![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এতদ্বারা সকলের অবগতির নিমিত্তে জানানো যাইতেছে যে, গতকল্য হইতে আমার শরীরে হালকা জ্বরের উপস্হিতি অনুভূত হইতেছে। এই বিষয়ে লক্ষ্যণীয়, ‘জ্বর জ্বর’ শব্দযুগলটি বাংলা ভাষার দ্বিরুক্ত শব্দ, যাহার অর্থ হইতেছে; জ্বর সম্পূর্ণরূপে প্রকট নহে, বরং কিঞ্চিতমাত্রায় উপলব্ধ।
গতকালের সন্ধ্যার পরপরই আমি ওষুধের দোকানে গমন করিয়া নগদ নব্বই টাকা দিয়া একখানি থার্মোমিটার ক্রয় করিয়াছি, এবং উহা ব্যবহার করিয়া শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করিলে দেখা গিয়াছে, উহা প্রায় নিরানব্বই ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিকটবর্তী। আমাদের অফিসে আরও দুই-চারজন সহকর্মী একইরূপ হালকা জ্বরের উপস্হিতি দ্বারা আক্রান্ত হইয়াছেন; অতএব ধারণা করা যাইতেছে, উহা ভাইরাল জ্বর হইতে পারে। তথাপি, জ্বর তো জ্বরই; ব্যাধিসমূহের মধ্যে নিকৃষ্টতম, সর্বাপেক্ষা ওঁচা।
বর্তমানে আমি প্রতিদিন দুইবার ব্যথানাশক ও জ্বরহ্রাসকারী ঔষধ প্যারাসিটামল গ্রহণ করিতেছি। এছাড়াও, আমার স্বীয় স্ত্রী সারাদিন তাহার নিজের স্কুল ( উনি স্কুলে পড়ায়, পড়ে না) ও কাজ সামলাইয়া রাতে বাসায় আসিয়া আমার জন্য গরম ভাতসহ পাকিস্তানি মুরগির ঝোল রান্না করিয়া উহা আমাকে আহার করাইয়া রোগ প্রতিরোধে সচেষ্ট হইয়াছেন এবং আমার অসুস্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ইহার পাশাপাশি মস্তিষ্কস্থিত হাইপোথ্যালামাস নামক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রকে বিভ্রান্ত করিবার উদ্দেশ্যে ঠান্ডা জলে গোলস এবং উষ্ণ কফি পান করিয়া আরাম পাইতেছি।
জ্বর ও ব্যামো যাহাই হউক না কেন, স্কুল এবং আপিস কামাই দিতে নেই এই পারিবারিক শিক্ষাকে বুকে লালন পালন করিয়া আজ ও গতকাল দুই দিনই আপিস করিতেছি। কিয়ৎক্ষণ পূর্বে অফিসের ফ্রেশ হইবার রুমে গমন করিয়া মাথা ও কপালে শীতল পানি প্রয়োগ করিলাম; মাথা ও নাসিকা হইতে গ্রীষ্মের উষ্ণতার ন্যায় যেই ভাপ নির্গত হইতেছিল, তাহা কিছু পরিমাণে প্রশমিত হইয়াছে।
উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশের জনগণের দেহতত্ত্বে খনিজ, লবণ ও ভিটামিনের যেই বিরাট ঘাটতি বিদ্যমান, তাহা অনস্বীকার্য। এই অভাব পূরণের নিমিত্তে গতকাল প্রভাতে চারটি লিচু, একখানি আম, একখানি কাঁঠালি কলা এবং কিছু পরিমাণ বাদাম ভক্ষণ করিয়াছি। মধ্যাহ্নে আহারসঙ্গে ভাত, কলমি শাক, পাতিলেবু ও রুই মাছের ভাজি উপভোগ করিয়াছি।
রুই মাছ শব্দটি উচ্চারণ করিলেই তাহার বৈজ্ঞানিক নাম ‘Labeo rohita’ স্মৃতিপটে ভাসিয়া উঠে—যাহা আমি উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির জীববিজ্ঞান পাঠ্যবই হইতে মুখস্থ করিয়াছিলাম। কাহার জানে, আজিও তাহা কিরূপে স্মরণে রহিয়াছে।
ইহার অনুরূপভাবে, আমার স্মৃতিতে আজও জাগরূক রহিয়াছে পিঁয়াজের বৈজ্ঞানিক নাম—Allium cepa। রসুনের বৈজ্ঞানিক নাম এই মুহূর্তে মস্তিষ্কগোচর হইতেছে না; জ্বর প্রশমিত হইলে হয়তো তাহাও স্মরণে আসিবে।
