![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৩.
আকাশের দিকে তাকানোমাত্রই মনে হলো পুরো পৃথিবী হঠাৎ করে হলুদ হয়ে গেছে । চৈত্রের মাতাল করা রোদে পুড়ে যাচ্ছে পুরো ঢাকা শহরের রাজপথ । কিছু কিছু রোদ আছে যা গায়ে মেখে বসে থাকলে মনের মধ্যে গাঢ় অবসন্নতা কাজ করা শুরু করে । ইচ্ছে হয় যেভাবে বসে আছি তাবৎ জীবন সেভাবে বসেই থাকি । বাকী পৃথিবী গোল্লায় যাক । আজকের রোদ অনেকটা এই ধরনের । এই রোদে স্নান করবার আনন্দ অন্যরকম । বিদেশীরা সী-বিচে অর্ধ-নগ্ন হয়ে শুয়ে শুয়ে সান-বার্ন নেয় । এটা তাদের রিক্রিয়েশনাল সংস্কৃতির একটা অংশ । আমরা অহরহ এমন সান-বার্ন নেয়ার কথা ভাবতেই পারি না । বলা হয় রবীন্দ্রনাথ নাকি তাঁর চোখে দেখে যাওয়া সবকিছু নিয়ে কবিতা লিখে গেছেন । রৌদ্রস্নান নিয়ে কি তাঁর কোন কবিতা আছে ? রৌদ্রস্নানের অদ্ভুত সুন্দর একটা বাংলা আছে । আতপস্নান । রোদে গোসল করার নাম ‘আতপস্নান’ কেন হলো জানতে ইচ্ছে করছে ।
‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল’ বলে একটা প্রবাদ আছে । আমি রোদের মধ্যে হেঁটে চলছি হুইলচেয়ারে চড়ে । আমাকে ঠেলে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে মোফাজ্জল মিয়া । তাকে দিনশেষে তিনশ’ টাকা দিতে হবে । বিনিময়ে সে সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় আমার হুইলচেয়ার ঠেলে দেবে । রৌদ্রের মাতাল দুপুর আমাকে যেভাবে অভিভূত করেছে তাকে সেভাবে করতে পারে নি বলাই বাহুল্য । সে একটু পর পর ডান হাতের উলটো দিকে কপালের ঘাম মুছে ফোঁসফোঁস করে বলছে, ‘শালার রোদ্রু’ । সে হুইলচেয়ারের পেছনে থাকায় তার মুখের ভাব ধরতে পারছি না । আমি ওঁৎ পেতে ছিলাম কখন সে আবার ‘শালার রোদ্রু’ বলবে আর আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তার বিরক্তি-মাখা মুখ দেখবো । অনেকবারই বলেছে । কিন্তু আমি ঠিক সময় ঘাড় ঘুরাতে পারছি না । টাইমিং মিলছে না ।
সকাল থেকে হাঁটাহাঁটি চলছে । এখন দুপুর । আমরা আছি মৌচাক এলাকায় । মোফাজ্জল মিয়ার স্যান্ডেল রোদগলা পিচে চুম্বকের মত আটকে যাচ্ছে । তাকে হাঁটতে হচ্ছে পা টেনে টেনে । পিচের ওপর হুইলচেয়ারের চাকার দাগও বসে যাচ্ছে এমনই কড়া রোদ । প্রতিটি দালানের ওপরে ধোঁয়া-ধোঁয়া একটা ভাব । প্রচন্ড তাপ ধূলা-বালির লেয়ারকে ওপরের দিকে টানছে । আশেপাশের বাতাস এখন স্বচ্ছ ।
একপাশের রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে । ফ্লাইওভার বানানো হবে । তাই আগের রাস্তা বাতিল । আমি জানতাম বর্ষাকাল হচ্ছে রাস্তা সংস্কারের শ্রেষ্ঠ সময় । এখন মনে হচ্ছে ঘটনা তা না । আমি কিছুক্ষন বসে বসে সংস্কারকাজ দেখলাম । শুধু যে আমি একা তা নয় । সাঁপুড়ের খেলা দেখাবার সময় যেমন মানুষ গোল হয়ে জমায়েত হয়, এখানেও ঠিক ঐভাবে লোকজনের সমাগম । আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম, এই জিনিস দেখবার জন্য এতো মানুষ ভীড় করে দাঁড়িয়ে আছে কেন ? তিনজন মিলে একটি বিশালকায় পেরেককে হাতুরি মারছে । একজন বুড়ো, আর দুজন জোয়ান । কাজটা হচ্ছে সাকসেসিভলি । বুড়ো প্রথম আঘাত করে হাতুরি সরিয়ে নিতে না নিতেই জোয়ানের হাতুড়ি পড়বার শব্দ হয় । শব্দগুলো এতোই প্রকট যে মাথার মধ্যে ঘন্টা বাজার মত একটা ব্যাপার শুরু হয় । শব্দের একরকম খেলার সৃষ্টি অবশ্যি হচ্ছে । অনেকটা মন্দ্রসপ্তকের মতন । শব্দের এই খেলা শুনবার জন্যই কি এরা দাঁড়িয়ে আছে ?
