন হল, শক্তিকে কী শূন্যতা বলা যায়। আমার উত্তর হল, হ্যা। কারন, শূন্যতার ধারনাটা হল পদার্থের অনুপস্থিতি। যেমন ভ্যাকুয়ামের ভিতর আলোর অস্তিত্ত থাকলেও সেটা শূন্যতা।

এখন আসল প্রশ্নে আসা যাক, স্রষ্টা কিভাবে শূন্য থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করল ?

উত্তর টা হল, কারন আমরা বিশ্বাস করি, স্রষ্টা অসীম শক্তির অধীকারি এবং তিনি সে শক্তি থেকে যাকে বলে নূর, তা থেকে পদার্থ সৃষ্টি করতে আবশ্যই সক্খম।

পরিশেষে, ভাই আপনি প্রথমে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি আসলে বিশ্বাস করতে চান কি না ? আপনি তত ক্খন পর্যন্ত নিজের ভিতর বিশ্বাস খুজে পাবেন না যতক্খন না আপনি বিশ্বাস করতে চাইবেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন যে নিজের মনকে বাকা করতে চাই, আল্লাহ তার মনকে আরো বাকা করে দেন। আপনি আল্লার উপর বিশ্বাস করে প্রশগুলো দেখুন, আপনি নিজেই উত্তর খুজে পাবেন।

১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৪৭

লুকার বলেছেন:
সেই স্রষ্টা কি দিয়ে এই মহাবিশ্ব বানাইছেন ?

- ফু দিয়ে।

১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৪৩

বাদ দেন বলেছেন: অসীম শক্তির অধীকারি স্রষ্টা কি এমন একটা বস্তু বানাতে সক্ষম যেটা উনি ধংস করতে পারবেন না?

সৃষ্টির সময়ে স্রস্টার অবস্থান কোথায় ছিল, উনি যদি কোথাও অবস্থান করে থাকেন সে জায়গা কে সৃষ্টি করল ?

১৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৩৬

বেলাডোনা বলেছেন: অসীম শক্তির অধীকারি স্রষ্টা কি এমন একটা বস্তু বানাতে সক্ষম যেটা উনি ধংস করতে পারবেন না?

বাক্যটি শুদ্ধ নয়।


স্রষ্টার সৃষ্টি অসীম স্থান ও অসীম সময়ের পরিসীমাই যেহেতু মানব মস্তিস্ক ধারণ করতে অক্ষম সেহেতু স্রষ্টা, স্রষ্টার উৎপত্তি, সৃষ্টির পূর্বে স্রষ্টার অবস্থান বিষয়ক যে কোন বিষয়ক প্রশ্ন করার জ্ঞান ও যোগ্যতা মানব মস্তিস্কের নেই। যেদিন মানব মস্তিস্ক স্পেস ও টাইমকে জ্ঞানের আওতায় আনতে পারবে সেদিন সে স্রষ্টা বিষয়ক প্রশ্ন করার কিছুটা অধিকার পাবে।

১৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৩:২৩

ডিজিটাল মুবিন বলেছেন: ভার্সিটিতে স্যার যেদিন প্রথম n ডাইমেনশনের স্পেস টাইমের অংক করালেন সেদিন কিছু না বুঝলেও পরে নিজে করতে যেয়ে বুঝতে পেরেছি যে আমাদের মস্তিস্ক অসীম , n- ডাইমেনশন , ইত্যাদি ব্যাপার গুলো কল্পনা না করতে পারলেও উপলব্ধি ঠিক এ করতে পারে ।
মানব মস্তিস্ক স্পেস ও টাইমকে জ্ঞানের আওতায় এনে ফেলেছে ......... মহাশুন্য (space) এর ধারনাটাও এখন শুন্যস্থানের ( empty space ) এর মত নয় অসীম শুন্যের ( absolute zero ) মত ও নয়।
স্পেস তৈরি হয় ম্যাটার আর এন্টি ম্যাটারের একরকম মিশ্রনে যেটা বাস্তবিক ভাবেই শুন্য নয় । যেটা তৈরি হয়েছে বিগ ব্যাংগ এর বদৌলতে । স্পেস তৈরির আগে ঠিক কি ছিল সেটা এখন জানা যায় নি সেটা আদৌ শুন্য কিনা সে ব্যাপারেও যথেষ্ট প্রশ্ন থেকেই যায় ...... বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে সেই প্রশ্নের সদুত্তর একদিন আমরা পাবোই

১৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৩:৩৪

দেশী পোলা বলেছেন: ঘটনা কি? পিচ্চি ঘুমাইতে দেয় না রাইতে? ব্লগে আইসা পুরানা মেটেরিয়াল নিয়া গুতাগুতি চলতাছে


যে প্রভু একটা শুক্রানু আর ডিম্বানুরে মিলাইয়া সুন্দর শিশুর জন্ম দিতে পারে, শূণ্য হইতে প্রোটন নিউট্রন বানানো তার জন্য বেসম্ভব কিছু না

ধইরা নাও কোয়ান্টাম নয়েজ থেইকা বস্তুর উৎপত্তি হইছে। কিছু কিছু কোয়ার্কের এই আছি এই নাই চরিত্র বিদ্যমান, সেরকম অন্যান্য বস্তু মিলাইয়া পরমানু হইছে অনু হইছে। কেন হইছে? আল্লায় জানে

১৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৪১

দুরের পাখি বলেছেন: কাবজাব জানে ।

১৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পান্না সাহেবের ব্যাপারটা ডিরাইভ করলে ঐ সংশয় যেইখান থিকা আমার কুশ্চেন কজালিটির জন্য কজালিটি মানে স্বতঃস্ফূর্ততার জন্য স্বতঃস্ফূরততা। জানিনা কখনো এই মডেলটা নিয়ে কাজ করছে কেউ বইলা মনে হয় না, কিন্তু ধইরা নিলাম আপনেই ঠিক, কিন্তু তখনই এরকম স্ট্যাবল কোনো সিস্টেম দাড়াতে পারে কিনা!

তবে স্ট্যাবলিটি আনস্ট্যাবিলিটি মিজার করার জন্য এখানে আমাদের চেনা জানা নাইকোয়েস্ট মডেল খাটবে না। রেসিডিউয়াল ভিউ থেকে চিন্তা করলে একসময় খেই হারাবো সেন্টার বা পরেফিরিয়াল মডেল নিয়া চিন্তা করলে।

ক্যাওয়াজ একটা হইছে তবে সেই ব হু বিশ্বের ক্ষেত্রে কিন্তু এই সংশয়বাদীতা অথবা ঈশ্বরবাদ এটার উপর শিওর হবার জন্য ডেফিনিট কোনো কনক্লুশনে আসনে এখনো সময় হয় নাই!

প্রচন্ড যুক্তিবাদী হইলে এই সমস্যা, নানা অল্টারনেটিভ অপশন মাথার মধ্যে ঘুর পাক খায় যতক্ষন না কনফিডেন্স লেভেলের কিছু প্রমানিত না হয়!

সৃষ্টিকর্তা লাগবেই এমন যেমন কোনো কথা হতে পারে না, তেমন সৃষ্টিকর্তা নেই তেমনও কোনো কথা হতে পারে না! দুটোই সমান প্রতিদ্বন্ধী পার্থক্য শুধু কে কিভাবে কোনদিকে আগায়!

তবে এই দশকেই এসব সম্বন্ধে আমরা একটা আইডিয়া পেতে পারি। স্ট্রিং ম্যাকানিজমের এই ভুবনটা খুবই অদ্ভূত আর অনিশ্চিত! কারন এদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে কেন এতো অনিশ্চিয়তা!

