নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তেপান্তর মন

A "TRUTH" can walk naked but a "LIE" needs to be dressed .

তেপান্তর মন

বারবারা এসো, রবিশঙ্করের সুরে সুরে মুমূর্ষু মানবতাকে গাই বিবেকের জংধরা দরোজায় প্রবল করাঘাত করি অন্যায়ের বিপুল হিমালয় দেখে এসে ক্রুদ্ধ হই, সংগঠিত হই জল্লাদের শাণিত অস্ত্র সভ্যতার নির্মল পুষ্পকে আহত করার পূর্বে, দর্শন ও সাহিত্যকে হত্যা করার পূর্বে এসো বারবারা বজ্র হয়ে বিদ্ধ করি তাকে।

তেপান্তর মন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউঃ The Man Who Knew Too Much (1956)

০৬ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

A spoiler-free post:

The Man Who Knew Too Much (1956)

my rating 8/10

১৯৩৩ সাল। হিচকক তখনও হলিউড এ প্রবেশ করেননি। কিন্তু ততদিনে ব্রিটেন জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তার জয়জয়কার। বেশ কিছু থ্রিলার বানিয়ে ততদিনে সারা ফেলে দিয়েছেন ইংল্যান্ডে।

prince of paradox খ্যাত fiction story writer চেয়াস্টারটনও তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন লন্ডন। তারই লেখা একটি গল্প নিয়ে চার্লস বেনেট এর স্ক্রিপ্ট এ উনি বানিয়েছিলেন The Man Who Knew Too Much (1934)। mainstream thriller film এর তৎকালীন খরার ভেতরে বেশ ব্যবসাসফল হয়েছিলো মুভিটি। বেশিরভাগ critic দের মতে তার ব্রিটিশ পিরিয়ডে বানানো ছবির মধ্যে এইটাই শ্রেষ্ঠ।

এতো acclamation পাওয়ার পরও মন পুরলো না হিচককের। নিজের কাজে নিজেই সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। ঠিক করলেন সময় সুযোগ বুঝে এই ছবি তিনি আবার বানাবেন। করলেনও ঠিক তাই। সময়টা ১৯৫৫। প্যারামাউন্টের সাথে ভালো একটা চুক্তিও হয়ে গেলো। প্রধান চরিত্র হিসেবে পেয়ে গেলেন জেমস স্টুয়ারটকেও। আর কি লাগে? প্রায় একই কাহিনী নিয়ে প্লট ও সেটিং এ বড় রকমের পরিবর্তন এনে হলিউডে আবার বানালেন চলচিত্রটি। এখনকার হিচকক আর ১৯৩৩ এর এর মাঝে এখন আকাশ পাতাল তফাৎ। এখন তিনি আরও অনেক অভিজ্ঞ, আরও অনেক পরিপূর্ণ। তার ছাপ পুরোপুরিই পড়লো মুভিতে। হলিউড কাঁপিয়ে এটি হয়ে গেলো ১৯৫৬ এর সেরা বক্সঅফিস হিট মুভি। পেল অস্কার নমিনেশন। জেমস স্টুয়ারট এর অনবদ্য অভিনয় মুভিকে দিলো নতুন মাত্রা। এবার কিছুটা স্বস্তি পেলেন হিচকক।

***এটিই হোল পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র চলচিত্র যা কিনা একই পরিচালক ২ বার বানিয়েছেন।***

কাহিনী অবশ্য এইখানেই শেষ না। চলচিত্রটি রিলিজ হওয়ার কয়েক বছর পর প্যারামাউন্ট পিকচার হিচকক কে ঠকিয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার করে দিলো এই ছবিটি। ক্ষেপে গেলেন হিচকক। তার এতো মেহনতের ছবি নিয়ে প্রতারণা? মামলা করে দিলেন প্যারামাউন্ট পিকচার এর বিরুদ্ধে। তাও যেন তেন মামালা না, ৪০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা। অবশ্য এ তাই মামলার ফলাফল শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিলো জনসম্মুখে কখনই প্রকাশ করেনি আদালত।

*** না দেখলে দেখে ফেলুন। আশা করি খারাপ লাগবেনা ..............

## যে কোন মুভির download link বা রিভিউ পেতে এই গ্রুপে যোগ দিন ##

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

আবুল হাসান নূরী বলেছেন: আলফ্রেড হিচকক সেরা পরিলাচক হিসেবে ৫ বার অস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেও একবারও পুরস্কার জিততে পারেননি।

০৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

তেপান্তর মন বলেছেন: হুম :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.