নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটু ভাল থাকার চিন্তায় আমাদের আর ভাল থাকাটাই হয়ে উঠে না
কলেজ শিক্ষককে হত্যা করতে যেয়ে হাতেনাতে ফাহিম ধরা খাওয়ার পর আমজনতার মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসে। জনগণ যেহেতু ধরিয়ে দিয়েছে সুতরাং কোন নাটক নয় আসল কিলার মেম্বারই ধরা পড়েছে। ভাড়াটিয়া কিলার হোক আর অতি উৎসাহী জিহাদী হোক।
খুনীদের কোন দল থাকতে নেই,থাকলেও সেটা গোনার টাইম নেই।বিচারটাই মুখ্য। বরাবরের মতই ধরা খাওয়া ব্যাক্তি শিবিরের,এটাই ছিল পুলিশের বরাত।কারণ দেশেতো কোন জঙ্গি নেই!নড়চড়ে বসার মত খবর। একেতো দেশজুড়ে আকস্মিক হত্যাকান্ড চলছে ,যেগুলোর একটারও হদিস মিলছে না বলে নাকি অন্য কি কারণে মন্ত্রী সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেন। দ্বিতীয়ত যেহেতু ফাহিম শিবিরের তাহলে আর যায় কই। এবার একটা হদিস মিলবেই।প্রমাণসহ জামাত-শিবির ঘাড়ানোর এতবড় সু্যোগ নিশ্চয়ই নষ্ট করবে না সরকার।যাইহোক এরপর জিজ্ঞাসাবাদে ফাহিম আর শিবিরের না থেকে হয়ে যায় হিযবুত তাহরীরের।
ফাহিমকে ঘাটাঘাটি করলেই বাকীদের নাড়িভুঁড়িও বের হয়ে আসবে এটাই ছিল প্রত্যাশা। আবার নিউজ আসে কয়েকজনের নামও প্রকাশ করে ফাহিম।সাধারণের প্রত্যাশার দীর্ঘশ্বাস হালকা হওয়ার পথে কারণ টার্গেট কিলিং হোক আর যেই কিলিং হোক কিংবা একই প্যাটার্নে হত্যাচেষ্টা হোক অন্তত একটা জিনিসের অপরাধী ধরা পড়েছে। এবার যদি বিচ্ছিন্ন ঘটনার নাটক থেকে বের হয়ে আস যায়!
কিন্তু? সব প্রত্যাশায় গুড়েবালি। ক্রসফায়ারে ফয়জুল্লাহ ফাহিম নিহত। সিনেমায় দেখা যায় রহস্যময় মামলার আসামীকে মারার জন্য তার সহযোগীরা জেলখানা কিংবা পুলিশের গাড়ী টার্গেট করে। কিন্ত ফাহিমকে তো উল্টা পুলিশই তার সহযোগীদের কাছে নিয়ে গেল।অবশ্য সেটার উদ্দেশ্য ছিল মহট,ফাহিমের সহযোগীদের ধরার জন্য।
যাকগে সিনেমার বিড়ীখোরী কাহিনী বাদ দেই। বাস্তবে আসি। এই ধরণের সিরিয়াস কেসের আসামী ধরা পড়লে যেটা দেখা যায় যে আসামীকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট,হ্যালমেট পরিয়ে হাই সিকুরিটি দেয়া হয়। ফাহিমকেও তেমন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আফসোস সেই আসামীরই বুকের বামপাশে দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।শুধু মিডিয়ার সামনে ফটগ্রাফির জন্যই আসামীর হাই সিকুরুটি ?
বিচ্ছিন্ন ঘটনা বিচ্ছিনই রয়ে গেল,জোর করে বিচ্ছিন্ন বানিয়ে দেয়া হলো আবার। বাই দ্যা ওয়ে লজিকাল কথা বললে সর্ষের মধ্যে ভুত থাকলে কি আর ভুত তাড়ানো যায়!
©somewhere in net ltd.