নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসি কবি ও কবিতাকে
হ্যালো এটা কি ২৪৪১১৩৯ ,
দিননা ডেকে বেলাকে একটিবার
কিংবা
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
থাকবেনা সাথে কোন ছাতা
গান গুলো জড়িয়ে আছে জীবনের সাথে ।
দত্ত । অঞ্জন দত্ত ।
এই নামটা লিখে বসে ছিলাম প্রায় দশ মিনিট । কি লিখব ভেবে চিনতে কিছুই কূলকিনারা পাচ্ছিলাম না ।
আমার জীবনে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের প্রভাব যদি থেকে থাকে তাহলে অঞ্জন দত্তের প্রভাবও আছে ।
কেউ অঞ্জন দত্ত কে এই প্রশ্ন করার আগে আমি চাই সে প্রশ্ন করুন অঞ্জন দত্ত কি ?
এক কথায় উত্তর দিলে অঞ্জন দত্ত একটা পাগল ।
সে আসলেই একটা ঝোঁকের পাগল ।
আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় অঞ্জন দত্তের কোনটা বেশি ভাল লাগে, গান, অভিনয় না ডিরেকশন ?
আমার উত্তর হবে , সবথেকে বেশি ভাললাগে তাঁর কথাবার্তা, কথা বলার ভঙ্গি , হাঁটাচলা ।
এটা আসলে বলে বুঝানো যাবে না ।
অঞ্জন দত্ত বলতে আমি বুঝি একটা লোক যে সব সময় একটা কালো রোদ চশমা চোখ দিয়ে থাকে, টাক মাথায় সিগারেট খায়, একটা নীল জিন্স প্যান্ট আর আলখাল্লা টাইপের শার্ট গায়ে ঘুরে বেড়ায় ।
বাংলা গান এর জগতে অঞ্জন দত্ত একজন জনপ্রিয় শিল্পী। জীবনমুখী গান নামে বাংলা গান এর যে ধারা প্রচলিত,
অঞ্জন দত্ত সেই ধারার গান লেখেন, সুর করেন এবং গেয়ে থাকেন। তাঁর ছেলেবেলা কেটেছে দার্জিলিং-এ।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টারস্ করেছেন। তাঁর গান এর সহজবোধ্যতা সবাই কে আকৃষ্ট করে।
তাঁর ছেলেবেলার কথা তাঁর গান এ ভীষণভাবে ফুটে উঠেছে। তাঁর সবচাইতে জনপ্রিয় গান '2441139'।
তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন।
অঞ্জন দত্ত আর নীমা রহমান এর কন্ঠে প্রিয় বন্ধু শিরোনামে একটা চিঠি আছে কিছুটা কাহিনীকাব্যের আঙ্গিকে ,
যদি শুনে না থাকেন তাহলে অবশ্যই শুনে নিবেন ।
চিঠির গভীরতা কতটা হতে পারে , কিভাবে চিঠি এত প্রিয় হতে পারে সেটা বোঝার জন্য হলেও এটা শুনে দেখা উচিত ।
লিঙ্কঃ
গান লিখেছেন যুবক, কিশোর, কিশোরী , ঘর ছেড়ে পালাতে চাওয়া মেয়ে সবার জন্য ।
ছোটদের জন্য লিখেছেন অসংখ্য গান।
ছোটদের গানগুলোর মধ্যে প্রিয় গান-
বাপি আর মা গেছে সিনেমায় তুমি একা
ভয় যদি হয় আছে টিভি টাকে খুলে ভুলে থাকা
মা গেছে বলে ঐ টিভি টাকে খুলে তুমি দেখ না
আমি বলি কী একটা চালাকি করে দেখ না
জানলা দিয়ে ঐ আকাশটাকে দেখ টিভি দেখ না
বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে চাওয়া মেয়ের জন্য লিখেছেন ইতি তোমার আদরের রমা গানটি -
মাগো আমার মাগো জানি অনেক কষ্ট পাবে তুমি
তবু আমার নেই কোন উপায়
যেতেই আমায় হবে সে যে
ট্যাক্সি নিয়ে বসে আছে বাসষ্টপেতে আমার অপেক্ষায়
বিয়ের সাজে ঘোমটা টেনে, বাবা কাকার চোখ এড়িয়ে
যাচ্ছি ছেড়ে ছোট বেলার ঘর
অনেক ভাবনা চিন্তা করেও পারছি না যে মেনে নিতে
তোমাদের পছন্দ করা বর
মাগো মা চললাম আমি করতে নিজের সংসার
মাগো মা ফিরে আসছি না
ইতি তোমার আদরের রমা।
বিরহী প্রেমিকের জন্য লিখেছেন মোন উদাস করা ও ভাবনায় ফেলে দেয়া গান-
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
থাকবেনা সাথে কোন ছাতা
শুধু দেখা হয়ে যাবে মাঝ রাস্তায়
ভিজে যাবে চটি, জামা মাথা
থাকবেনা রাস্তায় গাড়িঘোড়া
দোকানপাট সব বন্ধ
শুধু তোমার আমার হৃদয়ে
ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ
বেকারত্ব , প্রেম ও বিরহ নিয়ে গেয়েছেন -
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা
সম্বন্ধটা এই বার তুমি ভেস্তে দিতে পারো
মা-কে বলে দাও বিয়ে তুমি করছো না
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি
আর মাত্র কয়েকটা মাস ব্যাস
স্টার্টিংয়েই ওরা ১১০০ দেবে তিন মাস পরে কনফার্ম
চুপ করে কেন বেলা কিছু বলছো না
ছেলেবেলার প্রেমের কথা স্মরন করে লিখেছেন-
কালো সাহেবের মেয়ে ইশকুল পালিয়ে
ধরতে তোমার দুটো হাত
কত মার খেয়েছি মুখ বুজে সয়েছি
অন্যায় কত অপবাদ
বয়স তখন ছিলো পনেরো তাই ছিলো
স্বপ্ন দেখার ব্যারাম
মাথার ভেতর ছিলো এলভিস প্রিসলি
খাতার ভেতর তোমার নাম
ম্যারী এ্যান
ম্যারী ম্যারী এ্যান
ম্যারী এ্যান ম্যারী
ভবঘুরে ছেলেদের জন্য লিখেছেন --
আমার রাস্তা আমার বাড়ি
আমার ফাটা দেয়াল
আমার পোড়া মনের অজস্র জঞ্জাল
জীবনের হতাশা, পাওয়া না পাওয়া নিয়ে লিখেছেন -
আমি রোদের পুরে ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি
আমার আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামেনি
শুধু তুমি চলে যাবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি
আমি বৃষ্টি দেখেছি
আমার জীবনে অঞ্জন দত্তঃ
প্রিয় গায়ক, প্রিয় অভিনেতা নিয়ে সকলেরই একটা ভালোলাগা কাজ করে ।
আমারো আমার প্রিয় মানুষগুলোর প্রতি একটা ভালোলাগা বা ভালবাসা কাজ করে ।
আমার বন্ধু মহলে আমি বাদে আর কেউ যে অঞ্জন দত্তের ভক্ত হতে পারে সেটা আমার সামনে কেউ বলতে সাহস পায় না।
একবার বন্ধুদের আড্ডায় দত্তের একটা গান গাইতেছিলাম, মানে জোর করে পালাক্রমে গাইতে হচ্ছিল । গানের সুরটা মনে আছে কিন্তু লিরিক কিছুতেই মাথায় আসছিল না।
আমি লিরিক মুখস্থ রাখতে পারি না ।
বন্ধুরা তখন বলেছিল আজ থেকে আমার অঞ্জন দত্তের গান শোনা বন্ধ ।
আমি এত যার ভক্ত তাঁর গানই যদি মুখস্থ রাখতে না পারি তবে সেই গান শুনে লাভ নেই ।
এবং সত্যি সত্যি ওরা আমাকে পরের কয়েকদিন দত্তের গান শুনতে দেয় নি ।
লিরিক সহ অঞ্জন দত্তের গানগুলো পাওয়া যাবে এখানে ।
এছাড়া ইউটিউব তো আছেই ।
অঞ্জন দত্ত'র গানের এ্যালবাম
০১. শুনতে কি চাও? - ১৯৯৪
০২. পুরোনো গিটার -১৯৯৫
০৩. ভালবাসি তোমায় - ১৯৯৬
০৪. কেউ গান গায় - ১৯৯৭
০৫. প্রিয় বন্ধু (বাংলাদেশে "গানে গানে ভালবাসা" শিরোনামে মুক্তিপ্রাপ্ত; অঞ্জন দত্ত, নিমা রহমান ও পরশপাথর) - ১৯৯৮
০৬. চলো বদলাই - ১৯৯৮
০৭. হ্যালো বাংলাদেশ - ১৯৯৯
০৮. কলকাতা-১৬ - ১৯৯৯
০৯. Bandra Blues (ইংরেজি এ্যালবাম) - ২০০০
১০. অসময় - ২০০০
১১. রং পেন্সিল - ২০০১
১২. অনেকদিন পর (অঞ্জন দত্ত ও কবির সুমন) - ২০০৪
১৩. ইচ্ছে করেই একসাথে (অঞ্জন দত্ত ও বাপ্পা মজুমদার) - ২০০৫
১৪. The Bong Connection (ছায়াছবির গান) - ২০০৭
১৫. আমি আর গদদ (নীল দত্ত ও অঞ্জন দত্ত) - ২০০৭
১৬. আবার পথে দেখা (অঞ্জন দত্ত, বাপ্পা মজুমদার ও এস, আই টুটুল) - ২০০৭
১৭. ঊনষাট -২০১৪
বানিয়েছেন অনেকগুলো সিনেমা।
পরিচালিত ছবিঃ
০১. বড়দিন - ১৯৯৮
০২. বো ব্যারাকস ফোরএভার - ২০০৪
০৩. কলকাতা - ২০০৫
০৪. দ্য বঙ কানেকশন - ২০০৬
০৫. চলো, লেটস গো - ২০০৮
০৬. চৌরাস্তা ক্রসরোডস অফ লাভ - ২০০৯
০৭. ম্যাডলি বাঙ্গালী - ২০০৯
০৮. ব্যোমকেশ বক্সী - ২০১০
০৯. রঞ্জনা আমি আর আসবোনা- ২০১১
১০. আবার ব্যোমকেশ - ২০১২
১১. দত্ত ভার্সেস দত্ত - ২০১২
১২. গণেশ টকিস - ২১ জুন, ২০১৩
১৩. শেষ বলে কিছু নেই - ২০১৪
১৪. ব্যোমকেশ- ২০১৫
১৫. ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা- ২০১৬
১৬. হেমন্ত - ২০১৬
এছারাও অপর্না সেন , ঋতুপর্ণ ঘোষ ও সৃজিত মূখর্জী এঁদের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন বেশ কিছু সিনেমাতে।
অসাধারন অভিনয় দিয়ে দর্শকের মোন কেড়ে নিয়েছেন প্রত্যেকটি সিনেমাতে ।
অভিনীত কিছু ছবিঃ
১. নির্বাক
২. সাহেব বিবি গোলাম
৩. মিঃ এন্ড মিসেস আইয়ের
৪. জানি দেখা হবে
৫. চিত্রাংগদা
অনেকে মনে করেন অঞ্জন দত্ত'র বিভিন্ন গানের সুর প্রায় একইরকম, একই সুর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তিনি অনেক গানে ব্যবহার করেন।
অনেকের মতে, তার গানের কথা খুব হাল্কা ধরনের।
এছাড়া তার গানের সুরে অনেক ক্ষেত্রেই সিমন এবং গারফাঙ্কল,বব ডিলান এদের গানের সুরের অনুসরণ লক্ষ্য করা যায়।
তার ছায়াছবি গুলিতেও বারবার প্রবাসী বঙ্গ সন্তানদের জীবন যাত্রাই ধরা পরে।
যদিও অঞ্জন দত্ত গণেশ টকিজ করার পর বলেছিলেন তিনি এই জাতীয় সিনেমা করে ভুল করেছেন।
দর্শক তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে তারা তাঁর অ-ভারতীয় কিংবা প্রবাসী ভারতীয়দের জীবনের ওপর হওয়া সিনেমা গুলি বেশি পছন্দ করে।
অনেকে বলে থাকেন অঞ্জন দত্ত আমাদের জীবনে কৈশরের গায়ক। তাঁর গানগুলো কিশোর বয়সে ভাল লাগে। যুবক বয়স বা তার একটু বেশি বয়স হলে গানগুলো তার শ্রোতাদের কাছে আবেদন হারায়।
এই অভিযোগটা যে একেবারে মিথ্যা তাও না । তার মধ্যে একটা কম বয়সী ছেলেমানুষী ভাব আছে ।
অনেকেই মনে করেন তাঁর গানের থেকে অভিনয় কিংবা পরিচালনা বেশি গ্রহনযোগ্য ।
একথা ঠিক তিনি একজন দুর্দান্ত অভিনেতা ।
দত্ত ভার্সেস দত্ত কিংবা রঞ্জনা আমি আর আসব না সিনেমাতে যেরকম পারফরমেন্স দেখিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার ।
গেল বছরেই করা সাহেব বিবি গোলাম সিনেমা তে একজন পেশাদার কিলারের অভিনয়ের সাথে সাথে যে ব্যক্তিত্ব তিনি দেখিয়েছেন
কিংবা নির্বাক সিনেমাতে একজন একা মানুষের চরিত্র যেভাবে ফুটিয়ে ধরেছেন তা সত্যি বড় মাপের অভিনেতাদের কাজ ।
একবার তার প্রসংগে অনুপম রায় বলেছিল,
তারা যখন ছোটবেলায় অঞ্জন দা'র গানগুলো শুনত তখন বেশ ভালো লাগত কিন্তু বড় হয়ে যখন দেখা গেল কিছুকিছু গান ইংরেজী গানের অনুকরণ তখন বেশ অবাক লেগেছে ।
অঞ্জন দত্তের "মালা" গানের লিরিকে একটা লাইন আছে,
বৃষ্টি এলে চলে যাও জয়সালমির
শীতকালে গোদাই ক্যানাল
দমদমে নামলে তোমারই বাড়িতে
কফি খায় ইমরান খান
এই কথাগুলো অঞ্জন দত্ত কিভাবে সেই ইংরেজী গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিয়েছিলেন সেটা অনুপম রায়ের কাছে বেশ একটা খটকা এবং মজার বিষয় ছিল ।
অঞ্জন দত্তের এই যে অঞ্জন দত্ত হয়ে ওঠা এটা গোটা টা নিয়ে একটা রয়েছে একটা সিমেনা । সিনেমা নাম দত্ত ভার্সেস দত্ত ।
পরিচালনা করেছেন অঞ্জন দত্ত নিজেই ।
সিনেমায় অঞ্জন দত্ত অভিনয় করেছেন বাস্তবের অঞ্জন দত্তের বাবার (বীরেন দত্ত) ভূমিকায় আর অঞ্জন দত্তের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রনদ্বীপ বোস (রন দত্ত) ।
এছাড়া আরো অভিনয় করেছেন রিতা কৈরালা, রূপা গাঙ্গুলী, সৃজীত মূখর্জী, কৌশিক সেনের মত অভিনেতারা ।
এই সিনেমাটি করার পরে অঞ্জন দত্ত বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন।
কেননা ছবিটি মূলত ছেলেবেলার অঞ্জন দত্তকে নিয়ে, তিনি কিভাবে সেন্ট পলস , দার্জিলিং থেকে কোলকাতায় আসলেন।
কোলকাতা কিভাবে তাঁর প্রানের শহর হল। কিভাবে তাঁর গানের ও থিয়েটারের জীবনে পদার্পন হল এসব নিয়ে ।
কিন্তু দেখা গেছে ছবির বীরেন দত্ত (অঞ্জন দত্ত) ছবির অঞ্জন দত্তের (রন) থেকে ভাল অভিনয় করেছেন অর্থাৎ ফোকাসটা গিয়ে পড়েছে বীরেন দত্তের উপরে , রন দত্তের উপরে নয়।
তাই ছবিটা আর অঞ্জন দত্তের জীবনী নিয়ে হল না, ছবিটা হয়ে গেল বীরেন দত্তের জীবনী নিয়ে ।
শেষ কথা ।
যদিও অঞ্জন দত্ত বলেন ,
শেষ বলে কিছু নেই।
শেষ যেখানে, জেনো শুরু সেখানে ।
শুভ জন্মদিন দত্ত সাহেব,
হ্যাপি সিক্সটি-ফোর্থ বার্থডে টু ইউ ডিয়ার অঞ্জন দত্ত ।
আজ উনিশে জানুয়ারী ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ বেশ বেশ । ধন্যবাদ সুমন কর ভাই !