মৌলিক এসব ব্যাপারে, মাঝে মাঝে মনে হয় এখানে একটা অদ্ভূত ধাধা লুকিয়ে আছে।

২০| ১৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:১৮

ঋফায রহমান বলেছেন: সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি ব্যপারটা যেমন খটকা তেমনই খটকা
""যে প্রভু একটা শুক্রানু আর ডিম্বানুরে মিলাইয়া সুন্দর শিশুর জন্ম দিতে পারে, শূণ্য হইতে প্রোটন নিউট্রন বানানো তার জন্য বেসম্ভব কিছু না""

এই কমেন্ট টা। :(

২১| ২৮ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৩৬

লুতফুল বারি পান্না বলেছেন: আমি নিজে আস্তিক। তবে এটাও সত্য আমার আস্তিকতা একটা বিশ্বাস... কিন্তু শুধু বিশ্বাস বললে পুরো প্রকাশ হয় না... একটা উপলব্ধি। কেউ যদি বলে তুমি স্রস্টার অস্তিত্বের নিরেট প্রমাণ দেখাও দেখাতে পারব না। কোনরকম যুক্তি দেখালেও তার পাল্টা যুক্তি অনেক পওয়া যাবে। এজন্যই যদি কেউ যুক্তির প্রতি একশভাগ সৎ থাকে তবে তার সংশয়ী থাকাটাই সঠিক।
................................
তবে ঢিল প্রসংগে আপনার বক্তব্য প্রনিধানযোগ্য। আমরা কিন্তু বড় বড় বিষয়গুলোতে ছোট একটা ঘটনাকে মডেল হিসেবে দাড় করাই। বৃহত্তর পরিবেশে শূন্য থেকে কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল তার স্বাক্ষী কেউ নাই। কাজেই ব্যাপারটা নিয়ে নানান মতভেদ থাকবেই। অন্তত যতদিন এটার কোন নিশ্চিত সুরাহা না হয়।
................................
অনেক আস্তিকদের মত আমি ঈশ্বরকে কোন ব্যক্তি হিসেবে উপলব্ধি করি না। হয়ত তিনি একটা সিস্টেম। শূন্য থেকে তৈরী হবার জন্য অপর্যাপ্ত এনার্জি হয়ত সেই সিস্টেমে চিরকালই ছিল। এখন তাকে আমি আল্লাহই বলি আর আপনার মত কাবজাব বলি সেটা বড় কোন বিষয় না। ফুটবল বলার সাথে সাথে আমার চোখে গোল চামড়ার গোলকের ইমেজ ভেসে আসে। মাঠে তাকে ইচ্ছেমত লাত্থি মারার ইমেজও ভেসে আসে। এখন ফুটবল না বলে সকার বললেও যদি সেই ইমেজটি আসে তবে সমস্যা নেই। আল্লাহ কিংবা কাবজাব দুটো শব্দ আমার কাছে একই হবে যদি দুটোকে একই মেন্টাল ইমেজে ভাবি। মূল সমস্যা আপনার আর আমার ইমেজগত চিন্তার পার্থক্য। সে কারণে যিনি আমার কাছে আল্লাহ তিনি আপনার কাছে কাবজাব। শব্দদুটো অদলবদল করে দিলেও আসল বিষয়টা একই থাকে।
....................................
ব্যাপারটা আরো খোলাসা করা যাক। স্বতঃষ্ফূর্ত সৃষ্টি বলে আমরা যেটা বুঝি সেটা আসলে কি? কেন সৃষ্টি স্বতষ্ফূর্ত হবে? কেন সব কিছু শূন্য হয়ে যাবে না। কেন আপনার আমার সবার অস্তিত্ব থাকবে? কেন আমরা চিন্তা করব, তর্ক করব, গালাগালি করব, হাসব, খেলব, প্রকৃতি থেকে খাবারের মাধ্যমে বেচে থাকার এনার্জি সংগ্রহ করব? পৃথিবী, সৌরজগত, নিহারিকা, ক্লাস্টার থাকবে। সব মিলিয়েবিশাল একটা ব্রহ্মান্ড থাকবে। হয়ত আরো অনেক গুলো বহ্মান্ড এই ব্রহ্মান্ডের মত তার আশেপাশে থাকবে। হয়ত আমাদের জীবনটা নানান রকম প্রবাবিলিটির একটা যোগফল যার মধ্যে আমরা যে অংশটা দেখছি সেটা ছাড়াও অন্য আরো প্রবাবিলিটিগুলো সময়ের অন্য একটা মাত্রায় রয়ে গেছে। (তথ্যসূত্রঃ স্টিফেন হকিন্স)।

