নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ভাঙ্গাঘরে,তুমি এলেই ভালোবাসা বৃষ্টিহয়ে ঝরে

ঈশান মাহমুদ

আমি অগোছালো মানুষ এক। মেয়ে অন্বেষা ও ছেলে রিশাদের প্রিয় বাবা এবং প্রিয়তমা স্ত্রীর ’অপদার্থ’ স্বামী। ;)

ঈশান মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘ফেলে আসা দিনগুলো মোর’ পর্ব-৩ \'রেডিও\'

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৮



আমাদের বাসায় একটা এক ব্যান্ডের রেডিও ছিল। আব্বা ওটায় খবর শুনতেন আর আমি শুন্তাম বাণিজ্যিক কার্যক্রম মূলক অনুষ্ঠান ‘বিজ্ঞাপন তরঙ্গ‘। বিজ্ঞাপন তরঙ্গে নানা পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের পাশাপাশি প্রচারিত হৈতো অনুরোধের আসর ‘গানের ডালি’ অথবা রকমারি গানের অনুষ্ঠান ‘গিতালী’। এই অনুষ্ঠানে স্রোতাদের অনুরোধে প্রচারিত হতো জনপ্রিয় আধুনিক ও ছায়াছবির গান। সাধারনতঃ সিনেমার গানের জন্যই অনুরোধ আসতো ‘গানের ডালি’তে। ঘোষক বা ঘোষিকা বলতেন -
চুমকি চলেছেন একা পথে...। মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের গাওয়া ’দোস্ত দুশমন’ ছায়াছবির এই গানটার জন্য অনুরোধ পাঠিয়েছেন – লালবাগ ঢাকা থেকে পলি, সবুজ,ইয়াকুব রানা,চট্টগ্রাম থেকে-সোমা,শিমু,সুমন,মামুন,নারায়নগঞ্জ থেকে শিবানী,অঞ্জন,সীমা সিদ্দিকী,আনোয়ার হোসেন,মুন্সীগঞ্জ থেকে রতনরনি, ফেনী থেকে নুরুল আমিন হৃদয়, রাসেদ মাজহার ও তানভীর। নোয়াখালী থেকে জাহান, ফরহাদ কিসলু,মায়মুনা লীনা ও শম্পা। ঢাকার মহাখালী থেকে গিয়াস আহমেদ, শিপলু,খিলগাঁও,ঢাকা থেকে লিটন,মাফরুহা অদ্বিতী সহ আরো অনেকে।
একটি গান তারপর কয়েকটি বিজ্ঞাপন। আবার অনুরোধের গান। এভাবেই বেলা একটা-দেড় টা পর্যন্ত ’গীতালী’ অথবা ‘গানের ডালি’ চলতো,সিডিউল করে।

দুপুর বারোটায় শুরু হয়ে একটার খবরের আগ পর্যন্ত চলতো অনুরোধের গান। একটার পর শুরু হতো মুক্তি প্রাপ্ত অথবা মুক্তি প্রতিক্ষীত ছায়াছবির ওপর ভিত্তি করে বিশেষ অনুষ্ঠান। পর পর দুই তিনটি সিনেমার বিজ্ঞাপন অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো। প্রতিটি সিনেমার বিজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের দৈর্ঘ্য ছিল পনের মিনিট। এই পনের মিনিট আমরা রেডিওর পাশে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে থাক্তাম।
সিনেমা’র বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দিয়ে সেই সময় নাজমুল হোসাইন এবং মাজাহারুল ইসলাম নামের ব্যক্তিদ্বয় প্রায় তারকা খ্যাতি অর্জন করে ফেলেছিলেন। ‘আসিতেছে… আসিতেছে…। আগামি শুক্রবার ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন পেক্ষাগৃহে….।’ সিনেমার বিজ্ঞাপনের এমন দরাজ কন্ঠের ঘোষনা এখনও কানে বাজে।