প্রথম প্লাসে কৃতজ্ঞতা
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৪
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: অসম্ভব প্রিয় কিছু গানের সৃষ্টির পেছনের মানুষ। শুভ জন্মদিন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মোটা ফ্রেমের চশমা
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হচ্ছে, অনেক গুণ আছে লোকটার; যাক, ১ম বার নাম শুনলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮
জাহিদ অনিক বলেছেন: কথা কি সত্য !!!
নাকি আমার লগে একটু মশকরা করলেন ভাই ?
আপনি এর আগে অঞ্জন দত্তের নাম শুনেন নাই ??
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জীবনমুখী গান নামে বাংলা গান এর যে ধারা প্রচলিত, অঞ্জন দত্ত সেই ধারার গান লেখেন, সুর করেন এবং গেয়ে থাকেন।
তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত লিখাটি পাঠে ভাল লাগল ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে বেশ ভাল অনুভব করছি ।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন আলী ভাই ।
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৮
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: আমার খুবই পছন্দের একটা মানুষ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অঞ্জন দত্ত কে নিয়ে লিখার জন্য। তার প্রায় সবকটি গান আমার কন্ঠস্থ। আমার পক্ষ থেকে আপনাকে তাঁর কিছু লিরিক উপহার দিলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
জাহিদ অনিক বলেছেন: এত এত লিরিক লিখে দিলেন ভাই, একটা গেয়ে শুনান না ?
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৯
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: লিরিক গুলোতে ভুল থাকতে পারে। এর জন্য আমি কোন মতেই দায়ী নই।
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩০
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ২৪৪১১৩৯………………..
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা
সম্বন্ধটা এই বার তুমি ভেস্তে দিতে পারো
মা-কে বলে দাও বিয়ে তুমি করছো না
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি
আর মাত্র কয়েকটা মাস ব্যাস
স্টার্টিংয়েই ওরা ১১০০ দেবে তিন মাস পরে কনফার্ম
চুপ করে কেন বেলা কিছু বলছো না
এটা কি ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না দেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে পাবলিক টেলিফোনে
জরু্রি খুব জরুরি দরকার
স্বপ্ন এবার হয়ে যাবে বেলা সত্যি
এতোদিন ধরে এতো অপেক্ষা
রাস্তার কতো সস্তা হোটেলে
ব্যস্ত ক্যাবিনে বন্দী দুজনে
রুদ্ধশ্বাস কতো প্রতীক্ষা
আর কিছু দিন তারপর বেলা মুক্তি
কসবার ঐ নীল দেয়ালের ঘর
সাদা-কালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে
তোমার আমার নাল-নীল সংসার
চুপ করে কেন একি বেলা তুমি কাঁদছো
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি সত্যি
কান্নাকাটির হল্লাহাটির সময় গেছে পেরিয়ে
হ্যালো তুমি শুনতে পাচ্ছো কি
এটা কি ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না দেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে পাবলিক টেলিফোনে
জরু্রি খুব জরুরি দরকার
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
হ্যালো ধুর ছাই হ্যালো
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
জাহিদ অনিক বলেছেন: প্রিয় প্রিয় প্রিয় খুব প্রিয় একটা গান
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩০
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: আকাশ ভরা সূর্য তারা
আকাশ ভরা সূর্য তারা
আকাশমুখী সারি সারি
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া ঠাসাঠাসি বাক্স বাড়ি
এখান থেকেই চলার শুরু এখান থেকেই হামাগুড়ি
এখানটাতেই আমার বাসা, আমার বাড়ি
বারোতলার ওপর থেকে
বারো বছর কেটে গেছে
ইস্কুলটা যাওয়া ছাড়া নামা হয়না মাটির কাছে
শোবার ঘরের দেওয়ালটাময় হাঁস মুরগি অনেক নাচে
তবু ওর রানার চোখের ভেতর কোথাও যেন কান্না ভাসে৷
সেখান থেকে একটু দূরে
একটুখানি এগিয়ে গেলে
একলা থাকেন নন্দীবাবু বন্দী সেও যে বয়সকালে
সংসারটার হাল ধরেছে বখাটে তার ছোট ছেলে
এক কাপ চা দিয়ে গেছে কখন জানি সাত সকালে
রেডিওটার ব্যাটারিটা হঠাৎ কবে গেল ক্ষয়ে
খাটের থেকে নামতে মানা
বুকের ব্যথা গেছে সয়ে(২)
নীলিমার মা তাই তো যে আর ভাবেনা আর সংসারটা নিয়ে
এঁদো গলির সেঁদো ঘরে সবই কেমন বয়ে গেছে
এখানটাতেই আটকে পরা এখানটাতেই ঘুরোঘুরি
এখানটাতেই আমার বাসা, আমার বাড়ি
চৌধুরীদের একুশ তলায় মদের নেশায় উঁচু গলায়
ঝগড়া চলে গভীর রাতে
লাজলজ্জার বাঁধ ভেঙ্গে যায়
কোর্ট কাছারি অনেক হল
হলনা যে ছাড়াছাড়ি
সম্পত্তি আঁকড়ে ধরে গভীর রাতের মারামারি
সেখান থেকেই একটু দূরে পাড়ার মোড়টা একটু ঘুরে
অলিগলি পাকস্থলীর ভেতর কারা গুমড়ে মরে (২)
বলি হল আরেকটা প্রাণ
মস্তানদের ছোরাছুরির (২)
এখানটাতেই আমার বাসা, আমার বাড়ি
চিলেকোঠার বারান্দাটা বন্ধ কেন জানো কি তা?
এখান থেকেই লাফিয়ে পরে
লাহাবাড়ির অনিন্দিতা (২)
গভীর রাতে তাইতো কেউ আর ওঠে না যে ওদের ছাদে
অন্ধকারের বন্ধ ঘরে কারা যেন ডুকরে কাঁদে
সেখান থেকে একটু দূরে ছদের পাঁচিলটা ঘুরে
এক চিলতে রোদ্দুরেতে ছোট্ট মেয়ে নামতা পড়ে
তাই তো কালো ইঁটের ফাঁকে বট পাতাটা জিভ ভ্যাংচায়
পাড়ার নেড়ি, বাচ্চাটাকে বুকে করে হাঁটতে শেখায়
এখানটাতেই আটকে পরা এখানটাতেই ঘুরোঘুরি
এখানটাতেই আমার বাসা, আমার বাড়ি
আকাশ ভরা সূর্য তারা
আকাশমুখী সারি সারি
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া ঠাসাঠাসি বাক্স বাড়ি
এখান থেকেই চলার শুরু এখান থেকেই হামাগুড়ি
এখানটাতেই আমার বাসা, তোমার ভালোবাসার বাড়ি।
৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩১
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: "আলীবাবা"
নাম আমার আলীবাবা,
বয়স আমার দশ,
আজকে দিনটা বড়,
আজকে যিশু দিবস!..
চারটে মুরগী ছাড়ালে,
একটা টাকার নোট!
ওই কালো ড্রামের ভেতর
ওরা করছে যে ছটফট!..
নাম আমার আলীবাবা,
বড়দিনের ভীড়,
তাই রক্তে মাখামাখি
আমার সারাটা শরীর!..
শীত যে আমার করছে নাকো,
নেই যে অবকাশ,
আটতিরিশটা বাকি,
মানে ন' টাকা পঞ্চাশ!
রাতের বেলায় ফিরে এসে
চাচার পিঠ মালিশ,
নেই যে আমার বিছানা,
নেই যে বালিশ!..
তবু ঘুম যে আমার চলে আসে
ডিসেম্বর মাসে,
স্বপ্ন দেখি, ঘুড়ি ওড়াই
টানা আকাশে!..
কান্না আমার যাচ্ছে কমে,
বাড়ছে যে সাহস,
নাম যে আমার আলীবাবা,
বয়স এখনো দশ!..
১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩১
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: বসে আছি ইস্টিশানেতে
বসে আছি ইস্টিশানেতে, লেবু লজেন্সের শিশিটা হাতে,
বোকা কোকিলটার গলা শুকিয়ে কাঠ, গাড়ী আজ লেটে দৌড়োচ্ছে।
বাড়ী ছেড়েছি ডিসেম্বর মাসে, পালাতে হয়নি দাদা তাড়িয়েছে,
ফিরতে হলে আড়াইশো টাকা, দিতে হবে মাসের শেষে।
অঙ্কতে আশি পেয়েছিলাম একবার, মা ভেবেছিল হবো ইঞ্জিনিয়ার,
বাবা কিছুই ভাবতে পারেনি, বাবা ছিল না যে আমার।
কালো ঘর বাড়ী শন্ শন্ যায় সরে, ট্রেনের দোলাতে রোজ দুপুরে,
মায়ের কোলের সেই দোলাটা, যায় মনে পড়ে যায় আমার।
কু ঝিক্ ঝিক্ করে যথন রাত আসে, চাঁদটা মনে হয় এলুমিনিয়ামের,
কারখানার ঐ কালো ধোঁয়াটা, কেন যে আমায় কাঁদায়।
“দাদা, একটা মিনি হবে কি? একটাও লেবু হয়নি বিক্কিরি,
গতকালের পনেরো টাকা থেকে চেকারকে দিতে হবে দশ।।”
একবার ভেবেছিলাম এই গলাটা যায় যদি যাক ট্রেনের তলাতে,
কিন্তু ঐ এলুমিনিয়ামের চাঁদ, দেয়নি পালাতে আমায়।
একটু আগে গড়িয়ার শিবু, দম দিতে বলল ব্যোম্ শংকরে,
মাথাটা তাই কেমন ঝিম ঝিম করছে, গলাটা শুকিয়ে কাঠ।
“দাদা, একটা মিনি হবে কি? একটাও লেবু হয়নি বিক্কিরি,
গতকালের পনেরো টাকা থেকে চেকারকে দিতে হবে দশ।।”
বসে আছি ইস্টিশানেতে, লেবু লজেন্সের শিশিটা হাতে,
বোকা কোকিলটার গলা শুকিয়ে কাঠ, গাড়ী আজ লেটে দৌড়োচ্ছে।
বাড়ী ছেড়েছি ডিসেম্বর মাসে, পালাতে হয়নি দাদা তাড়িয়েছে,
ফিরতে হলে আড়াইশো টাকা, দিতে হবে মাসের শেষে।
অঙ্কতে আশি পেয়েছিলাম একবার, মা ভেবেছিল হবো ইঞ্জিনিয়ার,
বাবা কিছুই ভাবতে পারেনি, বাবা ছিল না যে আমার।
বসে আছি ইস্টিশানেতে, বসে আছি ইস্টিশানেতে।।
১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩১
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: হরিপদ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
আকাশ থেকে নেমে এলো একরাত্রে
বড় বড় বড় বড় গোল গোল চোখ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক (২)
আত্নীয় নেই কোনো বন্ধুবান্ধব
মেস বাড়িতে তার বাস
দায়িত্ব নেই কোনো ঝঞ্চাট নেই কোনো
নেই তার কোনো অভিলাষ
আছে কলসি আছে, আছে ঘরের কোনে
আছে গামছা আছে, আছে মারগো সাবান
চশমার মাইনাস পাওয়ার আছে
পরিপাটি একটা গোঁফ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
আছে একা একা স্বপ্ন দেখার অভ্যেস
তার ধার করে পত্রিকা পড়া
আছে এইট বি বাসের এক কোনটার জন্য
সকালের অফিসের তাড়া
আছে ছোটবেলা থেকে একটানা জ্বর রোগ
তাই তেল ঝাল নুন খাওয়া হয়না
শুধু সাদা সেদ্ধ ছিলো যে বরাদ্ধ
যতই না ইচ্ছে হোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
বিজ্ঞাপনের হাতছানি দেখেও না দেখে
ভিড় বাসে পাট ভাঙা শাড়ির পরশ খুলে থেকে
শনিবার, শনিবার নড়বড়ে সিড়ি বেয়ে
মেসটার ছাদে উঠে আকাশের দিকে চেয়ে
জলে ভরে যেতো তার চোখ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হয়তোবা কোনোদিন পার্থনা করেছিলো সে
তাই ধুম করে হঠাৎ এক শনিবারে নেমে আসে
টিভির এন্টেনা বাচিয়ে আস্তে করে
পাঁচিলের ধারে ঘেঁষে বনবন করে
ঘুরে নেমে এলো বড় বড় চোখ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
ঘাবড়ে গিয়ে দাঁত কপাটি লেগে যায়
ঘেমে যায় হরির নাকটা
কোনো এক ম্যাগাজিনে দেখেছিলো এই ছবি
অজানা উড়ন্ত কি একটা
ধুয়ে যায় হরিপদ সাদা সাদা আলোতে
বেজে উঠে এসরাজ কত
হাত পা মন মাথা ঘামতে ঘামতে
টনটন করে তার নখ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হঠৎ কি মনে হলে খিলখিলেয়ে হেসে ওঠে হরিপদ কেরানি
এতসব বড় বড় দেশ মেশ ফেলে তোরা কলকাতাতেই এলি
নিশ্চয়ই পথ ভুল করে করেছে যে ব্যাটারা পাবেনা যে কিছুই হেথায়
হাসতে হাসতে দুটো পাটি হরিপদ জলে ভরে যায় তার চোখ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
বুঝতে পারেনি তারা কখন যে নেমে এসে
তুলে নিয়ে গেছে তাকে মেঘের ওপারে কোন দেশে
কেউ কোনও দিন তার খোঁজ করেনিকো আর
ছিল নাকো কেউ তার কোনও খোঁজ করবার
কেউ করেনিকো কোনও শোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
লায় লায়লা লায় লায়লা্লায় লায় লায়লা লায় লায়লা লায়…
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
জাহিদ অনিক বলেছেন: হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
এইটা আমার অসম্ভব প্রিয় একটা গান
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
লায় লায়লা লায় লায়লা্লায় লায় লায়লা লায় লায়লা লায়…
১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩২
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: মন আমার
তোমার কথা শুনতে ভালো লাগে বন্ধুরা বলে
শোনায় তোমার কথা আমায় প্রায়ই
তাই শুনলাম তোমার কথা, গান শোনার ছলে
শুনলাম তোমাকে তাই
অনেক কথা কতো কথা কথো-কথার সুরে
ভরে গেলো ভেতরটা আমার
ইচ্ছে হলো বলতে কথা সুরের তালে তালে
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার
মন আমার… মন আমার… মন আমার…
মিথ্যে কথায় হারিয়ে যাওয়া ব্যর্থ এ বাজারে
অর্থ নিয়ে এলো তোমার গান
গানের ভাষা নতুন আশায় উঠলো নেচে তোমার কথায়
উঠলো নেচে অনেকের প্রাণ
সত্যি কথা সহজ করে বলার সাহস পেলাম ফিরে
কোথায় যেনো ভেতরে আমার
কথার নেশা ছড়িয়ে দেবার ইচ্ছেটা যে হলো আমার
ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার
মন আমার… মন আমার… মন আমার…
গানের কোনো প্রস্তুতি নেই, নেই যে শেকড়-বাকড়
পালকোশ কি পিলু ভৈরবী
গলায় আমার নেই যে কোনো রেওয়াজ করার স্বভাব
এই অভাব আমার থাকবে চিরদিন
আমার শুধু ছিলো আছে কাঠখোট্টা বাস্তবটা
দিবারাত্রি আপোষ আর আপোষ
রবীন্দ্র কি গণসংগীত কোনোটাই ঠিক দিচ্ছিলো না
বুকের ভেতর রেগে উঠার রোষ
গানটা আমার গাইবার এই ইচ্ছেটা যে ছিলো নাকো
কানটা ছিলো শুধু শোনার
অভ্যেসটা ছিলো কথার তালে কথার জবাব দেবার
কথা কেড়ে নেবার স্বভাব
তোমার কথার সূত্র ধরে পথ হারিয়ে নতুন করে
ইচ্ছে হলো কথাটা বলার
কথায় কথা বাড়ে, তাই বলছি ছোট্ট করে
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার
মন আমার… মন আমার… মন আমার…
তোমার কথা শুনতে ভালো লাগে বন্ধুরা বলে
শোনায় তোমার কথা আমায় প্রায়ই
তাই শুনলাম তোমার কথা, গান শোনার ছলে
শুনলাম তোমাকে চাই
অনেক কথা কতো কথা কথো-কথার সুরে
ভরে গেলো ভেতরটা আমার
ইচ্ছে হলো বলতে কথা সুরের তালে তালে
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার
মন আমার… মন আমার… মন আমার…
১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩২
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: রঞ্জনা
পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেব,
বলেছে পাড়ার দাদারা
অন্য পাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই
রঞ্জনা আমি আর আসব না ।।
ধর্ম আমার আমি নিজে বেছে নেই নি
পদবী তে ছিলনা যে হার
মসজিদে যেতে হয়
তাই জোর করে যাই বৎসরে দু’এক বার ।।
বাংলায় সত্তর পাই আমি এক্সামে
ভাল লাগে খেতে ভাত মাছ
গাজা-সিগারেট আমি কোনটাই ছুঁই না
পাড়ি না চড়তে কোন গাছ
চশমা টা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরে আমি পারব না
পারব না হতে আমি রোমিও
তাই দুপ্পুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা আমি আর আসব না।।
বুঝব কি করে আমি তোমার ঐ মেজ দাদা
শুধু যে তোমার দাদা নয়
আরও কত দাদাগিরি,কব্জির কারিগরি
করে তার দিন কেটে যায় ।।
তাও যদি বলতাম হিন্দুর ছেলে আমি
নিলু , বিলু কিংবা নিতাই
মিথ্যা কথা আমি বলতে যে পারি না
ভ্যাব্যা ভ্যাব্যা ভ্যাব্যাচ্যাকা খাই,
চশমা টা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরে আমি পারব না
পারব না হতে আমি রোমিও
তাই দুপ্পুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা আমি আর আসব না
রঞ্জনা আমি আর আসব না ।
সত্যিকারের প্রেম জানিনা তো কি সেটা
যাচ্ছে যে জমে হোক যা
লাগছে না ভালো আর মেট্রো চ্যানেল টা
কান্না পাচ্ছে সারা রাত ।।
হিন্দু কিবা জাপানী,জানিনা বা তুমি কি
জানে ঐ দাদাদের গ্যাং
সাইকেলটা আমি ছেড়ে দিতে রাজি আছি
পারব না ছাড়তে এ ঠ্যাং,
চশমা টা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরে আমি পারব না,
পারব না হতে আমি রোমিও
তাই দুপ্পুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা আমি আর আসব না
রঞ্জনা আমি আর আসব না ।
১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: শুনতে কি চাও
শুনতে কি চাও তুমি সেই অদ্ভুত বে-সুরো সুর
ফিরে পেতে চাও কি সেই আনচান করা দুপুর
দেখতে কি চাও তুমি সেই খেলনাওয়ালাটা কে
তার খেলনা দোতারা সে বাজাচ্ছে কবে থেকে
স্কুলের টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে কেনা
সেই অদ্ভুত ফাটা বাঁশ আর মাটির সুর টানা টানা
দু'দিনের সম্পদ দু'টাকার বাজনার বিষ্ময়
তারপর কখন হঠাৎ সুখের মানে পাল্টে যায়
তারপর টিফিনের পয়সা দিয়ে সিগারেট
কলেজ কেটে সিনেমা বান্ধবীর সাথে কাটলেট
আসে দশটা পাঁচটা সেই একরুটের বাসটা তারপর
সবার মতই পড়তে হয় যে কাগজের টোপর
এখন মাসের শেষে মাঝে মধ্যে কান্না পায়
মিনিবাসে দাড়িয়ে অফিস যাবার সময়
এখন বুঝেছি সেই অদ্ভুত সুরের কি মানে
ফিরে তো যাওয়া যায় না যে আর সেখানে
যেতে হবে যে তোমাকে আমাকে চলে
লুকোনো টেক্কা সংসারের এক্কা দোক্কা ফেলে
প্রথমে যাবে ঘর-দোর দোকানপাট তারপর হৃদয়
কিছুই হলো না বাজানো গেল না সময়
ইদানিং সে সুরটা শুনতে যে খুব ইচ্ছে হয়
কিন্তু সেই খেলনাওয়ালা আর আসেনা পাড়ায়
হয়তো কোন অন্য অলি-গলি ঘুরে
অন্য কোন কাউকে টানছে সেই অদ্ভুত সুরে
১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: তুমি না থাকলে
তুমি না থাকলে সকাল টা এতো মিষ্টি হতো না
তুমি না থাকলে মেঘ করে যেত বৃষ্টি হতো না
তুমি না থাকলে মন কষাকষি করে হাসাহাসি নাক ঘষাঘষি....রাপা রাপ্পাপা রাম পাম পা..