এই যে বিশাল আযোজন সেটা হয়ত একটা স্বতঃস্ফূর্ত সিস্টেম। এখন আমি এই স্বতষ্ফূর্ত সিস্টেমটিকেই যদি আল্লাহ বলি আর আপনি যদি কাবজাব বলেন অসুবিধা নাইতো।

যেটুকু পার্থক্য সেটা হল আমি এই সিস্টেমটিকে প্রকুতর মত অন্ধ মনে করিনা। বরং অনেক বেশী চক্ষুষমান বলে ভাবি। যিনি আমার জীবনের সবগুলো সময়, মৃত্যুর আগে কিংবা পরের, সবগুলো প্রবাবলিটি দেখছেন। বিপদে আমি অস্থির হয়ে তাকে ডেকে সাড়া না পেয়ে তাকে গালাগালি করলেও তিনি হয়ত জানেন ওটা আসলে কোন বিপদ না অথবা তিনি মৃত্যু পরবর্তী কোন এক জীবনে আমার জন্য অসীম আনন্দ রেখে দিয়েছেন।
....................................
মোদ্দা কথা ঈশ্বর আমার কাছে স্বতষ্ফূর্ত সর্বজ্ঞ এক সিস্টেম। অন্ধ বোবা কালা নয়। এখন আপনি ঈশ্বর এবং অনস্তিত্ববাদের মধ্যে যদি তৃতীয় কোন সম্ভাবনা খোজেন- তার অর্থ হচ্ছে কিছু একটার অস্তিত্ব খুজছেন। আমি সেই অস্তিত্বকেই ঈশ্বর নামে অভিহিত করছি।
....................................
শেষ কথাঃ
অনস্তিত্ববাদ আমার কাছে খুব আকর্ষণীয় বিষয় বলে মনে হয় না। আর যুক্তিবাদ কখনো নিশ্চিত কিছু দাবী করতে পারে না। যদি বিশ্বাস বা উপলব্ধির দিকেই যেতে হয় তবে যুক্তর দোহাই দিয়ে অনস্তিত্ববাদী হব না। আর যদি যুক্তিবাদকে মেনে নিতে হয় তবে সংশয়ী থাকাটাই সংগত মনে হয়।

২২| ২৮ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

লুতফুল বারি পান্না বলেছেন: "অপর্যাপ্ত"= অসীম হবে।

২৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:১২

লুতফুল বারি পান্না বলেছেন: অ্যাট উদাসী স্বপ্ন, স্ট্রিং মেকানিজম সম্পর্কে আমি খুব ভাল বুঝি না। আসলে আমি ঠিক এই লাইনের ছাত্র না। তবু আমি কিঞ্চিৎ উপলব্ধি থেকে কিছু বলি। যদি ভুল হয় শুধরে দেবেন। তবে দয়া করে একটু নন টেকনিক্যাল ভাষায়। টেকনিক্যাল ভাষাগুলো আমার মাথার বেশ তফাত দিয়ে উড়ে যায়। আমি হকিন্সের কয়েকটা বই পড়ে একটা ধারণা জড় করেছি। আর বইগুলো যেহেতু মোটামুটি নন চেকনিক্যাল আমার পক্ষে বোঝা একটু সহজ ছিল। তারপরও জানিনা ঠিকভাবে বুঝেছি কিনা?
.........................................

