নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরানকে শায়েস্তা করতে না পারলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩

এক সময়ের কিলিং ম্যাশিন সাদ্দাম এবং মধ্যপ্রাচ্যের ত্রাস গাদ্দাফিকে দমন করার পর মধ্যপ্রাচ্যে কিন্তু স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছিল, কিন্তু বিগত ১ দশক ধরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ইরান। ঠিক এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম এক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসবে আবির্ভাব হয়েছে ইরান। নিজ দেশের ভেতর এবং দেশের বাইরে এমন কোন অপকর্ম নেই এই ইরান করেনি। গত তিন বছর ধরে ইরানের মুক্তিকামী সাধারণ জনগণের উপর হত্যা, গুম, খুন, নির্বিচারে গুলি, জেল-জুলুম, নির্যাতন চালিয়ে আসছে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বর্বর বাহিনী।



ছবি- ইরানের এক নারী আন্দোলন কর্মী।

শান্তিকামী আন্দোলন কর্মী মায়সা আমিনিকে নির্যাতন করে হত্যার পর থেকে ফুঁসে উঠেছে ইরানের জনগণ, তারা এখন আলী খামেনির বর্বরোচিত শাসন থেকে মুক্তি চায়।



ছবি- মায়সা আমিনির মৃত্যুতে ক্ষোভ।

দেশের বাইরে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের অপকর্মের লিস্ট অনেক বড়; মধ্যপ্রাচ্যের সবগুলো সন্ত্রাসী বাহিনীকে ইরান ব্যাক আপ দিয়ে যাচ্ছে; আল- জিহাদি, হিজবুল্লাহ, হুতি গোষ্ঠী, হামাস, কুদ্দুস বাহিনী ইত্যাদি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে ইরানের ছত্র ছায়ায় লালন পালন হচ্ছে। ইয়েমেন, সিরিয়া, লেবানন, লিবিয়া, ইরাক, ইজরাইল ইত্যাদি দেশগুলোতে ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠী গুলো ব্যাপক ভাবে সক্রিয় রয়ছে, সুযোগ পেলেই তারা না না গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং সাধারণ মানুষের উপর হামলা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সর্বশেষ ঘটনা ইজরাইল-ফিলিস্তিনের ঘটনা যার পুরো কলকাঠি নাড়ছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্য আজ যেন এক জাহান্নামে পরিণত হয়েছে শুধু এক ইরানের জন্য।



ছবি- হুতি বিদ্রোহী।

সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই ইয়েমেনের হুতি বাহিনীকে দমন করা চেষ্টা করে আসছে কিন্তু তারা বার বার ব্যর্থ হচ্ছে ইরানের সমর্থনের কারণে, ঠিক যেমন ইসরাইল বাহিনী হামাসকে দমন করতে পারছে না। ভয়ঙ্কর এসব জঙ্গি গোষ্ঠীকে দমন করা সত্যিই অনেক দুরূহ কারণ এরা বেসামরিক লোকজনের ঘরবাড়ি, স্থাপনার নিচে সুরঙ্গের ভিতর লুকিয়ে থাকে, এদের ট্রেস পাওয়া অনেক কঠিন। যুদ্ধের সময় এরা সাধারণ জনগণকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, যে বা যারাই এতে অস্বীকার করবে তাদেরই কতল করা হয়, মুরতাদ, ধর্মদ্রোহী বলে।



ছবি- জঙ্গী গোষ্ঠী।

এভাবেই বেসামরিক লোকজন এদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে কারণ এসব দেশের সরকার ব্যবস্থা খুবই দুর্বল সরকারই বরং এসব জঙ্গি গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।



ছবি- হামাসের আস্তানা।

২০১৮ সালের দিকে ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা 'কাসেম সোলাইমানি' সৌদি আরবকে হুমকি দিয়েছিলেন- সৌদি আরব যদি ইয়েমেনের হুতি বাহিনীর উপর আক্রমণ বন্ধ না করে তাহলে পবিত্র মক্কা, মদিনা নগরী ব্যতীত সৌদির সবগুলো নগরী ধ্বসীয়ে দেয়া হবে" বলে। দিন দিন যেন ইরানের স্পর্ধা বেড়েই যাচ্ছিল, তার ঠিক দুই বছর পরে ২০২০ সালে সৌদি আরব আমেরিকার সহায়তায় কাসেম সোলাইমানির উপর নির্ভুল এক হামলার মাধ্যমে হত্যা করে ইরানের উপর প্রতিশোধ নেয়। এতো বড় একজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হলো অথচ উক্ত হামলায় একজন বেসামরিক লোকও হতাহত হয়নি; যা ছিল শতাব্দীর সবচেয়ে সেরা এক সামরিক হামলা। আসলে যে কোন আক্রমণে বেসামরিক লোকজনের ক্ষয়-ক্ষতি কখনোই কাম্য হতে পারে না।



