নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেইল[email protected], স্বপ্ন দেখি শুদ্ধ মানুষ হওয়ার, সোনার বাংলা গড়ার। শখ, লেখালেখি, ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গি বই। ভালবাসি মাকে, নিজেকে, আমার বাবাকে।
আত্মহত্যার মতো একটি মহা সমাধানকে একজন লেখক ‘‘আত্মহত্যা কোনোকিছুর সমাধান নয়’’ বলে চালিয়ে দিল। অনেকেই আমার সঙ্গে একমত হবেন না। তারা ওই লেখকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলবেন, ইউ আর রং, আত্মহত্যা কোনকিছুর সমাধান নয়।
বিয়ের পর বউকে নিয়ে একটি ছেলে তার মায়ের গায়ে হাত তুলল। আচ্ছা, বলুন তো, এখন এই মায়ের জন্য আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথটি খোলা আছে? প্রত্যেকটি আত্মহত্যা এমন একটা জায়গায় গিয়ে-ই তবে সংঘটিত হয়। আবেগ তাড়িত বিষয় নিয়ে কখনো আত্মহত্যা ঘটে না। মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নেয় বাস্তবতার শিকার হয়ে।
আত্মহত্যা থেকে বাঁচানোর জন্য মানুষকে শেখানো হয় পজেটিভ থিংকিং অর্থাৎ স্বপ্ন দেখো, দিবাস্বপ্ন হলেও দেখো। তাহলে কি হবে? তাহলে ওই স্বপ্ন ছোঁয়ার আশায় তুমি বেঁচে থাকবে। আত্মহত্যা থেকে বাঁচানোর জন্য আরও অনেক ধরনের কথা বলা হয়। অনেক সময় এগুলো আমরা কোনও শিক্ষিত মূর্খ ডাক্তার থেকে শুনি আবার অনেক সময় আমাদের চারপাশের মানুষদের নিকট থেকে। কিছু যৌক্তিক কথা শুনিয়ে একটা মানুষকে কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা।বিভিন্ন কথা দিয়ে মিথ্যে আশা তৈরি করার চেষ্টা।
অনেক সময় এগুলোতে মানুষটির কান ভরে মন ভরে না। তাই অনেক কিছুর পরও লোকটি আত্মহত্যা তথা মুক্তির পথ বেছে নেয়। আবার অনেক মানুষ বেঁচে যায় ওই মিথ্যে স্বপ্ন দেখার লোভে। মিথ্যে স্বপ্ন দেখাতে ‘‘শ্রেণিটি’’ সফল হয়।
তবে আমার মনে হয় এক্ষেত্রে ধর্মের জ্ঞানটা ‘তাদের’ ভেতর ঢুকিয়ে দেয়া যেতে পারে। কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে যাদের ভেতর ধর্মের জ্ঞান আছে তারা পরকালে জান্নাত লাভের আশায় আত্মহত্যার পথে বাড়ায় না। শত ডিপ্রেশন, কষ্ট, ক্ষোভ নিয়ে বেঁচে থাকে।
মানুষ কেন আত্মহত্যা কেরে
বিষণ্ণতা। একা থাকা। উৎসাহ-উদ্যম হারিয়ে ফেলা। ঘুম কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া। রুচি কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া।ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া। কাজকর্মে শক্তি না পাওয়া। মনোযোগ হারিয়ে ফেলা। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া। নিজেকে নিঃস্ব অপাঙক্তেয় মনে করা। অযাচিত অপরাধবোধ ও আত্মহত্যার কথা বলা, ভাবা। এই লক্ষণগুলো টানা দুই সপ্তাহের বেশি থাকলে তাকে তাকে বলা হয় মেজর ডিপ্রেশনের রোগী। বলা যায়, তিনি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছেন। আরও হাজারও কারণ থাকে আত্মহত্যার। প্রত্যেকের সমস্যা ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু একটা সময় পরে গিয়ে একে একটা ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। অঙ্কুরে সবার সমস্যা আলাদা আলাদা।
‘‘যে কোনো সমস্যায় আত্মহত্যা নিয়ন্ত্রণের উপায় হলো কাছের কাউকে তার সমস্যার কথা খুলে বলা। খোলোমেলা আলোচনা করা। কখনোই কোনো সমস্যা নিজের মধ্যে পুষে না রাখা। সমস্যা পুষে রাখলে বিষণ্ণতায় পরিণত হয়।
-এক সময় আপনি আত্মহননের দিকে এগিয়ে যাবেন।’’
অনেকে মনে করেন বাংলাদেশে প্রেম ভালোবাসায় ব্যর্থ হয়ে অধিকাংশ মানুষ আত্মহত্যা করেন। এই ধারণাটা ভুল। ভালোবাসায় কষ্ট পেয়ে মাত্র ১১.৮% মানুষ আত্মহত্যা করে। তবে পারিবারিক সমস্যায় আত্মহত্যার হার বেশি। ৪১.২% মানুষ পারিবারিক সমস্যায় আত্মহত্যা করেন।
মৃত্যু মানুষ পর্যন্ত পৌঁছাবেই। আত্মহত্যা অন্যান্য মাধ্যমের মতো সামান্য একটি মাধ্যম মাত্র।
২| ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি নিজে কি আত্মহত্যা করবেন?
৩| ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি মাদ্রাসায় পড়েছেন, আপনার পোষ্ট ইত্যাদি নীচু মানের।
০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:১০
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: জি ধন্যবাদ
৪| ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আত্মহত্যা শব্দটাই আমার খুব অপছন্দ।
৫| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ৯:০৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এমনিতেই মানুষ মরে শেষ । আপনি আবার আত্মহত্যার গল্প লিখেছেন
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: যারা আত্মহত্যা করবে বলে কখনো সীদ্ধান্ত নিয়েছিলো, তারা জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে মানবসেবা করুক। জীবনের মর্মার্থ উপলব্ধি করতে সমর্থ হবে।
এই লেখাটা পড়তে পারেন, আত্মহত্যার ইতিকথা; কারণ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা।