নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
বাংলাদেশ, বাংলাদে্ বাংলাদেশ,
বেশ বেশ বেশ সাবাস বাংলাদেশ
যাও এগিয়ে আমার বাংলাদেশ।
বসুন্ধরা সিমেন্ট টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনেই দাপট দেখিয়েছে টাইগাররা
তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের জোড়া সেঞ্চুরির সুবাদে প্রথম দিনে টাইগাররা ২ উইকেটে সংগ্রহ করেছে ৩০৩ রান।
তামিম ১০৯ ও ইমরুল কায়েস ১৩০ রান করে আউট হন। ৪৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও ৫ রানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। টাইগারদের প্রথম দিনের এই অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ফলে জিম্বাবুয়েকে হোয়াটওয়াশ করার লক্ষ্যে আরো একধাপ এগিয়ে গেল মুশফিক বাহিনী। অবশ্যই সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছি আমরা
টস জিতে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক ১৮টি টেস্টের নেতৃত্ব দেয়া অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারের এই অসাধারণ মুহূর্তে তার নেয়া সিদ্ধান্তটিকে সঠিক প্রমাণ করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক ২২৪ রান সংগ্রহকারী এই দুই ওপেনারই সেঞ্চুরির দেখা পান
এটি ছিল চট্টগ্রামের মাটিতে চট্টগ্রামের সন্তান তামিম ইকবালের প্রথম এবং ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি, আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয়। ২০০৮ সালে টেস্ট অভিষেকের পর একটি আক্ষেপ ছিল বাংলাদেশের সেরা ওপেনার তামিমের।
নিজের শহর চট্টগ্রামে ওয়ানডে ও টেস্ট কোনোটিতে সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার সেই আক্ষেপ মিটল বাংলাদেশের এই মারকুটে ওপেনারের (y)
দিনের শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবাল তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি। ১৫০ বল খেলে তিনি ১৪টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে এই ইনিংস সাজান। এর আগে খুলনা টেস্টেই তিনি তার ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়েছিলেন।
তামিম ও ইমরুল কায়েস মিলে নিজেদের গড়া সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও ভাঙেন। এর আগে ২০১০ সালে লর্ডসে তামিম ও ইমরুলের গড়া ১৮৫ রানের জুটিটি ছিল এতদিন বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ। কিন্তু আজ তারা নিজেদের রেকর্ড ভেঙে গড়েন ২২৪ রানের পার্টনারশিপ।
চা-বিরতির পর সিকান্দার রাজার বলে লং অনে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার অসাধারণ ক্যাচে আউট হন তামিম ইকবাল। বিদায়ের আগে তিনি ১৭১ বলে ১০৯ রান সংগ্রহ করেন।
অপরদিকে ইমরুল কায়েস ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান। এর আগের সেঞ্চুরিটিও তিনি হাঁকিয়েছিলেন চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতেই। তখন অবশ্য প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলংকা। কায়েস তার সেঞ্চুরিটি সাজিয়েছেন ১৯১ বলে ৯টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে।
ম্যাচের ৭৮.৬ ওভারে ইমরুলও ফিরে যান সাজঘরে। এবার হ্যামিল্টন মাসাকাদজার বলে বিকল্প ফিল্ডার সিবান্দার হাতে বল তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এসময় বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ২৭২। এরপর মুমিনুল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশকে নিরাপদেই এগিয়ে নিয়ে যান। দিন শেষে ৯০ ওভার মোকাবেলায় বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০৩ রান। মুমিনুল ৪৬ এবং মামুদুল্লাহ ৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
পরিশেষে, ঘরের মাঠে সেঞ্চুরির জন্য তামিমকে অভিনন্দন। আর ইমরুল কায়েসকে অভিনন্দন দলে ফিরেই সেঞ্চুরি উপহার দেয়ার জন্য।
গো এহেদ টাইগার্স গো!
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: হ্যাঁ, আশা করি এই ধারাটা অব্যাহতই থাকবে টাইগারদের!
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০৭
সকাল হাসান বলেছেন: এতদিনে টেস্ট খেলা দেখার আসল মজাটা পাচ্ছি টাইগারদের কাছ থেকে! কতদিনের স্বপ্ন এটা - টাইগাররা সারাদিন ধরে ব্যাট করে ভোগাবে প্রতিপক্ষের বোলারদের!
আশা করি, এই ধারাটা অব্যাহতই থাকবে টাইগারদের!
খারাপ সময় পিছে ফেলে এসেছে টাইগাররা! এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়!