নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

জাদিদ

ব্যক্তিগত ব্লগ।

জাদিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত জীবনঃ আমি আফগান হতে চাই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০২

আজকে একটা পোস্ট চোখে পড়ল আফগানদের নিয়ে। সেখানে আফগানদের প্রশংসা করা করা হয়েছে। আফগানদের নিয়ে প্রশংসায় আমার কোন আপত্তি নেই তবে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ যে মনস্তত্বের কারনে আফগান ও পাক বন্দনা করে সেটা অর্থহীন এবং হাস্যকর। ক্ষেত্র বিশেষে এই নির্দিষ্ট অংশের ভেতরে কিছু অংশ যে রাজনৈতিক আদর্শ গুপ্তভাবে ধারন করে সেটার কিঞ্চিত অসর্তক বহিঃপ্রকাশ।

গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমাজ ব্যবস্থায় সততা, শৃঙ্খলা ও চারিত্রিক দৃঢ়তার যে সংকট তৈরী হয়েছে, সেটাকে পরাস্ত করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মত কোন উদ্যোগ এখনও দৃশ্যমান হয় নি এবং ভবিষ্যতেও এটা হবার সম্ভবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সমাজের একটা অংশের জন্য আফগান হবার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে, নারীর উপর ধর্মীয় বিধি বিধান আরোপ করা, ধর্ম ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করা।

আপনি যদি বাংলাদেশীদের সততা, চারিত্রিক দৃঢ়তা আর নিঃস্বার্থ অতিথিপরায়ণতার ভিত্তিতে আফগান হবার স্বপ্ন দেখান তাহলে দেখবেন সবার জন্য ফরজ গোসল বাধ্যতামুলক হয়ে গেছে। একটি জনাকীর্ন সমাবেশ মুহুর্তেই আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।

আমাদের সমাজের যে অংশ আফগান হতে চায় এবং যারা আফগানদের ঘৃণা করে তারা আফগানদের সংস্কৃতি, সমাজ সম্পর্কে খুব একটা ধারনা রাখে না। তারা দুইপক্ষই আফগানদের দেখে মুলত তালেবানদের চোখে।

তালেবান সংস্কৃতি একটি আরোপিত সংস্কৃতি যা আফগানদের উপর চাপানো হয়েছে। এর সাথে আফগানদের সংস্কৃতির কোন মিল নেই।১৯৮০–৯০-এর দশকে পাকিস্তানের সীমান্তের মাদ্রাসাগুলোতে কোয়েটা এবং পেশোয়ারে হাজার হাজার আফগান শরণার্থী শিশু পড়ত। সেখানে তাদেরকে পড়ানো হতো জিহাদি মনোভাব, পাকিস্থানীভাব ধারা সম্পন্ন পলেটিক্যাল ইসলাম এবং সামরিক প্রশিক্ষন।

আফগানিস্তানের বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী হলো পশতুন। পশতুনরা সামগ্রিকভাবে রক্ষণশীল হিসাবে পরিচিত তবে এই রক্ষনশীলতা শুধু ধর্ম কেন্দ্রিক নয় বরং এটার মুল ভিত্তি ছিলো গোত্র ভিত্তিক বা সামাজিক ক্লাস্টার ভিত্তিক রক্ষনশীলতার চর্চা।

১৯৭৯–১৯৮৯ থেকে যখন রাশিয়া বা সোভিয়েত আফগান আক্রমন করে তখন এই পশতুন সমাজের বহু নেতা, কমান্ডার অত্যন্ত প্রভাবশালী ভুমিকা পালন করেছিলো। যেমন গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার – তার নিজস্ব একটি জিহাদী সংঘটন ছিলো।

