নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

জাদিদ

ব্যক্তিগত ব্লগ।

জাদিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যক্তিগত মূল্যায়ন: কোটা আন্দোলন

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯

আমার ব্যক্তিগত মুল্যায়নে কোটা আন্দোলন একটি ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। এই তথাকথিত কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে সুক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধা এবং পরবর্তী প্রজন্মকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। যার ফলাফল হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তরুন প্রজন্মের মধ্যে এক ধরনের বিরুপ মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে। নিজের দেশের প্রতি তরুন প্রজন্মের মধ্যে অনাস্থার বীজ সুকৌশলে রোপন করা হচ্ছে।

তরুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবিশ্বাস, অবমাননা বা স্বাধীনতার মুল্যবোধকে মুছে ফেলার কাজ খুবই পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে বলে। প্রথমেই সৃষ্টি করা হলো প্রচুর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে বীর মুক্তিযোদ্ধার ‘স্বীকৃতি’ দিয়েছে। এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আবার ভাতাও প্রদান করা হয়েছে। এদের সংখ্যা কত জানেন? আট হাজার।
খানাপিনা শেষ! পেট ভরে গেছে, এখন বলা হচ্ছে এই আট হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা উদ্ধার করা হবে। যেদিন টাকা উদ্ধার করে গেজেট দিবে, তার আগে পর্যন্ত এই গল্প আর আরব্য রজনীর গল্পের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। ফলে, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে তরুন প্রজন্মের বয়েই গেছে। গত কয়েক বছর আগেও যা অকল্পনীয় ছিলো সেটা আজকে বাস্তবে চোখের সামনে দেখতে হচ্ছে।

এই দেশে সম্মানজনক দুর্নীতি করার উপায় হচ্ছে সরকারী চাকরী। আপনি দুর্নীতিও করতে পারবেন আবার সরকারী চাকুরীজীবি হিসাবে সম্মানও পাবেন। সেই পরীক্ষাকেও দুর্নীতি খেয়ে ফেলেছে। ১৫ লাখ টাকা খরচ করে ২০ হাজার টাকার চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন। আমাদের নীতি নৈতিকতাকে এমন জায়গায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে যে, আপনার বিবেক ভুলেও আপনাকে প্রশ্ন করবে না ২০ হাজার টাকার চাকরিতে আপনি ১৫ লাখ টাকা কোথায় পাবেন? মানুষ ভাবতো, বিসিএস পরীক্ষা বুঝি কলংকমুক্ত – এখন জানা গেলো, সেখানেও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়।

একটা সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ হয়েছিলো। তখন ছাত্রদের ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলার সময় অনেকেই বলেছে তারা বিদেশে যেতে চায় না বা গেলেও তারা ভালো ডিগ্রি নিয়ে চলে আসতে চায়। বর্তমানে আপনি বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে দেখবেন – মানুষ কিভাবে পাগলের মত দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। অবস্থাটা এমন যে, মানুষ ভারতের ভিসা পেয়েও কয়েকবার আলহামদুলিল্লাহ বলে ভিসার ছবি আপলোড করে।

কেন কোটা আন্দোলনকে আমার ঘরোয়া আন্দোলন বলে মনে হয়? কারন এখনও কোন হেলমেট বাহিনীর দেখা পাওয়া যায় নি, এখনও পুলিশ শান্ত, কোন লাঠি পেটা নেই, টিয়ার গ্যাস নেই। তবে আমি আজীবন তরুনদের শক্তিতে বিশ্বাস করি। হয়ত শেষ পর্যন্ত কোন মিরাকেলের বিশ্বাস করে যাবো। একমাত্র তরুনরাই পারে দেশের উপর যে কালো জাহিলিয়াতের ছায়া পড়ছে, সেটা থেকে উদ্ধার করতে। নইলে আমি এই দেশের কোন ভবিষ্যত দেখি না।