আমার ধারণাঃ বিগ ব্যাং এর পর থেকে শুধুমাত্র একটা চার মাত্রার মহাবিশ্ব এক্সপ্যান্ড করেনি। এই মহাবিশ্বটির সবগুলো প্রোবাবিলিটিও একই সংগে এক্সপ্যান্ড করেছে। সবগুলোই যে এখনো এক্সপ্যান্ডিং তা না। কোন কোনটা হয়ত শুরুতেই শেষ হয়ে গেছে। কোন কোনটা কিছুদিন চলার পর আবার ক্রাঞ্চ হয়েছে। কোন কোনটা কখনোই ক্রাঞ্চ হবে না।
..........................................
আবার কিছু আছে আমাদের পৃথিবীরই বিভিন্ন প্রোবাবিলিটিতে প্যারালালি এক্সপ্যান্ড করছে। মোট কথা মোটামুটি ধারণার অতীত বিশাল একটা সংখ্যার মহাবিশ্ব একই সংগে শুরু হয়ে বিভিন্ন সময় বিন্দুতে ভাগ হয়ে গেছে। আমরা শুধু মাত্র আমাদের একমাত্রিক সময়টাকেই দেখছি। যেটা এই টোটাল প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের খুবই নগণ্য একটা অংশ। যে কারণে স্ট্রিং থিওরীমতে বন্তুর দশ বা এগার মাত্রা হওয়া সত্বেও আমরা দেখছি মাত্র তিন মাত্রা। বাকি মাত্রাগুলোও অবশ্যই আছে যেগুলো সময়ের অন্য বিন্দুতে লুকিয়ে আছে। অর্থাৎ আমরা সেগুলো দেখছি না। একটা ছোট্ট উদাহরণ দেয়া যায়। আমরা সব সময়েই সময়ের একটা বিন্দুতে থাকি বলে বস্তুকে ত্রিমাত্রিক দেখি। অপারেটিং সফটওয়্যারে অনেক সময় মাউজের ট্রেল দেখানোর একটা অপশন থাকে। আমরা যদি সেরকম আমাদের ট্রেইলসহ আমাদের জীবনটা দেখতাম- অর্থাৎ অতীতের মুভমেন্ট এবং বর্তমান তাহলে পুরো চিত্রটাই অন্যরকম দেখাতো। সেখানে যে বস্তুগুলো দেখতাম সেগুলো সব চতুর্মাত্রিক হত। এটা হবে যখন আমরা সময়কে একটা সরলরেখা হিসেবে কল্পনা করব। কিন্তু সময়কেও ত্রিমাত্রিক অঞ্চল হিসেবে দেখলে অতীত বর্তমান ছাড়াও সময়ের প্যারালাল চিত্রগুলোও থাকবে। অর্থাৎ সময়ের সবগুলো মাত্রা যদি ট্রেইল হিসেবে দেখা যেত তাহলে বোধ হয় স্ট্রিং থিওরীমতে বস্তুর আসল চেহারা আমরা দেখতে পারতাম। এই বিশ্লেষণ শুধু বস্তুর ফিজিক্যাল স্ট্রাকচার বিবেচনা করে দেখানো। মনস্তাত্বিক বা ভাব জগৎ যোগ করলে পুরো ব্যাপারটাই সাংঘাতিক ঘোলাটে হয়ে যাবে।

আমার ধারণা শ্রোডিংগারের বেড়াল বা স্ট্রিং মেকানিজমের অনিশ্চয়তার আসল রহস্য এখানেই লুকানো।