মুখ ঘুরিয়ে দেখলাম মোফাজ্জলের রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে কোন আগ্রহ নেই । সে বিরস দৃষ্টিতে গর্তের দিকে তাকিয়ে আছে । চুক্তি করবার সময় মোফাজ্জল মিয়া অস্বাভাবিক উৎফুল্ল ছিল । এখন তার ভাগশেষও অবশিষ্ট নেই । মাঝে মাঝে সে হুইলচেয়ার থামায় । আমাকে বলে, ‘ভাইজান আর কত ? চলেন বাড়িত যাই । টাকা কিছু কম দিয়েন । রোউদ উঠছে সেরা । পুইড়া তো কয়লা হইয়া যাইবেন ।’
আমি তখন তার নাম ধরে ক্ষীণকন্ঠে ডাক দেই, ‘মোফাজ্জল মিয়া !’ । সে আগ্রহভরে শুনতে চায়, ‘চলো ! তাহলে ফিরে যাই ।’ তার মনে যখনই এমন আশা কাজ করা শুরু করে, আমি ঠিক তখন তার আগ্রহে পানি ঢেলে দিয়ে বলি, ‘জোরে ঠেলো’ । সে আবার দমে যায় । প্রকৃতির একটা অংশ সবসময় আমাদের স্বপ্নকে বিধ্বস্ত করার প্রক্রিয়ায় কাজ করে । আমরা সবাই কোন না কোনভাবে সেই অংশের মধ্যে আছি । অন্যদিকে, আমরা সবাই নিজেদের মতো করে নিজেরা স্বপ্ন দেখছি । তার মানে হচ্ছে, আমরা নিজেরাই আমাদের স্বপ্নকে বিধ্বস্ত করছি ।
‘ভাইজান ভাত খাইবেন না ?’
আমি চোখ তুলে বললাম, ‘ক্ষিধে নষ্ট হয়ে গেছে । ভাত খেতে ইচ্ছা করছে না । ভাবছি আজ উপাস দেবো ।’
‘ভালা । দ্যান । উপাস দ্যান । উপাস দেওন ভালা ।’
‘তোমার কি ক্ষুধা লেগেছে নাকি ?’
‘গরীবের পেট । ক্ষিদা তো লাগবোই ।’
‘কি খেতে ইচ্ছা করছে ?’
‘ভাইজান এমুন খিদা লাগছে, মনে হইতেছে ফুটপাত থিকা ইটা উঠাইয়া চাবানি শুরু করি ।’
‘তাহলে একটা ‘ইটা’ নিয়ে আসো । আমিও ‘চাবান’ দিয়ে দেখি খেতে কেমন লাগে । দরকার হলে একটু সস্ বা টেস্টিং সল্ট মাখিয়ে খাওয়া যেতে পারে ।’
মোফাজ্জল মুখ কালো করে বলল, ‘ভাইজান গরীবের সাথে সব করবেন । খালি খাওয়া-খাদ্য নিয়া রঙ্গ তামাশা করবেন না ।’
‘আচ্ছা । আর করবো না । চলো ! কোন একটা রেস্টুরেন্টের দিকে যাই । তোমার খাওয়া দেখি । ক্ষুধার্ত মানুষের খাওয়া-দাওয়া দেখতে ভালো লাগে ।’
‘সামনের ছাপড়া হোটেলে ঢুইকা পড়ি, কি কন ভাইজান ?’