মনে রাখবেন আমাদের বাবা চাচা যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলো বা যারা এই দেশের স্বাধীনতার সাথে যুক্ত ছিলো, তাদের মোরালিটি ছিলো, নীতি নৈতিকতা ছিলো, আদর্শ ছিলো। আর আজকে আমাদের তরুনদের আদর্শ মাদক, অশ্লীলতা, দুর্নীতি দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। একমাত্র নীতি নৈতিকতা আর বুকে আদর্শ থাকলে নিজের দেশের বিপদে যুদ্ধ করা যায় কিন্তু নীতি নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে গেলে বা বুকে আদর্শ না থাকলে যুদ্ধ করা যায় না।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯

নতুন বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের এবং তাদের সন্তানদের অবশ্যই রাস্টিও ভাবে সুবিধা দেওয়া উচিত। সেই সময়ে ঐ মানুষ গুলি নিজের জীবনের ঝুকি নিয়েছিলেন দেশের মানুষের জন্য।

কিন্তু বর্তমানের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আসল মুক্তিযোদ্ধে থেকে বেশির হবার সম্ভবনাই বেশি।
এবং নাতীর প্রযন্ম যোগ দেয়ার দরকার ছিলো না।

কোটা থাকা দরকার সেটা সবার বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ঠিক করা দরকার।

সবচেয়ে বেশি দরকার দূনিতি বন্ধ করা।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০০

জাদিদ বলেছেন: জী, আপনার সাথে একমত। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমার বাবাও একজন মুক্তিযোদ্ধা, আমার পুরো পরিবারই মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। আমাদের গ্রামের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণের জন্য জড়ো হতেন পরে সেখান থেকে বর্ডার ক্রস করে ভারতে যেতেন। আমরা কখনও এই সব কোটা বা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বাড়তি কোন সুবিধা গ্রহণ করি নি, সত্যি বলতে আমি বা আম্মা চাইলেও আমার আব্বা কখনও সেটা নিতে চান নি। আমার আব্বা মারা গেছেন, গ্রামবাসীরা চেয়েছিলো তাঁকে যে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় - আমার বাবা কোন এক অদ্ভুত অভিমানে সেই কাজটুকূও করতে আমাকে নিষেধ করেছিলেন।

আমার ধারনা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কেউ কিছু করতে চাইলে সেটা সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করায়, অন্যায়ভাবে তাদের নাম ভাঙিয়ে খাওয়ায়।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫

তানভির জুমার বলেছেন: ছাত্রলীগের তো আলাদা কোন কোটা নাই। তাহলে গত ১৪ বছরের বিসিএসে রেকর্ড সংখ্যক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী কিভাবে বিসিএসের মত কঠিন পরীক্ষায় উতরে গেলো? আপনি পুলিশ বলেন বা জুডিশিয়ারি, শিক্ষা, ফরেন সার্ভিস সহ সব ক্যাডারেই আপনি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের আধিপত্য খুঁজে পাবেন। কয়েকজন মেধাবী থাকতেই পারে কিন্তু সরকার দলের সমর্থকে সিভিল সার্ভিস ভরপুর হয়ে যাওয়া কি অস্বাভাবিক নয়? ভিন্ন মতের চাকুরী প্রার্থীরা কি তবে মেধাবী নয়?

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০২

জাদিদ বলেছেন: আপনি যা বলেছেন সেটা মিথ্যে নয়। আমাদের দেশে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিএনপি শাসন আমলে এই দেশে যে সকল দুর্নীতি হয়েছে বর্তমান সরকার সেই সকল দুর্নীতিতে আরো সিস্টেমাইজ করে বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে এখনও চলছে। তারা যে দুর্নীতিতে সব কিছু ছাড়িয়ে গেছে সেটা তাঁরা নিজেরাও বুঝলেও মুক্তির উপায় তাদের জানা নেই।

কিন্তু এই সব থেকে যা ইন্ডিকেট করছে সামনে, সেটা ভীষন বিপদের! আশংকার!

