নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তেপান্তর মন

A "TRUTH" can walk naked but a "LIE" needs to be dressed .

তেপান্তর মন

বারবারা এসো, রবিশঙ্করের সুরে সুরে মুমূর্ষু মানবতাকে গাই বিবেকের জংধরা দরোজায় প্রবল করাঘাত করি অন্যায়ের বিপুল হিমালয় দেখে এসে ক্রুদ্ধ হই, সংগঠিত হই জল্লাদের শাণিত অস্ত্র সভ্যতার নির্মল পুষ্পকে আহত করার পূর্বে, দর্শন ও সাহিত্যকে হত্যা করার পূর্বে এসো বারবারা বজ্র হয়ে বিদ্ধ করি তাকে।

তেপান্তর মন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কথাটার অর্থ জীবনের বাকি সময়টুকু কারাগারে কাটাবার হুকুম। এটা ১৪ বছর বা ২০ বছরের সাজা বলে যে ধারণা অনেকের রয়েছে, সেটা সত্য নয়। তবে সংবিধানে রাষ্ট্রপতির হাতে অপরাধ ক্ষমা করা, শাস্তি মুলতবি রাখা, শাস্তির মেয়াদ কমানো বা দণ্ড মকুব করে দেবার ক্ষমতা রয়েছে। ফৌজদারী বিধির ৪৩২ ধারায় বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সরকারের দণ্ডাদেশের সাময়িক মুলতবি, পরিহার বা লঘুকরণের অধিকার কোনও কারণ না দর্শীয়েই থাকবে। তবে একটা শর্ত সেখানে আছে। ৪৩৩ ও ৪৩৩ক ধারায় বলা হয়েছে যে, যদি কোনও দোষী মৃতু্যদণ্ডে দণ্ডিত থাকে অথবা মৃতু্যদণ্ডকে লঘু করে সরকার তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে থাকে, অথবা সে এমন একটি অপরাধ করেছে যার জন্য তার প্রাপ্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মৃতু্য আইন কর্তৃক বিধিত দণ্ডগুলির একটি, সেক্ষেত্রে দোষীকে অন্ততঃ ১৪ বছর কারাবাস করতে হবে।



বন্দীদের শাস্তি কমানো হয়েছে - এমন অজস্র উদাহরণ রয়েছে। এগুলি করা হয়েছে অনেক সময়ে মানবিক কারণে। একদিক থেকে মনে হতে পারে যে, দণ্ডাদেশ পরিবর্তন করার ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকার আদালতের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এটিকে সেই চোখে দেখেন না। সুপ্রিম কোর্টের মতে সরকারের সংবিধানদত্ত ক্ষমতা খর্ব করার কোনও প্রশ্ন নেই, তবে সরকার এটার অপব্যবহার যেন না করে। দণ্ডাদেশ কমবার একটা সুযোগ আছে জানলে দোষীদের মধ্যে নিজেদের সংশোধন করার একটা উদ্যোগ থাকবে। আর এটাও ঠিক যদিও সরকারকে কোনও কারণ দর্শাতে হবে না কেন দোষীর শাস্তি কমানোর আবেদন মঞ্জুর করা হচ্ছে, তবে সেই মঞ্জুর করাটা যেন উপযুক্ত কারণের জন্যেই হয়।ইচ্ছেমত শাস্তি মকুব যাতে রাজনৈতিক বা অন্য কারণে না ঘটে, সেইজন্য এই ধরণের অর্ডার বিচারকদের কাছে পর্যালোচনার জন্যে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে এই অর্ডারকে অবৈধ বলে ঘোষণা করার অধিকার আইন অনুসারে থাকে।



(সংগৃহীত)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন: কি বলেন? তাইলে মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বেকসুর খালাস পায় কেমতে? কার কথা বলতেছি বুঝতে পারছেন?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

তেপান্তর মন বলেছেন: আমি এখানে নিয়মের কথা বললাম। কিন্তু নিয়ম বহির্ভূত তো অনেক কিছুই হচ্ছে।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৩

নীরব মানুষ বলেছেন: ভাই সঠিকভাবে না জেনে আইন বিষয়ে জ্ঞান দেয়া ঠিক না। আপনার "যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কথাটার অর্থ জীবনের বাকি সময়টুকু কারাগারে কাটাবার হুকুম। এটা ১৪ বছর বা ২০ বছরের সাজা বলে যে ধারণা অনেকের রয়েছে, সেটা সত্য নয়। তবে সংবিধানে রাষ্ট্রপতির হাতে অপরাধ ক্ষমা করা, শাস্তি মুলতবি রাখা, শাস্তির মেয়াদ কমানো বা দণ্ড মকুব করে দেবার ক্ষমতা রয়েছে। " এই কথাটুকু টিক আছে।

কিন্তু কোথায় পেলেন ৪৩৩ ও ৪৩৩ক ধারা। আর কোথায় পেলনে " সেক্ষেত্রে দোষীকে অন্ততঃ ১৪ বছর কারাবাস করতে হবে"।

ফৌজদারী কার্যববিধিতে ৪৩৩ ও ৪৩৩ক ধারা মর্মে কোন ধারা নাই। আর অন্ততঃ ১৪ বছর কারাবাস করতে হবে এ কথাটাও ঠিক না।

মূল আইনটা শুনুন ঃঃ


দণ্ডববিধরি ৫৭ ধারায় বলা আছে -
57. In calculating fractions of terms of punishment, imprisonment for life shall be reckoned as equivalent to rigorous imprisonment for thirty years.

আর ৫৫ধারায় বলা আছে -
55. In every case in which sentence of imprisonment for life shall have been passed, the Government may, without the consent of the offender, commute the punishment for imprisonment of either description for a term not exceeding twenty years.

যদওি আপনি সংগৃহীত লিখেছেন, তবুও তা যাচাই করে পোস্ট দেয়া উচিত ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.