‘ক্ষুধা যখন বেশি লেগেছে তখন ভালো কোন রেস্টুরেন্টেই চলো ।’
‘গরীব মানুষ । ক্ষুধা বেশি । বাজেট কম ।’
‘তোমার আজকের খাবারের বিল আমি দেবো । দেখি তুমি কত খেতে পারো ।’
মোফাজ্জল দ্রুত হুইলচেয়ার ঠেলে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে নিয়ে এলো । হোটেলের নাম ‘ডি কস্তুরী’ । আমাকে হুইলচেয়ারসহ সে রেস্টুরেন্টে ঢুকিয়ে ফেলল । হুইলচেয়ারে বসে রেস্টুরেন্টে খেতে আসা বোধহয় অদ্ভুত কিছু । লোকজন আমাদের দিকে অবাক হয়ে তাকাচ্ছে । মনে হচ্ছে আমরা মন্ত্রীগোছের কেউ । হোটেলের কর্মচারীরা খুব সম্ভবত সঙ্গীতপ্রেমী । মৃদুলয়ে বিভিন্ন পুরোনো দিনের গান চলছে । বেশিরভাগ গানই মরা মরা । আমি গান শুনতে শুনতে হুইলচেয়ারে গা এলিয়ে দিলাম ।
টেবিলে খাবার দেয়া হয়েছে । গরুর মাংসের হলুদাভ খিচুড়ি, সাথে পিয়াজী ঝোল । মোফাজ্জল দ্রুত এক প্লেট শেষ করে আরেক প্লেটের অর্ডার দিল । তার খাওয়া দেখতে ভালোই লাগছে । তীব্র গরমের মধ্যে সে দু প্লেট খিচুরী কিভাবে শেষ করে ফেলেছে তাও এক রহস্য । আমি বললাম, ‘মোফাজ্জল, খাবার কেমন ?’
মোফাজ্জল লেবু কচলাতে কচলাতে বলল, ‘এরার খানা- বেহেশতী খানা’
‘আরো কিছু খাবে ?’
মোফাজ্জল মিনমিন করে বলল, ‘একটা আস্তা মুরগী চিবায়ে খাইতে ইচ্ছা করতেছে ভাইজান । চক্ষুলজ্জ্বার কারনে বলতে পারতেছি না ।’
‘এখানে পাওয়া যায় নাকি ?’
‘জ্বি ভাইজান । পাওয়া যায় । এরা বলে ‘গিরিল’ । আস্তা মুরগীর গায়ে নানান তালের মসল্লা মিশায়ে হিট দেয় । ভিতরে ফুটা করে ঢুকায়ে দেয় রসুনের কোয়া । ঝাঁঝ হয় বেসম্ভব । হিটে মুরগীর গোশতে গোশতে মসল্লা ঢুইকা পড়ে । কাবাব থেকে বেহেশতী সুঘ্রান আসে । বিপুল সোয়াদ ।’
‘বিপুল সোয়াদ হলে তো খাওয়া দরকার । তোমার বিবরণ শুনে তো আমারও খেতে ইচ্ছা করছে । দুটাই দিতে বলো । আমিও খেয়ে দেখি ।’
মোফাজ্জলের চোখ আনন্দে জ্বলে উঠলো । সে দুটা গ্রীল কাবাবের অর্ডার দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আগ্রহ নিয়ে বলল, ‘ভাইজান কি পান খাইবেন নাকি ?’
