নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তেপান্তর মন

A "TRUTH" can walk naked but a "LIE" needs to be dressed .

তেপান্তর মন

বারবারা এসো, রবিশঙ্করের সুরে সুরে মুমূর্ষু মানবতাকে গাই বিবেকের জংধরা দরোজায় প্রবল করাঘাত করি অন্যায়ের বিপুল হিমালয় দেখে এসে ক্রুদ্ধ হই, সংগঠিত হই জল্লাদের শাণিত অস্ত্র সভ্যতার নির্মল পুষ্পকে আহত করার পূর্বে, দর্শন ও সাহিত্যকে হত্যা করার পূর্বে এসো বারবারা বজ্র হয়ে বিদ্ধ করি তাকে।

তেপান্তর মন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাভারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ও ফ্রান্সের এঙ্গার ব্রিজ ...........

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

আমার মতে দেশের সব জনগনের অথবা অন্ততপক্ষে শিক্ষিত জনগণের ব্যাসিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি জ্ঞান থাকা উচিৎ। সামাজিক বিজ্ঞান এর মতো কোর্স বাদ দিয়ে হলেও এখন এই ধরণের ২-১টা কোর্স পাঠদানের অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ বলে মনে করি। হঠাত কেন বলছি এসব কথা?



কাল ফাটল দেখা দেয়ার পর আজ আবার চালু করা হয়েছিলো গার্মেন্টস। ফলশ্রুতিতে প্রান হারাল কয়েকশো মানুষ। একটা গার্মেন্টস এ প্রায় শত শত মেশিন একসাথে চলার ফলে রেসোনান্স তৈরি করে। রেসোনান্স হোল এক ধরণের ছন্দ বদ্ধ কম্পন। রেসোনান্সএর ফলে তৈরি হয় excessive vibration. এমনিতেই এই ধরণের কাজ গুলো যেই ভবনে হয় তার factor of safety অনেক বেশি রাখার জন্য recommend করা হয়। সাধারন মানের কোন বিল্ডিঙেই যখন এইধরনের ফ্যাক্টরি বানানোর পারমিশন নাই সেখানে একটি ফাটলযুক্ত বিল্ডিং এ গার্মেন্টস চালানোর তো প্রশ্নই আসেনা।



একই তালে তাল মিলিয়ে যখন খুব noisy কোন কাজ করা হয় তখনই রেসোনান্স সৃষ্টি হয়। রেসোনান্স এর ফলে স্থাপত্য ধ্বসে পড়া নতুন কিছু না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় Angers Bridge এর কথা। ফ্রান্সের এই ব্রিজটি প্রায় প্রতিদিনই ফরাসী সৈনিকদের দ্বারা ব্যাবহৃত হতো। প্রায় ১০২ মিটার লম্বা এই ব্রিজটি প্রতিদিন মার্চিং করে পার হতো সৈনিকরা। মারচিং এর সময় একই তালে পা মিলিয়ে চলার জন্য যে রেসোনান্স তৈরি হতো তাতেই ভেঙ্গে পরে ব্রিজটি। ফলে প্রায় ২ শত মানুষের মৃত্যু ঘটেছিলো। সেখানে একটা ব্রিজ এর তুলনায় একটি ফাটল ধরা নাজুক ভবনতো কিছুই নয়।



একজনের আতিশয্যে আজ মৃত্যু হোল শত শত মানুষের। শুনেছি মালিকেরও নাকি মৃত্যু ঘটেছে।

An age old proverb says that, '''Temptation leads to sin and sin to death'.

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

ঢাকাবাসী বলেছেন: ফাটলের পরও আবার সেই গার্মেন্টস মালিক কারখানা চালু করার ফলেই মারা গেল প্রায় ২৯ জন (এখন পর্যন্ত, আর আসল মৃত্যুর সংখ্যাটা কোনদিনই জানা যাবেনা) শতাধিক গুরুতর আহত। মালিকরা কোনদিনই শাস্তি পায়না উদাহরন তাজরীন গার্মেন্টস সহ আরো বহুৎ। মালিকের সাথে থাকে সরকার, বলবে ৪০- ৫০ জন মরা কোন ব্যাপারই না।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১২

তেপান্তর মন বলেছেন: খুবই দুঃখজনক। :( :( :(

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

মৈত্রী বলেছেন: Temptation leads to sin and sin to death

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.