তুমি না থাকলে চাঁদটার গায়ে পড়ে যেত মরচে
তুমি না থাকলে কিপটে লোকটা হতো না যে খরচে..
তুমি না থাকলে স্বপ্নের রঙ হয়ে যেত খয়েরী
বন বন করে দুনিয়াটা এই পারতো না ঘুরতে....
তুমি না থাকলে রবীন্দ্রনাথ কালীর দোয়াত মাথায় ঠুকে হতো কুপোকাত...রাপা রাপ্পাপা রাম পাম পা..
তুমি না থাকলে সুমন কেলেঙ্কারী করতো কতো
গিটার ফেলে গুয়েতেমালায় নামতা শেখাতে হতো..
পাশের বাড়ির মেয়েটা পাশের পাড়ার ছেলেটার সাথে
তুমি না থাকলে এই ভাবে কি বাড়িটা ছেড়ে পালাতো!
তুমি না থাকলে তাজমহলটা বানানোই হতো না
লাগালাগি এই কাটাকাটি কিছু থামানোই যেতো না....
তুমি না থাকলে মোনালিসা কবে হয়ে যেতে গম্ভীর
তুমি না থাকলে তোমার চিঠি জমানোই হতো না...
তুমি না থাকলে রোমিও কবে হোমিওপ্যাথির দোকান খুলে জমিয়ে দিত...রাপা রাপাপ্পা রাম পাম পা..
১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৪
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: টিভি দেখ না
বাপি আর মা গেছে সিনেমায় তুমি একা
ভয় যদি হয় আছে টিভি টাকে খুলে ভুলে থাকা
মা গেছে বলে ঐ টিভি টাকে খুলে তুমি দেখ না
আমি বলি কী একটা চালাকি করে দেখ না
জানলা দিয়ে ঐ আকাশটাকে দেখ টিভি দেখ না
রান্না আছে ঢাকা তবু কান্না চেপে রাখা যাচ্ছে না
বাপিরা হোটেলে রোল তোমার কপালে ঝোল ক্ষিদে পাচ্ছে না
রেগে গিয়ে টিভি খুলে জোড় করে সব ভুলে তুমি থেকো না
দেখ ডাকছে তোমায় বন্ধুরা আকাশ থেকে টিভি দেখ না
দেখ ডাকছে তোমায় সব্বাই আকাশ থেকে টিভি দেখ না
মেঘ দেখে ভাল্লুক মনে হয় নাকি তুমি দেখ নি
তোমার হাতের ছায়া দিয়ে দেয়ালে একটা হরিণ নিয়ে খেল নি
খাটটাকে মাঠ ভেবে একটু উপুর হয়ে থাকো না
দেখ ডাকছে তোমায় আকাশটা টিভি দেখ না
দেখ ডাকছে তোমায় জানলার বাইরেটা টিভি দেখ না।।
১৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৪
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: বৃষ্টি
আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি,
আমি রোদে পুড়ে ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি।
আমার আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামে নি,
শুধু তুমি চলে যাবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি…
চারটে দেয়াল মানেই নয়তো ঘর, নিজের ঘরেও অনেক মানুষ পর।
কখন কিসের টানে মানুষ পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে,
ঝপসা চোখে দেখা এই শহর …
আমি অনেক ভেঙেচুরে, আবার শুরু করেছি,
আবার পাওয়ার আশায় ঘুরে মরেছি।
আমি অনেক হেরে গিয়েও হারটা স্বীকার করিনি,
শুধু তোমায় হারাবো আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি…
হারিয়ে গেছে তরতাজা সময়, হারিয়ে যেতে করেনি আমার ভয়।
কখন কিসের টানে মানুষ পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে,
ঝপসা চোখে দেখা এই শহর …
আমি অনেক শ্রোতে বয়ে গিয়ে, অনেক ঠকেছি,
আমি আগুণ থেকে ঠেকে শিখে, অনেক পুড়েছি।
আমি অনেক কষ্টে অনেক কিছুই দিতে শিখেছি,
শুধু তোমায় বিদায় দিতে হবে, স্বপ্নেও ভাবিনি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি।
১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৪
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ক্যালসিয়াম
ডাক্তার বলছে ক্যালসিয়ামটা কম
টিউটর বলছে অংকটা কমজোরি
ছোটকা বলছে ধুচ্ছাই নেই তোর দম
ঠাম্মা বলছে আচার গেছে চুরি
দাদা বলছে সময়টাই গোলমেলে করবে কি?
জ্যাঠা বলছে প্যাঁদালেই সব ঠিক।
মা বলছে দুধটা একদম মুখেই তুলছেনা
হরলিক্স বলছে এমনি এমনি খাও
অ্যান্টি বলছে আগে এতো কেয়ারলেস ছিল না
বাবা বলছে জাহান্নামে যাও।
পাশের বাড়ির বৌদি বলছে আঁকার স্কুলে দিন না
মামা বলছে স্পোকেন ইংলিশ উইক
দাদু বলছে সময়টা গোলমেলে করবে কি
জ্যাঠা বলছে প্যাঁদালেই সব ঠিক
সুমন বলছে পারো যদি অন্য ছবি এঁকো
টিনটিন বলছে চল এন্টার্কটিকায়
টিভি বলছে বলো “আই অ্যাম অ্যা কমপ্লেন বয় ”
অঞ্জন বলছে টিভি দেখো না
তোপসেটাই বা কেন লেখাই বন্ধ করে দিলো
ফেলুদা কিছুই বলছে না
দাদু বলছে সময়টা গোলমেলে করবে কি
জ্যাঠা বলছে প্যাঁদালেই সব ঠিক।
ছাঁদের পাচিল বলছে আয়
ছুটে আয় খালি পায়
আকাশ বলছে গলা খুলে গা
দুপুর বলছে কান্না পেলে
ছাঁদে উঠে গিয়ে
সবাই যা বলছে ভুলে যা।।
১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: দু’টো মানুষ
দু’টো মানুষ
এসাথে কত পথ চলা
হাতে হাত রেখে কথা বলা
কেন সব করে অবহেলা
কেন শেষ-মেষে এসে বিদায়
ফুলদানি
আছড়ে ভেঙ্গে চুড়মার
ফুল জল সব একাকার
নেমে আসে অন্ধকার
জানালার বাইরে নেমে আসে রাত
দু’টো বালিশ
কত স্বপ্ন ভালোবাসা বোঝাই
দেখে যায় এই কুৎসিত লড়াই
আশা আকাংখা সব পুড়ে ছাই
কেউ মুখ ফুটে কিছু বলে না
টেবিল ল্যাম্পের আধো অন্ধকারে
ভাঙ্গাচোড়া মন দুটো গুমড়ে গুমড়ে মরে
দুজনেই বসে থাকে হাত ধরবে বলে
কেউ মুখ ফুটে কিছুই বলে না
ভগবান তাই নেমে আসে না
আসে সকাল
চোখ মুছে চিঠি লেখা
ব্রিফকেস হাতে ট্যাক্সি ডাকা
ফিরে না তাকিয়ে দেখা
এইভাবে কেউ চলে যায়
২০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: যাচ্ছে চলে
যাচ্ছে চলে ট্রাম বাস ঠেলা টেম্পো
যাচ্ছে চলে শীত গ্রীষ্ম বসন্ত
যাচ্ছে চলে সব হন্তদন্ত হয়ে
এতসব যাচ্ছে কোথায়
যাচ্ছে গড়িয়ে পা কাটা ভিখারীর দল
যাচ্ছে কাঁধে নিয়ে গ্যাস বাতি ঝলমল
যাচ্ছে শুকিয়ে কত চোখের জল
এতসব যাচ্ছে কোথায়
যাচ্ছে সরে মেঘ চাঁদটাকে ছাড়িয়ে
যাচ্ছে সবাই রোজ জঞ্জাল মাড়িয়ে
যাচ্ছে নেশার ঘোরে জিভটাও জড়িয়ে
এতসব যাচ্ছে কোথায়
যাচ্ছে জমে কত আড্ডা তর্ক
যাচ্ছে ভেঙ্গে কত কত সম্পর্ক
বিগড়ে যাচ্ছে কত দম দেয়া যন্ত্র
এতসব যাচ্ছে কোথায়
যাচ্ছে কালো হাতটাকে করা শক্ত
যাচ্ছে জুটে কত ভন্ডের ভক্ত
যাচ্ছে ঝরে কত মানুষের রক্ত
এতসব যাচ্ছে কোথায়
যাচ্ছে পুলিশ দিয়ে হরতাল ঠ্যাঙানো
যাচ্ছে সৈন্যদের যুদ্ধটা করানো
যাচ্ছে মিথ্যে কথা সহজেই রটানো
এতসব যাচ্ছে কোথায়
যাচ্ছে খুলে আবার ইশকুলগুলো
যাচ্ছে পরে মাথার সব চুলগুলো
যাচ্ছে হয়ে বারবার এক ভুলগুলো
এতসব যাচ্ছে কোথায়
যাচ্ছে হলদে হয়ে অ্যালবাম ছবিটা
যাচ্ছে ভুলে যাওয়া কত কত কবিতা
যাচ্ছে জন্ম দেয়া টেস্টটিউব বেবিটা
এতসব যাচ্ছে কোথায়
যাচ্ছে জগতটা তাই ঘুরে যাচ্ছে
যাচ্ছে পেটটা ভরে তবু খিদে পাচ্ছে
যাচ্ছে তাই যে কতকিছু রোজ ঘটছে
এতসব যাচ্ছে কোথায়
যাচ্ছেনা এড়ানো শেষ শুয়ে পড়াটা
যাচ্ছেনা থামানো শেষ কাঁধে চড়াটা
যাচ্ছেনা জাগানো শ্মশ্মানের মড়াটাকে
যাচ্ছেনা তাই সে কোথাও
২১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: মেরি অ্যান
কালো সাহেবের মেয়ে,
স্কুল পালিয়ে ধরতে তোমার দুটো হাত।
কত মার খেয়েছি, মুখ বুজে সয়েছি
অন্যায় কত অপবাদ।
বয়স তখন ছিলো পনের
তাই ছিলো স্বপ্ন দেখার ব্যারাম।
মাথার ভেতর ছিলো এলভিস প্রেসলি,
খাতার ভেতর তোমার নাম।
মেরি অ্যান, মেরি মেরি অ্যান,
মেরি অ্যান….মারি ।।
করে সব এলোমেলো এলভিস চলে গেলো
কেটে গেল বছর অনেক
তোমারও মামা কাকা একে একে পাড়ি দিল
সব্বাই মিলে বিলেত।
রয়ে গেলে তোমরা আকড়েঁ রিপন স্ট্রিট
দুটো ঘর সিড়িঁর তলায়।
নোনা দেয়াল থেকে, যীশু ছল ছল চোখে,
হাত তুলে আশ্বাস দেয় এখনো।
রিকশায় চড়ে তুমি দুলে দুলে চলে যাও
আমার পাড়া দিয়ে প্রায়।
পাক ধরে গেছে চুলে, গালদুটো গেছে ঝুলে
নিয়মিত অবহেলায়।
কোন এক অফিসেতে শর্ট হ্যান্ড নিতে নিতে
নোখগুলো গেছে ক্ষয়ে।
ছোট্টবেলার প্রেম, আমার কালো মেম
কোথায় গেলে হারিয়ে।
তোমার বাবা ছিলো ইন্জিন ড্রাইভার
আমার বনেদী ব্যাবসা
বংশের ইজ্জত রাখতে হলে
বউ হতে হবে ফরসা।
বাঙালীর ছেলে তাই গলায় গামছা দিয়ে
ফেললাম করে বিয়ে।
ছোট্টবেলার প্রেম, আমার কালো মেম
কোথায় গেলে হারিয়ে।
মেরি অ্যান, মেরি মেরি অ্যান,
মেরি অ্যান….মারি ।।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: ছোট্টবেলার প্রেম, আমার কালো মেম
কোথায় গেলে হারিয়ে।
আসলেই কোথায় গেল হারিয়ে .।.।। ??