এই সকল তথ্য ও স্মৃতির সঞ্চারপটভূমিতে আমার মনে হইতেছে সেই অমর ছড়াটি, যাহা আমাদের শৈশবের সাহিত্যানন্দের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ সুকুমার রায়ের অমর রচনা:
খুশখুশে কাশি
ঘুসঘুসে জ্বর
ফুসফুসে ছ্যাঁদা
বুড়ো তুই মর।
উল্লেখযোগ্য যে, গত বৎসর, সদ্য বিবাহের পরপরই — আশ্বিন মাসে — এক ভয়ঙ্কর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হইয়া পতিত হই। শরীরজুড়ে ধীরে ধীরে নেমে আসিল জ্বালাময় অসুস্থতা; পরদিনই গমন করিতে হইল হাসপাতালে, যেখানে তিন দিন অতিবাহিত করিতে হইল শয্যাশায়ী অবস্থায়।
তৎকালীন ভীতিকর অভিজ্ঞতা আজও মনের গহীনে এক দুঃস্বপ্নের মতো আঁচড় কাটিয়া রহিয়াছে।
অতএব, এখন জ্বরের নামমাত্র শুনিলেই বুকের মধ্যে এক প্রকার অজানা আতঙ্কের ছায়া নেমে আসে। যেন ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখিলে যেমন চমকিত হয়, আমিও তেমনি সামান্য কাঁপুনিতে গ্রস্ত হই — মন কহে, বুঝি পুনরায় সেই ডেঙ্গু হইল!
মস্তিষ্কের অন্তঃস্থলে যেন এক অদৃশ্য কাঁপুনি বয়ে যায়, মনে হয় শরীর নয়, আতঙ্কই সর্বাঙ্গে বাসা বাঁধিয়াছে।
২| ২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
অনি বিয়ে করেছে?
what a great news!
Congratulations man.
গরম ভাতসহ পাকিস্তানি মুরগির ঝোল
ভাত, কলমি শাক, পাতিলেবু ও রুই মাছের ভাজি
কিসের জ্বর!!!
জ্বর টর কিছুই না।
বউয়ের হাতের এসব মজার মজার রান্না খাবার জন্য জ্বরের বাহানা মাত্র
আর বিয়ে হয়েছে মাত্র এক বছর।
এখনও প্রেম চলছে।
এটা প্রেমজ্বর ম্যান প্রেমজ্বর!
এই জ্বর যত বেশিদিন থাকবে, ততই মঙ্গল
৩| ২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আশা করি, ভয় পাওয়ার মত তেমন কিছু নয়। তারপরেও বিশেষ প্রয়োজন মনে করলে টেস্ট করে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন।
৪| ২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২১
শায়মা বলেছেন: হায় হায় জ্বরজ্বর জ্বেভারিশ!!!
শিঘ্রী টেস্ট করো আর রেস্ট নাও .....
আমার স্কুলেও একের পর এক টিচারেরা এবসেন্ট হচ্ছে এই নাম না জানা জ্বরে ......
৫| ২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২৫
ফেনিক্স বলেছেন:
গায়ে জ্বর অনুভব করলে, ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না; বরং কুসুম কুসুম ( হালকা ) গরম পানিতে গোসল করবেন।
শুভ কামনা রলো, শীঘ্রই সুস্হ হয়ে উঠুন।
৬| ২৭ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই কামনা করি।
৭| ২৮ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভয়ের কিছু নেই।
এটা সাময়িক। আপনি 'মোনাস টেন' প্রতিদিন একটা করে খান।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭
জুন বলেছেন: করোনা টেস্ট করেন, তবে বর্তমান ভ্যারিয়েন্টে অতটা ভয় নাই জাহিদ, চিকনগুনিয়াও টেস্ট করতে পারেন। তবে আল্লাহ ভরষা আশাকরি ভয় পাওয়ার মত কিছুই হয় নাই