নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটু ভাল থাকার চিন্তায় আমাদের আর ভাল থাকাটাই হয়ে উঠে না
আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক স্মার্ট।আজকে গণভবনে বক্তব্যের শুরুতেই স্মরণ করেছিলেন জাতীয় কবিকে।এরপর বঙ্গবন্ধুকে।যদিও বঙ্গবন্ধুর স্মরণ বিশেষত্ব হারিয়েছে অভ্যাসের জন্য।অনেক বাকপটু প্রধানমন্ত্রী। দেখে বক্তব্য পাঠ করলেও মেকি ভাব নেই।ভাল করে না তাকালে মনে হবে কিছু না দেখেই বুঝি সব বলছেন।এটা স্মার্টনেস এবং সুবক্তার লক্ষণ।
কিন্তু এর একটু পরেই যে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন শুরু করেছিলেন সেটা ছিল সুন্দরবন নিয়ে চরম রসিকতা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছবি দেখিয়ে উন্নত প্রযুক্তির দোহাই দেয়া হয়েছে।যেই ছবিগুলো দালালরা বিগত বছর থেকেই দেখানো শুরু করেছিল।
যারা এর বিরোধিতা করছে তারা নাকি উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে অবগত নয়।সিরিয়াসলি? আমার মনে হয় তিনিই অবগত নন কারা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
বলা হয়েছে বিভিন্ন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপর কয়লার নির্ভরশীলতার কথা।উন্নত দেশগুলোর সাথে তুলনা করে বলা হয়েছে তারা নাকি গ্যাস এর উপর নির্ভরশীল না। প্রশ্ন হচ্ছে অনেক দেশে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত নেই,তো তারা কোন দুঃখে গ্যাস ব্যবহার করবে?
আমাদের গ্যাসের মজুত কমছে।এটা খাটি সত্য কথা বলেছেন। সেজন্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র দরকার নদীর তীরে।সেটাও খাটি যুক্তি।কিন্তু সেটা সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কি.মি. দূরেই কেন?
সুলভ মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যই নাকি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনেক জরুরী! সিরিয়াসলি? এটা যদি সত্যি হয় তাহলে সাংবাদিকরা কি এতদিন গাঁজা খেয়ে রিপোর্ট করেছে?
সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার যেটা ছিল সেটা হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষ্যার আন্দোলনকে চূড়ান্তভাবে চরম রাজনৈতিক ভাবে উপস্থাপন করা।এতদিন ধরে আন্দোলন হয়ে আসছে অথচ সেটার জন্য বলা যায় অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলন আজকেই ছিল।আর দুদিন আগেই বিএনপিও সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে সুর মিলিয়েছে। দুইয়ে দুইয়ে চার। সুন্দরভাবেই প্রধানমন্ত্রী অঙ্ক মিলিয়ে এসেছেন।বিএনপি নাকি আন্দোলনে পিছন থেকে উস্কানি এবং ইঙ্গিত দিচ্ছিল আর এবার সরাসরি ষড়যন্ত্র করছে।
বিএনপিকে খোঁচানো পয়েন্ট না।পয়েন্ট হচ্ছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে ব্যাপার টাকে উপস্থাপন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।এখন অনেকেই ভাববে এটা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সুন্দরবন রক্ষ্যার নয়। একটা ভুল ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে জাতির কাছে। কারণ যারা আন্দোলন করছে তারা দেশের স্বার্থেই করছে।
দেশের বিদ্যুৎ খাতে আওয়ামীলীগ এর সাফল্য বিএনপি থেকে অনেক বেশি এটা অস্বীকার করার কিছু নেই।কিন্তু একটা গণ আন্দোলন কে এভাবে অপব্যাখ্যা করা ঠিক হয়নি।এসবের জন্যই সবার সমর্থন দরকারি হলেও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর জনস্বার্থের আন্দোলনে উপস্থিতি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অকাম্য।কারণ এরা সবাই নিজেদের স্বার্থেই করে সব।
অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা দেয়া হচ্ছে বারাবার।কিন্তু বুঝতে হবে অন্যান্য দেশের মত করলেই সব সমস্যার সমাধান না।যদি এমন হতই তাহলে আমাদের পরে স্বাধীন হয়েও আমাদের আগে অনেক দেশ এগিয়ে যেতো না।আর মাথায় রাখতে হবে এটা বাংলাদেশ। এখানে কিছুই ঠিকভাবে হয় না,হয়ে উঠে না।যেমনটা ঠিকভাবে হচ্ছে না রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের উদ্যোগ।যতই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হোক না কেন দুর্নীতির জন্য সেগুলোর সঠিক ব্যাবহার এবং তত্ববধায়নের অভাবে হুমকি আসবেই।
আমাদের দেশে আমাদের দেশ হুমকিতে রেখে সব করে আবার অর্ধেক পাবে দাদারা। ঋণ দিবেন দাদারা,শোধ করবো আমরা।
সবশেষে যা বলছি, যারা আন্দোলন করছে বলা হচ্ছে তারা না জেনেই করছেন।টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা মনে আছে? ঠিক তখনো এই সরকারের পক্ষ থেকেই পরিবেশ বিশেষজ্ঞ দের বলা হয়েছিল মূর্খ,তারা কিছু না জেনেই ষড়যন্ত্র করছে। এবারো ঠিক তেমনই হচ্ছে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৩৪
জাহিদ শাওন বলেছেন: ধন্যবাদ।লিখতে যেমনই লাগুক না কেন সমস্যার একেবারে মূলে আঘাত করেছেন চমতকার উদাহরণ দিয়ে। ব্যাপারটা আসলে ওইরকমই। হুম যতই প্রোটেকশন ব্যবহার করা হোক,রিস্কতো রয়েই যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: লিখতে লজ্জা লাগছে তারপরও বাধ্য হলাম "বিষয়টিকে আমার মনে হচ্ছে, জন্মনিয়ন্ত্রকের অ্যাডের মতন! প্রটেকশন ব্যবহার করা হবে তাই প্রেগ্নেন্সি হবে না! কোন কারনে প্রটেকশন ছিদ্র হলেই কার্যকরীটা শেষ!! কিছুদিন আগেই চট্টগ্রামের আনোয়ারায় যেভাবে অ্যামোনিয়া গ্যাস ট্যাংকে লিকেজ হয়েছিল। নিশ্চয়ই এতদ্রুত ভুলে যান নাই। আচ্ছা একটি প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করছে প্রটেকশন ঠিকভাবে ব্যবহার করা হলেও কি ভার্জিনিটি রক্ষা পাবে?