দেড়টা অথবা দুইটা বাজলে শুরু হতো ’জনি প্রিন্ট শাড়ী কিংবা বউরানী শাড়ি সঙ্গীত সমাহার’ কিংবা আবুল খায়ের গ্রুপের ’গরু মার্কা ঢেউটিন সঙ্গীত মালা’। ১৫ মিনিটের অনুষ্ঠান। ৩-৪টি গান। গানের ফাঁকে ফাঁকে বিজ্ঞাপন আর শেষ গানের সাথে কুইজ।
প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটা ত্রিশ মিনিটে শুরু হতো সৈনিক ভাইদের জন্য অনুষ্ঠান ’দুর্বার’। শুরুর মিউজিক ছিল ’চল চল চল,ঊর্ধগগনে বাজে মাদল…’ এর মিউজিক ট্রাক। তারপর…’সৈনিক ভাইরা, দুর্বার অনুষ্ঠান থেকে আমি হাবিবুর রহমান জালাল আপনাদের জানাচ্ছি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।’ এই অনুষ্ঠানের সৈনিক ভাইদের পছন্দের গান প্রচারিত হতো। বলাবাহুল্য বেশীর ভাগ পছন্দের গানই ছিল সিনেমার।
দুর্বার অনুষ্ঠানের জন্য অপেক্ষা করতে করতে শোনা হয়ে যেতো, ধারাবাহিক নাটিকা ’দিনবদলের পালা’। মাত্র ১৫ মিনিট ব্যাপ্তির এই অনুষ্ঠানটি গ্রামের মানুষের কাছে বিশেষ জনপ্রিয় ছিল। গ্রামীন জনপদে জনপ্রিয় আরো একটি অনুষ্ঠান ছিল পল্লীগানের অনুষ্ঠান ‘মেঠোসুর’। অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হতো প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে।

রাত ন’টা ত্রিশ মিনিটে প্রচারিত হতো ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ’উত্তরণ। এছাড়া ’মহানগর’ এবং ’আজকের ঢাকা প্রতিদিন’ সকালেই শোনা যেতো। সপ্তাহে একদিন রোববার দুপুরে প্রচারিত হইত নাটক। রোববার ছাড়া ও প্রতি বুধবার রাত দশটায়ও নাটক প্রচারিত হতো। প্রতিদিন বিকাল তিনটায় শুরু হতো ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক’। এছাড়া সেই সময়ের রেডিও’র আরো কিছু উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান হলো,দর্পণ, কলকাকলী,ছায়াছবির গানের অনুষ্ঠান ‘ছায়াবাণী’। পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কথিকা,শিক্ষার্থীদের আসর, মহিলাদের অনুষ্ঠান, ’অঙ্গনা’,বিশ্ব বিচিত্রা।

আশি এবং নব্বই দশকে এই দেশে ফুটবল খুবই জনপ্রিয় ছিল। আবহানী, মোহামেডান, ব্রাদার্স ইউনিয়নের খেলা হলে ঢাকা স্টেডিয়াম উপচে পড়তো। সেই সময় রেডিওতে প্রচারিত হতো প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ অথবা ফেডারেশন কাপের গুরুত্তপূর্ণ খেলা গুলোর ধারা বিবরণী । প্রতীক্ষায় থাকতাম কখন রেডিওতে শুনবো ‘শ্রোতাদের এখন আমরা ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে নিয়ে যাচ্ছি।’ মাঠে ভাষ্যকার হিসেবে উপস্থিত থাকতেন আবদুল হামিদ, খোদা বক্স মৃধা, আতাউল হক মল্লিক, কিংবা মঞ্জুর হাসান মিন্টু, জাফর উল্লাহ শারাফত। সরাসরি খেলা দেখছি না। অথচ ভাষ্যকারদের সুচারু বর্ণনায় খেলার দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ঠিক যেন জীবন্ত হয়ে উঠতো।
সেই যুগে রেডিওর অধিকাংশ বিজ্ঞাপন বিরক্তকর মনে হলেও কিছু কিছু বিজ্ঞাপন হৃদয়ে ঠিকই ভালোলাগার আমেজ ছড়িয়ে দিতো। এমন কিছু বিজ্ঞাপনের কথা বা বাণী এখনো স্মৃতিতে ভাস্বর।
যেমন মায়াবড়ির বিজ্ঞাপন, ’আহা মিষ্টি কি যে মিষ্টি দুজনার এই সংসার, আহা মায়া...।
লাইফবয় সাবানের এই বিজ্ঞাপনের কথা গুলো দেখুনতো মনে পড়ে কিনা।

-ক্ইগো এই নাও তোমার বাজার। ইশ, এমনিতে ময়লা আর কাদা, তার উপর লোকের ভীড়…।
-চিন্তা ক্ইরো না তোমার লাইগা লাইফবয় সাবান আইনা রাখছি। গোসল কইরা আসো।
-কী সাবান ক্ইলা?
-লাইফবয়। এই সাবান ব্যবহার করলে শরীর যেমন পরিষ্কার হয়, স্বাস্থ্য্ও থাকে ভালো।
-তাইলেতো রোজ্ই লাইফবয় সাবান দিয়া গোসল করা লাগে !
-হ।

কিংবা
গাড়িয়াল ভাই
-সময় নাই
-কই যাও?
-দুরের গাঁও।
-ফিরবা কখন?
-সন্ধ্যা যখন।
-ফিরা আইসা?
-ঘাটে বৈসা করবো গোসল, গায়ে মাখবো লাইফবয়।
-লাইফবয়…..।

