নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলমান জীবনদৌড়ের গল্পে লেখার মত স্থির কিছুর অপেক্ষায়

জাহিদ শাওন

আরেকটু ভাল থাকার চিন্তায় আমাদের আর ভাল থাকাটাই হয়ে উঠে না

জাহিদ শাওন › বিস্তারিত পোস্টঃ

টঙ্গীতে ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড এর কারখানায় আগুনে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এর দায় কার?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪



এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেছে অথচ সহায়তার জন্য ছিল না মালিকপক্ষের কেউ।কোথায় কোন ধরনের দাহ্য পদার্থ আছে তার অবস্থান ফায়ার সার্ভিসকে বলে দেয়ার জন্য ছিল না কেউ।মালিকপক্ষের দোষ থাকুক না থাকুক মানবিক কারণেইতো তাদের সেখানে সহায়তার জন্য থাকা উচিৎ ছিল।
সহায়তা দূরের কথা তালা দেয়া ছিল গেটে। আর এটাই দুর্ঘটনার পর এত প্রানহানির মূল কারণ ।

এই তালা দেয়ার ঘটনা কি আজকে নতুন? তালা দিয়ে রাখা কিংবা শ্রমিকদের বের হতে না দেয়ার জন্যই এদেশে সহস্রাধিক শ্রমিক মারা গিয়েছে আগে। তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকান্ডের পর কারখানার শ্রমিকরা বের হতে পারে নি তালা দেয়া থাকায়।ফায়ার সার্ভিস সহজে কাজ করতে পারে নি।তালা কেটে ফায়ার সার্ভিসকে কাজ করতে হয়েছিল।তাজরীন ফ্যাশনের মালিক শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছিল না,অনেক লসে থাকার কারণেই প্রচলিত নোংরা নিয়মে সেই অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছিলেন সেটা ছিল ওপেন সিক্রেট। কিন্তু তার কিছু হয়েছিল? মিডিয়াতে তার মায়াকান্না ছাড়া কিছুই দেখা যায় নি। এত সব ভয়নাক অভিযোগ এবং প্রমাণ থাকা স্বত্তেও নেয়া হয়নি দৃষ্টান্তমূলক কোন ব্যবস্থা।নেয়া হয় নি শ্রমিক সুলভ কোন ব্যবস্থা। অথচ তখন একটা দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে পারলে কিছুটা হলেও কি সচেতনতা এবং ভয় ঢুকানো যেত না কি মালিক সমাজে ?


সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি যেটা পৃথিবীর ইতিহাসে শিল্প দুর্যোগের প্রথম কাতারে। সেখানে কি হয়েছিল ? একই ঘটনা। দেয়ালের প্লাস্টার ভেঙে পড়ার পর,পিলারের নড়বড়ে শব্দ শোনার পরও শ্রমিকদের বের হতে দেয়া হয় নি। ভবন ধসের কিছুক্ষণ আগেই ফাটলের খবরে সেখানে উপস্থিত হয়েছিল একুশে টিভির সাংবাদিক।কিন্তু কোন নিউজ করতে দেয়া হয় নি।বলা হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার দেখানো হয়েছে প্লাস্টার ঠিক করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।তিলকে নাকি তাল বানানো হচ্ছে বলেছিল রানা। কিন্তু এর কিচুক্ষণ পরের ইতিহাস পুরো পৃথিবীরই জানা।
স্বল্প সময়ে রানাকে গ্রেফতার করা হলেও আজও সেটার কোন প্রকৃত বিচার হয় নি যেটা হতে পারতো দৃষ্টান্ত।


অপরিকল্পিত শিল্পব্যবস্থা বন্ধ করতে হলে দরকার সুষ্ঠু তত্ত্বাবধান এবং অনিয়ময়ের দৃষ্টান্তমূলক বিচার। এই টাইপের দূর্ঘটনা প্রতিকারের উপায় অনেক কঠিন।একটা প্রানের মূল্যওপৃথিবীর কোন কিছু দিয়ে পরিশোধ করা সম্ভব না। তাই প্রতিরোধই করতে হবে।যেটা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে করা উচিৎ ছিল।কিন্তু কতটুকু করা হয়েছে?

দুর্ঘটনা বলে আসে না।কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে দ্বায়িত্বহীনতার জন্য যারা নিহত হয়েছেন তাদেরকতো খুন করা হয়েছে।অথচ খুনীদের কিছুই হচ্ছে না।তারা এসির নিচে হাওয়া খাচ্ছে নিরীহ শ্রমিকদের কয়লা বানিয়ে।তাজরীন ফ্যাশনের মালিকের কিছুই হয় নি।
এই ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগই রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে না।কিন্তু সুবিধামত ঠিকই নোংরা রাজনৈতিকদের নির্বাচনের খরচ দিয়ে প্রভাব রেখে দেয়।

এই শ্রমিকদের পক্ষে কাজ কি করেছে সরকার ? নতুন করে সৃষ্ট প্রত্যেকটা ঘটনার দায় কি সরকার এড়াতে পারে ? সরকারও পূর্ব খুণীদের বিচার না করে নতুন এই অবস্থা সৃষ্টিতে দায় এড়াতে পারে ?
যারা মনে মনে চিন্তা করছেন কিছু হলেই আমরা সরকারের উপরে দায় চাপাই তাদের বলছি মানুষ হিসেবে চিন্তা করুন সমর্থক বা দালাল হিসেবে নয়। নতুন ঘটনা সরকারের উপর চাপানোর কথা বলছি না। পুরান ঘটনার কথাই বলছি।সেটার দায়তো এড়াতে পারে না সরকার। বলছি বিচারবীহীন ব্যবস্থার কথা।যেখানে একটা নিকৃষ্ট ঘটনা বিচারের অভাবে আরো কয়েকটা ঘটনা সৃষ্টির সুযোগ করে দিচ্ছে।

আর বিচারবিহীন ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হতে চাই না। সুষ্ঠূ তদন্তের মাধ্যমে টংগীর দুর্ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।সেইসাথে আগের ঘটনা গুলোরও।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.