নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারা হেই লৌহ কপাট

লৌহ কপাট

লৌহ কপাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় সংশোধনী আসছে সংসদ অধিবেশনে;

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

সোনিয়ার মতো নীতিনির্দেশক থাকবেন শেখ হাসিনা;



নতুন নেত্রী হতে পারেন শেখ রেহানা



সরকার আগামী নির্বাচন নিয়ে বড় রকমের একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে এগোতে শুরু করেছে। এ পরিকল্পনা অনুসারে সংবিধানে আরেকটি সংশোধনী এনে দু’বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে না পারার বিধান আনা হবে। এ সংশোধনী সংসদেরআগামী অথবা এরপরের অধিবেশনে আনা হতে পারে। সংশোধনীতে একই সাথে নির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের একটি রূপরেখার কথাও ভাবা হচ্ছে। এতে নির্বাচিত দলীয় ব্যক্তিদেরসমন্বয়ে ছোট একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে। এ সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন অনূর্ধ্ব তিন মাস ক্ষমতায় থাকবে। প্রশাসনে বড় কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ এ সময় থাকবে না। সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র থেকে এটি জানা গেছে।

সূত্রের তথ্যানুযায়ী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী না হয়ে ভারতের সোনিয়া গান্ধীর মতো রাজনৈতিক ও নীতিনির্ধারণ অভিভাবকের ভূমিকায় থাকতে চান। তিনি মনে করেন, সংবিধানে পরিবর্তন অথবা নতুন আইন করে দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আনা গেলে একই সাথে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রী নিজে ক্ষমতা থেকেবিদায়ের একটি নিরাপদ প্রস্থানের পথ পাবেন। দ্বিতীয়ত, দেশের মানুষ এটিকে প্রধানমন্ত্রীর স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ত্যাগের উদার পদক্ষেপ হিসেবে দেখবেন এবং বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রচারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তৃতীয়ত, পশ্চিমা উন্নয়ন সহযোগীরা এ বিধানকে ইতিবাচকভাবে নেবেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তারা বিরক্ত হলেও এ উদ্যোগে সমর্থন দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চতুর্থত, শেখ হাসিনা নতুন মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নাহলেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো শেখ পরিবারের উত্তরাধিকার হিসেবে শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয় রয়েছেন। জিয়া পরিবারে খালেদা জিয়ার পর তারেক রহমান যাতে কাণ্ডারির ভূমিকায় না আসতে পারেন, তার জন্য কোনো মামলায় তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এর ফলে আওয়ামী লীগের জন্য নেতৃত্বে সঙ্কট থাকবে না, যেটি বিএনপিতে থাকবে। পঞ্চমত, দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিরোধী দলের নেতাদের অনেকে খুশি হবেন; যারা গোপনে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করতে পারেন।

জানা গেছে, সরকারের শীর্ষ মহলের পরিকল্পনা অনুসারে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন করা হবে। এর মধ্যে সংবিধানে সংশোধনী এনে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্দিষ্ট করা ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের একটি ব্যবস্থাও সন্নিবেশিত করা হতে পারে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ একেবারেই সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। প্রশাসনে পরিবর্তন আনার এখতিয়ার সরকারের পরিবর্তেনির্বাচন কমিশনে অর্পণ করা হতে পারে।

জানা গেছে, জুন নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য সামনে রেখে প্রশাসনকে বিন্যাসের প্রস্তাব দেয়ার জন্য সরকার সমর্থক আমলাদের একটি গ্রুপকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বিষয়টি দেখাশোনা করছেন।