সবশেষে টেকনিক্যাল মানুষ না হওয়ায় যে কোন জ্ঞানই আমি আমার মত একটা মডেল তৈরী করে আত্মস্থ করার চেষ্টা করি। আমার এ মডেলটির মধ্যে ভুল ত্রুটি থাকা বিচিত্র কিছু না। আপনি বিষয়গুলো বোঝেন বলে আপনার সংগে শেয়ার করলাম। ভুলগুলো একটু বুঝিয়ে বললে বা ধরিয়ে দিলে উপকৃত হতাম।

..............................................
সবশেষে এটাও পুরোপুরি একটা ধারণা। সেটা হল ঈশ্বর বিশ্বাস ঠিক বিজ্ঞানের আবিস্কার দিয়ে কখনো নিরেটভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে কিনা সেটা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

আপনি বা আমি আমরা যারা বুঝতে চাই তারা যথেষ্ট প্রমাণ অনেক আগেই পেয়ে গেছি। কিন্তু যারা বুঝতে চাইবে না তারাও তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে নানান রকম যুক্তি প্রয়োগ করতেই থাকবে। স্রস্টা বলতে যদি কেউ থাকেন তিনি সম্ভবত এই বিষয়ক অনিশ্চয়তা এই জীবনে মেটাবেন না।
...............................................
বিঃদ্রঃ এই বক্তব্যটুকু আমার উদাসী স্বপ্নের সাথে। এটা যেহেতু ওপেন যে কেউ পড়তে পারেন। আমি আমার অজ্ঞতাটুকু মেনে নিয়েই এটা লিখেছি। কাজেই এটা পড়ে অন্য কেউ উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত হলে সেটা একান্তই তার ব্যাপার। এবং সেক্ষেত্রে আমাকে কোনভাবে আক্রমন করা যাবে না।

২৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: @পান্না ভাই, আপনার বুঝাটায় আমার হাত দেয়ার প্রয়োজন নেই!

কেনো প্রয়োজন নেই সেটা বুঝাতে গেলে অনেল কথা লিখতে হয়! তবে আপনার ভাবনাটা অনেক খানিই ভ্যালিড, বলা যায় যুক্তি সঙ্গত।

উচ্চ মাত্রাগুলো সবগুলোই আনুবীক্ষনিক মানে কোয়ান্টাম লেভেলের। আপনি যদি গানিতিক হন আপনার উপর ভার কম থাকবে এই উচ্চ মাত্রায় আমাদের চোখে দেখা কোনো কিউবিক্যাল কি রূপ নেবে। কিন্তু আপনি যখনই এটা ফিজিক্সের আলোকে ব্যাখ্যা করতে যাবেন তখন উচ্চ মাত্রাগুলো একেকটা বৈশিষ্ঠ্যের আকারে কাজ করবে। আমি আগেই বলেছি আনুবীক্ষনিক তার মানে দেখা যাচ্ছে স্ট্রিং লেভেলে সেই মাত্রা গুলো বেশীর ভাগ বিদ্যমান এখন আপনি ১১ বা ১৮ অথবা ২৫ মাত্রার সুপার স্ট্রিং এর হিসাব করেন না কেন!

বিগ ব্যাং এর পর আপনার যে ধারনা উদ্ভূত (উল্লেখ্য, লজ্জাজনক হলেও সত্য অতিরিক্ত পড়ালেখা এবং ব্যাক্তিগত জীবনে ব্যাস্ততা থাকায় আমি হকিং এর দ্য গ্রান্ড ডিজাইন পড়ার সময় পাইনি, তো উনি কি লিখছেন সেটা সম্পর্কে আমার খুব একটা ধারনা নাই!) সেটা অনেকাংশে আমি নেগলক্ট করতে পারবো না আবার ধারনও করতে পারবো না। কারন নিউট্রিনো এক্সপেরিমেন্ট আসলেই যদি হালে পানি পেতো যে আলোর চেয়ে এর গতি আরও অনেক বেশী তাহলে আপনাকে আমি ঠিক বলে ধরে নিতাম। এটার জন্য আমাকে টেকিওনিক ম্যাটার বা স্ট্যারাইল নিউট্রিনো বা এরকম কিছুর অস্তিত্ব প্রমানিত করতে হবে। তবে থিওরেটিক্যালি আপনার ধারন সম্ভব।