আরেকটা বিজ্ঞাপনের কথা মনে পড়ে।
-হাসিনার মা, মাইয়াডারে এইবার বিয়াডা দিয়াই ফালাই।
-বিয়া দিবা, টেকা কই?
-টেকা দিবো ফুরাডান।
-ফুরাডান তো পোকা মারনের ওষুধ।
-আরে এবার ধানে পোকা লাগনের আগেই ফুরাডান ছিডায়া দিছি।
(ব্যাকগ্রাউন্ডে আওয়াজ হবে, ফুরাডান আরো ধান!)।

আরো ছিল…..গ্যা-কো-টা-চ.... গ্যা-কো-টা-চ। এন্টিসেপটিক ট্রিপল একশন সোপ (তখন এইটা উচ্চারন করতে গেলে দাঁত ভাইঙ্গা যাওয়ার মত অবস্থা হইতো)।

এপি’র দশন চূর্ন’ ছিল আরেকটা কমন বিজ্ঞাপন।
নারী কণ্ঠ: ’এই গরমে সবার চিন্তা গরমের জ্বালায় গো প্রাণে বাঁচা দায়...।
পুরুষ কণ্ঠ: আরে...ঘরে যদি থাকে সবার প্রিয় মিল্লাত গামাচি পাউডার, রইবে না গামাচি আর...। মিল্লাতেরই উপহার....মিল্লাত গামাচি পাউডার...।

গ্লোরি বেবি স্যুট!
বেবি স্যুট! বেবি স্যুট!
গ্লোরি বেবি স্যুট!
হইহই! রইরইরই!
হরেক রকম বাহারে,
গ্লোরি বেবি স্যুট!…

সংবাদ পড়ার ঢঙে ছিল আরেকটি আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপন:
এখন শুরু হচ্ছে সুন্দরীদের খবর। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সুন্দরীরা এখন আমিন জুয়েলার্সে ভীড় করেছেন। কারণ বাহারি সব গিনি সোনার গয়না তৈরি করে একমাত্র আমিন জুয়েলার্স।

লাস্যময়ী সুন্দরীদের গোপন রূপ রহস্য যে ’লাক্স’, এই ’সত্য’টা তখনই জেনে ফেলেছিলাম রেডিও’র কল্যাণে। ববিতা, অঞ্জনা, সুবর্ণা, চম্পা, বিপাশা, শমি কায়সার সহ অনেক টিভি এবং চিত্রতারকারা নাকি লাক্স দিয়ে গোসল কর্তেন। লাক্স নাকি তারকাদের ’ত্বকের ভাষা’ বুঝতো ! তাই লাক্সই ছিল ’তারকাদের সৌন্দর্য সাবান’। একদা বাংলাদেশে ’এরোমেটিক’ নামে এক্টা ‘হালাল’ সাবানও ছিল।

বস টেইলার্স! ১৪, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্তান। আমাদের কোথাও কোনো শাখা নেই।

রুমা ব্রেসিয়ার, রুমা ব্রেসিয়ার। পড়তে আরাম, দামে কম
সব মহিলার পছন্দ তাই রুমা ব্রেসিয়ার রুমা ব্রেসিয়ার…

খেতে চান কি
জ্যাম জেলী
সস, আচারঁ
মুরুব্বা, চাটনী
স্কোয়াশ।
মজাদার মজাদার
আহমেদ ফুড প্রডাকটস...।

জুতার বিজ্ঞাপন ছিল: রুপসা রুপসা রুপসা হালকা হালকা হাওয়াই চপ্পল রুপসা.....। কিংবা ‘জাম্প জাম্প... জাম্প কেডস...। পড়তে মজা, চলতে আরাম....জাম্প কেডস।

আমাদের বাসায় একব্যান্ডের পর অতঃপর তিন ব্যান্ডের রেডিও আসে। আব্বা এন্টিনা উঁচু করে বিবিসির খবর শুনতেন। শুধু আব্বা নয়, স্বৈরাচারী এরশাদের শাসনামলে যখন ’গণতন্ত্রের জন্য রাজপথে রক্তক্ষয়ী গণ-আন্দোলন শুরু হয়, সেই সময় এক পর্যায়ে সংবাদ পত্র এবং মিডিয়ার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। তখন মানুষ ’বিবিসি’ এবং ’ভয়েস অব আমিরিকা’ থেকে প্রচারিত বাংলা সংবাদ শোনার জন্য সন্ধ্যা সাতটায় এবং রাত দশটায় রাস্তার মোড়ের দোকানে কিংবা বাসা বাড়িতে ভিড় করতো।
সংবাদ পরিক্রমা এবং সংবাদ প্রবাহ ছিল বিবিসির জনপ্রিয় সংবাদ অনুষ্ঠান। বিবিসির সুবাদে আতাউস সামাদ, আতিকুল আলম, মানসী বড়ুয়া, ঊর্মি রহমান, সাগর চৌধুরী, কাদির কল্লোল প্রমুখের নাম তখন ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ভোয়া’র ব্যাপক পরিচিত সাংবাদিক ছিলেন সরকার কবির উদ্দিন।