ছবি- কাসেম সোলাইমানি, মাঝে।

কাসেম সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান তাদের উচ্চ প্রযুক্তির অত্যাধুনিক এক মিসাইল যা মুহূর্তেই নির্ভুল লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন এক হাইলি সফিস্টিকেটেড মিসাইল দ্বারা সফল ভাবে নিজেদের বেসামরিক বিমান নিজেরাই ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছিল =p~ । উক্ত হামলায় ৩০০ এর মত বেসামরিক লোক নিহত হয়। বিষটার জন্য ইরান অবশ্য পরে দুঃখ প্রকাশ করেছিলো।



ছবি- ইরানের উচ্চ প্রযুক্তির যুদ্ধ বিমান। :-P

সৌদি আরব এখনো সারা বছরই ইয়েমেনে হুতি বাহিনীর উপর বোমা বর্ষণ করেই যাচ্ছে, এ কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে সৌদির যেমন হুতি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের রক্ষা করার অধিকার রয়েছে, ঠিক তেমনই ইসরাইলেরও হামাস বাহিনীর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার অধিকার রয়েছে, রাশিয়া যেমন নিজেদের নিরাপত্তার অজুহাতে ইউক্রেনে নির্বিচারে নারী-পুরুষ হত্যা করছে।



ছবি- ইয়েমেনে সৌদি বাহিনীর বোমা বর্ষণের পারের অবস্থা। :(

সুতরাং দেখা যাচ্ছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের অধিপত্য কায়েম করতে ইরান বিভিন্ন সন্ত্রাসী, জঙ্গি গোষ্ঠীকে একের পর এক সহায়তা প্রদান করেই যাচ্ছে। পুরো মুসলিম বিশ্ব যেখানে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় খুঁজছে কিন্তু ইরান সেখানে হিজবুল্লাহ, হামাস, হুতি, ইসলামিক জিহাদ ইত্যাদি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সহায়তার মাধ্যমে এই কনফ্লিক্টকে আরও উস্কে দিয়ে বিষয়টাকে খুবই ভয়াবহ অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই এই ভয়াবহতার আঁচ ইরানের উপরেও পড়বে, কারণ ইট'টি মারলে তো পাটকেলটি খেতেই হয়।



ছবি- হিজবুল্লাহ গুরুর সাথে আয়তুল খামেনি এবং কাসেম সোলাইমানী।

বক্তব্য খুবই পরিষ্কার; ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, মিসর, ফিলিস্তিন, ইসরাইল তথা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যত হতাহতের ঘটনা ঘটছে তার সবগুলোর দায় ইরানের, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রাখছে এই ইরান, এভাবে আর বেশিদিন চলতে দেয়া যায় না বিশ্ববাসীর সময় এসেছে এখন ইরানকে থামানোর। অবশ্য ইরানের হাতে এখনো সময় রয়েছে সুপথে ফিরে আসার তা না হলে ইরানকে করুন পরিণতি বরন করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

এবার আসি মধ্যপ্রাচ্যের বাইরের ঘটনায়।


না, মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে ইরানের তেমন কোন সামরিক প্রভাব নেই, তবে রাশিয়ার সহায়তায় কিছু একটা করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে, যে কারণে ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পক্ষে এরা সরাসরি ভোট প্রদান করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার এই ন্যক্কারজনক হামলার পক্ষে হাতে গোণা যে দুই একটি দেশ সমর্থন জানিয়েছে তার মধ্যে ইরান অন্যতম। রাশিয়া ইউক্রেনে যত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইরান ততই বাহবা দিয়েছে। পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ইরান যেমন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা করে যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও স্বৈরাচারী, আগ্রাসী রাষ্ট্রগুলোকে গোপনে অথবা সরাসরি সমর্থন দিয়ে আসছে। ইরান মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক বিষফোঁড়া হয়ে উঠছে সময় এসেছে একে শায়েস্তা করার। ইরান সমর্থিত যত জঙ্গি গোষ্ঠী রয়ছে এগুলো সব নির্মূল করতে হবে, ধ্বংস করতে হবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইরানের যত সামরিক ঘাঁটি, তবেই কেবল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা যুদ্ধ চাই না আমরা শান্তি চাই, শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধের বিকল্প কিছু নেই।