২২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: এই বুড়ো পুরনো গীটার
এই বুড়ো পুরনো গীটার
দিয়েছে কত কিছু দিয়েছে
ছোটখাটো সুখ, মান অভিমান
দুঃখের গান দিয়েছে
রোজ রোজ কত কত হাজার হাজার ভয়
মনে যখন ভীড় করেছে
ঘরের কোণে আপন মনে
সেই ভয়গুলো কাটিয়ে দিয়েছে
ছেলেবেলার সেই পাতাঝরা পাহাড়ে
ঘুরেছে একেবেঁকে মন যখন
এই বুড়ো পুরনো গীটার
ছিল সঙ্গী আমার তখন
তাল কেটে গেছে কত কেটেছে আঙ্গুল
কত রাত জেগে জেগে কেটেছে
জীবনে প্রথমবার ভালবাসা হারানোর
যন্ত্রণা ভুলিয়ে দিয়েছে
এই বুড়ো পুরনো গীটার
কলের গানের সুরে হারিয়ে গিয়ে
খুঁজে পাওয়া নিজেকে আবার
পৃথিবীর কত কথা কাছে এনে দিয়েছে
আমার পুরনো গীটার
জন লেলনের সোচ্চার ভালবাসা
ববি/বব ডিলানের অভিমান
হুট করে ভাললেগে ভালবেসে কাউকে
তাড়াহুড়ো করে লেখা গান (২)
ফেলে আসা কত মুখ
কত নাম ঠিকানা
বারবার ফিরিয়ে দিয়েছে
নানা কথা নানা সুরে গান নিয়ে ঘুরে ঘুরে
সুমনের কাছে এনে দিয়েছে
এই বুড়ো পুরনো গীটার
ইদানিং হঠাৎ করে অনেক
ভালবাসার মাঝে এনে ফেলেছে আমায়
নিজের মতো করে কিছু কথা বলবার
সুযোগ করে দিয়েছে আমায় (২)
ভাবিনি তো কোনদিন
আমার এই বন্ধুটা
হয়ে যাবে বন্ধু সবার
ভাবিনি তো কোনদিন শুনবে সবাই
আমার পুরনো গীটার
এই বুড়ো পুরনো গীটার
দিয়েছে তোমাকে দিয়েছে
এলোমেলো কতসব অন্যলোকের গানে
তোমাকে কাছে টেনে নিয়েছে
তোমাকে নিয়ে কোন গান লেখা হয়নি
চেষ্টা করেছি বহুবার
রয়ে গেছে সব কথা অলিখিত তার কাছে
আমার পুরনো গীটার
সে যে আমার পুরনো গীটার
২৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: রাজু রানী র্যােম্বো
তিন রাস্তার মোড়ে তিন বন্ধু
ছোটখাট তিনটে জীবন
রাজু রানী র্যাীম্বো
আজকে ফুলওলা
কাল ভিখারি
পরশু পাউরুটি চোর
রাজু রানী র্যাোম্বো
দেখা হয় আমাদের
তিন রাস্তার মোড়ে প্রায়ই
ট্যাক্সি খোজার ফাঁকে হামেশাই
অগুনিতি মানুষের ভিড়ে আমি
ঠিক খুঁজে পাই
হার না মানা প্রেমিকের
তিনজোড়া চোখ
হঠাৎ পেছন থেকে
চমকে দিয়ে ডাকে
নাকের সিকনি আর
হাসি নিয়ে চকচকে
রাজু রানী র্যােম্বো (২)
শীতের সকাল আসে
লাল ফুল নিয়ে হাসে
ট্যাক্সির জানালায়
রাজু রানী র্যালম্বো
হিন্দি ছবির নাচ
হুবুহু ফুটপাতে
গ্রীষ্মের দুপুরবেলায়
রাজু রানী র্যারম্বো
হয়তোবা ফুটপকেটে
আধুলির বিনিময়
একরাশ সুখে টান দিয়ে
প্রাণ খুলে গান গায়
চলন্ত মারুতি থেকে
ছুড়ে দেয়া করুণায়
কেনা যায় ফ্রুটকেক
কেনা যায় মেটিনি শো
হঠাৎ পেছন থেকে
চমকে দিয়ে ডাকে
নাকের সিকনি আর
হাসি নিয়ে চকচকে
রাজু রানী র্যািম্বো (২)
আমার এই শহরের
প্রাণভোমরা আছে
সাগরের তলায় নয়
আছে রাজু রানী র্যাচম্বো
শ্বাসরুদ্ধকর তবু
মরছে না কিছুতেই
কলকাতাটা
রাজু রানী র্যাইম্বো
বৃষ্টিভেজা ঐ বাসের হাতলটা
এক ফালি ফুটবোন
আঁকড়ে ঝুলে থাকা
নিদারুণভাবে এই ভীষণ
করে বাঁচা
পাই আমি কোথা থেকে
কোথা থেকে সাহস
হঠাৎ পেছন থেকে
চমকে দিয়ে ডাকে
নাকের সিকনি আর
হাসি নিয়ে চকচকে
রাজু রানী র্যােম্বো (২)
২৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৭
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: রমা
মাগো আমার মাগো জানি অনেক কষ্ট পাবে তুমি
তবু আমার নেই কোন উপায় (২)
যেতেই আমায় হবে সে যে
ট্যাক্সি নিয়ে বসে আছে বাসষ্টপেতে আমার অপেক্ষায়
বিয়ের সাজে ঘোমটা টেনে, বাবা কাকার চোখ এড়িয়ে
যাচ্ছি ছেড়ে ছোট বেলার ঘর
অনেক ভাবনা চিন্তা করেও পারছি না যে মেনে নিতে
তোমাদের পছন্দ করা বর
মাগো মা চললাম আমি করতে নিজের সংসার
মাগো মা ফিরে আসছি না
ইতি তোমার আদরের রমা।
গয়না গাটি বেনারসি সবি খুলে যাচ্ছি চলে
শুধু নিলাম একটা মাত্র হার
আর আছে তোমার দেয়া ছোট বেলার সাহস অনেক
সেটাই সবচেয়ে বড় উপহার
অনেক অপমানের বোঝা রইলো তোমাদের কপালে
বিয়ের মুখে কেলেংকারিটা
কিন্তু মাগো নয় যে এ আর পুতুর নিয়ে খেলনা বাড়ি
সত্যি সত্যি সংসার আমার।
মাগো মা চললাম আমি করতে নিজের সংসার
মাগো মা ফিরে আসছি না
ইতি তোমার আদরের রমা।
মাগো তুমি বলে ছিলে মানুষ চেনা শক্ত বড়
মনটা আসল পয়সা-কড়ি নয়
অনেক বড় লোকের ছেলে ছলেবলে মিথ্যে বলে
ঠকিয়ে নিতে চাইবে যে আমায়
কিন্তু এযে দেখতে শুনতে নয় যে তেমন দারুন ভালো
আছে যে তার হাজার গন্ডা দোষ
নেইকো যে তার টাকাওয়ালা বাবা কাকা
আছে শুধু সত্যি কথা বলার সৎ সাহস
মাগো মা চললাম আমি করতে নিজের সংসার
মাগো মা ফিরে আসছি না
ইতি তোমার আদরের রমা (২)
২৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৮
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: স্যামসন
জ্বলছে নিভছে নিয়নের বিজ্ঞাপন
বৃষ্টিতে ভিজে গেছে রাস্তা
ভেজা ভেজা মন
লাস্ট ট্রাম ধরে ঘরে ফিরবে আবার স্যামসন
সাথে নিয়ে সঙ্গী শুধুই স্যাক্সফোন
পাঁচতারা হোটেলের বাজনাওয়ালা ফেরে ঘর
এঁদোগলি সিঁড়ি ভেঙে স্যাঁতস্যাঁতে ছাদের ওপর
সস্তা মদে গেছে বিছানাটা ভিজে
ধুয়েমুছে গেছে যৌবন
স্যামসন আর তার সঙ্গী স্যাক্সফোন
এইভাবে খুন হয়ে যায় কতকত স্যামসন
হোটেলের কোণে খুন হয় কতকত স্যামসন
গোগ্রাসে গিলে চলে শহরটা দেয় নাকো কান
এইভাবে খুন হয়ে যায় কত জীবনের গান
দি লায়লা এসেছিল জীবনে একবার
দুদিনের প্রেম গ্যাছে দুদিনেই ভেঙে চুরমার
বেছে নিয়ে চলে গ্যাছে অন্য আরেকজন
ফেলে রেখে স্যামসন আর তার স্যাক্সফোন
ক্রুশবিদ্ধ যিশু ক্যালেন্ডার থেকে কাঁদে
তারই মত স্যামসন আটকে পড়েছে এক ফাঁদে
সস্তাহীন বিসুর বাজিয়েই যেতে হবে এইভাবে যাবৎজীবন
হোটেলের কোণে আলো আধারি নির্বাসন
এইভাবে খুন হয়ে যায় কতকত স্যামসন
হোটেলের কোণে খুন হয় কতকত স্যামসন
গোগ্রাসে গিলে চলে শহরটা দেয় নাকো কান
এইভাবে খুন হয়ে যায় কত জীবনের গান
আসবেনা দি লায়লা কোনোদিন বাঁচাতে তাকে
এইভাবে পচেগলে পাঁচতারা নরকে
নিঃশেষ হয়ে যাবে একদিন দুজন
স্যামসন আর তার সঙ্গী স্যাক্সফোন
ফুসফুসে লুকোনো আছে কতকত গান
জানবেনা কেউ সেই স্যাক্সফোনের অভিমান
শুধু মাঝরাতের আকাশে চাঁদটা ঘুম ভেঙে উঠে
শুনবে স্যামসনের সেই স্যাক্সফোন
এইভাবে খুন হয়ে যায় কতকত স্যামসন
হোটেলের কোণে খুন হয় কতকত স্যামসন
গোগ্রাসে গিলে চলে শহরটা দেয় নাকো কান
এইভাবে খুন হয়ে যায় কত জীবনের গান
২৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৮
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: তুমি আসবে বলে
তুমি আসবে বলে তাই, আমি স্বপ্ন দেখে যাই
আর একটা করে দিন চলে যায়
সুদিন আসবে বলে ওরা আগুন জ্বালায়
আর হাজার হাজার মানুষ মরে যায়
দেখবে বলে আকাশটাকে মাথা উঁচু করে
শুধুই নোংরা কালো ধোঁয়া ঢেকে যায়
কাছে আসবে বলে অন্ধকারে হাতড়ে মরে ওরা
তবু শরীর দুটো থাকে আলাদা
আমার মনটা তবু আশা করে যায়
এই মনটা তবু ভালবাসতে চায়
এই মন .......... আশা করে যায়
সময় ছুটে চলে
আমি আটকে পড়ে রই
আমার রাস্তা আঁটে আমি আঁটি না
চোখে নিয়ে স্বপ্ন বুকে নিয়ে অনেক অনেক কথা
আমার বয়স বাড়ে, আমি বাড়ি না
তুমি আসবে বলে তাই, আমি স্বপ্ন দেখে যাযই
আর একটা করে দিন চলে যায়
সুদিন আসবে বলে ওরা আগুন জ্বালায়
আর হাজার হাজার মানুষ মরে যায়
আমার মনটা তবু আশা করে যায়
এই মনটা তবু ভালবাসতে চায়
এই মন ...… আশা করে যায়
তুমি না থাকলে সকালটা এতো মিষ্টি হতো না
তুমি না থাকলে মেঘ করে যেত বৃষ্টি হতো না(২)
তুমি না থাকলে মন কষাকষি, করে হাসাহাসি নাক ঘষাঘষি
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা।
তুমি না থাকলে চাঁদটার গায়ে পড়ে যেত মরচে
তুমি না থাকলে কিপটে লোকটা হতো না যে খরচে
তুমি না থাকলে স্বপ্নের রং হয়ে যেত খয়েরী
বনবন করে দুনিয়াটা এই পারতো না ঘুরতে
তুমি না থাকলে রবীন্দ্রনাথ কালির দোয়াত মাথায় ঠুকে হতো কুপোকাত
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা।
তুমি না থাকলে সুমন কেলেঙ্কারী করতো কত
গীটার ফেলে গুয়েতেমালায় নামটা শেখাতে হতো
পাশের বাড়ির মেয়েটা পাশের পাড়ার ছেলের সাথে
তুমি না থাকলে এইভাবে কি বাড়িটা ছেড়ে পালাতো
তুমি না থাকলে তাজমহলটা বানানোই হতো না
লাঠালাঠি এই কাটাকাটি কিছু থামানোই যেত না
তুমি না থাকলে মোনালিসা কবে হয়ে যেত গম্ভীর
তুমি না থাকলে তোমার চিঠি জমানোই হতো না
তুমি না থাকলে রোমিও কবে
হোমিওপ্যাথির দোকান খুলে জমিয়ে দিতো
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা
২৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৯
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ভালোবাসি তোমায়
ফেলে আসা গান
ফেলে আসা জলসা
ফেলে আসা বন্ধু
ফেলে আসা রাস্তা
ফেলে আসা কত কথা
ফেলে রেখে এসেছি
ফেলে আসা সময় (২)
ফেলে আসা সাহস
ফেলে আসা ভয়
ফেলে আসা জুতো জামা
ফেলে দিতে হয়
ফেলতে ফেলতে কিছু কথা
থেকে গেছে, যেমন-
ভালোবাসি তোমায়
ভালোভালোভালোভালোভালোবা...সি তোমায়
এখনো ঠিকি
ভালোবাসি তোমায়
একি ভাবে
ভালোবাসি তোমায়
ফেলে আসা বাজারে
ফেলে আসা দাম
ফেলে আসা তবলা হারমোনিয়াম (২)
ফেলে আসা খাটুনির কত কাল ঘাম
হারিয়ে গেছে কোথায়
ফেলে আসা রাজনীতি
ফেলে আসা ভুল
ফেলে আসা গপ্পের
ফেলে আসা গুল
ফেলতে ফেলতে কিছু কথা
থেকে গেছে, যেমন-
ভালোবাসি তোমায়
ভালোভালোভালোভালোভালোবা...সি তোমায়
এখনো ঠিকি
ভালোবাসি তোমায়
একি ভাবে
ভালোবাসি তোমায়
ফেলে আসা রাগ
ফেলে আসা ক্ষোভ
ফেলে আসা বড়সড় কত মুল্যবোধ
ফেলে আসা আকাশের এক চিলতে রোদ
হারিয়ে গেছে কোথায়
আজ যেটা মিষ্টি, কাল সেটা ঝাল
টিকে থাকে না কিছুই চিরকাল
টিকে গেছে কেবল একটাই কথা
ভালোবাসি তোমায়
ভালোভালোভালোভালোভালোবা...সি তোমায়
এখনো ঠিকি
ভালোবাসি তোমায়
একি ভাবে
ভালোবাসি তোমায়।
২৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৯
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ভেংচি কেটে দ্যাখ
কলঘরে কেউ বন্ধ করে দেয় যদি তোকে,
কিংবা বোকা পাঁঠা বলে দেয় যদি বকে,
কানের গোড়ায় মারলে পরে কান্না যখন পায়,
প্রাণটা খুলে গলা তুলে গাইবি তখন আয়…
ভেংচি কেটে দ্যাখ,
লেংচে হেটে দ্যাখ,
একটা ডিগবাজি,
পাচ্ছে হাসি খ্যাক….