সোভিয়েত যুদ্ধ আফগান সমাজকে ভেঙে দেয়ার পর যে বিপর্যয় তৈরী হয়েছিলো, সেই সময় এই পশতুনদের কালচারের উপর ভিত্তি করে মুলত সৃষ্টি হয়েছিলো তালেবান শাসন ব্যবস্থা। এটা আফগান কালচার নয়। তালেবান শাসন ব্যবস্থার মুল সৈনিকই ছিলো বা বাস্তবায়ন হয়েছিলো পাকিস্তানি মাদ্রাসায় বড় হওয়া শিশুদের একটি পুরো প্রজন্মের মাধ্যমে। আর ধর্মীয় শাসন ব্যবস্থার এই মডেলকে বাজারজাত করার একমাত্র কৃতিত্ব – পাকিস্থানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসএস এর। এটা পাকিস্তানীদের একটি লং ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্প।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ভোটের বাজারে বা রাজনীতিতে তরুন প্রজন্মের ভোটের একটা কথা বলা হয় যারা ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির প্রতি আগ্রহী। আপনি যদি একটু লক্ষ্য করে দেখেন তাহলে দেখবেন যে, এই দেশের আনাচে কানাচে ব্যাঙের ছাতার মত অনিয়ন্ত্রিত যে সকল মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে, সেখানে অধ্যায়নরত শিশু ও তরুনদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে যা শেখানো হয়েছে, সেটার একটা ইমপ্যাক্ট বা প্রভাব পড়ার সময় এই নির্বাচনে পড়েছে। এটাকে অনেকেই ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের প্রতি দুর্বলতা বা সমর্থন হিসাবে চালিয়ে দিতে চাইছেন।

বর্তমান সময়ে পাকিস্তানের বিনিয়োগকৃত এই প্রকল্প এই পশতুনদের কারনেই বিপর্যস্ত। ফলে লক্ষ্য করবেন বর্তমান সময়ে পাকিস্তান আর আফগানদের মধ্যে দা কোমড়া সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। এই ক্ষেত্রে আফগানদের যে প্রবল দৃঢ়তা, নিজের দেশের প্রতি মুল্যয়ন সেটা কিছুটা হলেও পরোক্ষভাবে কাজ করেছে।

এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখতে গেলে তা কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে বিধায় মুল প্রসঙ্গেই ফিরে এলাম। আপনি লক্ষ্য করলে আরো দেখবেন যে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বিরোধীতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আইএসএসের লোকজন মোটামুটি স্বক্রিয় হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রচুর পাকিস্তানি আলেম ওলামারা আসা যাওয়া শুরু করেছেন। আপনি ধরে নিতে পারেন, বাংলাদেশে এই মুহুর্তে যদি ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক কোন দল ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের প্রচ্ছন্ন মদদে বাংলাদেশের বিভিন্ন মানহীন মাদ্রাসায় পড়া তরুন প্রজন্মদের বিতর্কিত মনস্তাত্ত্বিক অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে একটি নতুন ধারার উগ্রবাদী গোষ্ঠি তৈরী হবার সম্ভবনা তৈরি হবে। এদের কার্যক্রম কি হবে, এরা কিভাবে স্থানীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে – সেটা নিয়ে লিখতে গেলে তা হাইপোথিসিসের ভিত্তিতে লিখতে হবে।

এই ধরনের প্রেডিকশন ভিত্তিক হাইপো থিসিস অনেকেই পছন্দ করবেন না বরং সেটাকে একটি গোষ্ঠির প্রতি বিদ্বেষ হিসাবে প্রচার করার সুযোগ পাবে। তাই আমি সেদিকে যাচ্ছি না।

ফলে কেউ যখন আফগানদের গুনগান গায়, সেটা তাঁরা গাইতে পারে। তাঁরা আফগানদের প্রশংসা করুক প্রকৃত আফগান সংস্কৃতি দিয়ে, তালেবানী শাসন ব্যবস্থা দিয়ে নয়। আফগানিস্তানের পরিচিত হোক নিঃস্বার্থ অতিথিপরায়ণতার জন্য, সততা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, দেশপ্রেম আর উদারতার জন্য যা ধর্ম হিসাবে ইসলামের আদর্শের সাথে যায়, ভাবধারার সাথে যায়। আমাদের যেমন লালন ফকির আছেন, তেমনি আফগানদের আছে মাওলানা জালালুদ্দিন রুমী। তিনি লিখেছেন, স্রষ্টার কাছে পৌঁছানোর অজস্র পথ আছে। তার মাঝে আমি প্রেমকে বেছে নিলাম।

তিনি আরো লিখেছেন,
ওয়াঈযান কেইন জেলভে দর মেহরাব ও মিম্বার মি-কোনান্দ, চুন বে খালওয়াত মি-রাভান্দ, আন কার-এ দিগার মি-কোনান্দ

এর অর্থঃ মসজিদ-মিম্বারে যারা ধার্মিক সাজে আলোক ছড়ায়,
একাকী হলে তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন কাজ করে।

আফগানিস্তানের পরিচিত হোক - এই মাওলানা রুমির জন্য, তালেবানদের জন্য না।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৪৩

কোলড বলেছেন: didnt know that Rumi was an Afghan! But then again him being a gay makes sense as most Afghan males are into pederasty (Bacchabazi in Pashtun)

১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩

জাদিদ বলেছেন: ইতিহাসগতভাবে রুমিকে “আফগান” বলা পুরোপুরি সঠিক নয়, তবে বর্তমানের দেশ ভিত্তিক প্রেক্ষাপটে আংশিকভাবে বলা যেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন একজন পারসিয়ান কবি যার জন্ম হয়েছিলো বর্তমান আফগানিস্তানের বালখে।

আপনি যে অভিযোগ তুলেছেন বা যা বলেছেন, এই বিষয়ে আমি তেমন কিছু শুনি নি বা জানা নেই।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫৭

কলাবাগান১ বলেছেন: লাভার এর রিটারেল মিনিং মেনে অনেকেই রুমি কে গে বলে থাকেন বাট ইন রিয়ালিটি...
the 13th-century poet Rumi was married twice. His first wife was Gowhar Khatun, with whom he had two sons, Sultan Walad and Ala-eddin Chalabi. After Gowhar Khatun's death, Rumi married again and had another son, Amir Alim Chalabi, and a daughter, Malakeh Khatun

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: নারীর উপর আধিপত্য বিস্তারে প্রায় সব বাংগালিই একতাবদ্ধ।বর্তমানে আমি কানাডায় যেখানে থাকি আমার চার পাশে অনেক আফগান।তারা ধার্মিক কিন্তু উদার ও মানবিক।তারা তালেবানদের ভালো চোখে দেখে না।আফগানরাও পাকিস্তান থেকে ভারতের সাথেই সম্পর্ক ভালো রাখতে চায়।বাগরাম এয়ার বেস তারা ভারতের হাতেই দিতে চায়।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৪৭

বাজ ৩ বলেছেন: ধন্যবাদ আফগানিস্তান, তালিবান সম্পর্কে আপনার কিছু ধারনা ব্যাক্ত করার জন্্য
তালিবান সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি,তারা ইসলামকে সেই প্রাথমিক আধ্যাতিক ইসলামের মত লালন পালন করে,যা যেকোনো রক্ষনশীল মুসলমানের জন্য অনুসরণীয়, অনুকরনীয়।তাদের আত্মমর্যাদা র কারনে তারা মেয়েদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করে,যেন অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের মেয়েরা অপমানিত না হয়।তারা ইসলামের স্বর্ণযুগের সাহাবা আজমাইনদের অনুসরন করেন,তাদের আধ্যাতিক নেতারা মাওলানা রুমির অনুসরন করেন।
সংস্কার সাধনায় তারা প্রাথমিক বা মুবতাদায় অবস্থান করছেন,আগামি অর্ধশতাব্দী কাল তারা ক্ষমতায় থাকলে তারা বিশ্বের জন্য রোল মডেল হবেন,বিশ্ব অবাক তাকিয়ে রইবে আফগানিস্তানের দিকে,এবং বিশ্বকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে দেখো!সংস্কৃতি কাকে বলে।
হে বিশ্ববাসি তোমরা কি অদ্ভুদ সংস্কৃতিকে লালন করো!যে পৃথিবীতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছো,জাহান্নামে যাওয়ার আগেই পৃথিবীকে তোমরা জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছো।
আফগানিস্তান সদা পরিবর্তনশীল একটি জাতি।তবে এই পরিবর্তন অন্যদের কুসংস্কৃতি দিয়ে নয়।তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে সেটা দিয়ে।


৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৪৮

বাজ ৩ বলেছেন: @কোলড

Your statement is historically incorrect and unfairly racist. Rumi was a Persian poet from the Khorasan region, not ‘Afghan’ in the modern national sense. His relationship with Shams was spiritual, not sexual. Also, associating an entire nation with ‘pederasty’ is a harmful stereotype and not based on facts. Please avoid spreading such misinformation

৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



যাপিত জীবন ঃ আমি আফগান হতে চাই ।
সুন্দর করে গুছিয়ে যুক্তি তর্ক দিয়ে লিখেছেন ।
সহমত পোষন করি আফগান পরিচিত হোক মাওলানা রুমির প্রেম মমতায়, পুরাটা্ই তালেবান দিয়ে নয় ।
এখানে প্রসঙ্গক্রমে একজন প্রবাসী আফগানী কবি কতৃক আফগানিস্তানের পরিচিতি নিয়ে
লেখা একটি কবিতার বঙ্গানুবাদ তুলে দিয়ে গেলাম ।

আফগান পরিচয় যেন এক মহা কাব্যগাথা
আফগান ভূমি বলে
শুনো-
পর্বতের ঠোঁট আজও বলে যায়
রেশম-ধুলোর নরম ভাষা
কানাতের গভীরে নেমে
খনিশ্রমিকদের হাতের রেখা
জলের সঙ্গে কথা বলে রাতদিন।
এক জননী বলে-
ভোরের রুটির উষ্ণ ভাঁজে
লুকিয়ে রাখে সন্তানের আদর
শিশুতোষ পদ্য বলে-
যেন শব্দের ভিতরেই
রক্ষা করা যায় ঘর, ইতিহাস, শিকড়।

আকাশ ও বহু ভাষার সমাবেশ বলে-
এ দেশ-
যেখানে আকাশ প্রতিদিন
নতুন ভাষার নাম শিখতে বসে।
দারি–পশতু–হাজারাগি–উজবেক
সবগুলো মিলে তৈরি করে
এক অদৃশ্য, বহুরঙা বয়ন
যা বাতাসে দোলে
মানুষের হৃদয়ে বাজে
নিরন্তর সেতারের মতো।
আর দুঃখ—
হে সখা, সে ডালিমের মতোই খুলে যায়
ধীরে, বেদনাময় লাল রঙে।
এক ফোঁটাও তাড়াহুড়া করে না;
বাষ্প ওঠা রুটির মতো
সময় নিয়ে ফোটে,
অশ্রুর নীরবতায়।

অতিথির জন্য টেবিল বলে
দেখো-
এখানে অতিথি-সত্কার শুধু রীতি নয়,
এ এক নাট্যমঞ্চ
যেখানে একই টেবিলে বসে
পুর্বপুরুষের আত্মা
আর পথচলা অপরিচিত।
মেলমাস্তিয়ার আলোয়
মানুষ তার হৃদয় খুলে রেখে
বলে-
“এসো, তোমার জন্যই সাজিয়েছি
এই শান্তির প্রসাদ।”
এ টেবিলের কিনারায়
মোমের আলোয় কাঁপে স্মৃতি,
কাঁপে ইতিহাস,
কাঁপে সেই সব নাম
যারা চলে গেছে বহু আগে।

কবিতরা তুলে ধরে আফগান পথনকশা
বলে-
ওহে পথিক,
সে তো শুধু শব্দ নয়!
সে হলো যাত্রা,
প্রবাসে ছিন্ন শেকড়কে
পুনরায় জুড়ে দেওয়ার সেতু;
সে হলো মানচিত্র
যা বুকে আঁকড়ে মানুষ
ফিরে যায় নিজের ঘরে
নিজের শিকড়ে,
নিজের প্রতিধ্বনিতে।
প্রবাদ, গল্প, গান
এসবই বেঁচে থাকার শিখা,
অন্ধকারে বহন করা দিশা,
যেন পথ হারালেও
নিজেকে হারাতে না হয় কখনো।

