নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবিংশ শতাব্দীর প্রজন্ম

আমি বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখি না।। দেশ আমাকে নিয়ে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে ।।

আমি সিহাব

নিজেকে নিয়ে কি আর লিখবো ।। তারপরেও কিছু লেখার চেষ্টা করছি। আমি খুব সাধারন একজন মানুষ । আমার সবচেয়ে বড় দোষ হচ্ছে আমি অতিতে ঘটে যাওয়া কিংবা সামনে ঘটতে পারে এমন ঘটনা নিয়ে বছরের প্রায় ৩৬০ দিনই মন খারাপ করে থাকি । আমার সবচেয়ে বড় গুন হচ্ছে সম্মানিত লোক কে আমার সম্মান দিতে খুব ভালো লাগে। আমি খুব চঞ্চল প্রজাতির খুব ভদ্র এবং অলস টাইপের লোক । বর্তমানে আমি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে অধ্যয়নরত আছি ।

আমি সিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার পথ দেখানো পথিকরা আজ বাংলার এরূপ দেখিয়া নিজেরাই দিশেহারা হতবাক

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

শীতের দুপুর, তাই হয়তো রোদটা একটু মিষ্টি। ৪ জন পথিক!! একসাথেই হাটতেছেন । ৪জন পথিকই প্রায় একাধারে ৪২ বছরের বেশি ঘুমিয়েছেন । পথে হাটার সময় অনেকেই তাদের দিকে লক্ষ্য করেছেন , তাদের এই উদ্ভট জামাকাপড়ের জন্যে । তাদের কেউই নিজের সঠিক ঠিকানা মনে করতে পারতেছেনা । হাটতে হাটতে এক পর্যায়ে তারা লক্ষ্য করলেন দূর ফসলের মাঠে এক কৃষকের আর্তনাদ শুনা যাচ্ছে । সেই ৪জনের ১ জন হঠাত কেঁদে উঠলেন । তিনি হলেন মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানী (ডিসেম্বর ১২, ১৮৮০-নভেম্বর ১৭, ১৯৭৬)... যিনি তার সারাজীবন এই গরিবদুঃখী মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন ।তিনি অই ৩ পথিককে প্রশ্ন করেন আমি কি আমার বাংলাকে এইভাবে রেখে গেছি ।

আবার কিছুদুর হাটতে হাটতে তারা এবার গ্রাম থেকে শহরের রাজপথে চলে আসলেন । কিন্তু এ কি রাজপথ আজ উত্তাল । কিন্তু এই উত্তালের কারন জানতে গিয়ে অই ৪ জন পথিকের কেউ একজন কেঁদে উঠলেন । অই পথিকটি হলেন লহোর প্রস্তাবের নায়ক শের-এ-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক (অক্টোবর ২৬, ১৮৭৩ - এপ্রিল ২৭, ১৯৬২) ... যেই বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্যে যিনি একাধারে খেলাফত আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, প্রজা অধিকার আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।। সেই বাংলার মানুষ আজ ক্ষমতা লাভের আন্দোলনে মরিয়া । তাই তো তিনি আজ নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছেন ।

পথিক গুলা আবার নিজেদের গন্তব্যে হাটতেছেন। পথিমধ্যে এক ভিক্ষুক কে দেখলেন ১ টাকা হাতে, যাতে অই ৪ জন পথিকের কেউ একজনের ছবি দেয়া । কিছু না বুঝতে পেরে সামনে এগুলেন । কিছুদুর যেতেই দেখলেন এক মুক্তিযোদ্ধার করুন পরিনতি । । তখন অই পথিক গুলার বাকি ২ জনও কাঁদতে শুরু করলো। আর তারা হলেন বাংলার স্বাধীনতার অগ্রদুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (মার্চ ১৭, ১৯২০ - আগস্ট ১৫, ১৯৭৫) এবং বীর উত্তম জিয়াউর রহমান (জন্ম: ১৯ জানুয়ারি, ১৯৩৬ - মৃত্যু: ৩০ মে, ১৯৮১)... অবশ্য এই দুই পথিক তাদের মুক্তিযুদ্ধের করুন পরিনতি লক্ষ্য করেছেন আরো আগে ।। যখন এই জাতি তাদের স্বাধীনতার পুরষ্কার সরুপ দিয়েছিল মৃত্যুদন্ড। তাই আজ তারা নিজেরাই নিজেদের কাছে লজ্জিত । তারা নিজেরাই নিজেদের ধিক্কার দিচ্ছে কেন তাদের এতো দেশপ্রেম ছিল যে নিজের জীবনকে বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে।সেই ২ পথিক যেন পুরো জাতির কাছে লজ্জিত ... কারন দেশের এই পরিনতের জন্য তাদের নিজেদের পরিবার(একজনের কন্যা ও অন্যজনের স্ত্রী) দায়ী ।

.........

৪ জন পথিক বাংলার ৪ নক্ষত্র । কিন্তু আজ কিছু ক্ষমতালোভী মানুষের কারনে বাংলার মানুষ তার ইতিহাস কে সঠিক ভাবে জানতে ... বলতে ব্যর্থ হচ্ছে ।আমি আবার আমি কে সেই বাংলায় ফিরে পেতে চাই ।



বিঃদ্রঃ লেখাটা বেশি ছোট করতে গিয়ে লেখাটা কিছু অগোছালো হয়েছে । সবাই নিজ দায়িত্তে বুঝে নিবেন

.. এই লেখাটি প্রথম আমার ফেসবুক স্টাটাস হিসেবে প্রকাশ করেছিলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.