নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসী মন!
বঙ্গবন্ধু তাঁর "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" বইয়ে লিখেছেন, তিনি কাওয়ালী শুনতেন এবং কাওয়ালী আসর থেকে তাঁর মন উঠতে চাইতোনা। অথচ গতকাল ছাত্রলীগ কাওয়ালী আসরে নগ্ন হামলা চালিয়ে প্রমাণ করল, যে এই ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ নয়!
সুফিবাদের উপর ভর করেই ভারতবর্ষে ইসলাম ছড়িয়েছে। এই সালাফিস্ট ও ওয়াহাবিদের এসব ঘৃণাকে কে পুঁজি করে টিএসসির সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাওয়ালীতে যে হামলা হলো সেটা ঘৃণ্য। সে কারণেই কোন প্রতিবাদ ও নেই সেভাবে!
অথচ এই ধরনের প্রোগ্রাম থেকেই অমুসলিমরা মুসলিমদের সুন্দর একটা শিল্পের জানান পেত!
কাওয়ালী গান হইলো ভারত বর্ষের মুসলমানদের ঐতিহ্য, সিলসিলা। উর্দু হইলো ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের লিংগুয়া ফ্রাংকা। উর্দুর জন্ম মূলত ভারতে, বিকাশ ভারতে। বিখ্যাত সব উর্দু সাহিত্যিকের জন্ম ভারতে। হয়তো এটা শিক্ষিত বানরগুলো জানেনা।
অথচ আজকে স্রেফ উর্দু গান দেইখা উগ্র জাতীয়তাবাদীরা কাওয়ালী প্রোগ্রাম লণ্ডভণ্ড করে দিছে। আরো দুঃখের বিষয় হইলো এতে মৌন সমর্থন যোগাইতেছে কওমীর চুতিয়া গোষ্ঠী।
আরে সুফিরা, কাওয়ালরা এই ভারতবর্ষে না আইলে তো আপনাদের অস্ত্বিত্বই থাকতোনা!
রবীন্দ্র সংগীতের মাঝে হিন্দু কালচার আর কাওয়ালির মাঝে মুসলিম কালচার খুঁজে পাওয়া লোকদুটি হচ্ছে একই বৃন্তে দুটি ধুতরা ফুল।
নিন্দুকেরা নিন্দা করুক নিন্দা করাই তো স্বভাব তাদের।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: যে ঘটনার কথা উল্যেখ করেছেন, এটা সম্পর্কে ধারণা নাই। ফেসবুকে এবং ব্লগেই দেখলাম এটা নিয়ে আলোচনা। পত্রিকা পড়ি না, তাই সম্ভবত সম্পূর্ণ বিষয়টা জানি না।
-----------------------------------------------
টাইটেলটায় বর্বরতা এবং পশুত্ব ফুটে উঠেছে!
গান-বাজনা ইসলামে হারাম এবং নিষিদ্ধ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথাও কোন বাজনা বাজতে লাগলে কানে আঙ্গুল দিয়ে তা না শোনার চেষ্টা করতেন। শুধুমাত্র বিয়ে এবং যুদ্ধে দফ নামক একটা বাদ্যযন্ত্র ছাড়া আর কোন বাদ্যযন্ত্র বা আর কোন সময় বাজনা বাজানো ইসলামে বৈধ করা হয়নি। এমনকি কবিতাকেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
সুফিবাদ মূলত ইসলামের নামে একটা ধোঁকা। সুফিবাদের সাথে ইসলামের কোন মিল বা সম্পর্ক নাই। কিছু পথভ্রষ্ট লোক ইসলাম থেকে বহু দূরে সরে গিয়ে নিজেদের মন মত যা খুশি গড়েছে।
গান শুনতে সবারই ভালো লাগে, কারণ গান হচ্ছে অন্তরের নেশার বস্তু। তবে গানটা অপছন্দ করা প্রত্যেক মুসলিমের দ্বায়িত্ব।
এজন্য নিজের মন মত একটা টাইটেল দিয়ে প্রত্যেক প্রাক্টিসিং মুসলিমকে বর্বর ও জানোয়ার বলাটাই এক ধরণের পশুত্ব ও বর্বরতা।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #ঋণাত্মক শূন্য ভাইয়ার মন্তব্যে সহমত পোষণ করছি।
জাজাকিল্লাহ খাইরান আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬
জ্যাকেল বলেছেন: হুদাই গান/মিউজিকের মত ক্রিয়েটিভ শিল্পচর্চাকে ইসলামের নামে ধোঁকা দেওয়া হইতেছে। কোরআনে অবশ্য কর্তব্য ও পালনীয় দিকনির্দেশনা মুসলমানদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন। কোরআন থেকেই হারামের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা নেওয়া লাগবে। অন্য কোথাও থেকে হারাম করা যাবে না। আল্লাহ আমাদের জন্য যা যা ঘোষনা দিয়ে হালাল করে দিয়েছেন এবং হারাম করে দিয়েছেন সেইগুলো নিয়ে কোন যুক্তি চলতে পারে না। আর কোরআন থেকে সরাসরি শিল্পচর্চাকে হারাম করে দেওয়ার কোন আয়াহ পাওয়া যায় না। অতএব ইসলামের দোহাই দিয়ে এভাবে শিল্প ও জ্ঞান চর্চা থামানো বোকামি বৈ কিছু নহে।
আর এই ছাত্রলীগ এইগুলা হইতেছে এক একটা নস্টের চেলা। এদের কাছে ভাল কিছু আশা করা যাচ্ছে না।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৮
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: টি এস সি ঢা বি তে উন্মুক্ত যা কিছু হয় সেগুলা হালাল । এগুলোতে কেউ বাধা দেবেনা । কাওয়ালিকে হারাম হারাম করতেছেন যারা তাদের বিকেল সন্ধার দিকে ঐখানে পাঠায় দেয়া দরকার ..