ছেলেবেলায় করেছিলাম ইংরেজিতে ফেল,
ছাদে বন্ধ করে রাখে সারাটা বিকেল,
কাদঁতে কাদঁতে সন্ধ্যা নামল হঠাৎ কোন ফাঁকে,
একটা ভুত ও এসেছিল আকাশের থেকে,
বাই বাই করে তিনপাক ঘুরে ছাদের কার্নিশে,
আঠের বার হেচঁকি তুলে উনিশ বার কেশে,
বলল আমায় কানে কানে মন্ত্র শিখে নে,
এবার থেকে কান্না পেলে গাইবি গলা তুলে…
ভেংচি কেটে দ্যাখ,
লেংচে হেটে দ্যাখ,
একটা ডিগবাজি,
পাচ্ছে হাসি খ্যাক…
সেই থেকে আর কান্না আমার পায়না কিছুতেই
ভুতও গেছে মিলিয়ে কোথায়, গানটাতো আছে
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: ভেংচি কেটে দ্যাখ,
লেংচে হেটে দ্যাখ,
একটা ডিগবাজি,
পাচ্ছে হাসি খ্যাক
এই গানটা শুনে আমি আর আমার এক বন্ধু কত যে মজা করেছি তাঁর শেষ নেই ।
বেশ মজার একটা গান
২৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৯
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ববি রায়
আকাশের রং কালো হয়ে এলো বৃষ্টি নামবে এখনি জানি তবু
ছেঁড়া ছাতা নিয়ে ভিজে ভিজে আমি থাকবো দাঁড়িয়ে তোমার অপেক্ষায়
আরো একবার একই পথে চলে একই কথা বলে কাটবে সন্ধ্যেটা
তবু রাস্তা বদলে যেও না তুমি যেও না ফেলে আমায়
স্বপ্নের রঙ ফিকে হয়ে গেছে ভবিষ্যত আমার অনিশ্চিত
পেছনে আমার কানাগলি আর সামনে শুধুই গাঢ় অন্ধকার
গোলাপ কেনার সামর্থ্য নেই দেবার আছে শুধুই একটা গান
গানে গানে তাই করে যাই আমি তোমার কাছে একটাই আবদার
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না, ছেড়ে যেও না
ববি রায়ের কথায় বয়ে যেও না, ফেলে আমায়
জানি টাকা কড়ি আর মারুতি গাড়ির প্রয়োজন আছে,
তবু হাল ছেড়ে দিও না
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না- এ অসময়।
ছাপোষা এই টাইপিস্টকেই ভালো লেগেছিলো তোমার একদিন
টাইপ করার ফাঁকে তুমি চেয়েছিলে ভালোবাসার দাম
আঙলামাদের যন্ত্রের মতো লিখেছিলো শুধু ফরমায়েসি চিঠি
মন বলেছিলো অন্য কথা মন লিখেছিলো তোমার আমার নাম
বছর ঘুরে পদোন্নতির জোয়ারে তুমি ভেসে চলে গেলে দূরে
মেশিনপত্র গুটিয়ে নিয়ে চলে গেলে তুমি ববি রায়ের ঘরে
আজ তারই আবদারে বাড়ছে তোমার ওভারটাইম বাড়ছে ঠোটের রং
তারই আবদারে তারই গাড়ি চড়ে হয়তো ফিরবে তুমি তোমার ঘর
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না, ছেড়ে যেও না
ববি রায়ের কথায় বয়ে যেও না, ফেলে আমায়
জানি টাকা কড়ি আর মারুতি গাড়ির প্রয়োজন আছে,
তবু হাল ছেড়ে দিও না
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না- এ অসময়।
পৌনে একটা বাজতে চললো এখনো জ্বলছে ববির ঘরের আলো
ঘুমিয়ে পড়েছে অফিস পাড়া ঘুমিয়ে পড়েছে গেটের দারোয়ান
টাইপ মেশিন নীরব তোমার শুনতে পাচ্ছি শুধুই তোমার হাসি
হাসতে হাসতে করছো কি তুমি আমার ভালোবাসার অপমান?
জানি আমার মতোই তোমার ঘরে টনটন করে নিদারুণ অভাব
তবু পারবে কি কেউ দিতে তোমায় সত্যিকারের ভালোবাসার দাম
পারবে কি তুমি ভুলতে তোমার ভাঙা দেয়াল তোমার কানাগলি
পারবে কি তুমি ফেলতে মুছে মনের ভেতর টাইপ করা নাম?
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না, ছেড়ে যেও না
ববি রায়ের কথায় বয়ে যেও না, ফেলে আমায়
জানি টাকা কড়ি আর মারুতি গাড়ির প্রয়োজন আছে,
তবু হাল ছেড়ে দিও না
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না- এ অসময়।
আবার বলছি তোমায়
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না, ছেড়ে যেও না
শোনো, ববি রায়ের কথায় বয়ে যেও না, ফেলে আমায়
জানি টাকা কড়ি আর মারুতি গাড়ির প্রয়োজন আছে,
তবু হাল ছেড়ে দিও না
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না- এ দুঃসময়।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: ববি রায়ের সাথে চলে যেও না
পুরানো প্রেমিকাকে ক্ষুদেবার্তা করে দিয়েছিলাম । তবুও সে ববি রায়ের সাথেই চলে গেছে ।
৩০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪০
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: দাশ কেবিন
সোমবারে আসে স্বর্ণালী আর সুমন্ত
মঙ্গলে মিতা আর মন্টু
বুধবারে আসে বৈশাখী আর বিপ্লব
বৃহস্পতিবারে শেলী আর সন্তু
শুক্কুরবারে আসে সীমা আর শান্তনু
শনিবারে সুধা-সুধন্য
রবিবার বিকেলটা সবাই জানে কার
রবিবার আমাদের জন্য
ফিরে ফিরে সাতদিন দাসবাবুর এ কেবিন
কত প্রেমালাপে যায় ভরে
জায়গা নেই যে কোন আমাদের অন্য
তিনশ বছরের শহরে, এই তিনশ বছরের শহরে
হাট-মাঠ সিনেমার হলটা
নেই যে কোন গলি-দলটা
একটু আপন করে বলবো কোথায় বল
মনের গোপন এই কথাটা
ময়দানে মীটিঙ্গে শোরগোল
গঙ্গার ঘাটে ভিখিরির দল
তাই ঘুরেফিরে দাসবাবুর এই কেবিনটা
রয়ে গেছে সবচেয়ে সস্তা
এক কাপ চায়ে কেটে যায় আধঘণ্টা
দুই কাঁপে পৌনে তিন
ফিশ-চপ নিলে পাক্কা চার ঘন্টা
ডিশকো-বিরাজী নিলে প্রায় সারাদিন
এইভাবে কেটে যায় কত কত সপ্তাহ
বয়স শুধুই যায় বেড়ে
ভবিষ্যৎটা সেই যেমনটি ছিল
রয়ে যায় নড়বরে
তবু ঘুরে সাতদিন দাসবাবুর এ কেবিন
কত প্রেমালাপে যায় ভরে
জায়গা নেই যে কোন আমাদের অন্য
তিনশ বছরের শহরে, এই তিনশ বছরের শহরে
মাঝে মাঝে মনে হয় ধুচ্ছাই
এইবার আমি ঠিক পালাবোই
তবু রবিবার এলে সেই ঘুরেফিরে
দাসবাবুর কেবিনটাতে চলে যাই
সেই টেবলে আঁকিবুঁকি কাটা
কাগজের ন্যাপকিনে কবিতাটা
পর্দাটা টেনে দিয়ে পৃথিবীর সব ঝঞ্ঝাট
আমি ভুলে যাই
তিনমাস হয়ে গেল, রঞ্জন রঞ্জনা
আসেনাতো আর ফিরে ফিরে
তার বদলে স্বার্ণালী আর সুমনতো
ফিরে ফিরে আসে সোমবারে
এখন সুরঞ্জনা শ্যামলের হাত ছেড়ে
শমিকের হাত ধরেছে
বিপ্লবদেরও নাকি শুনছি ইদানিং
কথাকাটি বাড়ছে, বাড়ছে
আমাদেরও ফিউচার খুবই অপরিষ্কার
ভরসা পাচ্ছিনা কোন
হাঁড়িমুখ করে বসে থাকে নীলা আজকাল
চাকরিটা পায়নি এখনো, চাকরিটা পায়নি এখনো
৩১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪০
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: দেবলিনা
তোমার রজনীগন্ধা ধুপ-ধুনো পঁচিশে বৈশাখ
তোমার ধোপদুরস্ত সংস্কৃতি তোমারই থাক
হবার যা নয় কোনদিন, এখানেই থেমে যাক
দেবলিনা, কফি খাওয়া আর হল না আমার
বাকি কথা আজ এখানেই থাক।
আছে তোমার বাবার ইমারতের কারখানা, শহর গড়ার কল
আমার তাপটিমারা জিন্স, আমার ভাঙ্গা গীটার, আমার সম্বল
অর্থকড়ির প্রশ্ন এ নয়, তোমার আমার বিস্তর ফারাক
দেবলিনা, কফি খাওয়া আর হল না আমার
বাকি কথা আজ এখানেই থাক।
আমার কানের দুলটা, লম্বা চুলটা, ফেলেছে তোমাকে বড়ই লজ্জায়
মানাচ্ছেনা কিছুতেই আর আমাকে তোমার সাবেকী জলসায়
বৃষ্টি নামবে এখুনি, চলি আমি, বেস্ট অফ লাক
দেবলিনা, ভালোবাসা এক চার অক্ষরের বদনামি
তাই সে কথা থাক।
লেখাপড়া করে কেউ গাড়ি চড়ে, কেউ জানে তার আসল পরিচয়
আমার শিক্ষা জানান দিচ্ছে, বিলেত ফেরত আমার হবার নয়
সুদূরের পিয়াসী আমি, মনটা তাই বড়ই জঞ্জল
দেবলিনা, কেঁদে কেঁদে আর লাভ নাই কোন
মুছে ফেল তাই তোমার চোখের জল।
সময় আমার কড়া নেড়ে গেছে মাথার ভেতর, হৃদয়ের দরজায়
আটোসাটো হয়ে থাকব কি করে, চারিপাশে বড়ই অবক্ষয়
উপড়ে গেছে শেকড় আমার, বনেদিয়ানার আমি ছিন্নমূল
দেবলিনা, দেখেছিলে যেটা আমায় নিয়ে
স্বপ্নতো নয়, চোখের ভুল।
৩২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪০
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ঘর
ছুটছে আমার ম্যাটাডোর, দিল্লী কিংবা বোম্বে রোড
আবার গাইতে হবে গান, কল্যাণী নয় বর্ধমান
কুড়িয়ে বেড়াই সুখ্যাতি, একলাই আমি ব্যান্ডপার্টি
আমার মন করে কেবল, কেমন কেমন
ঘর, ফেরা হয়নি আমার ঘর
চেনা হয়নি আমার ঘর
জানা হয়নি মনের মানুষটাকে
অবিশ্রান্ত ক্লান্ত দিন, সিগারেট আর ম্যাগাজিন
বাড়ছেনাতো বাজার দর, বাড়ছে শুধুই আড়ম্বর
আর খালি গালাগালি, একি লাগে মুখগুলি
অন্ধকার হয়ে যায় যখন
ঘর, ফেরা হয়নি আমার ঘর
চেনা হয়নি আমার ঘর
জানা হয়নি মনের মানুষটাকে
আবার জানি আজ রাতে, নতুন কোন জলসাতে
নিজের গানের সব কথা, লাগবে আবার ছাপোষা
ছন্দে বাঁধা তাধিনতিন, শব্দ কিছু অর্থহীন
আমার মন করে কেবল, কেমন কেমন
ঘর, ফেরা হয়নি আমার ঘর
চেনা হয়নি আমার ঘর
জানা হয়নি মনের মানুষটাকে
ছুটছে আমার ম্যাটাডোর, দিল্লী কিংবা বোম্বে রোড
আবার গাইতে হবে গান, কল্যাণী নয় বর্ধমান
কুড়িয়ে বেড়াই সুখ্যাতি, একলাই আমি ব্যান্ডপার্টি
আমার মন করে কেবল, কেমন কেমন
ঘর, ফেরা হয়নি আমার ঘর
চেনা হয়নি আমার ঘর
জানা হয়নি মনের মানুষটাকে……
৩৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪১
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: মালা
তোমার জঙ্গলা পাড়ের ঢাকেশ্বরী শাড়ি
তোমার পিসিচন্দ্রের ঝুমকো কানের দুল
আজ বারোই মে তাই সকাল থেকে
জন্মদিনের তোড়া তোড়া ফুল
তোমার সানন্দার পাতা থেকে ছিঁড়ে নেয়া রেনী পার্কের সংসার
তোমার স্বামী আজ অনেক দিনের পরে তোমার ঘরে
নিয়ে হাজার বিদেশি উপহার
এই শুভ দিনে নানান কাজের ফাঁকে পড়ছে কি মনে তোমার
এই বারোই মে তুমি চলে গিয়ে ছিলে জীবন থেকে আমার।
আজ যাও তুমি কোথায় চলে রোজ রাত্তিরে মনের ভেতর ঘুমের ঘোরে
তোমার সাজানো শরীরের ভেতরে, মালা তুমি কে, তুমি কে?
তোমার কথা বলা যেন মধুবালা, তোমার হাঁটাচলা সোফিয়া লরেন;
তোমার গন্ধ ফরাসী আনায় আনায়, অভিমান অপর্না সেন;
বৃষ্টি এলে চলে যাও জেয়সালমির, শীতকালে গোডাই ক্যানাল;
দমদমে নামলে তোমারই বাড়িতে কফি খায় ইমরান খান;
তোমারই জন্য ওবেরয় ভাইদের দরজা সদাই খোলা
সাতার শেখার আলিয়াস ফ্রাসে দিনগুলি ঘেরা
তবু যাও তুমি কোথায় চলে রোজ রাত্তিরে মনের ভেতর ঘুমের ঘোরে
তোমার সাজানো শরীরের ভেতরে, মালা তুমি কে, তুমি কে?
মনে পড়ে কি সেই মৌলালির মোড় বাসস্টপে দুপুর বেলায়
মনে পড়ে কি সেই রুবি রায়ের গান শোনাতাম আমি তোমায়
দুজনেরই চোখে ছিল বাঁচার স্বপ্ন যেভাবে হোক যেমন করেই
ছিলনা যে কিছুই বেঁচার আমার গেলাম তাই যে হেরে
আজ রে ব্যান দিয়ে তুমি যতই ঢেকে রাখ চোখ লুকোতে পারবে না
এন্টালী সিনেমার পেছনের বস্তির মৌলালির মালা।
আমি জানি তুমি কোথায় যাও রোজ রাত্তিরে, মনের ভেতর ঘুমের ঘোরে
আমি দেখে ফেলেছি তোমার মনের ভেতরটাও
আমি চিনি, আমি জানি তোমাকে, তোমাকে
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০১
জাহিদ অনিক বলেছেন: সবথেকে প্রিয় গান এটাই । মালা ।
বারোই মে তো আমার কাছে রীতিমত একটা ঐতিহাসিক ডে ।
৩৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪২
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: মাসের প্রথম দিন
মাসের প্রথম দিনটা এই ধর্মতলার মোড়ে,
লালচে আলো কালচে হয়ে যাওয়া অশোকা বারে (২)
তিনটে বড় হুইস্কি, পেপসিতে নেড়ে চেড়ে,
চেনা চেনা সেই চোখ, চীনে খাবার।
এই মাইনে পাওয়ার দিনটা, গড়ের মাঠটা ঘুরে,
ফিরবো আজকে আমি, একা ট্যাক্সিতে চড়ে।
ছেলেটা আমার থাকবে জেগে, আসবে যে তেড়ে ফুঁড়ে,
পকেটে আমার পিস্তল খেলনা।
আজ অন্ধকার এই গলির গন্ধ নাকে আসবে না,
বড় রাস্তার মস্তানরাও কাছে ঘেঁষবে না।
ট্যাক্সিটাকে সোজা নিয়ে, দোরগোড়াতে লাগিয়ে দিয়ে
সব হয়ে যাবে সিনেমা।
চিকেনটা ভাই প্যাক করে দাও, বাড়ী নিয়ে চলে যাই।
যাবার আগে ওয়ান-ফর-দ্য-রোড হবে নাকি ভাই ?