আমি মাথা ঝাকাতেই মোফাজ্জল হোটেল বয়কে চোখ টিপে বলল, ‘দুইটা পান । দুইটা সিগ্রেট আর একটা ঠান্ডা ‘স্পাইট’ নিয়া আসো । কুইক ।’
হোটেল বয় মধ্যবয়স্ক । হোটেলের গরমে ঘুরে ঘুরে সেও তেঁতে আছে । মুখচোখ কুঁচকে রেখেছে । সে নিস্পৃহ ভঙ্গিতে বলল, ‘স্প্রাইট নাই । কোক হবে । পেপসি হবে ।’
মোফাজ্জল গলা খাঁকারি দিয়ে বলল, ‘কালা পানি এই মোফাজ্জল খায় না । স্পাইট নাই আবার কি ? মুদির দোকান খুইলা বসছো ? যাও । বাইরে থিকা স্পাইট নিয়া আসো ।’
‘বাইরে থেকে মাল আনা নিষেধ ।’
‘ঐ হারামজাদা, নাম কি তোর ?’
‘গালি দেন ক্যান ? মজনু মিয়া নাম আমার ।’
‘মজনু ? মুখ এমন তেলাচুরার সাইজ কইরা কথা কস ক্যান ? এক থাবড়া দিয়া চিপার দাঁত ফালাই দিবো ... (অশ্লীল গালি) । যা । বাইর থিকা স্পাইট নিয়া আয় । কত্তবড় সাহস । দুই পয়সার তেলাচুরা । বলে, বাইরে থিকা মাল আনা নিষেধ । তোর বাপ আনবো ... (আবারও অশ্লীল গালি) । যা ।’
পান সিগারেট শেষ করে মোফাজ্জল যখন তার শখের ‘ঠান্ডা স্পাইট’ খুলে বিশাল ঢোঁক দিচ্ছে ঠিক তখন আমি টুথপিক দিয়ে কান খোঁচাতে খোঁচাতে হালকা স্বরে বললাম, ‘মোফাজ্জল সামান্য সমস্যা আছে । আমার কাছে তো টাকা নেই । পকেট ছাড়া পাঞ্জাবী পড়েছি । টাকা আনতে ভুলে গেছি ।’
মোফাজ্জল ‘কোঁৎ’ করে একটা শব্দ করলো । সব স্প্রাইট ভেতরে নিতে পারলো না । গলায় বেঁধে বিষম খেয়ে গেলো । কাশির শব্দে হোটেল বয় মজনু মিয়া দৌড়ে এলো । সে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে । কাশি থামতেই মোফাজ্জলের হেঁচকী শুরু হলো । সেই হেঁচকী আর থামে না । খাবারের বিল দেখে তার হেঁচকী আরও বেড়ে গেল । পানিসহ সব মিলিয়ে হয়েছে এক হাজার বিয়াল্লিশ টাকা । মোফাজ্জল হেঁচকী তুলতে তুলতে মৃদুস্বরে বলতে লাগলো, ‘লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জোয়ালেমিন’ ।
আমি বাইরের রোদের দিকে তাকিয়ে আছি । আমার দৃষ্টি বিষন্ন । দুপুর শেষের হলুদ রোদ আরও রঙীন হয়ে রাস্তার ধূসর পিচ মাখিয়ে চলছে । কো-ইনসিডেন্টালি হঠাৎ হোটেলের গানের প্লে-লিস্টে রবীন্দ্রসঙ্গীত বেজে উঠলোঃ
রৌদ্র-মাখানো অলস-বেলায়
তরুমর্মরে ছায়ার খেলায়
কী মুরতি তব নীল আকাশে নয়নে ওঠে গো আভাসি...
রবীন্দ্রনাথ তাহলে ‘রৌদ্রস্নান’ নিয়েও লিখেছিলেন ? আচ্ছা । এমন কিছু কি সত্যিই নেই যা তাঁর চোখ সত্যি সত্যি এড়িয়ে গেছে ? চোখে দেখেও তিনি সে বিষয়ে কিছু লেখেন নি ?