বিবিসি এবং ভয়েস অব আমেরিকা ছাড়াও এই দেশে এক সময় ’আকাশ বাণী কলিকাতা’, রিডিও পিকিং, রেডিও তেহরানও ব্যাপক স্রোতা নন্দিত ছিল।
____________________
(লেখাটির অধিকাংশ তথ্য স্মৃতি থেকে বিন্যাস করা হলেও কিছু তথ্য বন্ধুদের কাছে থেকে এবং ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে পাওয়া)

স্মৃতিচারণ মূলক আমার আরো দুটি লেখা//
‘ফেলে আসা দিনগুলো মোর’ পর্ব-২ 'টেলিভিশন'
‘ফেলে আসা দিনগুলো মোর’ পর্ব-১ ‘সিনেমা’

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪০

শায়মা বলেছেন: কত স্মৃতি কত গান মনে পড়ে গেলো.....

একদম চলে গেলাম ছোট্টবেলায়......
রুপসা রুপসা হাওয়াই চপ্পল, জাম্প কেডসবেলায়......

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৭

ঈশান মাহমুদ বলেছেন:
একদম চলে গেলাম ছোট্টবেলায়......
আমাদের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোতো বিনোদন ছিলো রেডিও, সিনেমা আর টেলিভিশনে কেন্দ্রিক।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। :)

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৫৭

জগতারন বলেছেন:
"শোনেন রাজা
শোনেন রানী
শোনেন বলি ঘটনা
যে খেয়েছে ইস্পাহানী
সে কক্ষনো ভোলে না
ইস্পাহানী সবার সেরা
ইস্পাহানী চা"

এই বিজ্ঞাপন ১৯৬৪ সালের দিকের।
আমি সেই আমলের বালক।
আর তখন ছিল জার্মান প্রযুক্তিতে আমার মামাদের তৈয়ারী "EPSI" জুতো।
"EPSI" জুতো"BATA" জুতোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী দিয়ে চলতো।
"EPSI" জুতো টিকসইয়ে ছিল সেরা। যা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে ও তুমুল জনপ্রিয়।

ঈশান মাহমুদ
আমার মনে হয়;
আপনি ইস্পাহানী চা "EPSI" জুতো বিজ্ঞাপন তরঙ-এর একটু পরের আমলের বালক।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫০

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: ঈশান মাহমুদ আমার মনে হয়;
আপনি ইস্পাহানী চা ও "EPSI" জুতো বিজ্ঞাপন তরঙ-এর একটু পরের আমলের বালক।

জ্বী, ঠিক বলেছেন। আমার জন্ম এবং বেড়ে উঠা সত্তর এবং আশির দশকে। ইস্পাহানী চা তো এখনো আছে। কিন্তু "EPSI" জুতার কথা মনে পড়ছে না। ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: রেডিও নিয়ে কতোশত স্মৃতি! এখন সেই রেডিও ঘরের স্টর রুমে বস্তা বন্দী!

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫০

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: স্টোর রুমে বন্দী মানে ! ওটা এখন এন্টিক হয়ে গেছে ভাই। শো-কেসে সাজিয়ে রাখার মতো জিনিস। বর্তমান প্রজন্মের জন্য বিস্ময়। :)

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই সৃতি আমার সাথে সাথে অনেকখানি মিলে গেছে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫১

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: হয়তো আমরা সমসাময়িক। একই সময়ের সাক্ষী। অনেক ধন্যবাদ ভাই। :)

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: দারুন সব স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। যদিও আশির দশকে টিভি ছিল কিন্ত রেডিও খুব শোনা হত। গানের ডালি, ওয়ার্ল্ড মিউজিক এবং বিবিসি ভোয়া রেগুলার শোনা হত সেই সময়ে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৫

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: হুম, আশির দশকটা ছিলো রেডিও, টেলিভিশন আর সিনেমার যুগ। তখন আমাদের চিত্ত বিনোদনের প্রধান মাধ্যম ছিলো এগুলো। অনেক ধন্যবাদ ভাই। :)

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: রেডিও তে আমি কিছু গান টান শুনেছি।

আমার দাদা একদিন হঠাত অন্ধ হয়ে যান। তখন তার সব সময়ের সঙ্গী ছিলো একটা রেডিও। সারাক্ষণ রেডিও কানের কাছে নিয়ে রাখতেন।

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৩

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: একসময় রেডিও ছিলো বিনোদনের অন্যতম অনুষঙ্গ। এখন সেটা ইতিহাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.