আবার তো সেই তিরিশটা দিন, হাঁড়িকাঠে জবাই।
ছোটোখাটো হয়ে থাকার যন্ত্রণা।
নামটা শুনেছি পড়িনি আমি, জীবনানন্দ দাশ,
লাশকাটা এই শহরে, আমি জীবন্ত লাশ।
নামটা শুনেছি পড়িনি আমি, জীবনানন্দ দাশ,
লাশকাটা এই শহরে, আমি জীবন্ত লাশ।
দশটা পাঁচটা মনটা আমার করে শুধু হাঁস ফাঁস।
মাসের প্রথম দিনটার অপেক্ষায়।
চেপে চেপে রেখে মান অভিমান, টিপে টিপে খরচা।
চারটা চৌকো মধ্যবিত্ত বাঁচার প্রচেষ্টা,
পাল্টে যাবেনা কোনোদিন এই দুয়ে দুয়ে চার নামতা আমার
ক্যাবলাকান্ত কেরানীর কবিতা।
মিসেস আমার গুন গুন করে গাইছে আজকে গান।
ভুলে গেছে সে ছেঁড়া ব্ লাউজের লজ্জা অপমান,
সত্যি হবেনা জেনেও করছে, বন্ধক রাখা গয়নাগুলোর
উদ্ধার করে আনার নানান প্ল্যান।
একটা দিনের জন্যেও সব উল্টোপাল্টা হোক,
চুলোয় যাকগে আপোস অভাব লাভ লোকসান ক্ষোভ।
একটা রাতের জন্যেও সেই হারানো সুর বাজুক,
এই রাতটা তোমার আমার।
বেঁচে থাকি যদি তিরিশটা দিন আবার আসবো ফিরে,
নিয়ন আলো করে এলোমেলো, ধর্মতলার মোড়ে,
হৃদয়ের সব যন্ত্রণা আমি দেব ঊজার করে,
মাসের প্রথম দিনটায় আবার।
রাপ্পারাপ্পা রাবারা রাপ্পা রাপ্পারাপ্পা উ…
৩৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪২
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: রাজা রায়
রুপালি পর্দাটাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে রাজা
কতকত সুন্দরী ঠোঁটে রঙ মেখে বলে আজা মেরি জান আজা (২)
চব্বিশ বছরের মন বড় চঞ্চল, স্বপ্ন এখনো তরতাজা
শুধু জুতোর শুকতলা ক্ষয়ে গেছে, ঘুরে ঘুরে স্টুডিও’র দরওয়াজা
একটা চান্স, দিয়ে দেখুননা
একটা সুযোগ, দিয়ে দেখুন আমায়
প্রমান করবো, এই আঁকালে
বোম্বাই সব নয়, বেঁচে আছে বাংলা,
বেঁচে আছে রাজা রায়
একটা ব্রেক, দিয়ে দেখুননা
একটা টেপ, দুটো নয়
প্রমান করবো, এই আঁকালে
বোম্বাই সব নয়, বেঁচে আছে বাংলা,
বেঁচে আছে রাজা রায়
ক্লাস ফোর, জুতো চোর, ইশকুল থেকে নাম, হয়ে গছে কাট
মুখ বুঝে সয়ে নিতে হচ্ছে বাবার হোটেলের সব ঝঞ্ঝাট
সামান্য দোষ আছে, তালেবশ্যে তার, বাদবাকি সব ফিটফাট
তেললিন জামাটা ধুয়ে ধুয়ে ক্ষয়ে গেছে, চকচকে তবু অ্যালবাট
একটা চান্স, দিয়ে দেখুননা
একটা সুযোগ, দিন আমায়
প্রমান করবো, এই আঁকালে
বোম্বাই সব নয়, বেঁচে আছে বাংলা,
বেঁচে আছে রাজা রায়
একটা ব্রেক, দিয়ে দেখুননা
একটা টেপ, দুটো নয়
প্রমান করবো, এই আঁকালে
বোম্বাই সব নয়, বেঁচে আছে বাংলা,
বেঁচে আছে রাজা রায়
৩৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: শেষ বলে কিছু নেই
যখন মনের ভেতর সূর্যটা হঠাৎ ডুবে যায়,
যখন আশা ভরসা সব রাস্তা হারায়।
যখন ভর দুপুরে পথের ধারে একলা করে ভয়,
যখন বাসের ভিড়ে গলার ভেতর কান্না চাপতে হয়।
জেনো তোমার মতই আমি ঠাকরে বেড়াই
জেনো তোমার মতই আমারও বন্ধু একটা চাই।
যেমন মাঝ দরিয়ার নৌকো ফিরে আসে কিনারায়,
ওরে মানুষ যথন আছে তখন হাত জুটে যায়।
শেষ বলে কিছু নেই।
শেষ বলে কিছু নেই।
শেষ যেখানে, জেনো শুরু সেখানে।
৩৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: চ্যাপ্টা গোলাপ
স্কুলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে মেয়েটা
ছেলেটা দৌড়ে দৌড়ে এসে হাঁপায়
স্কুলের বাসটা হর্ন দিয়ে যায় তিনবার
মেয়েটা দৌড়ে দৌড়ে চলে যায়
স্কুলের ব্যাগটা কাঁধে তুলে নিয়ে ছেলেটা
হাঁপাতে হাঁপাতে আবার হাঁটা দেয়
বাসের ভেতর জানলার কাছে ঝাপসা
মেয়েটার আবার কান্না পায়
আরো দুটো ছেলেমেয়ের বয়স বেড়ে যাবে
আরো দুটো দিনের অবসান
আমার ছেলেমানুষিটা আঁকড়ে ধরে রেখে
লিখব আমি ভালবাসার গান
ছেলেটার নেই বাড়ি ফেরার তাড়া
মেয়েটার নেই বাড়িতে টেলিফোন
দুজনেরই নেই নিয়ম ভাঙার বয়েস
তবু দুজনেরই আছে নিয়ম ভাঙার মন
ছেলেটার আছে বুক পকেটে চিঠি
প্রথম প্রেমের বানান ভুল
মেয়েটার আছে যত্ন করে রাখা
খাতার ভেতর চ্যাপ্টা গোলাপ ফুল
আরো দুটো ছেলেমেয়ের বয়স বেড়ে যাবে
আরো দুটো দিনের অবসান
আমার ছেলেমানুষিটা আঁকড়ে ধরে রেখে
লিখব আমি ভালবাসার গান
ছেলেটার নেই ভবিষ্যতের ভাবনা
মেয়েটারও নেই দাবি দাওয়া কোন
দাম্পত্যের শক্ত মানেটা
তারা দুজনেই জানেনা এখনো
শুধু একটি বারের জন্য একটু দেখা
ছুটি হয়ে গেলে দুজনের ইস্কুল
নেই যে তাদের আর কোন চাওয়া পাওয়া
শুধু খাতার ভিতর চ্যাপ্টা গোলাপ ফুল
আরো কত ছেলেমেয়ের বয়স বেড়ে যাবে
আরো কত দিনের অবসান
আমার ছেলেমানুষি মন আঁকড়ে ধরে রেখে
আরো একটা ভালবাসার গান
৩৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: কাঞ্চনজংঘা
একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশী রোজগার
ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়
পারলো না কিছুতেই তোমার কলকাতা আমাকে ভুলিয়ে দিতে
পাহাড়ি রাস্তার ধারে বস্তির আমার কাঞ্চনকে
কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজংঘা কাঞ্চন মন
তো পাইলে সোনা অনু লইয়ো
মউল্লা হাঙচুকাঞ্চন
সোনার খোঁজে কেউ কতদুর দেশে যায় আমি কলকাতায়
সোনার স্বপ্ন খুঁজে ফিরি একা একা তোমাদের ধর্মতলায়
রাত্রির নেমে এলে তিনশো বছরের সিমেন্টের জঙ্গলে
ফিরে চলে যাই সেই পাহাড়ি বস্তির কাঞ্চনের কোলে
জং ধরা রঙ চটা পার্কের বেঞ্চিটা আমার বিছানা
কখন যে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো আমাকে তোমাদের থানা
তিন মাস জেল খেটে এখন আমি সেই থানার দারোয়ান
পারবো না ফিরে পেতে হয়তো কোনদিন আমার সেই কাঞ্চন
কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজংঘা কাঞ্চন মন
তো পাইলে সোনা অনু লইয়ো
মউল্লা হাঙচুকাঞ্চন
বেড়াতে যদি তুমি যাও কোনদিন আমার ক্যালিংপঙ
জেনে রেখো শংকর হোটেলের ভাড়া টুরিস্ট লজের থেকে কম
রাত্রির নেমে এলে আসবে তোমার ঘরে চুল্লিটা জ্বালিয়ে দিতে
আর কেউ নয় সে যে আমার ফেলে আসা নীলচে পাহাড়ি মেয়ে
বলো না তাকে আমি দারোয়ান শুধু বলো করছি ভালোই রোজগার
ঐ বস্তির ড্রাইভার চিগমির সাথে যেন বেঁধে না ফেলে সংসার
আর কিছু টাকা আমি জমাতে পারলে যাবো যাবো ফিরে
পাহাড়ি রাস্তার ধারের বস্তির আমার নিজের ঘরে
আর যদি দেখ তার কপালে সিঁদুর বলো না কিছু তাকে আর
শুধু এই সত্তর টাকা তুমি যদি পারো গুজে দিও হাতে তার
ট্রেনের টিকিটের ভাড়াটা সে দিয়েছিলো কানের মাকড়ী বেঁচে
ভালোবাসার সেই দাম তুমি দিয়ে দিও আমার কাঞ্চনকে
কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজংঘা কাঞ্চন মন
তুমি যাকে বলো সোনা
আমি তাকে বলি কাঞ্চন
কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজংঘা কাঞ্চন মন
তো পাইলে সোনা অনু লইয়ো
মউল্লা হাঙচুকাঞ্চন
৩৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: মিসেস মুখার্জী
সাবধান মিসেস মুখার্জী একটু ভেবে দেখবেন
মেয়েটি যে আপনার হচ্ছে বড় সে তো নয় ফাউন্টেন পেন
আগলে আগলে রেখে আঁচলের তলায় ধরে রাখা যায় না সময়
চোখে চোখে রাখা মানেই কিন্তু মনে ধরে রাখা নয়
সাবধান মিসেস মুখার্জী তাকিয়ে দেখুন একবার
বলতে কি চায় চোখ দুটো তার চাপা অহংকার
জামার মাপটা তার জানেন ভালোই মনের খবর কি রাখেন
সাবধান মিসেস মুখার্জী সাবধান মিসেস সেন
বড় হয়ে যাচ্ছে মন
বড় বড় স্বপ্ন সে দেখতে শিখছে এখন
পৃথিবীটা তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে
মানবে কি করে সে বলুন
আপনার ছোট খাটো শাসন
সময়ের মার নেই বলছি যে তাই এখনো সময় আছে
যতই তাকে আগলে রাখুন নাচ আর গানের ক্লাসে
অন্ধ যে নয় তার চোখ দুটো তাই বন্ধ যে নয় তার মন
সেই মনের সাথে কত হাজার কথা হয় তার যখন তখন
ষোল বছরের এই মনটার ভেতরে রোজ রোজ কত কি ঘটে
কত কত স্বপ্নকে জন্ম সে দেয় কত স্বপ্ন কে দেয় পুড়িয়ে
একদিন মনের এই শ্মশানটা যদি দাউদাউ করে জ্বলে উঠে
সাবধান মিসেস মুখার্জী সাবধান মিসেস সেন
বড় হয়ে যাচ্ছে মন
বড় বড় স্বপ্ন সে দেখতে শিখছে এখন
পৃথিবীটা তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে
মানবে কি করে সে বলুন
আপনার ছোট খাটো শাসন
ন' নটা মাস ধরে পেটের ভেতর নিয়ে হাজার যন্ত্রনা
একটু একটু করে একদিন আপনি হয়ে গেলেন মা
একটু একটু করে যৌবন আপনার কোথায় গেলো হারিয়ে
স্বপ্ন দেখার সেই মনটাও কেমন হয়ে গেলো ঘোলাটে
বদলে গেছে সময়টা নাকি আপনি বদলে গেছেন
ষোল বছরের সেই স্বপ্নগুলো আপনি ভুলে বসেছেন
বলতেই পারেন আমার এই গানের নেই কোন মুন্ডু মানে
তবে সাবধান মিসেস দত্ত সাবধান মিসেস সেন
বড় হয়ে যাচ্ছে মন
বড় বড় স্বপ্ন সে দেখতে শিখছে এখন
পৃথিবীটা তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে
মানবে কি করে সে বলুন
আপনার ছোট খাটো শাসন
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: ঘর পালাতে চাওয়া মেয়েদের জন্য এই গানটা হা হা হা
৪০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৪
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: জেরেমির বেহালা
চুপিচুপি রাত নেমে এলে পরে
ভাঙা জানলার সাঁড়শিটা খুলে যায়
কালিঝুলি মাখা ঘরটায়
কে যেন আবার হেটে চলে খালি পায়
মাঝেমাঝে লোডেশেডিং এর রাতে
বেজে ওঠে জেরেমির বেহালা
পাড়পড়শিরা সব্বাই জানে
আসে যায় সেই কালো সাহেবের ভূত
নাকি প্রেত
মরে গিয়ে বুড়ো হয়নি শান্ত
কে জানে কেন কিসের আক্ষেপ
তাই মাঝেমাঝে লোডেশেডিং এর রাতে
ফিরে ফিরে আসে বেহালার মাসটা
লা লা লা লা...
একদিন এই ঘরময় কত নিছক ছেলেমানুষী আড্ডা
উঠতো বেজে একসাথে কত কচি হাতের আনকোড়া সোনাটা
হারানো সে সুর শুনতে চাইলে
বাজাতে চাইলে মনের বেহালাটা
চলে এসো তুমি রডেন্স স্ট্রিটের কালিঝুলি মাখা পোড়োবাড়িটায়
লা লা লা লা...
_টার হাসফাঁস করে পায়নি খুঁজে বাড়িটার দলিল
কে জানে কবে কার নামে হয়ে গেছে মর্টগেজ
অসহায় উকিল
বানানো শুনানি কত হয়ে গেল
তবু বেড়ে চলে দেয়ালের আগাছা
বখাটে ছোকরা ঠাট্টা তামাশা
কত নিষিদ্ধ সাট্টার নেশা চলে
তবু সাহস করেনি কেউ এখনও
গেট টপকাতে লোডশেডিং হলে
শুধু দূর থেকে শুনে যায় সব্বাই
বুড়ো জেরেমির বেহালা
৪১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৪
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: ঝড়গা
ঝড়গা ঝাটি তক্ক বিতক্ক বাদ বিতম্বাদ চলবে
পাড়ার লোকে যা চায় বলুক যা চায় বলতে বলবে
তবু তুমিও যাবেনা দিল্লি, আমিও না বম্বে
এক বগ্গা তেরে টক্কা
ঝগড়া চলচে চলবে চলবে।।
দিনটা আজকে ঠান্ডা নাকি বেড়েছে গরম
মাংসটা ঠান্ডা নাকি ভিষনই নরম
এবার পূজো কিরিটিতে নাকি দেরাদুন
লাগ লাগ লাগ, তেরে কেটে তাক ঝগড়া চলছে চলবে চলবে।
তবু ব্যাড ব্যাড ভেরি ব্যাড তুমি বলতে পারবে কী?
ঝগড়া ছাড়া একটা দিনও বাঁচতে পারবে কী?
তবু ব্যাড ব্যাড ভেরি ব্যাড হবে বলতে হবে
চলে যেতে হবে একদিন।
বয়েস বাড়তে বাড়তে এখন ঊনসত্তর
সুগার বেড়ে যাচ্ছে, বাড়ছে কোলেস্টেরল
আর সবচেয়ে বেশি বাড়ছে, আমাদের গায়ের জোর
পান থেকে চুন খসলেই খুন
ঝগড়া চলছে চলবে চলবে।
তোমার ওজন বাড়ছে, দেখো আমি কত ফিট
চ্যানেল পাল্টালে কেন তোমার মাথায় আছে ছিট
পেট'টা যাবে বিগড়ে আর খেয়োনা বিস্কিট
কেরেম্যাক কেরেম্যাক হিং টিং চট
ঝগড়া চলছে চলবে চলবে।
তবু ব্যাড ব্যাড ভেরি ব্যাড তুমি বলতে পারবে কী?
ঝগড়া ছাড়া একটা দিনও বাঁচতে পারবে কী?
তবু ব্যাড ব্যাড ভেরি ব্যাড হবে বলতে হবে
চলে যেতে হবে একদিন।
কম্বল একটা (?) জড়াও নইলে খ্যাক খ্যাক করে কাশবে
আগে নাক ডাকাটা কমাও তারপর কাছে আসবে
এত দেমাগ কিসের সে তো আমায় ভালোবাসবে
হা হা হো ..রাম পাম পো
ঝগড়া চলছে চলবে চলবে।
তবু ব্যাড ব্যাড ভেরি ব্যাড তুমি বলতে পারবে কী?
ঝগড়া ছাড়া একটা দিনও বাঁচতে পারবে কী?
