নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তেপান্তর মন

A "TRUTH" can walk naked but a "LIE" needs to be dressed .

তেপান্তর মন

বারবারা এসো, রবিশঙ্করের সুরে সুরে মুমূর্ষু মানবতাকে গাই বিবেকের জংধরা দরোজায় প্রবল করাঘাত করি অন্যায়ের বিপুল হিমালয় দেখে এসে ক্রুদ্ধ হই, সংগঠিত হই জল্লাদের শাণিত অস্ত্র সভ্যতার নির্মল পুষ্পকে আহত করার পূর্বে, দর্শন ও সাহিত্যকে হত্যা করার পূর্বে এসো বারবারা বজ্র হয়ে বিদ্ধ করি তাকে।

তেপান্তর মন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের দেশে আইনত ধর্ষণের শাস্তিসমূহ

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা-৯ অনুযায়ীঃ

ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু ইত্যাদির শাস্তি:

(১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন তা হলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবেন।

(২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবেন।

(৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তা হলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবেন।

(৪) যদি কোন ব্যক্তি নারী বা শিশুকে-

(ক) ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তা হলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবেন;

(খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তা হলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবেন;

(৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে কোন নারী ধর্ষিত হন, তা হলে যাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে, সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ধর্ষিত নারীর হেফাজতের জন্য সরাসসিভাবে দায়ী ছিলেন, তিনি বা তারা প্রত্যেকে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হলে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন দশ হাজার টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবেন।





নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা-১৩ অনুযায়ী:

অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যা কিছুই থাকুক না কেন, ধর্ষণের কারণে কোন সন্তান জন্মলাভ করলে-

ক. উক্ত সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব ধর্ষণকারী পালন করবেন;

খ. উক্ত সন্তান জন্মলাভের পর সন্তানটি কার তত্ত্বাবধানে থাকবে এবং তার ভরণপোষণ বাবদ ধর্ষণকারী কি পরিমান খরচ তত্ত্বাবধানকারীকে প্রদান করবে তা ট্রাইব্যুনাল নির্ধারণ করে দিতে পারবে;

গ. উক্ত সন্তান প্রতিবন্ধী না হলে, এই খরচ পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে ২১ বছর পর্যন্ত এবং কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে তার বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত এবং প্রতিবন্ধী সন্তানের ক্ষেত্রে তিনি স্বীয় ভরণপোষণের যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত প্রদান করতে হবে।





নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা-১৪ অনুযায়ী:

(১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হয়েছেন এরূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তৎসম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোন সংবাদপত্রে বা অন্যকোন সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাবে যাতে উক্ত নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়।

(২) উপ ধারা (১) এর বিধান লংঘন করা হলে উক্ত লংঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকে অনধিক দুই বছর কারাদন্ডে বা অনুর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

স্বপ্নখুঁজি বলেছেন: +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.