সরকারের শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের হিসাব অনুসারে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার’ কার্যক্রম মাস দু-একের মধ্যে শেষ করে আনা হবে। এ মামলায় শাস্তি হলে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান নির্বাচনের অযোগ্য হয়ে যেতে পারেন। সেটি যদি না-ও হয় তাহলে দু’বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিরোধীদলীয় নেত্রীর পক্ষে সরকারের নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব হবে না। বর্তমানে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রিত্ব চলছে। আর এর আগেই বেগম জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এর মধ্যে দু’বার তিনি পূর্ণ মেয়াদ ক্ষমতায় ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর অনুযায়ী, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে দু’বারের প্রধানমন্ত্রী সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন নাÑ এমন বিধান করা যায়। কিন্তু এটি হলে পরে সংসদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আইন সংশোধন করেই এ বিধান তুলে দেয়া যায়। আবার আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হলে সংবিধানপরিপন্থী বিবেচনায় তা বাতিল হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। এ কারণে সংবিধানের প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ দানসংক্রান্ত ৫৬ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন অথবা সেখানে একটি উপবিধি সংযোজন করে নিষেধাজ্ঞার বিধান আনার চিন্তা করা হচ্ছে। এটি হলে পরবর্তী সংসদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিধানটি বাতিল করা যাবে না।

জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত সীমিতপর্যায়ে বিরোধী দলের কোনো কোনো নেতা ও কূটনৈতিক মিশনের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে পর্দার অন্তরালে আলোচনা চলছে এমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক কালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ শীর্ষপর্যায়ের কয়েকজন নেতাকে কারারুদ্ধ করা এবং একের পর এক মামলা দেয়ার সাথে এ পরিকল্পনার একটি যোগসূত্র রয়েছে বলেও আভাস পাওয়া গেছে। এ পরিকল্পনায় কেউ বাদ সাধলে অথবা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের স্বার্থে আরো বিরোধী নেতাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এমনকি খোদ বিরোধীদলীয় নেত্রীকে অন্তরীণ করার বিষয়টিওপরিকল্পনা থেকে একেবারে বাদ দেয়া হয়নি।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

মদন বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে ভালো হবে।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

কবি মনির বলেছেন: দুই বুড়ীর হাত থেকে বাঁচবো

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

মদন বলেছেন: কোনো দলের প্রধানও ২ টার্মের বেশি থাকতে পারবে না এমন আইনও পাশ করা প্রয়োজন।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: যদি এটা করা হয় দেশের জন্য খুবই ভাল হবে

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
হলে খুব ভাল হয় ।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

শয়ন কুমার বলেছেন: কোনো দলের প্রধানও ২ টার্মের বেশি থাকতে পারবে না এমন আইনও পাশ করা প্রয়োজন।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

বিজয় বেষ্ট বলেছেন: ভাই এতে দেশ ও জনগনের জন্য ভাল হবে? আমি এর সাথে একমত।

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫০

শয়ন কুমার বলেছেন: হাঃছিনা ,খাঃলেদ্যা হাত থেকে বাচবার চাই

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২১

মোঃ সুজন খান বলেছেন: খুব ভাল হয়

১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১২

মেঝদা৬১ বলেছেন: ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।

১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৮

মাহমুদডবি বলেছেন: আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আর কোনো মহিলাকে দেখতে চাই না।

১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩২

লৌহ কপাট বলেছেন: আমিও চাই একটা পরিবত্তন।

১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৫

বটতলার টারজান বলেছেন: তাইলে নব্য সাংসদ যাতে প্রধানমন্ত্রী না হতে পারে সেই নিয়মওঁ করা উচিত ! তাইলে জয়- তারেক প্রমুখ আবালেরা গুষ্টির মত একলাফে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না !

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২০

লৌহ কপাট বলেছেন: টারজান ভাই খুব সুন্দর যুক্তি উপস্থাপন করসেন।

১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০০

েনাঙর বলেছেন: আইনি আমার দৃষ্টিতে খুবই সুন্দর। তবে এটিকে আরো একটু বিস্তৃত করে দলীয় পর্যায়ে নিয়ে আসলে ভালো হয়। প্রতিটি দলের চেয়ারপার্সন সর্বোচ্চ দুইবারের অধিক হতে পারবেনা। এতে জনগণ নামের জিনিটটি হয়তো কোন একটি যোগ্য নেতৃত্বদানকারী পাবেন; যেমনটা তারা আশা করেন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

লৌহ কপাট বলেছেন: নোঙর ভাই ঠিক বলছেন ।

১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২২

আিম এক যাযাবর বলেছেন: বিএনপিকে আরো চাপে ফেলার জন্যই এই সংশোধনী। আওয়ামী ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার সংশোধনী। আম জনতার খুশি হবার কিছু নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.