তবু ব্যাড ব্যাড ভেরি ব্যাড হবে বলতে হবে
চলে যেতে হবে একদিন।
৪২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: পনেরতে আটকে
পারিনা বোঝাতে তাকে মনের কথা আমি পারিনা
এত এত কাছে এসে যায় সুযোগটা ফসকে
সারাদিন সারারাত কি যে হিজিবিজি পেয়ে যায় কেবনই কান্না
বাড়ছেনা বয়েস পনেরতে এসে গেছে আটকে।
কি দিলে যে চলবে,কি দিয়ে যে বলবো কথাটা
আর্চিস গ্যালারী ঘুড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে নিউমার্কেট
পাই খুজে কত কিছু হাবিজাবি, পাই না খুজে সাহস
বাড়ছেনা বয়েস পনেরতে এসে গেছে আটকে।
সাবিনা তোমাকে আমি চাই,বললেই ল্যাঠা চুকে যায়
শুধু বলতে পারি না তোমায়্…
যদি কেউ রাগ করে ,যদি কেউ মারে ধরে
ভয় ভয় ভয় শুধু হয়।
এত দিন বেশ ছিলো কি জানি কি হয়ে গেলো হঠাৎ
হাত কাটে পা কাটে, কাটে না সময় কিছুতেই ,
মে মাস কবে গিয়ে এপ্রিল হবে কেউ বলে দাও আমায়
বাড়ছেনা বয়েস পনেরতে এসে গেছে আটকে।।
কেউ যদি দেখে ফেলে ,বলে আর চিঠি লেখা হয় না
হ্যালো বলে টেলিফোন দুম করে রেখে দিতে হচ্ছে
ঘেমে যায় হাত পা ,হাটূর ভেতর করে কেবল কনকন
বাড়ছেনা বয়েস পনেরতে এসে গেছে আটকে।।
ভয় ভয় সারাদিন মনে হয় খালি চুরি করছি
এটা বয়েসের দোষ নাকি বরাত আমার গেছে চটকে
কবে যে আঠারো হবো মনে বল ফিরে পাব বলে দাও আমায়
বাড়ছেনা বয়েস পনেরতে এসে গেছে আটকে।।
সাবিনা তোমাকে আমি চাই,বললেই ল্যাঠা চুকে যায়
শুধু বলতে পারি না তোমায়্…
যদি কেউ রাগ করে ,যদি কেউ মারে ধরে
ভয় ভয় ভয় শুধু হয়।
ভালোবেসে এত ভয় পেতে হবে আগে জানতাম না
তাই অনেক লজ্জায় কথাটা বলতে হছে
তাড়াহুড়া করে যদি পাড় হয়ে যাও বারো,তেরো চৌদ্দ
দেখবে আমার কথা পনেরতে এসে গেছ আটকে…
৪৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: আমার জানলা
আমার জানলা দিয়ে একটুখানি আকাশ দেখা যায়
একটু বর্ষা, একটু গ্রীষ্ম, একটুখানি শীত
সেই একটুখানি চৌকোছবি আঁকড়ে ধরে রাখি
আমার জানলা দিয়ে আমার পৃথিবী।
সেই পৃথিবীতে বিকেলের রং হেমন্তে হলুদ
সেই পৃথিবীতে পাশের বাড়ির কান্না শোনা যায়
পৃথিবীটা বড়ই ছোট আমার জানালায়
আমার জানলা দিয়ে আমার পৃথিবী
সেই পৃথিবীতে বাঁচবো বলে যুদ্ধ করি রোজ
একটুখানি বাঁচার জন্য হাজার আপোষ
সেই পৃথিবীর নাম কলকাতা কী ভারত জানিনা
তুমি তোমার পৃথিবীর নামটা জান কী
তুমি বলবে আমায়
তুমি বলবে আমার বেনিয়াপুকুর তোমার বেহালা
তুমি গন্ডি কেটে দেখিয়ে দেবে পশ্চিমবাংলা
হয়তো কেরালার আকাশটা আর একটু বেশি নীল
তবুও সেটাও কী নয় আমার পৃথিবী
আমার জানলা দিয়ে যায় না দেখা ইসলামাবাদ
শুধু দেখি আমি রোজ আমার পাশের বাড়ির ছাদ
একটা হলদে শাড়ি শুকোচ্ছে আজ মোজার
রংটা নীল
আজ পৃথিবীটা বড়ই রঙিন
কেউ জানলা খুলে অ্যালাবামায় বাংলা গান গায়
কেউ পড়ছে কোরান বসে তার জাপানী জানালায়
তুমি হিসেব করে বলতে পার প্যারিসের সময়
কিন্তু কার জানালায় কে কি দ্যাখে হিসেব
করা যায় কী বলো
মনের জানলা আছে……..
মনের জানলা দিয়ে তুমি বেরিয়ে পড়তে পার
মেক্সিকোতে বসে বাজানো যায় গীটার
কোথায় তুমি টানবে বলো দেশের সীমারেখা
আমার জানলা দিয়ে গোটা পৃথিবী
তাই জানলা আমার মানেনা আজ ধর্মের বিভেদ
জানলা জাতীয়তাবাদের পরোয়া করে না
জানলা আমার পূব না পশ্চিমের দিকে খোলা
জানলা সে তো নিজেই জানে না
জানলা আমার সকালবেলায় শোনায় ভৈরবী
আর সন্ধ্যেবেলায় শুধু জন কোল্ড্রিং
গানের সুরে রেশারেশি দেশাদেশি নেই
আমার গানের জানলা গোটা পৃথিবী…
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: তাই জানলা আমার মানেনা আজ ধর্মের বিভেদ
জানলা জাতীয়তাবাদের পরোয়া করে না
কথাগুলো ভেবে দেখার মত
৪৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৬
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: আকাশটা আজ বড়ই নীল
আকাশটা আজ বড়ই নীল
আজ আমায় পিছু ডেকো না
যে রং তোমার চোখে শামিল
সে চোখ ভিজিয়ে দিও না
বন্ধু তোমার আমি তাই
অন্য দাবি রেখো না
ডেকো না !
বন্ধুত্ত্বের হয়না পদবি
বন্ধু তুমি কেঁদো না
বন্ধু সবুজ চিরদিন
বন্ধুত্ত্বের বয়স বাড়ে না
বন্ধু তোমার আমি তাই
আত্মীয়তায় বেধোঁনা
কেঁদো না !
হয়তো তোমার আলনায়
থাকবে না আমার জামা
ঝুলবে না তোমার বারান্দায়
আমার পাঞ্জাবী পাজামা
তবু মনের জানালায়
অবাধ আনাগোনা
দু’জনা !
হঠাৎ চায়ের সুগন্ধে
হঠাৎ কোন বইয়ের পাতায়
হঠাৎ মনের আনন্দে
আপন মনে কবিতায়
হঠাৎ খুঁজে পাওয়া সুর
চার দেয়ালে বেধোনা
ধরে রেখোনা !
আকাশ হয়ে যাবে ফ্যাকাশে
তবু আমাদের ঘুড়ি
উড়বে মনের আকাশে
অনন্ত ছেলেমানুষি
সেই ছেলে মানুষিটাকে
অন্য নামে ডেকো না
পিছু ডেকো না !
৪৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৬
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: চোখের জল কিংবা পানি
বেইলী রোডের ধারে, আমি দেখেছি তোমায়
রাতের অন্ধকারে, আমি দেখেছি তোমায়
আমার বউ বাজারে,আমি দেখেছি তোমায়
দু’দিকের কাঁটা তারে আমি দেখেছি তোমায়
এখানে তুমি হাসি মল্লিক,ওখানে হাসিনা
এখানে তোমার দাম পঞ্চাশ, ওখানে কত জানিনা
নিয়ন আলোয় ঝলসে যাওয়া দুটো শহরের রাত
বেঁচে থাকার জন্য কেনা বেচার দুটো হাত
ডলারের হার কমলে, তাদের দর বদলায়
চোখের জল কিংবা পানি, সেতো নোনতাই থেকে যায়।
কারো খদ্দের টয়োটা চড়ে, কারোর মারুতি জেন
কারো চোখে দিশি নেশা, কারোর ফরেন
তবু চাহিদা সেতো একটাই, একটুখানি সুখ
তাই একই ভাবে লাঞ্ছিত হয় দুটি দেশের মুখ
তবু আবার সকাল আসে, ওরা স্নান করে যায়
দুজনেই মনে মনে, বাংলায় গান গায়।
ডলারের হার কমলে, তাদের দর বদলায়
চোখের জল কিংবা পানি, সেতো নোনতাই থেকে যায়।
এখানে ঘোলাটে গঙ্গার জল, ওখানে ইছামতি
নোংরা নষ্ট, হাজার কষ্ট তবু বয়ে চলে ঠিকই
চেপে রাখা ক্ষত,যত যত হাহাকার
বিশ্বের কাছে দেনার দায়ে লাঞ্ছিত বারবার
তবু আবার রঙ চাপিয়ে,দাঁড়াতেই হয়
বেঁচে থাকার জন্য, বিশ্বের রাস্তায়।
ডলারের হার কমলে, দেশের দর বদলায়
চোখের জল কিংবা পানি, সেতো নোনতাই থেকে যায়
৪৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৬
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: একদিন বৃষ্টিতে
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
থাকবেনা সাথে কোন ছাতা
শুধু দেখা হয়ে যাবে মাঝ রাস্তায়
ভিজে যাবে চটি, জামা মাথা
থাকবেনা রাস্তায় গাড়িঘোড়া
দোকানপাট সব বন্ধ
শুধু তোমার আমার হৃদয়ে
ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
মনে পড়ে যাবে সব কথা
কথা দিয়ে কথাটা না রাখা
ফেলে আসা চেনা চেনা ব্যথা
অদূরে কোথাও কোন রেডিওতে
এই পথ যদি না শেষ হয়
আর বৃষ্টির রং হয়ে যাবে নীল
আর আকাশের রংটা ছাই
একদিন, বৃষ্টিতে একদিন …
ভাঙ্গা দেয়ালের গায়ে সাত পাকে বাঁধা কবে-
কার নুন শো তে কোথাও
আর বৃষ্টির ছাঁটে যাবে না দেখা দুজনের চোখের জল
ছমছম
ছমছম
চোখের জল
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে
আমরা ধরা পড়ে যাব জেনো ঠিক
ধুয়ে যাবে যত আছে অভিমান
ধুয়ে যাবে সিঁদুরের টিপ
আর চটিটাও ছিঁড়ে যাবে তক্ষুনি
তাই পালানো যাবেনা যে কোথাও
রাস্তা যেমন তেমনি
শুধু লোকজন সব উধাও
একদিন বৃষ্টিতে ……
৪৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: রাস্তা
চলছে আমার রাস্তা,রাস্তা উদ্দেশ্যহীন
উড়িয়ে যাচ্ছে হাইওয়ে জুড়ে
আরও একটা দিন
আরও অনেক অনেক দূর পরের শহর
চলতে হবে আমায় রাত্রি ভোর
নেই যে আমার কোন অবসর
যদি খুঁজে পাওয়া যেত একটা ঘর।
আমি বেরিয়ে পড়েছিলাম ফেলে হাজার পিছু টান
ছিল না গন্তব্য,শুধু ছিল অনেক গান
সেই গান গুলো আজ গেছে কোথায় পড়ে
আমার অজান্তে রাস্তার ধারে
যদি খুঁজে পাওয়া যেত হঠাৎ করে
যদি খুঁজে পাওয়া যেত ঠিকানা
কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়
কেউ কি বসে আছে আমার জন্য এ রাস্তায়?
একটা হারিয়ে যাওয়ার উন্মাদনা
স্বাধীন থাকার যে হাত
ভেঙ্গেছিলাম ঘর করে সম্পর্ক বরবাদ
সেই ঘরের উঠান ডাকছে আবার আমায়
সেই ঘরের গন্ধ,ঘরের উষ্ণতায়
একটা ফর্সা চাদর,ফর্সা বিছানায়,
একটা রেডিও তে ছেলেবেলার গান
ঝাপসা আমার হাইওয়ে,ঝাপসা আজ হৃদয়।
ক্লান্ত এই শরীর আজ থেমে যেতে চায়
তবু এই রাস্তা সে তো থামতে দিবে না
ওই রাস্তা কোথাও পৌঁছে দেবে না
এই ক্লান্তি সে তো রাস্তা ভাবে না
রাস্তা কেবল রাস্তাই থেকে যায়।
কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়?
কেউ কি বসে আছে আমার জন্য এ রাস্তায়?
কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়?
কেউ কি বসে আছে আমার জন্য এ রাস্তায়?
কেউ কি আদৌ আছে ,বসে আছে এ রাস্তায়?
কেউ কোথাও আছে আমার জন্য অপেক্ষায়?
কেউ কি বসে আছে আমার জন্য এ রাস্তায়?
৪৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: আমার রাস্তা আমার বাড়ি
আমার রাস্তা আমার বাড়ি
আমার ফাটা দেয়াল
আমার পোড়া মনের অজস্র জঞ্জাল
ভাঙছে কেবল ভাঙছে
শুধু যাচ্ছে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
আমার রাত্রি আমারই সকাল
একই ভাবে ঘামতে ঘামতে
মনের ভেতর নামতে নামতে
কোনমতে করছি দিনটা পার
চলছে চলবে
চলছে চলবে এই ভাঙাচোরা
গল্পটা আমার
নাকে আমার পোড়া পিঠের গন্ধ
বুকে কালো ধোঁয়া
হাতে-পায়ে শুধুই অবক্ষয়
তবু কাশতে কাশতে
এখনও যে হাসতে
পাড়ি ভালোবাসতে
নিজের কাছে
নিজেরই বিস্ময়
করবো যে আর কত ঘেন্না
নিজেই নিজের ছায়াটাকে
করবো যে আর কত অপমান
আবার তো সেই আষ্টেপিষ্টে
জড়িয়ে নিজের নরকটাকে
গাইবো আমি ভালোবাসার গান
এসো আমার ঘরে একবার
তুমি এসো আমার ঘরে একবার
পারো যদি দেখে যেও
বেঁচে থাকা কারে বলে
এসো আমার শহরে একবার
৪৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: রং পেন্সিল
ছিলো সবুজ__রংয়ের আকাশ আমার এক
ছিলো হলুদ__রংয়ের কতো গাঙচিল
ছিলো নিল__রংয়ের কোকিল
লাল__রংয়ের কাক
গেলো কোথায়...গেলো কোথায়...পেন্সিল___রং পেন্সিল!
ছিলো হিজি বিঝি আঁকার একটা খাতা
ছিলো পালিয়ে যাবার রাস্তা পাতায় পাতায়
খুলে যেতো মনের মাথার যাবতিয় খিল!
আমার ছেলেবেলার রং পেন্সিল।
আজ সব'ই ক্রমশই গোলাটে
আজ যায়না দেয়া ইচ্ছেমতো রং
আমার সত্যি কথার যন্ত্রনার জগৎ-এ
নেই মিথ্যে করে দেবার পেন্সিল___রং পেন্সিল
তবু যখন হয়ে যাবে সব সাধা
সাধা চাদর,সাধা ফুল,সাধা ফডিং
তখন অন্য কোন ঘরে..অন্য পাড়ায়
জানি আছে কারো হাতে___রং পেন্সিল!
৫০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৮
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: "কত শিক্ষা"
কত শিক্ষা, কত বুদ্ধি, কত কোটি কোটি টাকার বদলে,
বানিয়েছে বোমা আমার দেশ আমায় রক্ষা করবে বলে,
সেই একই দেশে গোটা শহর যায় ভেসে বানের জলে..
কিসের জন্য মানুষ চাঁদে যেতে চায়?
যদি বছর বছর সেই একই মানুষ বানের জলে ভেসে যায়?
এত অংক কষা এত যন্ত্রপাতি কিসের দায়?..
কোন হতাশায় বলেছিল হে রাম মোহন দাস?
সেই থেকে শুরু কি রাম বংশের পরিহাস?
গেল ভেসে গেল রক্তে আমার পনেরই অগাস্ট!
কোন সাহসে বুকে বোমা বাঁধে একটা তামিল মেয়ে?
কিসের জন্যে ধ্বংসের স্বপ্ন দেখে সে?
নিভে গেল কেন তার চোখের আলো এ কচি বয়েসে?..
কি লিখবো,কি গাইবো আমি আজ এই অসময়ে?
কিসের জন্য তোমাদের এই জলসায়?
আমার কলম থেমে যায় বারবার একই লজ্জায়!..
সত্যি কথা বলতে কি পারছি আমি তোমায়?
আমার পঞ্চাশ বছরের স্বাধীনতা গেল কোথায়??
৫১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৮
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: happy birthday
ছন্দা এই চিঠিটা লিখছি তোমায়
একটা ম্যানহাটন বার থেকে রাত বারোটায়
ওরা নিভিয়ে দিচ্ছে আেলা, ধুয়ে ফেলছে গেলাস
আবার সেই সস্তার হোটেল...........