আরো কিছু কথা... নাহ থাক। বাকি খবর আপনারা পত্রপত্রিকা থেকেই জেনে নিবেন যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ঘটবে।



ধন্যবাদ।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



মুসলিম দেশগুলোর মাঝে সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ হচ্ছে ইরান ( তেল ও বিপ্লব ) ও তুরস্ক ( ন্যাটো ); কিন্তু বিশ্বে তাদের কোন সুনাম ও সন্মান নেই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তুরস্ক মুটামুটি লিবারেল আছে, কিন্তু ইরানের যে অবস্থা তাতে ওরা বিশ্বকে পিছন দিকে নিয়ে যেতে যায়, এতগুলো উগ্র গোষ্ঠীকে সাপোর্ট দিয়ে আসলে ওরা কি অর্জন করতে চাচ্ছে সেইটাই আমি বুঝি না। তবে আজ হোক আর কাল হোক ইরানের জনগনই খামিনির পতন ঘটাবে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: লেটেস্ট খবর হচ্ছে, সবকটা সন্ত্রাসী এক জায়গায় হইসে: মস্কোয় রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইরান ও হামাস নেতাদের বৈঠক।

এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হলো- হামাস যদি আমেরিকার সৃষ্টি হয় তাহলে সেই হামাসের প্রতিনিধী কেন রাশিয়ার সাথে বৈঠক করে? বিষয়টা তো পুরা প‌্যাঁচ লেগে গেলো।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: ইরানকে ইরাকের অবস্থা করে ফেলতে হবে।তবে যদি শান্তি আসে।ইরাকে এখন শান্তির পতাকা পত পত করে উড়ছে।
কোন দেশ কি ভাবে চলবে সেটা ঠিক করবে সেই দেশের জনগন।বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়া কোন শান্তি,অশান্তিই বাড়াবে।বিশ বছর আমেরিকা আফগানে থেকে কি শান্তি এনেছে।ছেড়ে আসার পর এক দিনও টিকেনাই সেই শান্তি।
হামাস ইরানের শৃষ্টি না,হিজবুল্লা ইরানের অর্থে চলে।হামাস সুন্নিদের সংগঠন।অইএস,তালেবান,আল কায়দা সুন্নিদের সংগঠন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জ্বী ইরানের জনগনই এক সময় খামেনির পতন ঘটাবে, সে জোড় করে ক্ষমতা ধরে রাখছে। ইরাক এখন রিকভার মুডে আছে তবে আগের চেয়ে অনেক ভালো আছে আর ১০ বছর যেতে দিন ইরাক একসময় জাপানের মত হবে। আফাগানিরা কখনো মানুষ হবে না ওরা ওদের মতোই থাকুক, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র কেউ'ই ওদের মানুষ করতে পারেনি।



আপনার মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হামাস ইরানের সৃষ্টি কি না জানিনা তবে বর্তমানে ইরান হামাসকে সরাসরি মদদ দিয়ে যাচ্ছে। আর আমি তো জানি অইএস হামাসকে সাপার্ট করে না, কারণ হমাস নাকি ধর্ম বিরোধী হয়ে গেছে।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২০

কামাল১৮ বলেছেন: অনেক কিছু আছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অংশ।সেখানে হিসাব মিলানো কঠিন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমাদের দেশের রাজনীতিতেও অনেক জঘন্য কিছু হয়, যে কারণে আমি রাজনীতি পছন্দ করি না।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তবে একটা প্রশ্নের উত্তর না দিলে আপনাকে ছড়াছি না - আন্তর্জাতিক রাজনীতির সমস্ত খেলার গুটি শুধু মুসলিমরাই হয় কেন? মুসলিমরা কেন পশ্চিমাদের খেলার গুটি বানাতে পারে না?

