![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোন কোন দিন ঘ্যাঁতঘোত শব্দে জীবন
চলে।
সেদিন আধমরা ইমোশনের জন্মদিন,নিভু
আলোর ফুঁৎকারে রাতজাগা রাত্রিরা
নেমন্তন্ন পায়।
তৎক্ষণাৎ এক থলে তারা আপনাতেই মূর্ছা
যায়।
আর তাই দেখে চাঁদের বুড়ি হাততালি
দেয়।
দেবেই তো,আজ যে ইমোশনের জন্মদিন।
কোন কোন দিন হতচ্ছাড়া...
যথাতথা কানুনগুলো হাইওয়ের রাস্তায়
ওঠেনি তখনো,
অনিশ্চিত চাপাগলিতে,
লাল আর সবুজ সিগন্যালের বালাই ।
জেব্রাক্রসিং এর ডোরাকাটা দাগগুলিন,
সাদা হয়ে বাঁকাই যেন,
চৌরাস্তার মোড়ে ট্রাপিজিয়াম
গেড়ে বসলো।
ফুটপাতের প্রস্থের বদান্যতা,
আর আর,
বোবা ক্লান্তির জয়জয়কার।
দিনশেষে অতঃপর,
কালো পিচের রাস্তার
এবড়োথেবড়ো নকশারা ফিক...
একটা রাত কিনি,
ঝিঁঝিঁগুলোর ডাক আমার হয়ে যাক।
একটা দুপুর দেখি,
হলদেটে রোদ
খেয়ে নিক
আমার আলসে বোধ।
কিংবা টলমলে পায়ে যখন হাঁটি,
দেখতে কি পাই
ছকে বাঁধা ভবিষ্যত।
পঞ্চান্ন কি ষাটের আয়ু,
শোকেস ভর্তি মেডেল,
রঙচঙা বায়োগ্রাফি,
আর কিছু তো নাই।
তবে...
আমার ন্যানোসংখ্যার মেমোরিতে
ছায়ারঙ দাবা খেলে,হাঁটু গেঁড়ে ঘুটি
চালে বেজোড় আঙ্গুলে।
কুঁজোবুড়ির সাদা থানে আঁকা মোটে
বত্রিশ কালো বর্গ।
আগ বেড়ে সৈন্যসামন্ত বর্গের খোপে
তলোয়ার খুইয়ে বসলো।
বেরসিক কুইন নিমিষেই
কিস্তিমাত,কুঁকড়ে মুকড়ে সয়লাব।
লিকলিকে কাসলিং তার কঙ্কালে
ঝুলে থাকে এই...
প্রতিদিন ভোরে ফজর পড়েই এক ছুটে
রান্নাঘরে গিয়ে ঢুকি।আধেক ফোটা
আলোর সকালে সাদামাটা
লিকারের চা না হলেই নয়।তবে চুলায়
আগুন জ্বালানোর কালে ম্যাচের
কাঠি পোড়া বারুদের গন্ধটাও
ভাল্লাগে।চা তো কেবল অযুহাত
মাত্র।
ক্লাসে যাবার পথে ফারক রোডের
মোড়টাতে দাঁড়িয়ে...
অতো বড় বৃত্তের মতো গোল চোখের
কোটর,
ঝুলবারান্দায় পা ভাঙা ক্যাকটাসের
শেকড়েই পেঁচালো।
নমুনায় জংলী মটর গাছ।
বাক্স আকৃতির চৌকো গ্রিলের ওপর
সেই
পিলে চমকানো বিজলিবাতির
শোরগোল,
আর কটকটে লালরঙা টবটা আছে তবু ঠাঁয়
দাড়িয়ে;
রোদ আর ঘুনেপোকার সিকিভাগ
আড়ালে,
পুরনো পত্রিকায় অগুনতি...
©somewhere in net ltd.