আজ অনেক কিছুই বলতে চাইছি তোমায়
বসে এই সুদূর আমেিরকায়
রোজকার সেই একঘেয়ে মিথ্যে কথা নয়
মনের ভেতর থেকে .......
ইচ্ছে করছে জানতে .......
কাঁদছে কি মন; কী করছে আমার কলকাতা এখন
কিন্তু ন্যাপকিনটা বড়ই ছোট ভেতরটা নীল
আর pen এর কালি ফুরিয়ে গেছে.....
বাইরে.....বড়ই ধোয়াশায় ভেজা
ভেজা আমার ছেড়া জুতার শুকতলাটা
আর পকেটেও মাত্র ডলার ছ' টা
শেষ হুইস্কিটাও ফুরিয়ে গেছে..
আমি জানি আমি লোকটা সুবিধের নই;
সব ছেড়েছুড়ে বেড়াই ঘুরে বিদেশ-বিভুই
তবু ন্যাপকিনটা আজ আমি পোস্ট করবই
নেশা কেটে যাওয়ার আগে
ইচ্ছে ছিল লেখার তোমায় অনেক কথা
বড়সড় মানেওয়ালঅ কবিতা
কিন্তু ঘন্টাখানেক ধরে শুধু একটাই কথা লিখেছি
happy birthday to you............
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮
জাহিদ অনিক বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ নিরব জ্ঞানী ।
আপনি কতগুলা লিরিক লিখেছেন আমি গুনে উঠতে পারি নি এখনো । পড়ে নিব এক এক করে সবগুলোই ।
বোঝাই যাচ্ছে অঞ্জন দত্ত আপনার কতটা প্রিয় ।
আসলে এভাবেই হয় । কি করে যে একজন শিল্পী শ্রোতার এত কাছাকাছি চলে আসেন !
আবারো ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নিরব জ্ঞানী । সুস্থ্য থাকুন ভাল থাকুন ।
৫২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
শুভ জন্মদিন হিরো। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রায় পুরো সময়টা কেটেছে অঞ্জন দত্তের গান শুনে ও গুন গুনিয়ে। আপনার পোষ্ট আবারও মনে করিয়ে দিলো সে স্বর্ন সময়।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০
জাহিদ অনিক বলেছেন: কলেজ ভার্সিটি , আমি এখনো শুনি মাঝে মাঝেই ।
আসলেই সেগুলো স্বর্ণ সময় ছিল ।
ধন্যবাদ । সুস্থ্য থাকুন ভাল থাকুন , মোস্তফা কামাল পলাশ ভাই
৫৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অঞ্জন দত্ত আমারও খুব প্রিয়
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
জাহিদ অনিক বলেছেন: প্রিয় আপনার আমার অনেকেরই । প্রিয় হবার মতই উনি । অঞ্জন দত্ত !!
ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল ভাই । ভাল থাকুন
৫৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০১
প্রামানিক বলেছেন: আমার প্রিয় ব্যাক্তি
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ । কৃতজ্ঞতা । সুস্থ্য থাকুন , ভাল থাকুন ।
৫৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: শরীল স্বাস্থ্যের কি অবস্থা? ধূমপান ছেড়েছেন নাকি এখনও করেন?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮
জাহিদ অনিক বলেছেন: এককালে প্রচুর গাঁজা সেবন করতেন । এখন বোধ হয় সেটা আর করেন না । কবে যেন একবার স্বাক্ষাতকারে বলেছিলেন ।
তবে মদ আর সিগারেট ছাড়া কি চলে ?
ধন্যবাদ শাহাদাৎ ভাই
৫৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: অঞ্জন দত্ত !
আহ !!
প্লাস !
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: হুম !!! দত্ত ।। অঞ্জন দত্ত ।।
কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ অপু ভাই
৫৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫১
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মন্তব্য করতে নিচে নামতে নামতে
অঞ্জন দত্ত সম্পকে কি মন্তব্য করবো ভুলে গেলাম.............
বেচারা আমার খুব প্রিয় ।
ধন্যবাদ ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: হুম কবীর ভাই !!
নিরব জ্ঞানী ভাইয়া এত এত এত এত মন্তব্য করেছেন যে সকালে ঘুম থেকে উঠে আমিও বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম ।
আসলে প্রিয় মানুষের জন্য লিখতে গেলে কেউ তো আর কম লিখে না ।
বেচারা আমার খুব প্রিয় ।
বেচারা আসলেই আপনার আমার খুব প্রিয় । আপনি কি লিখবেন ভুলে গেলেও আমি কিন্তু ঠিকই বুঝে নিয়েছি ।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা কবীর ভাই ।
৫৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৩
ভাবুক কবি বলেছেন: এই গানটা বেশী কেড়েছে আমার মন
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা
সম্বন্ধটা এই বার তুমি ভেস্তে দিতে পারো
মা-কে বলে দাও বিয়ে তুমি করছো না
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি
আর মাত্র কয়েকটা মাস ব্যাস
স্টার্টিংয়েই ওরা ১১০০ দেবে তিন মাস পরে কনফার্ম
চুপ করে কেন বেলা কিছু বলছো না
সব মিলিয়ে এই মানুষটা ভাল থাকুক আগামীর প্রতিটি মুহূর্ত। "শুভ জন্মদিন"
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: শুভ কামনা নিরন্তর দত্তের প্রতি ।
শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ আপনাকে ভাবুক কবি
৫৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
ভাবুক কবি বলেছেন: ব্লগে নতুন, আশাকরি বড়দের পর্যাপ্ত ভালবাসা পাব।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২২
জাহিদ অনিক বলেছেন: নিশ্চয়ই । ব্লগে কেউ কারো শত্রু না
৬০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩০
নিরব জ্ঞানী বলেছেন: আমি আর আপনি কোন একদিন 'মালা' গানটা গলা ছেড়ে গাইব।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
নিশ্চয়ই ভাই নিশ্চয়ই ।
আপনাকে খুব আপন মনে হচ্ছে ।
৬১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২
জাহাজী বলেছেন: আমার তো শুধু বারোই মে তারিখটা খেয়াল থাকে
প্রিয়তে নিলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ jahaji । ১২ ই মে তো একটা ঐতিহাসিক দিন ।
প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে খুশি হলাম ।
৬২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯
শায়মা বলেছেন: আরে নীরব জ্ঞানী ভাইয়ার জ্বালায় তো আমি কমেন্ট অপশনই খুঁজে পাচ্ছিলাম না!~!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
বুঝেলাম ভাইয়া আরও বড় অঞ্জন দত্ত পাগলা!!!!!!!!!!!!!
যাইহোক জাহিদভাইয়া
অনেক অনেক অনেক প্রিয় মানুষ/ গায়ক আর একজন দার্শনিক নিয়ে লেখার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: আরেহ শায়মা আপু তুমি ! গত কয়েকদিন স্কুলে আসো নাই কেন ?
অঞ্জন দত্তের পাগল না হয়ে উপায় আছে ? যাক ফাইনালি কমেন্ট অপশন তো খুঁজে পেয়েছ ।
অনেক অনেক অনেক প্রিয় মানুষ/ গায়ক আর একজন দার্শনিক নিয়ে লেখার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ভালবাসা তোমাকেও অনেক অনেক ।
আর নীরব জ্ঞানী ভাইয়ার জন্য এই গানটা ডেডেকেট করা যায়ঃ
ভেচিং কেটে দেখ , ল্যাংচে হেটে দেখ, একটা ডিগবাজি , পাচ্ছে হাসি খ্যাক !
৬৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫১
শায়মা বলেছেন: উফ কি যে বলো ভাইয়া!!!!!
স্কুলেই বসে আছি দিন রাত! কি যে ঝামেলায় ফেলে দিসে!!!!!!!!
আমি কত বলি আমাকে শুধু নাচ গান আঁকাআঁকি ছাড়া কোনো কাজ আর না দিতে তবুও কেউ শোনেইনা!!!!!!
সবজান্তা শমসেরিকা ভাব দেখানোর এই জ্বালা!!!!!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: হা হা হা হুম তুমি তো সবজান্তা-ই ।
ভাব দেখালে একটু অভাব তো হবেই । আজকে অন্তত স্কুল নেই আশা করা যায় । শুক্রবার বলে কথা । রিলাক্স ।
আমি অবশ্য বলেছিলাম সামুর স্কুলের কথা
৬৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৩
শায়মা বলেছেন: নো রিলাক্স ভাইয়া!!!!!!
মরে যাচ্ছি!!!!!!!!!
আধা ঝামেলায় মানে বোরিং বোরিং লেখা এবং পড়ায় !!!!!!!!
আধা ভয়ে!!!!!!!!!!!!!
আমি যে এসবে ভুই পাই কেউ সে কথা বিশ্বাসই করেনা !
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৮
জাহিদ অনিক বলেছেন: আধা আধা ভয়ে ! ভয় ফেলে দাও । বোরিং লেখা এবং পড়ায় । ভয় পাওয়ার কিচ্ছুটি নেই ।
কিন্তু নো রিলাক্স কেন !!!!!!!
৬৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫২
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
দেখেনি অবুঝ মন,
নীলাঞ্জনা তখন,
একঘেয়ে একরাশ ছবির পাতায়-
অসাম রঞ্জন! প্লাস!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ বাহ নচিকেতার গান দিয়ে অঞ্জন দত্তকে ট্রিবিউট ।
হা হা ভালোই লাগছে ।
প্লাসে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার ভ্রমরের ডানা
৬৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
থুক্কু! ইহা আমি কি করিলাম!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: আহা ! থুক্কু বলার কিছুই নেই
আমি কিন্তু মজাই পাইছি ।
হোক না একটু অন্যরকম ।
ইহা আপনি ভালোই করিয়াছেন
৬৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
তারেক ফাহিম বলেছেন: সবার প্রিয় মানুষটি আমার কেন অপ্রিয়? আমার আপনার সবার প্রিয় দত্ত ভাইকে নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ফাহিম ভাই আপনাকেও
৬৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অঞ্জন দত্ত আর নচিকেতার গানকে আমি প্রায়ই আলাদা করতে পারি না। সাম্প্রতিককালে অঞ্জন ও নচিকেতার সাথে সুমনকেও একই ঘরানার গায়ক বলে মনে হয়, অর্থাৎ তাঁদের সুরগুলো একই প্যাটার্নের মনে হয়।
অনেক সমৃদ্ধ একটা পোস্ট।
শুভেচ্ছা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: হুম তা ঠিক কিছুটা তারা এখন অনেকটাই জীবনমুখী গান লিখে থাকেন ।
তবে দত্তকে আমি ঠিকই আলাদা করে নিতে পারব ।
ফ্যান বলে কথা !
অসংখ্য ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই
৬৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৬
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: অঞ্জন দত্ত প্রিয় হবার যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে ।দারুন শেয়ার ।
ভাল লাগল ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪১
জাহিদ অনিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন বলেছেন । যথেষ্ট কারন আছে । ধন্যবাদ এডওয়ার্ড মায়া
৭০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
পোস্ট ভালো লেগেছে...
অঞ্জন ইজ আ স্টাইল হিমসেল্ফ........
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: অঞ্জন ইজ আ স্টাইল হিমসেল্ফ........
অবশ্যই ।
ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন মইনুল
৭১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৩
অনিন্দ্য অবনী বলেছেন: অামার খুব প্রিয় ব্যক্তিত্বের একজন,,, পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ....
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: প্রিয় হবার মতই একজন ব্যক্তি ।
ধন্যবাদ আপনাকেও অনিন্দ্য অবনী
৭২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: অঞ্জন দত্ত বলেছেনঃ
"কখন কিসের টানে মানুষ পায় যে খুঁজে বেঁচে থাকার মানে!"
তিনি জানেন কিনা জানিনা তার গানের মাঝেই বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পায় আমার মতো অনেকে।
.
শুভ কামনা গুরুদেব।
এই সহজ সরল ভাষাটা নিয়ে বেঁচে থাকুন আরো অনেকদিন।
.
আপনার সাথে গলা মিলিয়ে গেয়ে যাবঃ
"আমার মনটা তবু আশা করে যায়
এই মনটা তবু ভালবাসতে চায়।
এই মন...."
আপনার গানগুলো আমার কাছে স্রেফ গান নয়। প্রত্যেকটা ভীষণ সরল গানের পরতে পরতে খুঁজে পাই আমার জীবনবোধ, জীবনদর্শন।
------------------------------------------------------------
একবার কেউ একজন বলেছিল অঞ্জন দত্ত কৈশোরের নায়ক হতে পারে। তবে কৈশোর পেরিয়ে একটু ম্যাচিওর্ড হলে আর অঞ্জন ভাল্লাগবেনা। সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম "কখনোই এতটা ম্যাচিওর্ড হবনা যতটা হলে আর অঞ্জনের গান ভাল্লাগবেনা"
এখনো হইনি, হবনা কখনোই
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম "কখনোই এতটা ম্যাচিওর্ড হবনা যতটা হলে আর অঞ্জনের গান ভাল্লাগবেনা"
এখনো হইনি, হবনা কখনোই
দ্যাটস দ্য স্পিরিট !!
থ্যাংক ইউ অঞ্জন ঝনঝন
৭৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
জয় অপূর্ব বলেছেন: একটা সময় আমার কাছে গান মানেই ছিল অঞ্জন, সুমন, শ্রীকান্তরা। জীবনটাও খুব সহজ ও সুন্দর ছিল।
আর এখন পিংক ফ্লয়েড, মেটালিকা, গানস এন রোজেস। জীবনটাও কেমন যান্ত্রিক আর একঘেয়ে হয়ে গেছে।
আবার সে পুরুনো দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫০
জাহিদ অনিক বলেছেন: জীবনটাকে এভাবে যান্ত্রিক করে ফেলবেন না !
ধন্যবাদ আপনাকেও জয় অপূর্ব
৭৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ অন্য রকম এক অঞ্জন দত্ত কে চিনলাম ;দুজন অঞ্জন ভক্তের কাছে থেকে ।
অঞ্জন আমার কাছে বেলা বোস আর জয়ী তে ছিলো
জঙ্গলা পাড়ের শাড়ি তে ভেঙচি তে ;
এরপর আর অঞ্জন শোনা হয় নি।আর দেখা ও হয় নি কোন মুভি ।
একজন অঞ্জন ভক্তের কাছে যদি একটা অঞ্জনের মুভি দেখার সাজেশন চাই ;কোন টা বলবে ?
যদি ও আমি জানি প্রিয় শিল্পীর সব ই প্রিয় হয় ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৭
জাহিদ অনিক বলেছেন:
একজন অঞ্জন ভক্তের কাছে যদি একটা অঞ্জনের মুভি দেখার সাজেশন চাই ;কোন টা বলবে ? - একটা মুভির নাম উল্লেখ করেছি সেটাই বলব। কারন ঐ মুভিতেই দত্তের পুরোটা পাওয়া যায়। দত্ত কিভাবে দত্ত হয়ে উঠেছেন।
আমরা সবাই কম বেশি দত্তকে জানি, সবাই নিজেরমত করে দত্ত কে চিনি। আমি একভাবে চিনিজানি আপনি অন্যভাবে জানেন।
অনেক ধন্যবাদ কবি।
৭৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
জুন বলেছেন: কি যে লিখতে চেয়েছিলাম আপনার পোষ্টটি পড়ে ভুলেই গেলাম নীরব জ্ঞানীর সিরিয়াল কমেন্টে
যাইহোক আপাতত ওনার ৬৪তম জন্মদিনে আমার শুভেচ্ছা জানিয়ে দিবেন জাহিদ অনিক
পরে মনে পরলে নাহয় আসবো খন আবার
+
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
হা হা হা জুন আপু, অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন সর্বদা।
৭৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার এ পোস্ট পড়ে অঞ্জন দত্ত সম্বন্ধে অনেক কিছু জানলাম।
নিরব জ্ঞানী এর দেয়া লিরিক্সগুলো পড়তে পড়তে হ'লাম ক্লান্ত, আর কিছুটা বিরক্ত, তাই পড়া দিলাম ক্ষান্ত।
পোস্টে প্লাস + +
১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩২
জাহিদ অনিক বলেছেন: আসলে একটা সময় ছিল যখন অঞ্জন দত্ত'কে খুব শুনতাম--
ইদানীং আর শোনাও হয় না তেমন।
মনে হয় গানের রুচি পালটে যাচ্ছে--
যাইহোক, আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় কবি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৩
সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
+।
শেষ ছবি দেখলাম, সাহেব বিবি গোলাম।