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৮
সোবুজ বলেছেন: সব সংগীত সবার ভাল লাগবে এমন কোন কথা নাই।আমার ভাল লাগে বাংলা সংগীত।প্রতিবাদ করতে হবে উর্দু সংগীত গেয়ে এটা ফাজলামো।লন্ডভন্ড করা ঠিক হয় নাই।অন্য কিছু করা উচিত ছিল।
৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:০১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন.................. কোরআনে অবশ্য কর্তব্য ও পালনীয় দিকনির্দেশনা মুসলমানদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন। কোরআন থেকেই হারামের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা নেওয়া লাগবে। অন্য কোথাও থেকে হারাম করা যাবে না।..............
কুরআনে সূরা হাশর আছেঃ "..........রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। ..............।" (সূরা হাশর, আয়াত ৭)
সেই হিসাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেহেতু এগুলি নিষেধ করেছেন, তাই মুসলিমের উপরে এগুলি নিষিদ্ধ।
৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৩
সাজিদ! বলেছেন: শুণ্য ভাই, আমি মাজার বা মাইজভান্ডারির কালচারের কথা বাদ দিয়ে যদি অথেনটিক সুফিবাদ কথা বলি সেটা নিশ্চয়ই ধোঁকা নয়। বরং এই উপমহাদেশে ইসলামের প্রচারে সুফিবাদের ভূমিকা নিয়ে আমরা শুনে এসেছি, পড়ে এসেছি। কবিতাকেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এইটার সাপেক্ষে আরেকটু বিস্তারিত বলেন , আমরা অনেকেই জানি না।
আসলে যে ছাত্রনেতার মুখ থেকে এই কথা বের হয়েছে তার বা তাদের বিগত কয়েক বছরের কর্মকান্ডের সাথে এই কথা মেলানো যায় না সেজন্যই বেমানান লাগছে। এনারা সেই ছাত্রনেতা যারা মোদীর বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করেছিলেন নাকি কি যেন মিছিল করেছিলেন, অথচ চুপ থাকা যেত।
৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩
বিটপি বলেছেন: রাসূল (স) কানে আঙ্গুল দিয়ে গান না শুনতে কয়জন সাহাবী দেখেছে? তাদের নাম কি? এই হাদীস কে বর্ণনা করেছে? এই হাদীসের রেওয়ায়েত কি? এই হাদীস কতটা সন্দেহমুক্ত? পুরো কুরআনে যেখানে গান-বাজনা নিষিদ্ধ করা হয়নি, সেখানে এরকম একটা দুর্বল হাদিসকে আমরা রেফারেন্স হিসেবে কিভাবে ব্যবহার করি?
দফ বাজানো কেন নিষেধ নয়? দফ কি বাদ্যযন্ত্র নয়? কজ এন্ড ইফেক্ট না জেনে কোন কাজকে হারাম হালাল বলে স্বীকার করতে আমরা একদমই রাজী নয়, যদি তা কুরআনে উল্লেখ না থাকে।
১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: দুনিয়াতে একমাত্র জানোয়ার ও বর্বর ছাড়া সঙ্গীত কার অপছন্দ ?
এটা কি ধরনের হেডিং? আপনি মুসলিম? গান সর্ম্পকে মহানবী কী বলে গেছেন জানেন?
না, না জেনে এইসব আজেবাজে লাইন লিখে যাচ্ছেন? নিজের ঈমান ঠিক আছে তো?
গান নিয়ে ইসলাম কী বলে সেটা না জানলে এটা পড়ে আসুন !
গান বাজনা ইত্যাদির ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
সাজিদ! বলেছেন: যে ত্রিশ - বত্রিশ বছর বয়সী ছাত্রনেতা, উনার নাম বোধহয় সাদ্দাম, উনি ঢাবির ছাত্রলীগের সভাপতি, উনি ভাংচুরের কারন হিসেবে শরীয়তের কথা বলেছেন। এই কারনে উনার লজ্জা হওয়া উচিত এবং উনার এই অপরিপক্ক মন্তব্যের জন্য উনার ক্ষমা চাওয়া উচিত। পাঁচ - ছয় বছর ধরে সভাপতির পদ নিয়ে ঢাবিতে রাজনীতি করছে আর এমন কান্ডজ্ঞানহীন কথা? ভাঙ্গচুর করসে, করার পেছনে অন্য অজুহাত দিক, বলে দিক, ছাত্রলীগের পারমিশন ছাড়া করেছে তাই ভাংচুর করেছে, সবাই তা হলেও সময়ের কারনে মেনে নিতো। কিন্তু একেবারে বিচার বুদ্ধি ছাড়াই একটা মন্তব্য করে ফেললো!