নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলমান জীবনদৌড়ের গল্পে লেখার মত স্থির কিছুর অপেক্ষায়

জাহিদ শাওন

আরেকটু ভাল থাকার চিন্তায় আমাদের আর ভাল থাকাটাই হয়ে উঠে না

জাহিদ শাওন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ন্যায়বিচারের প্রতীক নিয়ে দৌড়ঝাঁপ,ন্যায়বিচারের খবর কে রাখে?

২৬ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯



মসজিদের সামনে একটা মূর্তি রেখে দেয়া হলে,মন্দিরের সামনে মিনার রেখে দিলে বা ইসলামিক অন্য কোন সিম্বল রেখে দিলে কিংবা যীশু খ্রিস্টের একটা মূর্তি রেখে দিলে সেটাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে? যেহেতু খুব ভাল একটা মিক্সার হচ্ছে সেটাকে অসাম্প্রদায়িক বলা যাবে,বর্তমানে ব্যাপারটা এমনই দেখাচ্ছে।

আর এসবের জবাবে বহুল প্রচলিত মহাজ্ঞান এবং মুক্ত লজিক হিসেবে বলা হয় যে মূর্তি আর ভাষ্কর্য এক না।তাদের মহাজ্ঞানের দরুন তারা ধর্মীয় ব্যাপারেও যথেষ্ট জ্ঞান রাখে।আর সেই জ্ঞানের প্রকোপ এতই বেশি যে তারা উঠতে বসতে ফতোয়া দেন যেটা অনেক মুফতী একসাথে বসেও দিতে হিমশিম খেয়ে যান।

এবার আসি দেবী থেমিসের ব্যাপারে। এটা কি শুধুই ভাষ্কর্য? গ্রীক দেবীর ভাষ্কর্য বসিয়ে যদি যারা মনে অসাম্প্রদায়িকতা বা সুবিচার কায়েম হয়ে গেছে কিভাবে সেটা বোধগম্য হয় না। গ্রীক দেবীর ভাষ্কর্য যদি অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক হয় তাহলে উপরে মসজিদ,মন্দীরে বা গীর্জায় অন্য ধর্মের প্রতীক বসালেও সমস্যা হওয়ার কথা না।শুধু খেয়াল কইরা মূর্তি না বলে ভাষ্কর্য বলবেন।বেস তাহলেই ধর্মীয় মিক্সাচারের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িকতা কায়েম হয়ে যাবে।

কিছুদিন আগে একটা পোস্টে লিখেছিলাম এই মূর্তি বা ভাষ্কর্য বিচারে কোন কাজে আসবে না।কিন্তু এটা বসিয়ে দুঃখিত দাঁড় করিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যায়ে কারো চুলকায় নি। কিংবা যেহেতু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এটার জন্য অহেতুক ঝামেলা পাকতে পারে বা পরবর্তীতে আবার এটা অপসারণ করতে গেলে নব্য স্বঘোষিত মুক্তচিন্তাকারী এবং জ্ঞানীরা এটার বিরুদ্ধে যেয়ে ঝামেলা পাকাবে এসব নিয়ে কারো চুলকায় নি।চুলকানোর অবশ্য কারণ নেই কারণ জ্ঞান ঝাড়ার ইস্যু পাওয়া গেছে।

যাকগে দেবী থেমিস নিয়ে ঝাপাঝাপি করলো দুই পক্ষ।ন্যায় বিচারের প্রতীক নিয়া মারামারি, বিচার যে ন্যায় হয় না সেটা ভাবার মত ইস্যু না। মাঝখান দিয়ে নির্বিঘ্নে হল বিতর্কিত প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং সমাঝোতা। এইজন্যই আওয়ামীলীগের রাজনীতি স্মার্ট। এই পটুতার জন্য নেত্রীকে একটা লাল সালাম দেয়াই যায়। একটা কম হয়ে যাবে অবশ্য।

সবশেষে, হাইকোর্টের বিচারপতিরাও নাকি চায় নাই ঐ ভাষ্কর্য থাকুক।তো স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন তাহলে ভাষ্কর্যটা স্থাপন হইছে কার বা কাদের ইশারায়?নাকি মৃণাল হক প্র্যাকটিস হিসেবে ভাষ্কর্যটি স্থাপন করে গেছেন।তাই ভাষ্কর্যে চেহারাও খুব একটা ভাল হয় নি!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: হাইকোর্টের বিচারপতিরাও নাকি চায় নাই ঐ ভাষ্কর্য থাকুক।তো স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন তাহলে ভাষ্কর্যটা স্থাপন হইছে কার বা কাদের ইশারায়?নাকি মৃণাল হক প্র্যাকটিস হিসেবে ভাষ্কর্যটি স্থাপন করে গেছেন।তাই ভাষ্কর্যে চেহারাও খুব একটা ভাল হয় নি! ভাই শর্স্যের ভিতরে ভূত।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২৫

জাহিদ শাওন বলেছেন: সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়া।

২| ২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: ঠিক কথা। ভাবনার।

৩| ২৮ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

বেনামি মানুষ বলেছেন: মৃণাল হকের প্র্যাক্টিসই বোধহয় সই! :)

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

জাহিদ শাওন বলেছেন: রিবিল্ডিং প্র্যাক্টিসও খুব ভালই হচ্ছে এখন। :)

৪| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ২:৩৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দুই পক্ষ।ন্যায় বিচারের প্রতীক নিয়া মারামারি, বিচার যে ন্যায় হয় না এটা ভাবছে খুব কমই।।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

জাহিদ শাওন বলেছেন: সেটাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.