নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
আমি আগে হাতে মেহেদী দিলে আমার নাম অথবা নামের প্রথম অক্ষর ইংরেজিতে লিখতাম মেহেদি দিয়ে হাতের তালুতে
ছেলেরা হাতে মেহেদি লাগাই কি লাগাই না, সেটা ছোটবেলায় জানতাম না, তবে আমি সেই ছোট বেলা থেকেই ক্লাস নাইন-টেন পর্যন্ত মেহেদি লাগাইছি হাতে, হ্যা শুধু ঈদে না, ঈদ ছাড়াও মাসে কয়েকবার লাগাইতাম আপুদের সাথে। আর তখন আমাদের ঘরের সামনে একটা মেহেদি গাছ ছিল সেটাই হচ্ছে আমাদের ঘন ঘন মেহেদি লাগানোর মুল কারন, মানে মেহেদি গাছটাতে মেহেদি পাতা অনেক বেশি ধরত, আর মেহেদির রঙ্গওও হত একদম লালচে
এবার আসি মুল কথায়, আসলে আমাদের ছোটবেলার ঈদগুলো অনেক সুন্দর ছিল, চাঁদ রাত থেকেই ঈদের ঘনঘটা। ২৯ রোজার সন্ধ্যা হতে শুরু হত চাঁদ দেখার বায়না। আশেপাশ থেকে আতশবাজী আর বোমের শব্দ শুনলেই বুঝতাম কালকে ঈদ।চাঁদ না উঠলেও জোড় করে চাঁদ উঠাতে চাইতাম। আর উঠলে তো কথাই নেই,শুরু হয়ে যেত মেহেদী দেয়ার পালা। বড় আপুরা মেহেদী দিয়ে দিত। তখনকার মেহেদী গুলো শৈশবের মতই সুন্দর ছিল এখনকার গোল্ড মেহেদীর মত ছ্যাঁকারিন পঁচা গন্ধ নয়, শাহাজাদী আর লিজান মেহেদীর সেই স্মেল থেকে ৩-৪ দিন ঈদের সুবাস পেতাম। আর মেহেদীর রঙটাও ছিল সিঁদুরের মত লাল। সেই সন্ধ্যায় মেহেদী দেয়ার পর অপেক্ষায় থাকতাম কখন শুকাবে, আর কখন হাত ধুইবো। ছোটবেলার ঈদের অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য ছিল ঈদের ড্রেস কাউকে দেখানো যাবে না, ঈদ শেষ হয়ে যাবে
©somewhere in net ltd.