আমি দূরের পাখির আগের পোস্টে একটা কনসেপ্ট দিয়েছিলাম স্ট্রিং লেভেলে যদি কেওয়াজ থিওরী ইমপ্লাই করি, তাহলে আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্বের সাথে আরেকটা মহাবিশ্ব অথবা ভিন্নমাত্রার পেয়াজের খোসার মতো বিশ্ব বা বৈশ্বয়িক লেভেল থাকা সম্ভব (ডি ব্রেন থিওরি)। কিন্তু সবকিছুই প্রমান সাপেক্ষ। থিওরেটিক্যালি আপনি ঠিক!

তবে পদার্থবিজ্ঞানের এই অংশগুলো আসলেই খুব বড় মাপের এক্সপেরিমেন্টের দাবী রাখে যেগুলো টেকনিক্যালি এখনই সম্ভব না। যেদিন গ্রাভিট্রনের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যাবে সেদিন আমরা আপনার বুঝটা নিয়ে আরও ডিটেইলে কথা বলতে পারবো!

আর শ্রোয়েডিঙ্গারের বিড়ালের ম্যাকানিজমটা আসলে একটা বৈশিষ্ট্য। যদি আপনি ধরে নেন এখানে একটা প্যারাডক্সের সৃষ্টি করা হয়েছে, তাহলে আমি বলবো একটা ফ্রেমওয়ার্কে এরকম হেয়ালিপনা থাকতেই পারে যেটাকে ইগনোর করার রাস্তাও থাকবে অথবা ইগনোর করাটাও খুব গুরুত্বপূর্ন কিছু নয়!

আর ঈশ্বরের ব্যাপারটা এখন পুরো পুরি হাইপোথেটিক্যাল। একসময় মনে হতো বিগ ব্যাং এর আগে কি হয়েছিলো সেটা জানলেই ঈশ্বর কি সেটা জানা যাবে। কিন্তু এখন ব্যাপারগুলো এতটাই বিস্তৃত যে বিগ ব্যাং এর পর থেকে যা ঘটেছে সেটা জানাই মূখ্য। তার উপর আমাদের আলোর গতি নামের একটা সীমাবদ্ধতা আছে, সীমাবদ্ধতা আছে মাত্রাগত ব্যাপার নিয়ে। ঈশ্বর সম্পর্কে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে তার দরকার নেই, কিন্তু আরও গভীরে যদি যাই, তাহলে যেসব ম্যাকানিজমের প্রয়োজন অথবা যেসব প্রোপার্টি রেইজ হয়, সেগুলো ব্যাখ্যা করাটা আরও বেশী দুরহ হয়ে যায়! আরও জটিলতার জন্ম নেয়। এজন্য অনেকে প্রশ্ন আর জটিলতা থেকে বাচবার জন্য বলে থাকেন যে তারা স্ট্রিং বা এম থিওরী বা ডি ব্রেন তেমন ভালো বোঝেন না!

ভালো থাকুন!

২৫| ১৪ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আ্যাগোরাফোবিয়া বলেছেন: হেহ !

২৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১২ সকাল ৯:০৫

মূসা আলকাজেম বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ্‌। কেউ যদি সত্যিই এই প্রশ্নের জবাব পেতে চান তাহলে নীচের লেখাটি মনোযোগের সাথে তিনবার পড়ুন। তখন আল্লাহ্‌ চাহেতো বুঝতে পারবেন দূরের পাখির এইসব প্রশ্ন কত অযৌক্তিক।

আল্লাহ্‌র অস্তিত্বঃ আস্তিক ও নাস্তিকের যুক্তিতর্কঃ আমার উপলব্ধি -২



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.