_
( চলবে )
=========================================
উৎসর্গঃ
রাজশেখর বসুর বাংলা অভিধানে ‘কুম্ভীলক’ শব্দের অর্থ দেয়া আছে- ‘যে অপরের রচিত সাহিত্য হইতে ভাব ভাষা প্রভৃতি চুরি করিয়া নিজের বলিয়া চালায়’ । সেই হিসেবে কালিদাস-কাশীরাম দাস থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত সবাই কুম্ভীলক । উদাহরন, কালিদাসের ‘শকুন্তলা’ কিংবা রবীন্দ্রনাথের ‘কচ ও দেবযানী’ । একই চরিত্র ঘুরে ফিরে অনেকের লেখায় এসেছে । সবটাই সেই আদিশ্লোক-ছন্দের অনুকরনে, নতুন ছন্দে নয় । তবে, রাজশেখর বসু এঁদেরকে plagiarist মানতে রাজী হন নি । তিনি বলেছেন, এঁরা plagiarist এর ঠিক উল্টোটা । যাঁরা অপরের তৈরী চরিত্র নিয়ে লিখেই খুশি । কবিযশঃপ্রাপ্তি এঁদের কারোরই লক্ষ্য ছিল না ।
এতোসব কথার সারমর্ম একটাই । ‘হিমু’কে নিয়ে লিখবার দায়মুক্তি । ফ্রান্সিসকো মেলজি ‘মোনালিসা’র কপি এঁকেছিলেন । ক্যানভাসের সাইজটা বদলে পুরোটাই কপি করা । সেই ছবি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম, কিন্তু ক্রিটিকরা এর দাম দেন নি । না দেওয়ারই কথা । সৃজনশীলতা এক, নকল করা অন্য । হিমুর স্রষ্টা আজ নেই । তিনি আজ অন্য কোন ভুবনে । আমি তাঁর পদধূলিকণা । তাঁর মত করে কখনই কেউ লিখতে পারবে না । আমিও পারিনি । পারার ইচ্ছাও নেই । অনেকের এই লেখা দেখে সঙ্গত কারনে খারাপ লাগতেই পারে । তাদের কিছু বলবার নেই । অন্যভুবনের জোছনা-পাগল মানুষটির কাছে দায়বদ্ধতা আছে । অন্যের লেখা ‘হিমুর পাশে তিনটি ছায়া’র উৎসর্গপত্রে তাঁর নামটাই থাকুক ।
কে লইবে মোর কার্য, কহে সন্ধ্যারবি—
শুনিয়া জগৎ রহে নিরুত্তর ছবি।
মাটির প্রদীপ ছিল; সে কহিল, স্বামী,
আমার যেটুকু সাধ্য করিব তা আমি॥
পরম শ্রদ্ধাষ্পদেষু, হুমায়ূন আহমেদ ।
===========================================
আগের পর্বের লিংকঃ
হিমুর পাশে তিনটি ছায়াঃ পর্ব (১)
হিমুর পাশে তিনটি ছায়াঃ পর্ব (২)
হিমুর পাশে তিনটি ছায়াঃ পর্ব (৩)
হিমুর পাশে তিনটি ছায়াঃ পর্ব (৪)
হিমুর পাশে তিনটি ছায়াঃ পর্ব (৫)
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: আপনার পজিটিভ কমেন্ট পেয়ে ভাল লাগছে । সবাই আপনার মত করে উদারভাবে ভাবতে পারলে ভাল হত । কে যেন একজন হিমুর একটা পর্বে মন্তব্য করেছিলেন, শার্লক হোমস নিয়ে নতুন করে লেখালিখি, টিভি সিরিজ তৈরী করা গেলে হিমুর দোষ কোথায় ? হিমু'ও তো বাঙালিদের প্রানের চরিত্র !!
ভাল থাকুন পাঠক
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
ঘুম হ্যাপি বলেছেন: চমৎকার
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: লেখকদের নিয়ে একটা উক্তি পড়েছিলাম একজন লেখক তাই লিখে থাকেন যা সে পড়তে চায়। আমরা সবাই পড়তে চেয়ে লিখতে থাকি, তাতে দোষের কিছু নেই। ভালো লাগলো আপনার প্রয়াস