গাজীসাহেবের পোস্টে কেউ একজন মন্তব্য করেছেন হামাস নাকি আমেরিকার সৃষ্টি। এজন্যই প্রশ্নটি মাথায় এলো। :D

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



হামাস নিয়ে কিছুটা তথ্য আগামীতে আমি লিখবো। ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধে খুব চেষ্টা করা হচ্ছে সরাসরি ইরানকে যুক্ত করা যায় কিনা? সরাসরি ইরান যুক্ত হলে, ইরান - আমেরিকা যুদ্ধ বেঁধে যাবে। এই হচ্ছে অবস্থা।


২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৩২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইরানের ব্যাপারে শুরু থেকেই আমি এ কথা বলে আসছি, রাশিয়ান ব্লক'কে ছেটে ফেলার জন্য আমেরিকার এ ফন্দি হতে পারে, অথবা ভয় টয় দেখিয়ে ইরানকে আমেরিকান ব্লকে আনা যায় কি সে চেষ্টাও হতে পারে। তবে রাশিয়ার উস্কানী পেয়ে ইরান যদি এ যুদ্ধে জড়ায় তাহলে ইরান ভুল করবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আর হামাসের ব্যাপারে আপনি যা ভাবছেন অনেকেই বিষয়টা এভাবেই ভাবছে, তবে এ ব্যাপারে আমি পুরোপুরি সন্দিহান, হামাস কি তাহলে দু পক্ষ মানে আমেরিকা, ইরান দু দেশ থেকেই সুবিধা নিচ্ছে? আসলে বিষয়গুলো অনেক জটিল, আসল ঘটনা কি তা হয়তো আমরা কখনোই জানতে পারবো না।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: লেটেস্ট খবর হচ্ছে, সবকটা সন্ত্রাসী এক জায়গায় হইসে: মস্কোয় রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইরান ও হামাস নেতাদের বৈঠক।

এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হলো- হামাস যদি আমেরিকার সৃষ্টি হয় তাহলে সেই হামাসের প্রতিনিধী কেন রাশিয়ার সাথে বৈঠক করে? বিষয়টা তো পুরা প‌্যাঁচ লেগে গেলো।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: অন্যকে খেলার গুটি বানাতে যে জ্ঞান ও প্রজুক্তি দরকার তার কোনটাই মুসলমানদের নাই।যতদিন তারা ধর্মের শিকল থেকে বের হয়ে না আসবে ততদিন সম্ভব না।
হামাস মামাস পশ্চিমাদের সৃষ্টি যারা বলে তারা ইসলামের একটা দিক জানে অন্য দিকটি জানে না।মোটা দাগে ইসলাম আছে দুইটি । একটা মক্কার ইসলাম অন্যটা মদিনার ইসলাম।এটা বুঝতে হলে মক্কায় নাজিল(?) হওয়া সুরা ও মদিনায় নাজিল হওয়া সুরা পৃথক করে পড়তে হবে। মক্কায় মদ হালাল ছিলো মদিনায় হারাম।মক্কায় পর্দা ছিলো না মদিনায় পর্দা ফরজ।মক্কায় তোমার ধর্ম তোমার,আমার ধর্ম আমার।মদিনায় ইসলাম জাড়া বাকি সব বেদীন কাফের।এমন হাজারো পার্থক্য আছে।।
যারা মডারেট মুসলিম তারা জিহাদ পছন্দ করে না।তারা জিহাদীদের ওমকের সৃষ্টি তোমকের সৃষ্টি বলে।অথচ মদিনার ইসলাম শেষদিন পর্যন্ত জিহাদ ফরজ করেছেন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।
ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি আলাদা পোস্টে একটি ব্যাখ্যা দিবো। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হ্যা অপেক্ষায় থাকবো।

গুড লাক।

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ইরানে হামলা করে যুদ্ধের পরিধি বিস্তার করে কোন লাভ হবে না।
হামাসকে এমনিতেই নিরস্ত্র করা সম্ভব। হিজবুল্লাহ কোন বড় সমস্যা নয়।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে ইরানই এই হামলার মূল উন্ধন দাতা। গতকালও ইরান ও হামাসের কর্মকর্তাগণ রাশিয়ার সাথে বৈঠক করেছে।

