নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবিংশ শতাব্দীর প্রজন্ম

আমি বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখি না।। দেশ আমাকে নিয়ে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে ।।

আমি সিহাব

নিজেকে নিয়ে কি আর লিখবো ।। তারপরেও কিছু লেখার চেষ্টা করছি। আমি খুব সাধারন একজন মানুষ । আমার সবচেয়ে বড় দোষ হচ্ছে আমি অতিতে ঘটে যাওয়া কিংবা সামনে ঘটতে পারে এমন ঘটনা নিয়ে বছরের প্রায় ৩৬০ দিনই মন খারাপ করে থাকি । আমার সবচেয়ে বড় গুন হচ্ছে সম্মানিত লোক কে আমার সম্মান দিতে খুব ভালো লাগে। আমি খুব চঞ্চল প্রজাতির খুব ভদ্র এবং অলস টাইপের লোক । বর্তমানে আমি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে অধ্যয়নরত আছি ।

আমি সিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

" ঈদকার্ড" বাংলার এক বিলুপ্ত প্রায় সংস্কৃতির নাম ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

ঈদকার্ড বাংলার বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃতির মধ্যে একটি । ঈদকার্ড মূলত এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু , শুভাকাঙ্ক্ষী দের ঈদের শুভেচ্ছা দেয়া হয় । এক সময় মনে হতো কাওকে ঈদের শুভেচ্ছা দেয়ার জন্য ঈদকার্ড ই একমাত্র মাধ্যম ।



আগে যখন খুব ছোট ছিলাম ।।তখন রমজানের শুরুতেই এলাকার প্রতি মোড়ে মোড়ে ঈদকার্ড এর দোকান দেখা যেত, এগুলো সাধারনত ঈদের আগের দিন অথবা ঈদের দিন পর্যন্ত স্থায়ী হত ।বিশেষ করে ঈদের কিছুদিন আগে যখন সব ফ্রেন্ড বাসায় আসতো তখন ওইসব দোকান গুলো তে দিনভর আড্ডা চলত । সেই আড্ডা গুলো এখনো স্মৃতি হয়ে গেছে ।



বাসায় আসলেই মনে হইত ঈদ মানেই নতুন জুতার পাশাপাশি ঈদ মানেই ঈদ কার্ড । কিন্তু এখন আর এই ঈদকার্ডের দোকান আগের মতো দেখা যায় না । বর্তমান এই ডিজিটাল এস এম এস এর যুগে ঈদকার্ডের ব্যবহার প্রায় নাই বললেই চলে । এখন আর এলাকায় আসলে আগের মতো ঈদকার্ডের দোকান দেখা যায় না । এখন আর ঈদ আসলে কেউ কাওকে ঈদ কার্ড দেই নাই । একসময়ের অতি প্রচলিত প্রথা আজ বাংলার ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে । বর্তমানে ঈদের শুভেচ্ছা পাঠাতে সবাই এস এম এস নির্ভর হয়ে গিয়েছে । যান্ত্রিক এই জীবনে সবকিছুই যান্ত্রিক হয়ে গিয়েছে , এখন আর কাগজের খামে আঁকা নকশা কেউ কাওকে দিতে চায় না । কিন্তু ঈদকার্ডের মাধ্যমে আপনি ঈদের যে শুভেচ্ছা পাঠাতেন আমি নিশ্চিত এস এম এস কিংবা ফেসবুকে এর শতকরা ১০ ভাগ ও পূরণ করতে পারবেন না ।/:)



আজ অনেক ছোট শিশুরা জানেই না ঈদকার্ড কি । আমি আমার এক ৫ বছরের কাজিন কে বললাম ঈদকার্ড কি ? সে আমাকে উত্তর দিল ঈদ কার্ড হচ্ছে ঈদের সালামি হিসেবে দেওয়া মোবাইলের রিচারজ কার্ড। এই হোল আমাদের নতুন প্রজন্মের অবস্থা । একসময় এমন অবস্তা হতে পারে কেউই ঈদকার্ড চিনবে না । তখন কেউ কেউ হইত একে রূপকথার মিথ্যা গল্প বলেই বিশ্বাস করবে । হইত তখন ঈদকার্ডের আলোক চিত্র প্রদশ্যিত হবে । তখন এটি হবে আমাদের বিলুপ্ত সংস্কৃতি ।



আমরা কেউই চাইবো ঈদকার্ড আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাক । কারন এটা আমাদের সংস্কৃতি , এটা আমদের ঐতিহ্য । আমরা একে হারিয়ে যেতে দিতে পারি না । তাই আসুন আমরা ঈদকার্ডের মাধ্যমে আমাদের প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানাই । আরও অনেক কিছু লিখার ছিল .. লিখতে পারলাম না বলে দুঃখিত।/:)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৯

হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ঈদকার্ড ব্যাপারটায় আসলেই অন্যরকম একটা ঈদের আমেজ পাওয়া যেত যা এস এম এস বা অন্য কোন মাধ্যমে কখনই পাওয়া সম্ভব না। জানি চাইলেই আর ফিরে পাব না তাই হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবার প্রত্যাশাটাও ক্ষীণ। শুভকামনা।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০২

খেয়া ঘাট বলেছেন: চিঠি, ডাকঘর, রানার , পোস্ট অফিস...........সব সব ডিজিটালের গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

আমি সিহাব বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্যে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.