কাব্যধারার স্বরসমাবেশ
সুফির দরবারে
রুমি’র বাণী গুঞ্জরিত
“অন্তরই পথ, প্রেমই আলো।”
পশতুর গজল
রাত্রির আগুনের পাশে
বীরত্ব, প্রেম, মর্যাদা
নিয়ে নাচে সুরের ঘূর্ণিতে।
দারির দরবারি বাগান
মত্ত রূপকের সুগন্ধে
দীপ্তিময়
ফল–বাগান–প্রেমিকা–স্বপ্ন
সব মিলে গড়ে তোলে
স্বর্ণালঙ্কৃত ছায়াপথ।
আর আজ-
বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে
এই আফগান কবি
মুক্তছন্দে লিখে যায়
নতুন ব্যথা, পুরোনো প্রতীক
এভাবেই জন্ম নেয়
আজকের “আফগান কণ্ঠ”,
যা পৃথিবীর প্রতিটি বাতাসে
নিজেকে পুনরাবিষ্কার করে।

শেষে থাকে ঘরে ফেরার আকুতি
শেষে থাকে শুধু এটুকুই-
আফগান ভূমি এক বিশাল বই
প্রতিটি পৃষ্ঠা খোদাই করা
মানুষের সাহস, বেদনা, আতিথেয়তা দিয়ে।
আর আমরা-
মাত্র পাঠক নই,
আমরাই সেই চলমান চরিত্র
যারা অধুনার আফগান চিত্রগাথা হাতে নিয়ে
ঐতিয্যমন্ডিত ইতিহাসের মধ্য দিয়ে
ঘরে ফিরে যাই
বারবার
অটুট বিশ্বাসের আলোয়।


আপনার প্রতি শুভেচ্ছা রইল

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি পছন্দ করার কি কারণ তরুণদের মধ্যে? আর মাদরাসা কেন বেড়ে গেল সো কল্ড প্রগতিশীল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে?

৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: জামাত ক্ষমতায় এলে দেশ আফগানই হবে।
অলরেডি হুজুরদের এক গ্রুপ আফগান ঘুরে এসেছে। জামাত ক্ষমতায় এলে পুরো দেশের বারোটা বেজে যাবে। দেশের নারীরা হয়ে যাবে কোণঠাসা।

জামাত শিবির এবং দেশের সকল দুষ্টদের দমিয়ে রাখার জন্য- একজন ছিলেন। তার নাম শেখ হাসিনা।

৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৪

বিষক্ষয়রিটার্নস বলেছেন: পুরান জুজুর ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। এই জুজুর ভয় ব্যাভার করে হাসিনা এক খুনি পিশাচে পরিনত হয়েছিল। হাজার হাজার সাধারন বাংলাদেশি শুধু মুসলমান হওয়ার কারনে খুনি হাসিনা এবং তার বাহিনির হাতে খুন বা গুম হয়েছে।
কিন্তু ওয়ার ওন টেররের আমল শেষ। এখন প্রোমোটিং ডেমোক্রেসির প্রোজেক্ট চলতেছে। খুনি হাসিনার ফাসি হবেই।
খুনি হাসিনার পোড়া কপাল। ভারতেও মুসলিম বিদ্বেষি মোদি ভোট চুরি কে হাসিনার মতো "কট"। এবং খুনি হাসিনা এবং গনহত্যাকারি দল আওয়ামি লীগের পলাতক খুনিদেরকে ভারত থেকে বের করে দেয়ার বিষয়ে ভারতে জনমত তৈরি হচ্ছে,