হামাসকে নির্মূল করা অতটা সহজ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে ইরানের কাছ থেকে সাপোর্ট পায়। তাছাড়া হামাসের লোকজন গাজায় সাধারণ মানুষের সাথে ছদ্দবেশে মিশে থাকে, আর ওদের মাটির নিচে মাকড়সার জালের মত বিস্তৃত ট্যানেল রয়েছে যার বেশীরভাগই বেসামরিক লোকজনের ঘর বাড়ি, স্থাপনার নিচ দিয়ে যেখানে হামালা চালানো বেশ দূরুহ। এসব ট্যানল করতে হামাস বাহিনীর প্রায় ১২ বছর সময় লেগেছে।

ভগনার গ্রুপের পরেই হিজবুল্লাহ সবচেয়ে বড় বেসরকারি সামরিক সংগঠন তবে আপাদত ইসরাইলের জন্য হিজবুল্লাহ বড় কোন সমস্যা হবে না কারণ আমেরিকা সাগর থেকে তাদের আক্রমন রুখে দিচ্ছে।

ধন্যবাদ।

৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বাংলাদেশ নিয়ে কিছু লেখার উপায় আছে?

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশের লেটেস্ট খবর হচ্ছে- পাশের বাসার সিয়ামের আম্মু আরমিনের আম্মুকে বলতেছে, "আজকে শেখ হাসিনার পতন হবে, পল্টনে ১০ লাখ লোক জড়ো হইছে, আজ শেখ হাসিনার রক্ষা নেই।" =p~

আরও নতুন কোন তথ্য পেলে আপনাকে জানাবো। B-)

ব্যস্ততার মাঝেও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আরব দেশ গুলোর মধ্যে একতা নেই।
এই জন্যই তাদের আজ এই অবস্থা।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সবকিছু নাকি কুআন হাদিস মোতাবেকেই ঘটছে, তাই হয়তো আরব দেশগুলো চুপচাপ আছে। যা লেখা আছে তা তো ঘটবেই।

মহাজাগতিক চিন্তাধারার পোস্ট থেকে এমন কিছুরই ইঙ্গিত পেলাম।

মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ইরানকে পচিয়ে দিয়েছে ইসলামী বিপ্লব।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই সব বিপ্লব একটি জাতিকে শুধু পিছনের দিকেই ধাবিত করে। রাজনীতিকে ধর্মমুক্ত করা না গেলে এই পৃথিবীতে শ্বান্তি আসবে না।

শুভেচ্ছা জানবেন।

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১

বাউন্ডেলে বলেছেন: বিরাট পোষ্ট। বহু কমেন্ট। বিষয়ঃ আন্তর্জাতিক।
বর্তমানে ধর্মাশ্রয়ী যতোগুলি রাষ্ট্র আছে তাদের মধ্যে ইসরাইল, ইরান, আফগানিস্থান ও সৌদিআরব অন্যতম।
জায়নোবাদিরা ডুগডুগি বাজিয়ে বাস্তুহীন ধমর্প্রান ইহুদিদের জড়ো করে জেরুজালেমকে ঘিরে নতুন রাষ্ট্র গঠন করে পুরো বিশ্বে তাদের মতবাদ ছড়িয়ে দিতে তৎপর। এ কাজে যে কোন বাধাই তাদের শত্রু।
অনুরুপ ইরান (মুসলিম শিয়া মতাদর্শ )। এরাও তাদের মতবাদ ছড়িয়ে দিতে তৎপর। এ কাজে যে কোন বাধাই তাদের শত্রু।
অনুরুপ আফগানিস্থান (মুসলিম সুন্নী মতাদর্শ )। এরাও তাদের মতবাদ ছড়িয়ে দিতে তৎপর। এ কাজে যে কোন বাধাই তাদের শত্রু।
সৌদিআরব (ইসলামকে ব্যবহার করে বংশপরস্পরায় মক্কা-মদিনার মজা লোটা)। এরা তাদের স্বার্থে আঘাত কারি ও তাদের কাজে যে কোন বাধাই তাদের শত্রু।
মার্কিনি পশ্চিমাদের মতোই তাদের সবারই নিজস্ব মানবতার মাপকাঠি আছে। “এই চিপায়” যারাই পড়বে তারাই তাদের ক্রোধের অনলে পুড়বে।
আমরা দর্শক।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো বলেছন। আমরা হলাম দর্শক।

রাজনীতিকে ধর্মমুক্ত করা না গেলে এই পৃথিবীতে শ্বান্তি আসবে না।



ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.