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:১৬

তানভির জুমার বলেছেন: পুলিশ সেক্টর তো মোটামুটি ছাত্রলীগের এক্স নেতাদের একটা ইউনিটে পরিনত হয়েছে।
একটা পদন্নোতি আসলে সোস্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়,কলেজ ভার্সিটির বর্তমান নেতারা এক্স বড় ভাইদের কিভাবে দল বেঁধে অভিন্দনের বন্যা বয়ে দেয়।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

জাদিদ বলেছেন: আপনার দুটো মন্তব্যের জবাব এক সাথেই দিলাম। এটাই আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং কালচার।

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে সঠিকভাবে প্রাধান্য দিয়ে বাকি কোটা তুলে দেয়া উচিত; গরুর বাজারের মত যারা সরকারী চাকুরী কিনতে পারে তাদের কোটা নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়না।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ, একটা সঠিক পদ্ধতির প্রণয়ন করা উচিত।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আম্লীগ সব সময়েই মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে রাজনীতি করেছে; এই পুরো ব্যাপারটাকেই একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা তাদের বহু পুরানো কৌশল। ভারতকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য প্রশ্নফাস করে দেশে ডাক্তার বানানোর সূত্রপাত করে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে, প্রশ্নফাস করে দেশে সরকারী প্রশাসনকে দূষিত করার মাধ্যমে প্রশাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা সারা। দেশের প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে খোজা বানিয়ে ফেলা হয়েছে/হচ্ছে। এখন ভারতের সাথে ১০টা চুক্তি আর এমওইউ করে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার প্রক্রিয়ার শুভ উদ্বোধনও আমরা দেখে ফেলেছি ইতোমধ্যেই।

লেন্দুপ দর্জির যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে আম্লীগ, তার নেতা-নেত্রী আর চেলা-চামুন্ডাদের নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১

জাদিদ বলেছেন: আগে একটা সময় এই সব মনে হতো স্রেফ ষড়যন্ত্র তত্ব, ইদানিং কেন যেন তা আর মনে হয় না, মনে হয় সবই সত্য।
মনটা প্রচন্ড বিষন্ন হয় নিজের দেশের এই অবস্থা দেখে, কষ্ট পাই।

ভালো থাকবেন প্রিয় ভুয়া মফিজ ভাই।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কামাল১৮ বলেছেন: আন্দোলন করবে ঠিক আছে।কিন্তু নুরুদের মতো টাউট নেতৃত্বের খপ্পরে পরে আন্দোলন কানাগলিতে চলে যাবার সম্ভাবনা বেশি।আন্দোলনের সাথে সাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।যাতে আন্দোলনের গতি প্রকৃতি ঠিক থাকে।একবার ভুল পথে চলে গেলে বড়রকমের ক্ষতি হয়ে যাবে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

জাদিদ বলেছেন: নুরু একজন প্রতিষ্ঠিত বাটপার। এই কথা বুঝার মত বুদ্ধি আমাদের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নেই।

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

নতুন বলেছেন: আমার আব্বা মারা গেছেন, গ্রামবাসীরা চেয়েছিলো তাঁকে যে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় - আমার বাবা কোন এক অদ্ভুত অভিমানে সেই কাজটুকূও করতে আমাকে নিষেধ করেছিলেন।

অভিমান তার সাথেই করা যায় যাকে সে ভালোবাসে।

দেশের জন্য যখন জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলো, যেই স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করতে গিয়েছিলেন তার পরিবর্তে দেশ দূনিতির স্বর্গে পরিনত হলে অবশ্যই অভিমান তারা করবেনই।

আমার ধারনা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কেউ কিছু করতে চাইলে সেটা সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করায়, অন্যায়ভাবে তাদের নাম ভাঙিয়ে খাওয়ায়।

এই সমস্যার কারনে আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান প্রশ্নবিদ্ধ হবে। :|

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

জাদিদ বলেছেন: এর চাইতে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এখনও কিছু মানুষ কোটার পক্ষে সাফাই গাইছে।সত্যি খারাপ লাগে :(

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

জাদিদ বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়ায় পক্ষে আমি। তবে সে দেয়ার ক্ষেত্রে যেন কোন দুর্নীতি না হয় এটাই আমার প্রত্যাশা।

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: আওয়ামী লীগ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী দল। আওয়ামীলীগের তখনকার কর্মীদের মধ্যে ৭০% মুক্তিযোদ্ধা। একটু বেশী সুবিধা পাওয়া কারো দয়ার দান নয়- অধিকার। ৩০ লাখ শহীদ পরিবার চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান এখন সময়ের দাবী। একাত্তরে হেরে গেলে কি কি ঘটতো- একটু আন্দাজ করুনতো। পাছায় তেল ধরেছে সুবিধাবাদীদের।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

জাদিদ বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধা বা তাদের অসম্মান করার নিয়ে এখানে কথা বলা হয় নি। কথা বলা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে দুর্নীতিবাজদের সুবিধা প্রদানের ব্যাপারে। এই যে মুক্তিযোদ্ধাদের আজকে নতুন প্রজন্মের মুখোমুখি করানো হলো, এতে কি লাভ হলো?

মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের কিভাবে সুবিধা প্রদান করা যায়, সেই প্রসঙ্গে একটি বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নিলে সবাই বিষয়টিকে স্বাগত জানাবেন। অন্যায়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিতর্কিত করার এই প্রয়াস আমার কাছে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেই মনে হয়।

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

এম ডি মুসা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধা সন্তানদের ভাতা দেউক তবে কোটা নয়। দেশটা স্বাধীন হয়েছে অধিকার রক্ষার জন্য। যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে তাদের সন্তান কয়জন আছে। আমাদের বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তাফা কামাল মারা গেছেন তার তো সন্তান ও নেই তার বংশে কে কোটা চায়। যারা যুদ্ধ করে জীবন দেয়নি । যারা জীবন দেয়নি তাদের সন্তান কোটা পাবে। দেশের মানুষ সাহায্য নিয়ে কিন্তুু পাকের বিরেুদ্ধে জয় লাভ করছে সেটা প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধা থেকেই জেনেছি । দেশের মানুষকে অবহেলা করে ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা রা ।গতকাল একজন মুক্তিযুদ্ধা একটা সাক্ষাৎকারে বলছে আমরা দেশের কোটা আর ভাতার জন্য যুদ্ধ করিনি। তার মত মুক্তিযুদ্ধার জন্য স্বাধীন হয়েছ। তারাই প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধা । তাদের তো দেশটা পুরোটা। তাদের সন্তানের ও ভাতা দেক। কিন্তুু কোটা দেওয়ার কোথায় নেই। সংবিধানে।

১১| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

এম ডি মুসা বলেছেন: কোন স্বার্থের জন্য যদি যুদ্ধা করতো তাহলে জীবন দিতো না । যারা জীবন দিয়েছে তাদের তাদের বংশধর কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হউক। আর ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা, কেন পাবে। আমাদের এলাকায় সত্তার সাহেব মারা গেছেন, তিনি মাইনকা ইউনিয়নের কমান্ডার ছিলেন তার একটা সনদও নাই। তার সন্তান বাজরে ব্যবসা করে খায়। তাদের তরে জিজ্ঞাসা করছি ।বলছে কিছু লাগবেনা। তারা কেমন সন্তান কোটার দাবি তুলে নাকি? মুক্তিযুদ্ধা আমার ফ্যামিলি ও ভিতরে আমার কাকা, আমার ফুফা। আমার নানা ও মুক্তিযুদ্ধার কামন্ডার কাশেম সাহেব কে সহযোগিত করছেন নানা তথ্য দিয়ে ১৯৭১ সময়কালে। আমার মামার চাকরি হয়েছে তার সুপারিশে। আমার মামাকে রাজাকার ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানে মেরে ফেলতে দাঁড় করছে সেখান থেকে গোলাগোলি থেকে বেঁচে গেছেন। তবে আমার মামা এখনো আছেন তিনি সরকারি চাকরি করেন। আমার নানার ও সার্টিফিকেট নাই কেন দেশকে ভালোবেসে স্বাধীনতা চেয়েছেন বলে সাহায্য করছেন। আমরা সাধারণ জনগণ তবে আমাদের অবহেলা কিভাবে করেন? আমাদের কি মুক্তিযুদ্ধা সময় কালে বিন্দু মাত্র অবদান নাই।

বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর । সেই মুক্তিযুদ্ধার কাশেম কমান্ডার উপজেলার কাকা আমাদের দখলকৃত জমি উদ্ধার করে দিয়েছন।মুক্তিযুদ্ধা কোটা নিয়ে আমার আপত্তি নাই। ৬০% এবং ৪% পোষ্য কোটা। ১% প্রতিবন্ধি কোটা । দেশটার কি ভাগে ভাগে ভাগ হয়েছে। নাকি দিতেছেন এতকিছু? নারীকে আপনি অবহেলিত সংখ্যার জন্য ১০% কোটা রাখেন। সব মেয়ের বাবা তো অসহায় না , ঢাকার ফ্লাট বাড়ির মালিকও কোটা পায়। গরিব কৃষক ছেলে কোটা পায়না। কি হচ্ছে আপনি কি বলছেন আপনার তথ্য আরো মজবুত করার উচিত। কোটা সমাজ কে আরো জানা উচিত? তারপর আবার ডিভাইজ জালিয়াতি তারপর আবার প্রশ্ন ফাঁস আবার ৩৫ আন্দলোন করে পায়না । ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দলোন কি জন্য হয়েছে জানেন কি? অধিকার আদায়ের জন্য না ব্যক্তিক স্বার্থের জন্য করে নাই। সংবিধানে ২৯ (১)নং অনুচ্ছেদ নারী পুরুষ কোন ক্ষেত্রে বৈষম্য করা যাবে না তাহলে পুরুষ বৈষম্য হচ্ছে কেন? যে পুরুষের চাকরি হয়না তার ওয়াইফ কি স্ত্রী না সে কি নারী না? তার মা কি নারী না সে কি বেষম্য হয়না। মা ভাত পায়না, বউ ভাত পায়না সে কি বৈষম্য হচ্ছে না?

১২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এই সরকারের মুক্তিযুদ্ধ , মুক্তিযোদ্ধা এসব শব্দগুলোর ব্যবহার যে যাবতীয় অপকর্মের ঢাল স্বরুপ এটা সবাই জান।

১৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: শোনা যায় পূর্ববর্তী সরকারের আমলে একটা বড় অংকের ভুয়া-মুক্তিযুদ্ধাদেরকে তালিকাভুক্ত করা হয় যাতে তাদের দলে মুক্তিযুদ্ধার সংখ্যা বেশি থাকে। পরবর্তীতে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে সেই সংখ্যাকে ব্যালেন্স করতে তাঁরাও একই কাজ করে। ফলে মুক্তিযুদ্ধা তালিকায় একটা বড় সংখ্যার ভুয়া-মুক্তিযুদ্ধা ঢুকে যায়।

সুতরাং আন্দোলন হওয়া উচিত ছিল ভুয়া-মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য। কিন্তু ভুল ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করে আমাদের গর্বের জায়গাটাকে নষ্ট করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে।

১৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: একমাত্র নীতি নৈতিকতা আর বুকে আদর্শ থাকলে নিজের দেশের বিপদে যুদ্ধ করা যায় কিন্তু নীতি নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে গেলে বা বুকে আদর্শ না থাকলে যুদ্ধ করা যায় না।
আপনি কার সাথে যুদ্ধ করতে চান? এই সময়ে খুব কম দেশের তরুণদের পাবেন যারা নিজের দেশের হয়ে যুদ্ধ করবে ।

১৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি সম্ভাবত ভদ্র ভাষায় সুক্ষ শব্দটা ব্যবহার করলেন। আমি তো দেখি একটা পক্ষ মোটা দাগে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারদের মানুষের সামনে হেয় পতিপন্ন করার পস্ট কৌশল নিয়েছে। কোটা ফোটা কিছুই না এদের একটাই লক্ষ আর তা হলো মুক্তিযুদ্ধ ও তার যোদ্ধাদের সামাজিক ও মানুষিক ভাবে কোনঠাসা করে ফেলা।

এরা গনোজোয়ারের নামে জামাত শিবির কে রাস্তায় নানিয়ে দিয়েছে।

১৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কোটা নয় গোটা দেশটাই যেন একটু একটু করে অচেনা হয়ে যাচ্চে।

১৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সবিতো গেছে, দেশে কোনটা আর নতুন! যা ঘটছে তার প্রতিবাদ করলে পূরানো ইতিহাস তারপর নিজের তালগাছটাকে উচ্চু রাখতে সমুচীন সবাই। যা হবার হবে, আমরা দেখে যাই। যদি কোন এক প্রজন্ম মনে করে পরিবর্তণ অতীব জুরুরী তখন হবে আরকি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.