১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৮

বিষক্ষয়রিটার্নস বলেছেন: পুরান জুজুর ভয় দেখিয়ে লাভ নাই।
এই জুজুর ভয় ব্যাবহার করে হাসিনা এক খুনি পিশাচে পরিনত হয়েছিল। হাজার হাজার সাধারন বাংলাদেশি শুধু মুসলমান হওয়ার কারনে খুনি হাসিনা এবং তার বাহিনির হাতে খুন বা গুম হয়েছে।
কিন্তু ওয়ার ওন টেররের আমল শেষ। এখন প্রোমোটিং ডেমোক্রেসির প্রোজেক্ট চলতেছে। খুনি হাসিনার ফাসি হবেই।
খুনি হাসিনারও পোড়া কপাল। ভারতেও মুসলিম বিদ্বেষি মোদি ভোট চুরি করে হাসিনার মতো "কট"। এবং খুনি হাসিনা এবং গনহত্যাকারি দল আওয়ামি লীগের পলাতক খুনিদেরকে ভারত থেকে বের করে দেয়ার বিষয়ে ভারতে ব্যাপক জনমত তৈরি হচ্ছে,

১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২২

বিষক্ষয়রিটার্নস বলেছেন: আফগান তালেবান কিন্তু ভারতের ঘনিষ্ঠ ফ্রেন্ড

১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যদি বাংলাদেশে সমস্ত ইসলামপন্থী দলগুলো একত্র হয়ে এই দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায় সেটা কি সম্ভব? এই অবাস্তব অলিক জুজুর ভয়ে বাংলার মানুষ আর ভিত নয়। মডারেট বাংলাদেশ মডারেটই থাকবে; পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত ভাবে।

১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক জঙ্গি রাজনীতির সাম্প্রতিক উত্থানে আপনার এই আলোচনাটি বেশ প্রাসঙ্গিক। এই ধরনের আরও বিশ্লেষণী আলোচনা ও পোস্ট এখন খুব প্রয়োজনীয়।

কয়দিন আগে আফগানি তালেবানের কোনো এক বড় আমীর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে কোন এক বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এটা শুনেছেন নাকি? হা হা। :)

আর হ্যা, রুমির জন্ম আফগানিস্তানে ঠিকই, কিন্তু তাকে আফগানি বললে শুনতে কেমন অদ্ভুত লাগে আমার কাছে। অনেকটা রবীন্দ্রনাথকে মোদির দেশের লোক বললে যেমনটা শোনায়! রুমিকে পার্শিয়ান বলাটাই যথাযথ, কারণ সেই সংস্কৃতি তিনি ধারণ করেছিলেন। আবার, যে মহাপুরুষ কালোত্তীর্ণ, তিনি তো দেশোত্তীর্ণও বটে!

১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এমনিতেই বাংলাদেশ আফগানিস্তান হবার পথে।
এটা হবেই।

১৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আফগানীরা দুই দুইটি পরাশক্তির সাথে লড়ার পরে একটু ট্রমার মাঝে থাকার কথা। তাঁরা যোদ্ধা জাতি এটা বোঝা যায়। তাঁদের সম্পর্কে জানতে হলে সেইখানে যেতে হবে অথবা তাঁদের সাথে মিশেছেন এমন মানুষদের সাথে মিশতে হবে। সেকেন্ডারি ডাটা থেকে তথ্য সংগ্রহ করলে অনেক সময়ে ভুল হতে পারে।

আমি সিলেটের এমন একজন মুজাহিদকে চিনি, যিনি আফগানদের হয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। খুব কাছ থেকে তাঁকে যাচাই করেছি। সৈয়দ মবনু নামের মানুষটা সহজ সরল। এক কথায় ভালো মানুষ। সাহিত্য বিশারদ এই মানুষটা কিভাবে আফগান যুদ্ধে জড়ালেন, তা মার কাছে খুবই আশ্চর্য লাগে! কিন্তু, বাস্তব সত্যি হচ্ছে, তিনি যুদ্ধে গিয়েছিলেন এবং তা তিনি কখনো অস্বীকার করেন নাই।

এই মানুষটাকে দিয়ে আফগান মুজাহিদের যাচাই করলে বলা যায় - তাঁরা খারাপ মানুষ হতে পারেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.