নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
যেকোনো মানুষের জীবনে ১৩-১৪ বছর বয়সটা একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ সময়টা থাকে কৈশোরের সংবেদনশীলতা ও চপলতায় ভরপুর। তারা না পারে বড়দের দলে ভিড়তে, না পারে ছোটদের সঙ্গে মিশতে। বিচার-বুদ্ধির চেয়ে আবেগে বেশি প্রভাবিত হয়। কাজেই তাদের আপনজন বা কাছাকাছি থাকা মানুষকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হয়। স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীরা বাবা-মায়ের পর সবচেয়ে বেশি সান্নিধ্য পায় শিক্ষকদের। কাজেই শিক্ষকদের ভূমিকা হওয়া উচিত আপনজনদের মতো। তাঁরা ভীতিকর দুর্জন না হয়ে হতে পারেন এমন এক আস্থাভাজন, যাঁর কাছে কিশোর বা কিশোরী খুঁজে পাবে পরম নির্ভরতার জায়গা। খুঁজে পাবে ভবিষ্যৎ চলার পথের সঠিক দিকনির্দেশনা।
কিন্তু আমাদের দেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের কারণে-অকারণে হেনস্তা করা হয়। এমনকি শারীরিক নির্যাতন করে কঠিন শাস্তিও দেওয়া হয়। এসব ঘটনা শিশু-কিশোরদের মনে প্রচণ্ড রকমের বিরূপ প্রভাব ফেলে। সাথী আক্তার জীবন দিয়ে প্রমাণ করল তা। অথচ ফি না দিতে পারায় তার কোনো দোষ নেই। এটা তার পরিবারের বা অভিভাবকের অক্ষমতা হতে পারে, কিন্তু সাথী আক্তার তো নির্দোষ। তাকে কেন হেনস্তা হতে হলো, যে অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে জীবনটাই দিয়ে দিল সে?
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একজন শিক্ষার্থীর সুস্থ মানসিক বিকাশ, নৈতিক মনোবল গঠনের আদর্শ জায়গা। সেখানে মূল চাবিকাঠি শিক্ষকদের হাতে। তাঁরাই যদি তুচ্ছ কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর খড়্গ ধরেন, তাহলে তারা কোথায় যাবে?
একজন প্রকৃত শিক্ষক কখনোই এমন কাজ করতে পারেননা। শিক্ষার্থীরা সন্তানসম। উনার এই আচরণ একজন অমানুষকেও হার মানাবে!এই বিভক্ত সমাজে ওদের ভরসা কেও না! সার্থপরতা আজ চরম সীমা অতিক্রম করছে। ছোট বেলা থেকে পড়ে ও জেনে আসছি শিক্ষক মানুষ গড়ার আজকার কিছু কিছু শিক্ষকের আচারন দেখেই বুঝতে পাচ্ছি শিক্ষক শুধু মানুষ গড়ার কারিগর সেটা সম্পূর্ণ ভুল, "শিক্ষক মানুষ মারার কারিগরও"!
চাঁদপুরের সাথী আক্তারের ঘটনাটি তদন্ত করে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিনর কঠিনতম শাস্তি দাবি করছি!
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শিক্ষক বলেন, ডাক্তার বলেন সবাই মানুষ। ভালোও আছে, খারাপও আছে...
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সব পেশায় ভাল মন্দ আছে!
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফি না দিতে পারায় তার কোনো দোষ নেই। এটা তার পরিবারের বা অভিভাবকের অক্ষমতা হতে পারে, কিন্তু সাথী আক্তার তো নির্দোষ। তাকে কেন হেনস্তা হতে হলো, যে অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে জীবনটাই দিয়ে দিল ...
<< শিক্ষক নামের বোধহীন মানুষ গুলো?
<< তাদের হাতে ভবিষ্যত জাতি কেমন তৈরী হচ্ছে?
<< শিক্ষা নাকি ফ্রি? তবে এই আত্মদান কেন?? তারা কি সরকারী নিয়ম মানে নি? নাকি কবেলিই সরকারী স্কুলেই বিধান দিয়ে বাগাড়ম্বর- নারীদের জণ্য শিক্ষা ফ্রি!!!!!!
আমার জানা একজনের শিক্সা জীবন থেকে ৫ বছর খসে গেছিণ এইরকম ঘটনায়!!
বেতন দিতে না পারায় রোদে দাড় করানো শূধু নয়- কপালে চারা (মাটির পাত্র ভাঙ্গা ছোট টুকরা বিশেষ) দিয়ে রোদের দিকে চেয়ে থাকারা আদেশ!!!
সেই বর্বরতায় স্কুল ছেড়ে ফ্রি মাদ্রাসায় পরতে গিয়ে আবার ্ওয়ান থেকে পড়তে গিয়ে ৫-৬ বছর হারিয়েছিলনে উনি।