নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
আজ সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে, এখনো থামার কোন নাম নিশ্বাস নাই। অনেকদিন পর এই সকালের বৃষ্টি দেখলাম, খুব ভালো লাগছে আর মনে পরে গেলো সেই পিচ্ছিকালের কথা, কতই না মজা ছিল সেই সকালের বৃষ্টিময় দিনগুলো!
ছোট বেলায় সকালে বৃষ্টি হলেই স্কুলে যাইতাম না। আমার স্কুল আমাদের বাড়ির পাশেই, তবুও না যাওয়ার জন্যই একেক ছলনা ধরতাম। মা যতই বলতো ছাতা নিয়ে যা, তখন মাকে বলতাম গিয়ে আর কি হবে? ক্লাসতো হবে না। তাহলে বৃষ্টিতে ভিজে শুধু শুধু গিয়ে গায়ে জ্বর আনতাম নাকি?
পরে মা বলতো, ঠিক যা তাহলে ঘরে বসে কিছুক্ষন পড়ে নে। তখন মাকে সান্তনা দেওয়ার জন্য বই একটা নিয়ে ১০ মিনিটের মত পড়তাম, তারপর মা যখন অন্য রুমে চলে যেত, তখন বই রেখে দিয়ে দৌড়ে চলে যেতাম পাড়ার বন্ধুদের সাথে পাড়ার রাস্তার পাশে ফুটবল খেলতে
আমার এখনো পুরোপুরি মনে আছে একদম পিচ্ছিকালে আমি ও আমার পাড়ার বন্ধুরা সবাই মিলে এই রকম সকালে বৃষ্টি হলে প্যান্টের পরিবর্তে পলিথিনের ব্যাগ পড়তাম, আরেকটা পলিথিনের ব্যাগ মাথায় বেঁধে ফুটবল খেলতাম তারপরেই আসলাম হাফ প্যান্ট পড়ে খেলতাম
আজকে সকাল থেকেই হঠাৎ জোরে সুরে বৃষ্টি হচ্ছে, ভাবছিলাম অফিসে যেতে হবে না! কিন্তু না তার মধ্যেও কাজের জন্য অফিসে আসতে হয়েছে। এখন মাকে বলতে পারি না, বৃষ্টিতে ভিজে শুধু শুধু অফিসে গিয়ে কি হবে? কারণ বৃষ্টি আর তুফান যাই হোক না কেন, মাগার অফিস ও কামলা বন্ধ নেই! এখনো বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে, আর আমি অফিসে বসে বসে কামলা দিই
আহারে দিন! আহারে শৈশব! তুমি আজ কত দূরে, তুমি আজ কত দূরে
আসলে আমার ফেলে আসা শৈশব, পিচ্ছিকালের কথা লিখতে গেলে অনেক অনেক বড় হবে। আজ অফিসে আছি তাই ছোট করে লিখলাম, পরে একদিন না হয় সম্পূর্ণ লিখবো।
১৯-০১-২০১৫ ইউ.এ.ই
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: হুম, এটাই প্রবাস জীবন, তাছাড়া সেই দিনগুলোতে অফিসে না গিয়েই লাভ নাই! লাভ হলে বড়জোর একটা টানা ঘুম তারচেয়ে বেশী কিছু নয়! দেশে হলে তো আর কথায় নাই
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪
ভিটামিন সি বলেছেন: বাইরের দেশে কামলা দেয়া ঝড়, বৃষ্টি, বাদলা, বজ্রপাত মানে না। আসতেই হবে। না আসলে এবসেন্ট।